![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার নাম মেঘলা ৷ বাদলের জন্য অপেক্ষা করছি ৷বাদল আমার ভালবাসা প্রেম ৷ আমার সুখ দুঃখের রাজা ৷ আমি গরীব ঘরের মেয়ে বাদলের ভরসায় শহরে কাজ করতে এসেছি ৷
মেজাজটা খারাপ হয়েছে বাদল আমার আগে আসবে বলে আমাকে ১ ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রেখেছে । ১ ঘণ্টা পর হাঁপাতে হাঁপাতে আসে আমার সামনে ।মেজাজটা এতো খারাপ হচ্ছিলো যে , ইচ্ছে করছিলো কষিয়ে
একটা থাপ্পড় মারি ,কিন্তু না আমি থাপ্পড় তো
মারলাম না উল্টো বাদল কে দেখে কেঁদে দিলাম । যাই
হোক আমাকে শান্ত করে রিকশা করে একটা বাসায়
নিয়ে গেলো । বাদল আমি যদি আজ হারিয়ে
যেতাম । আমার অনেক ভয় করছিলো । ঢাকায় এতো মানুষ ! হা হা হা কি যে বলো না ,
রাস্তায় এতো জ্যাম ছিল যা বলার বাহিরে । তাই দেরি
হয়েছে । আচ্ছা এই সব কথা বাদ দাও তো । যাও হাত মুখ ধুয়ে খাবার খেয়ে নাও । আমি তোমার জন্য হোটেল থেকে
খাবার এনে রেখেছি । আমি আর কোনো কথা না বলে
হাত মুখ ধুয়ে খেয়ে নিলাম ।
আমি যেই রুমে আছি সেখানে
একা আমি একটা মেয়ে না ,
আমার সাথে অনেক মেয়ে
আছে । আর তাদের দেখতে
অনেক অদ্ভুত লাগছে । কি রকম
ভাবে যেন সেজে আছে । আমি
বাদল কে বললাম ওরা করা ?
আর আমর কাজ কি? বাদল বলল ওরা ও নাকি
কাজের জন্য ঢাকায় আসছে । আর
আমাকে কাল বা পরশু জয়েন
করবে ।
আমি আর কোনো কথা বললাম
না । আমাকে খাওয়ানো শেষ
হলে বাদল চলে গেলো ।
আমি একা একটা রুমে শুয়ে
পড়লাম । পরের দিন সন্ধ্যায় একটা
লোক কে নিয়ে আসলো
বাদল । আমাকে দেখিয়ে কি
যেন বলে চলে গেলো লোকটি
। আমি বাদল কে বললাম
বাদল এই লোকটি কে ?
তুমি যেখানে কাজ করবে তার
বস উনি । তোমাকে দেখতে
এসেছে । কাল সন্ধ্যা থেকে
তোমার কাজ শুরু ।
কাল সন্ধ্যা ? কাল সন্ধ্যা কেন ।
মানুষ তো দিনে কাজ করে
আমি রাতে কেন করবো ?
আসলে এইটা একটা বিদেশী
কোম্পানি তো তাই ।
আমি আর কোনো কথা না বলে
খেয়ে গতকালের মতো আজকেও
শুয়ে পড়লাম । আজ সন্ধ্যায়
বাদলের সাথে যেই লোকটি
এসেছে সে আসলো আমার রুমে
। আমি খাটের এক পাশে বসে
আছি । উনি ঢুকে রুমের দরজা বন্ধ
করে দিলো । আমি সাথে
সাথে বলে উঠলাম , আপনি কি
করছেন দরজা বন্ধ করেছেন কেন ?
উনি জবাব না দিয়ে আমার
সামনে এসে বসে আমার গায়ে
হাত দিচ্ছিল । আমি সাথে
সাথে দৌড়ে ঘরের এক কোনায়
চলে গেলাম । উনি বলে উঠলো
দৌড়িয়ে লাভ নেই । আমার
কাছে তোমাকে ধরা দিতে
হবে । বাদল হেব্বি একটা
মাল রেডি করেছে আমার জন্য ।
দেখেন আপনি ভুল করছেন । আমি
কাজ করতে এসেছি । গ্রামে
আমার বাবা । খুব অসহায় । আমার
কোনো ক্ষতি করবেন না ।
আমাকে যেতে দিন । বাদল
কোথায় । এই বলে আমি চিৎকার
চেঁচামেচি করা শুরু করলাম ।
উনি বলে উঠলো বাদল
তোমাকে আমার কাছে আজ
রাতের জন্য বেঁচে দিয়েছে ।
এখন তুমি আমার । এই কথা বলে
হিংস্র ক্ষুধার্ত বাঘের মতো
ঝাঁপিয়ে পড়লো । আমি কত না
চিৎকার করছি । উনাকে আমি
বাবা বলেও ডাকছি নিজের
ইজ্জত টুকু বাঁচানোর জন্য ।কিন্তু
না কোনো কিছু তে কাজ হচ্ছে
না । আমার কান্নায় সেদিন
সেই রুমের বাতাস পর্যন্ত কেঁদে
ছিল । কিন্তু ওই নর পিচাশের মন
একবার কেঁদে উঠেন । সেদিন
থেকে আমার অস্তিত্ব বিলীন
হয়ে গিয়েছে । সারা রাত
চলে আমার উপর অমানবিক
নির্যাতন । ভোরের আলো
ফোটার সাথে সাথে আমাকে
উলঙ্গ রেখে আমার দেহের উপর
২ হাজার টাকা রেখে উঠে
চলে যায় ৷
কিছুক্ষণ পর বাদল আসে আমার
রুমে । কি আমার ভালোবাসা !!
আহা আমাকে উলঙ্গ দেখে
নিজেকে আর ধরে রাখতে
পারেনি আমার ভালোবাসা । ঝাপিয়ে পরে আমার নাপাকি দেহের উপর ৷
আমার এই নির্যাতিত দেহের
উপর চলে আরেক দফা নির্যাতন । কুড়ে কুড়ে খায় আমাকে ৷ দেহের প্রতিটি ভাঁজে ভাঁজে বিষের বাঁশি বাঁজিয়ে দেয় ৷
বিশ্বাস করেন এইবার আমি
চিৎকার করেনি । আমি
নড়াচড়াও করেনি । শুধু কান্না
করেছি , নীরব কান্না ।
আমাকে এমন একটা ঘরে রাখা
হয়েছিল আশে পাশে কি ঘটছে
বলাও যায়না ।
তারপর থেকে আমাকে আর জোর
করতে হয়নি , আমি নিজে
স্বেচ্ছায় গিয়েছি তাদের
সাথে । আর যেটাকে কামাই
করেছি তা দিয়ে আমি
এতিমদের খাইয়েছি । সেদিন
থেকে আজ পর্যন্ত নিজের
বাবাকে একটা টাকাও
পাঠায়নি । কিভাবে
পাঠাবো ? নিজের দেহ বেচা
টাকা কিভাবে নিজের
বাবাকে খাওয়াই ।
আর বাদলের এর অবস্থা হলো .
রাসেল দুই বছর পর একটি
মেয়েকে বিয়ে করে । কিন্তু
তাদের কোনো বাচ্চা
হচ্ছিলো না । অনেক চেষ্টার পর
একটা বাচ্চা হলো , তাও
মেয়ে ! কিন্তু মেয়েটি সর্ব
অঙ্গে প্রতিবন্দী। না কথা
বলতে পারে না ভালো ভাবে
হাঁটতে পারে । বাদল
কোনো দিন তার সন্তানের
মুখে বাবা ডাক শুনেনি । আমি
যেখানে আজ দেহ ব্যবসা করি
এখানে অনেক মেয়ের আশা
হয়েছে তার হাত ধরে । আজ
বাদল ভালো হয়ে গিয়েছে ৷
কিন্তু আমার মতো অনেক
মেয়ের কান্নার আর্তনাদ মিশে
আছে তার আশে পাশে ।
আজ আমি আপনাদের ভদ্র
সমাজে পতিতা । কিন্তু
আপনারা ?
©somewhere in net ltd.