নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এসো নীপবনে

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব

মাঝে মাঝে মনে হয়- আমি হয়তো মানুষ নই, অন্য কিছু। মাঝে মাঝে মনে হয়- I am no body.

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রন্থ সমালোচনা (কবিতা)- 'তোমাকে না পাওয়ার কবিতা'- আনিসুল হক।

০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩২





বইমেলার উদ্বোধনী দিনে যে বইটা কিনলাম এবং প্রথম কিনলাম সেটা প্রথমা প্রকাশনী থেকে সদ্য প্রকাশিত আনিসুল হকের- ‘তোমাকে না পাওয়ার কবিতাগুলো’। প্রচ্ছদ করেছেন সব্যসাচী হাজরা। ভেতরে মূল্যে ১৩০ টাকা থাকলেও ৯৮ টাকা রাখলো। ওই দিন আরো দুটো বই কিনলাম। সময় প্রকাশনী থেকে ‘গল্পের জাদুকর’ লিখেছেন আহসান হাবীব। আর সম্ভবতঃ চার্লি চ্যাপলিন, শুদ্ধস্বর থেকে লিখেছেন মাহমুদ আল জামান। অন্য সব বই নিয়ে আলোচনা পরেও করা যাবে। আজ আনিসুল হকের তোমাকে না পাওয়ার কবিতা নিয়েই আলোচনা হোক।



উৎসর্গ পত্রে লেখা হয়েছে-

‘আমার গোপন কথাগুলো আমি

কেবল তোমাকেই বলতে পারি’।

অনেকটা হেলাল হাফিজের একমাত্র কবিতার বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ বইয়ের উৎসর্গের মতো, ‘আপনাকে, তোমাকে ও তোকে’ এর মতো মনে হলো। জানি না এই বইয়ের উৎসর্গ কতখানি আনিসুল হককে ছুঁয়ে ছুঁয়ে গেছে বা এই উৎসর্গ রচনায় প্রভাব ফেলেছে।



গ্রন্থে মোট ছাব্বিশটি কবিতা স্থান পেয়েছে। প্রথম কবিতার নাম ‘কবিতা ও ফেসবুক’। কবিতার নাম থেকেই বোঝা যায় নাগরিক শিক্ষিত সমাজে ফেসবুক এর প্রভাব ঠিক কতখানি। ফেসবুকের প্রভাব শুধু ফেসবুক নয়, সামাজিক অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমগুলোও আমাদের জীবনে কতটা আষ্টে-পিষ্টে জড়িয়ে আছে। ‘আরব বসন্ত’ বলে যে আন্দোলন মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক পটকে পরিবর্তন করে দিলো তার অন্যতম হাতিয়ার ছিল ফেসবুক। আমাদের বর্তমান সময়ের প্রজন্ম চত্ত্বর এ গণ-আন্দোলন চলছে এর উদ্যোগটাও তো এসেছে ব্লগ, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মাধ্যমেই। যাপিত জীবনে ফেসবুক তো এখন আর কেবল যোগাযোগের মাধ্যমই নয় যেন এক ভিন্ন জগৎ। যে জগৎ বাস্তব জীবনের থেকে ভিন্ন। সরাসরি প্রিয়জনের সাথে দেখা না হলেও ফেসবুকে দেখা হলেই তৃপ্তির ঢেকুর তোলা যায়। জন্মদিনে ফুল হাতে কোথায়ও অপেক্ষা করার দরকার হয় না। দরকার হয় না, জন্মদিনের কার্ড পাঠানোর। ফোন করে সুর করে হ্যাপি বার্ডডে টু ইউ বলে শুভেচ্ছা জানানোর দরকার হয়না। চমৎকার একটা ফুলের ছবি বা জন্মদিনের কেক এর ছবি সংযুক্ত করে লিখলেই হলো ‘শুভ জন্মদিন’। হায়! কী অদ্ভুত জগৎ!



‘ফেসবুকে তোমাকে ধরতে পারলাম না’ এই দিয়ে শুরু। দ্বিতীয় স্তবকের শুরু- ‘শেষতক কবিতাতেই শরণ নিতে হলো’। বোঝাই যাচ্ছে ফেসবুকের কৃত্রিম জগতে (যাকে আমরা ভার্চুয়াল জগত বলি) সব হারিয়ে আশ্রয় নিতে হয় কবিতায়। কবি নিজেই নিজেকে স্বান্তনা দিচ্ছেন এই বলে যে- ‘এইবার যদি তুমি আসো’।



ফেসবুক থেকে কবিতায় আশ্রয় নেয়ার পর কবি কেন মনে করলেন এইবার তার প্রিয়া আসতে পারে? তবে কী ফেসবুকের জগত যতটা যান্ত্রিক ততটা আত্মিক নয়, আর কবিতা ততখানিই জীবন ঘনিষ্ট ফেসবুকের মতো প্রান্তিক নয়।



‘মৃত্যূর মতো কবিতাকে অনিবার্য বলে মনে হয়’। একজন লেখকের জীবনে একটা লেখাই যেমন তাকে স্মরণীয় করে রাখে তেমনি কবিতায় একটি লাইনই যথেষ্ট পুরো কবিতার জন্য অথবা ঐ লাইনটির জন্যই পুরো কবিতাটা। ‘কবিতা ও ফেসবুক’ কবিতার এই লাইনটি যেন তেমনি। যেন, কবিতার আত্মা, প্রাণভ্রমরা। এই লাইনটি ছাড়া কবিতাটা যেন প্রাণহীন লাশের মতো। একজন কবির কাছে এই উপলব্ধিটি সহজাত, কিন্ত তা বের হয়ে এলো কবি আনিসুল হকের স্পষ্ট উচ্চারণের মধ্য দিয়ে।



কবিতার শেষ চার লাইন-

ফেসবুক তোমাকে ধরতে পারলো না, না তোমার ফেস, না তোমার বুক

কিন্তু এই কবিতাটা মৃত্যূর মতো, লৌহবাসর ঘর ভেদ করে একদিন

তা ঠিক স্পর্শ করবে তোমাকে।

হয়তো তোমার কবিই সেদিন থাকবে না’।



এরচেয়ে স্বচ্ছ, এরচেয়ে স্পষ্ট করে কি আর বলা সম্ভব? না। এখানেই আনিসুল হকের কবিতার স্বার্থকতা। শব্দের ঝনঝনানী নেই। প্রতিদিন যে সকল শব্দ ব্যবহার করি কথা বলতে, সেই সব শব্দ-কথামালাই কবি তার মতো করে আমাদের কাছে উপস্থাপণ করছেন। আর আমরা এর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি।



আনিসুল হকের একটি পেজ আমার ফেসবুকের সাথে সংযুক্ত রয়েছে। সেই সূত্রে, তার সমস্ত লেখার লিঙ্কগুলো চলে আসে। তাই এই বইটির প্রচারণার জন্য যেদিন পোস্ট এলো, আমি লিখেছিলাম, ‘প্রথম দিনই কিনেছি। কেবল প্রথম কবিতার জন্যই বইয়ের টাকা উসুল। বাকী কবিতাগুলো বোনাস হিসেবে পেলাম!’



পরের কবিতাটা ‘চাচাকাহিনী’। এ কবিতা নিয়ে বিস্তারিত বলার তেমন কিছু নেই তবে এর পরের কবিতা, ‘খুব একটা গোপন বিষয়’ এর শুরু হয়েছে এই ভাবে-

‘এমন সুন্দর হাত চালধোয়া ভোরের আলোর মতো।’

আরেকবার চিন্তা করুন তো পাঠক, চাল ধোয়া ভোর, সেই ভোরের আলো, আর তেমনি তার হাতের উজ্জ্বলতা। এমন উপমা এর আগে কেউ কি কোথায় ও ব্যবহার করেছেন? আমার চোখে পড়েনি (আমার লেখাপড়ার সীমাবদ্ধতার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি)।

এই কবিতায় কবি শব্দের প্রতিধ্বনি তৈরি করেছেন। কয়েকটি বাক্যের প্রতিধ্বনি মিলিতভাবে যেন একটি পূর্নাঙ্গ কবিতায় প্রকাশ পেয়েছে। কিন্তু, এই শব্দ বা প্রতিধ্বনি কেবল সেই শোনে যে প্রতিধ্বনি তৈরি করে অন্য কেউ এই শব্দের প্রতিধ্বনি শুনতে পায় না। তবে এই শব্দের উৎপত্তি কোথায়? মানুষের মনে, মানুষের হৃদয়ে না মানুষের বোধে?



‘আপনি কি?’ কবিতাটি পড়ুন। পড়তে পড়তে মনে হবে আরে এমন প্রশ্নতো আমার মাথাতেও এসেছিলো। এমন ঘটনাতো আমার জীবনেও ঘটেছিলো। শেষে মনে হতেই পারে-

‘আবার তখনও কি আপনার মনে হয়েছিল যে কবিতাটা

আপনার আগে থেকেই পড়া?’



এরপর পাদপদ্মছায়া, অপরের জীবন, বৃষ্টি এলে প্রেম আসে, প্রাপক আমার প্রভু প্রিয় এই কবিতাগুলো সহজ এবং সাবলীল। ভালোবাসো এবং বাসো, আমির খসরুর একটি অনুবাদ। এরপরের কবিতাটি ‘দরখাস্ত’ কবিতাটি আমার পূর্বেই পড়া ছিল। নতুন বইয়ে দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো। কবি সমসাময়িক ঘটনাকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তাই তার উদাহরণ টানতে সুদূর ইতিহাসের আশ্রয় নেননি। এতে দুটো সবিধে হয়েছে। কবিতাটা যেমন সমসাময়িক হচ্ছে, তেমনি অতীত ইতিহাস জানে না বা বিস্তর লেখাপড়া নেই এমন পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে অনেক অনেক বেশি। জীবনানন্দ দাশ যেমন বলেন, 'চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা, চোখ তার শ্রাবস্তীর কারুকার্য'। 'বিদিশা' বা 'শ্রাবস্তী' এ দুটোই নগরীর নাম। অতীতের ইতিহাস থেকে তুলে এনে তিনি আমাদের মনে করিয়ে দেন। এতে বোদ্ধা পাঠক দরকার তার কবিতার প্রকৃত মানে উদ্ধার করতে। কিন্তু এই কবিতায় সাধারণ যে কেউ চিনবে, জানবে এমন বিষয়ই তার উদাহরন। যেমনঃ



‘জন আব্রাহাম তোমাকে বুঝবে না!

বিল গেটসও তোমার তুল্য নন।

রবীন্দ্রনাথকে বলা যায় কিছু যোগ্য

যোগ্য ভাবিনা ওবামা বা ক্লিনটন।



এর পরের কবিতা আবার কুড়ি বছর পরে। জীবনানন্দ দাশের ‘বনলতা সেন’ কাব্যগ্রন্থের অন্যতম একটি কবিতা ‘কুড়ি বছর পরে’। আনিসুল হকের এই কবিতাতে জীবনানন্দ দাশ যে কী পরিমান প্রভাব বিস্তার করেছেন তা কবিতার প্রতিটি লাইন পড়েই বোঝা যায়।



‘একুশ বছর আগে যদি

ঠিক ঠিক এই বেগে বইত বাতাস

ঝড়ঝঞ্চা ঘটে যেত নাকি!’



আমার কেন যেন জীবনানন্দ দাশের ‘আট বছর আগের একদিন’ কবিতার এই দুটো লাইন মনে পড়ে গেল-



'অথবা হয়নি ঘুম বহুকাল-লাশকাটা ঘরে শুয়ে ঘুমায় এবার

এই ঘুম চেয়েছিলে বুঝি!'



এর পরের কবিতা ‘লিমনের ডব্লুএমডি’। পত্রপত্রিকা যারা পড়েন তারা নিশ্চয়ই লিমনকে চিনে নিয়েছেন। সেই লিমন যে লিমনকে পুলিশ ভুল করে ধরে পায়ে গুলি করেও স্বীকার না করে স্বন্ত্রাসী বানাতে চেয়েছে। পরে লিমনের একটা পা কেটে ফেলতে হয়।



এর পরের কবিতা ‘এক শিশি চোখের জল এবং…’। এই কবিতাটা আমাদের অনুভূতি নিয়ে। আমাদের অনুভূতি যে পণ্য হয়ে যাচ্ছে তাই যেন লেখক আমাদের বলতে চেয়েছেন। চোখের জল, মুখের হাসি সব কিছুই নাকি পণ্য। পেটেন্ট করা পণ্য। ‘আবার যেদিন বৃষ্টি হবে’ কবিতা না পদ্য? যাই বলুন, চমৎকার অনুভূতির প্রকাশ।



‘আইওয়া, তোকে বোন বলে ডাকি’, এই কবিতাটার সম্পর্কে একটা ব্যখ্যা বা বিশ্লেষণ আমি দাড় করিয়েছি। এটা আমার নিজের একান্ত। ভুল হতে পারে। আইওয়া ইউনিভার্সিটি উদীয়মান এবং প্রতিষ্ঠিত লেখকদের এক মিলন মেলা। এটা ১২০ টির ও বেশি দেশের লেখক, কবি, সাহিত্যিকদের মধ্যে মিলবন্ধন করার সুযোগ তৈরি করে দেয়। এখানে গেছেন আমাদের প্রতিথযশা অনেকেই। হুমায়ূন আহমেদ তাদের মধ্যে অন্যতম। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সেখান থেকে ছয় মাসের ডিপ্লোমা নেন (স্মৃতির উপর ভর করে লিখলাম, যদি স্মৃতি আমার সাথে বেঈমানি না করে তবে তথ্যটি সঠিক।)। আনিসুল হক সেই সব লেখকদের মিলনমেলায় গিয়েছিলেন ২০১০ এ। সেই স্মৃতির শহর আইওয়া শহর, নদী কে ঘিরে অন্যান্যদের মতো তিনিও স্মৃতির ফলক হিসেবে রচনা করেছেন ‘আইওয়া, তোকে বোন বলে ডাকি’।



‘দুইটি খাঁচা’ কিছুটা ভাববাদী কবিতা। ‘কৈশোরক’, ‘মৃত্যু ও নারী’, ‘এসএমএস’ এই সব কবিতাই প্রেম আর ভালোবাসায় ভাসিয়ে নেয়ার কবিতা।



‘তেইশ বছর আগের প্রেমিকার জন্যে’ কবিতাটার নাম দেখেই বোঝা যায় আনিসুল হক জীবনানন্দ দ্বারা কতখানি প্রভাবিত। অন্ততঃ কবিতার নামের নির্বাচন করার ক্ষেত্রে তো বটেই।



‘ভোরের বৃষ্টি আমাকে যা যা বলল’, ‘আমার হারিয়ে যাওয়া প্রেমগুলো’ সরল আর সাবলীল। ‘নারীসুন্দরীকে নিয়া কবিতা’ নামের কবিতাটা আমাদের পাশের গলিতে বিউটি পার্লার গুলোতে যারা কাজ করছেন তাদেরকে নিয়ে।



‘এমন সুন্দর

তোমার পদতল

গোলাপ বিব্রত

গোলাপ লাজরাঙা’



‘গোপনতা’ এমন একটি কবিতা যেন প্রত্যেকের মনের কথাই বলছেন। কিছু কথা থাকে, যে কথা আমরা সকলকে বলতে পারিনা। কবির ভাষায়-

‘কেবল তোমার সঙ্গেই ভাগ করে নিতে পারি!’



‘চুম্বনগুচ্ছ’ পড়লেই বুঝতে পারবেন, চমৎকার একটা কবিতা। ছোট্ট তবু এর দ্যোতনা কেমন যেন সময় গড়িয়েও চলতে থাকে সমান তালে।



সবশেষের কবিতাটা হলো ‘সেবিকা’। কবিতাটা শুরু হলো এই বলে-

‘জীবনানন্দ দাশের সঙ্গে আমার একটা মিল আছে।’ সেই যে প্রথম থেকেই বলতে চাইছি, জীবনানন্দের প্রভাব আনিসুল হকের উপর অনেক প্রবল, সেটা তিনি নিজেই কবিতায় স্বীকার করে নিলেন। বইটি কিনুন, পড়ুন। এতটুকু বলতে পারি, অনেকের কবিতার বই পড়তে বসে মনে প্রতিটি কবিতার কথা যেন একই, আবার কী বলতে চাইছে তা কঠিন কঠিন শব্দের ভীরে হারিয়ে যাচ্ছে। এমন মনে হবে না কখনোই। আনিসুল হক ঔপন্যাসিক না কবি হিসেবে পরিচিতি পাবেন বেশি সেটা সময়ই বলে দিবে।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৪

নিলিমা আকতার বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম

০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫২

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: ধন্যবাদ। নিমিমা আকতার আপনি লেখা নিয়ে কিছু বললে আরো বেশি খুশি হতাম।

ভালো থাকুন। হ্যাপি ব্লগিং।

২| ০১ লা মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৫৯

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
আমার খুব প্রিয় একটি কবিতা আছে আনিসুল হকের।
''তুই কি আমার দুঃখ হবি?''
এ কারণেই এই বইটি নিয়ে আশাবাদী ছিলাম, তৃপ্তি পাবো।
পুরো হতাশ।

এর চেয়ে তরুন অনেকের অনেক সুন্দর কবিতার বই এসেছে।
অনেক ব্লগারের ও।
তাঁরা জাস্ট কাভারেজ পায় না।।

০২ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২১

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আসলে একটা ক্যাসেটে ১২ টা বা ১০টা গান থাকলে এর ১ টা কী ২ টা গান হিট হয়। কবিতার বইয়ের ক্ষেত্রেও তেমনি।

দূর্জয় ভাই, আমার ব্লগে এসে মন্তব্যের জন্য ফের ধন্যবাদ।

৩| ০২ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৫২

উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: কবিতার রিভিউ বিষয়ক কোনো জ্ঞান আমার নেই। এই কারণে আপনার রিভিউটা কেমন হয়েছে তা বিচার করতে পারব না। শুধু এটাই বলতে পারি যে আপনার লেখাটি পড়ে সত্যি অনেক বেশী ভালো লাগলো। অভিভূত

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১৬

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: বন্ধু, কেন জানি সক্রেটিসের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। বলতে ইচ্ছা করছে- 'আপনার মন অভিভূত হওয়ার জন্য প্রস্তত ছিল তাই আপনি অভিভূত'। হাঃ হাঃ হাঃ

লেখাটা আনিসুল হক যদি একবার পড়তেন, তবে বেশি ভালো লাগতো। বেশ কয়েক জায়গায় ভুল হয়েছে, এটা দ্রুত টাইপ করার জন্য। ঠিক করে দেয়া হয়নি। (আমি যে দুনিয়ার অলস, এই তার প্রমান।)

বন্ধু ভালো থাকুন।

৪| ০৩ রা মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

আরজু পনি বলেছেন:

গত ১৮ /১৯ বছরে এইবার প্রথম বই মেলা আমাকে টানে নি ...যে কয়বার গিয়েছি শুধু হাহাকার ছিল আমার জন্যে :(

বুক রিভিউ গ্রুপে শেয়ার দিলাম পোস্টটা।

Click This Link

০৩ রা মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:১৫

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: পনি আপু, অনেক অনেক ধন্যবাদ। সত্যিকার অর্থে এইবার আমিও কম গেছি বইমেলায়। গতবার আমার বই ছিল বলেই হয়তো অনেকবার যাওয়া হয়েছে, তবে প্রতিবারই আমি শুক্রবার বইমেলায় যেতাম। এইবার তাও হয়নি। মোট তিন দিন কি চার দিন গেছি। তবে বই কিনেছি। কয়েকটা বই মিস করেছি। বিশেষ করে, রুশোর সোস্যাল কন্ট্রাস্ট। এই বইটা গতবার বইমেলায় দেখলেও এবার দেখলাম না। আফসোস হচ্ছে সেবারই কেন কিনলাম না। নেপলিয়ন রুশোর দ্বারা অত্যন্ত প্রভাবিত ছিলেন। তবে শেষের দিকে তিনিও হয়তো স্বৈরাচারী হয়ে উঠেছিলেন। যা হোক, অনেক দিন পর আপনাকে দেখে ভালো লাগলো। কিন্তু আমি অপেক্ষায় ছিলাম 'অপর বাস্তবতা' নিয়ে। এইবার কি বের হয়েছিলো? কোন প্রকাশনী থেকে?

ভালো থাকুন, হ্যাপী ব্লগিং।

৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

শায়মা বলেছেন: আরে বইটা কেনা হয়নি তো!!!


সব গুলো কবিতা এক এক করে আমাদেরকে পড়াও ভাইয়া।

০৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:১৩

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: আপি, কী যে বলেন?

এই বইয়ের দুইটা কবিতা অসম্ভব সুন্দর লেগেছে। প্রথম কবিতা 'ফেসবুক ও কবিতা' আর 'দরখাস্ত'। আর অন্যান্য কবিতাগুলোও যথারীতি সুন্দর।

আজ কিনলাম 'বোদলেয়ার তাঁর কবিতা', অনুবাদ বুদ্ধদেব বসু। অনেক দিন ধরে খুঁজছিলাম বইটা। আর 'শেরশায়েরী'- সংকলন ও অনুবাদ শচীন ভৌমিক এর। এই শেষের বইটা শেরশায়েরী ভাইকে দেখে অনুপ্রানিত হয়েছি।

অনেক ভালো থাকুন আপি। ব্লগে আসার জন্য ফের ধন্যবাদ।

৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৩৪

সাইফ হাসনাত বলেছেন: বইটি এক বসায় পড়েছি। কোনো কবিতার বই এই প্রথম এক বসায় খেলাম। স্বাদ এখনো লেগে আছে অনুভূতির গভীরে... থাকবে বহু বহু দিন।

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: সাইফ হাসনাত ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। তবে আপনার পড়ার পর, আমার এই লেখার সাথে কিছু মিল কি পেলেন?

ভালো থাকুন। হ্যাপি ব্লগিং।

৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮

সাইফ হাসনাত বলেছেন: পাঠক হিসেবে আমি একটু নিরীহ টাইপের!

খুব একটা বুঝিনা। কেবল হাহাকারগুলো ধরতে পারি। তবে বলতে পারিনা নিজের মতো করে।

এই আর কি...

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: ভাই, সাইফ হাসনাত, আপনি যে হাহাকার গুলো ধরতে পারছেন, এও এক বিরাট সাফল্য। কেননা অনেকই এই হাহাকারগুলোও বোঝেনা, বুঝতে চায়না। চেষ্টা চালিয়ে যান, একদিন ঠিকই মনের কথাগুল সাজিয়ে লিখতে পারবেন। আপনার মতো করে।

ভালো থাকুন। সাথে থাকুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.