![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার নিজের প্রেম হওয়ার আগে থেকেই মানুষজনকে প্রেমবিষয়ক পরামর্শ দিতাম, তাদের সুখ দুঃখের কথা শোনতাম, বিরহে সাজেশন দিতাম। কখনো রেগেমেগে ছোটভাইয়েরা কিংবা বন্ধুরা তাদের গার্লফ্রেন্ডের অপকর্মের ফিরিস্তি দেখিয়ে জিজ্ঞেস করতো- ‘ভাই তুমিই বলো এখন কি করা উচিত...?’ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কেবল একটা কথাই বলতাম- ক্ষমা করে দাও...! তাঁরা বলতো ভাই তোমার ব্রেকাপ হোক তার পরে দেখবো নে তুমি কিভাবে ক্ষমা করো!
হ্যাঁ সে বিষাদঘন মুহূর্ত একসময় আমার জীবনেও এসেছিলো, তীব্র আক্রোশ যে আমার অন্তরও ছিন্নভিন্ন করেনি সে নয়, তবে জীবনে এতো পোলাপানকে বয়ান দিয়েছি যে আমি যদি কিছু উলটাপালটা করি আর তাঁরা যদি আবার জিজ্ঞেস করে- ‘খুব তো বয়ান দিতে আগে এখন তুমি নিজে এইটা কি করলা?’ এই ভেবে একেবারে চুপ মেরে গেছি, এখন বাইরে বলে বেড়াই আমি নিজে কিছুই না করে ক্ষমা করে দিয়েছি!
ক্ষমা করতে পেরেছি কিনা জানি না তবে আমি কোনভাবেই কল্পনা করতে পারিনা যে মেয়ের সাথে অন্তরংগতা হয়েছিল, যে মেয়েকে হাজারবার বলেছি ভালবাসি তার কোনপ্রকার ক্ষতি করা আমার পক্ষে সম্ভব, ভাবতে পারিনা সে মেয়ের মুখাবয়ব এসিডে বিকৃত করে দিবো, ভাবতে পারিনা তার সাথে তোলা অন্তরংগ মুহূর্তের ছবি জনসাধারনকে দেখিয়ে বেড়াবো, ভাবতে পারিনা এই আমার জন্যে সে এ সমাজে কিছু হলেও বিব্রত হবে- তার পরিবারের কাছে, তার নতুন প্রিয়জনের কাছে, তার পরিচিতজনদের কাছে। এমন হলেতো নিজের কাছেই নিজে ছোট হয়ে যাবো এ কেমন ভালোবেসেছিলাম এই ভেবে!
বেশীরভাগ প্রতারিত হওয়া ছেলেদের একটা কমন অভিযোগঃ ‘আমাকে কষ্টে রেখে সে কেন ভাল থাকবে?’ এর কি উত্তর হয় জানিনা, যেভাবে নিজেকে স্বান্ত্বনা দিয়েছি সেটাই বলি- সে আমাকে ছেড়ে সুখে আছে এই ভেবে নিজেও যে ভেতরে ভেতরে পুড়ি না সেও নয়, তবে এই ভেবে স্বান্ত্বনা খুঁজি চুরি বাটপারি করেও তো অনেকে অনেক আরামে আছে তাই বলে আমাকেও তাদের মতো করে ভাল থাকতে হবে সেও তো নয়, রবীন্দ্রনাথের কথাগুলো মনে মনে কয়েকবার আওড়ে নিই- সুখে আছে যারা, সুখে থাক তাঁরা, সুখেরও বসন্ত সুখে হোক সারা...!
মেয়েদের ঘৃণা কুড়ানো অনেক সহজ, তবে বিদায়বেলায় শ্রদ্ধা ধরে রাখা যথেষ্ট কঠিন, বেশীরভাগ সম্পর্কই শেষ হয় গালাগালি দ্বারা, নিদেনপক্ষে কয়েকটা চড় থাপ্পড় দ্বারা, তবে ভেবে দেখুন সেই ক্ষণিকের আবেগ নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে মেয়েটি সারাজীবনের জন্য আপনাকে ঘৃণা করার সুযোগ পেয়ে যাবে, মুহূর্তের সে আবেগের জন্য কি এতোবড় সুযোগ তাকে দিয়ে দেয়া উচিত? বিদায় হয়েছিলো হাসিমুখে, জানিনা সে আমারই ব্যর্থতা কিনা- তাকে দেখলেই সব উল্টোপাল্টা চিন্তা কোথায় হাওয়া হয়ে যেতো, পেছনে করে আসা হাজার ষড়যন্ত্র বেমালুম ভুলে যেতাম, সে চোখের সামনে দাঁড়িয়ে কি এমন কড়া কড়া কথা শোনানো যায়? তার গায়ে হাত তোলা যায়? মজার ব্যাপার হচ্ছে তার সাথে ব্রেকাপের পর থেকে তার বিয়ের আগপর্যন্ত তার নিরাপত্তা আমিই দিয়েছি, তার পুরনো বয়ফ্রেন্ডের আক্রোশের হাত থেকে আমিই তাকে বাঁচিয়েছি, হয়তো বোকা ছিলাম সেজন্যেই...!
কি হারিয়েছি কিংবা কি পাইনি জানিনা, যদি কোনদিন আবার তার সাথে দেখা হয়, যদি তার স্বামী সন্তানসহ তাকে হাসিখুশী দেখি তবে ঈর্ষান্বিত হওয়ার পাশাপাশি আমিই হয়তো সবচেয়ে বেশী গর্বিত হবো এই ভেবে- এই হাসির পেছনে আমার অবদান ছিল, এই হাসি আমার জন্যেই আজ অমলিন, তার সংসার সুখের হয়েছে সে আমারই ত্যাগে, আমি তখন সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কোন ক্ষতি করিনি বলেই আজো সে এমনই হাসে, চোখের আঙ্গিনায় আজো তেমনই লুকোচুরি করে যায় দুষ্টুমি, একটা মানুষের সুখের পেছনে আমি ছিলাম সেটা ভাবার আনন্দে অবশ্যই চোখে পানিও এসে পড়ার কথা।
এক লোককে বিয়ে করেনি বলে সেই লোক ইডেনের এক মেয়ের গায়ে এসিড মেরেছে, তার মতো হতভাগা আর দেখিনা। সুনীলের একটা কবিতা আছে- ‘এ হাত ছুঁয়েছে নীরার মুখ এই হাতে আমি কি কোন অপরাধ করতে পারি?’ যে লোকটা এসিড ছুঁড়েছে সে হতভাগা না হলে কি যে হাতে মেয়েটির মুখ ছুঁয়েছিল সে হাতে তার উপর আবার এসিড ছুঁড়তে পারে? দেশ থেকে এসিড সন্ত্রাস, ইভটিজিং সহ নারীর প্রতি সব অন্যায় দূর করতে হলে আগে ছেলে ছোকরাদের ভালোবাসা শেখাতে হবে, যারা প্রকৃতই ভালোবাসতে জানে তাঁরা কখনো প্রিয়তমার ক্ষতি চাইতে পারেনা, যারা এমন ক্ষতি করে সাবেক প্রেমিকার তাদের ভালোবাসা হয়না...!!!অ্যামার নিজের প্রেম হওয়ার আগে থেকেই মানুষজনকে প্রেমবিষয়ক পরামর্শ দিতাম, তাদের সুখ দুঃখের কথা শোনতাম, বিরহে সাজেশন দিতাম। কখনো রেগেমেগে ছোটভাইয়েরা কিংবা বন্ধুরা তাদের গার্লফ্রেন্ডের অপকর্মের ফিরিস্তি দেখিয়ে জিজ্ঞেস করতো- ‘ভাই তুমিই বলো এখন কি করা উচিত...?’ ঘুরিয়ে ফিরিয়ে কেবল একটা কথাই বলতাম- ক্ষমা করে দাও...! তাঁরা বলতো ভাই তোমার ব্রেকাপ হোক তার পরে দেখবো নে তুমি কিভাবে ক্ষমা করো!
হ্যাঁ সে বিষাদঘন মুহূর্ত একসময় আমার জীবনেও এসেছিলো, তীব্র আক্রোশ যে আমার অন্তরও ছিন্নভিন্ন করেনি সে নয়, তবে জীবনে এতো পোলাপানকে বয়ান দিয়েছি যে আমি যদি কিছু উলটাপালটা করি আর তাঁরা যদি আবার জিজ্ঞেস করে- ‘খুব তো বয়ান দিতে আগে এখন তুমি নিজে এইটা কি করলা?’ এই ভেবে একেবারে চুপ মেরে গেছি, এখন বাইরে বলে বেড়াই আমি নিজে কিছুই না করে ক্ষমা করে দিয়েছি!
ক্ষমা করতে পেরেছি কিনা জানি না তবে আমি কোনভাবেই কল্পনা করতে পারিনা যে মেয়ের সাথে অন্তরংগতা হয়েছিল, যে মেয়েকে হাজারবার বলেছি ভালবাসি তার কোনপ্রকার ক্ষতি করা আমার পক্ষে সম্ভব, ভাবতে পারিনা সে মেয়ের মুখাবয়ব এসিডে বিকৃত করে দিবো, ভাবতে পারিনা তার সাথে তোলা অন্তরংগ মুহূর্তের ছবি জনসাধারনকে দেখিয়ে বেড়াবো, ভাবতে পারিনা এই আমার জন্যে সে এ সমাজে কিছু হলেও বিব্রত হবে- তার পরিবারের কাছে, তার নতুন প্রিয়জনের কাছে, তার পরিচিতজনদের কাছে। এমন হলেতো নিজের কাছেই নিজে ছোট হয়ে যাবো এ কেমন ভালোবেসেছিলাম এই ভেবে!
বেশীরভাগ প্রতারিত হওয়া ছেলেদের একটা কমন অভিযোগঃ ‘আমাকে কষ্টে রেখে সে কেন ভাল থাকবে?’ এর কি উত্তর হয় জানিনা, যেভাবে নিজেকে স্বান্ত্বনা দিয়েছি সেটাই বলি- সে আমাকে ছেড়ে সুখে আছে এই ভেবে নিজেও যে ভেতরে ভেতরে পুড়ি না সেও নয়, তবে এই ভেবে স্বান্ত্বনা খুঁজি চুরি বাটপারি করেও তো অনেকে অনেক আরামে আছে তাই বলে আমাকেও তাদের মতো করে ভাল থাকতে হবে সেও তো নয়, রবীন্দ্রনাথের কথাগুলো মনে মনে কয়েকবার আওড়ে নিই- সুখে আছে যারা, সুখে থাক তাঁরা, সুখেরও বসন্ত সুখে হোক সারা...!
মেয়েদের ঘৃণা কুড়ানো অনেক সহজ, তবে বিদায়বেলায় শ্রদ্ধা ধরে রাখা যথেষ্ট কঠিন, বেশীরভাগ সম্পর্কই শেষ হয় গালাগালি দ্বারা, নিদেনপক্ষে কয়েকটা চড় থাপ্পড় দ্বারা, তবে ভেবে দেখুন সেই ক্ষণিকের আবেগ নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে মেয়েটি সারাজীবনের জন্য আপনাকে ঘৃণা করার সুযোগ পেয়ে যাবে, মুহূর্তের সে আবেগের জন্য কি এতোবড় সুযোগ তাকে দিয়ে দেয়া উচিত? বিদায় হয়েছিলো হাসিমুখে, জানিনা সে আমারই ব্যর্থতা কিনা- তাকে দেখলেই সব উল্টোপাল্টা চিন্তা কোথায় হাওয়া হয়ে যেতো, পেছনে করে আসা হাজার ষড়যন্ত্র বেমালুম ভুলে যেতাম, সে চোখের সামনে দাঁড়িয়ে কি এমন কড়া কড়া কথা শোনানো যায়? তার গায়ে হাত তোলা যায়? মজার ব্যাপার হচ্ছে তার সাথে ব্রেকাপের পর থেকে তার বিয়ের আগপর্যন্ত তার নিরাপত্তা আমিই দিয়েছি, তার পুরনো বয়ফ্রেন্ডের আক্রোশের হাত থেকে আমিই তাকে বাঁচিয়েছি, হয়তো বোকা ছিলাম সেজন্যেই...!
কি হারিয়েছি কিংবা কি পাইনি জানিনা, যদি কোনদিন আবার তার সাথে দেখা হয়, যদি তার স্বামী সন্তানসহ তাকে হাসিখুশী দেখি তবে ঈর্ষান্বিত হওয়ার পাশাপাশি আমিই হয়তো সবচেয়ে বেশী গর্বিত হবো এই ভেবে- এই হাসির পেছনে আমার অবদান ছিল, এই হাসি আমার জন্যেই আজ অমলিন, তার সংসার সুখের হয়েছে সে আমারই ত্যাগে, আমি তখন সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কোন ক্ষতি করিনি বলেই আজো সে এমনই হাসে, চোখের আঙ্গিনায় আজো তেমনই লুকোচুরি করে যায় দুষ্টুমি, একটা মানুষের সুখের পেছনে আমি ছিলাম সেটা ভাবার আনন্দে অবশ্যই চোখে পানিও এসে পড়ার কথা।
এক লোককে বিয়ে করেনি বলে সেই লোক ইডেনের এক মেয়ের গায়ে এসিড মেরেছে, তার মতো হতভাগা আর দেখিনা। সুনীলের একটা কবিতা আছে- ‘এ হাত ছুঁয়েছে নীরার মুখ এই হাতে আমি কি কোন অপরাধ করতে পারি?’ যে লোকটা এসিড ছুঁড়েছে সে হতভাগা না হলে কি যে হাতে মেয়েটির মুখ ছুঁয়েছিল সে হাতে তার উপর আবার এসিড ছুঁড়তে পারে? দেশ থেকে এসিড সন্ত্রাস, ইভটিজিং সহ নারীর প্রতি সব অন্যায় দূর করতে হলে আগে ছেলে ছোকরাদের ভালোবাসা শেখাতে হবে, যারা প্রকৃতই ভালোবাসতে জানে তাঁরা কখনো প্রিয়তমার ক্ষতি চাইতে পারেনা, যারা এমন ক্ষতি করে সাবেক প্রেমিকার তাদের ভালোবাসা হয়না...!!!
©somewhere in net ltd.