![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নেপোলিয়ন আর হিটলারের মধ্যে চারিত্রিক কী কী মিল আর অমিল আছে এই নিয়ে একটা পর্ব করলে কেমন হয়? চরিত্রের মিল খোঁজার মধ্যে দিয়ে এইটাও দেখতে হবে, হিটলার নেপোলিয়নকে কতটা অনুসরণ করেছিলেন। কতটা অধ্যায়ন করেছেন। এদের দুজনের চিন্তার বুনন বা গাথুনীটা কতটা দৃঢ় আর কাছাকাছি ছিলো সেটাও দেখার চেষ্টা করবো। অন্যান্য পর্বের মতো প্রথমে নেপোলিয়ন পরে হিটলার না লিখে, এক একটা ঘটনা বা চরিত্রের বৈশিষ্ট্য পাশাপাশি সাজিয়ে দেখার চেষ্টা করবো।
শুরু করা যাক, কিন্তু চরিত্রের ঠিক কোন দিকটি নিয়ে আগে বলা যায়?
মা, হ্যাঁ মায়ের প্রতি দুজনের ভালোবাসা। তবে এ ক্ষেত্রে নেপোলিয়নের চেয়ে হিটলার এগিয়ে থাকবেন একটু বেশি। হিটলার এর বয়স তখন আর কত ১৮। তার মা ক্লারা ক্যান্সারে আক্রান্ত হলেন। স্তন ক্যান্সার। খবর শুনে বাড়ি ফিরে এলেন। চিকিৎসা শুরু করলেন। মায়ের সেবার সমস্ত ভার তুলে নিলেন নিজের কাঁধে। শুধু কি মায়ের সেবার ভার! পরিবারে সমস্ত ভারই এসময় তিনি তুলে নিয়েছিলেন নিজের কাঁধে। ক্যান্সারের যন্ত্রণায় যখন মা কাতরাতেন, সমান ভাবে কাতরেন হিটলার। কি করবেন ভেবে পেতেন না। সারা রাত জেগে থাকতেন, কখন মায়ের কি লাগে। হিটলারের বোন জানিয়েছেন, ‘যত রাতেই জেগে উঠতাম, দেখতাম ভাই ঠিক মায়ের বিছানার পাশে পায়চারি করছেন। ঘুম এসে যায় এই ভয়ে হয়তো বসতেন না’।
শত চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। মায়ের মৃত্যুতে একেবারে ভেঙে পড়েন হিটলার। দিন রাত কেবল কাঁদেন। ক্লারার চিকিৎসক, ডঃ ব্লক জানিয়েছেন, ‘আমার দীর্ঘ চিকিৎসক জীবনে আমি কখনো কোনো তরুণকে মা’র মৃত্যুর জন্য এমন ভেঙে পড়তে দেখিনি’।
বাবা আর মা সম্পর্কে হিটলারের মন্তব্যটা এমন, “I respected my father but I love my mother”.
নেপোলিয়ন তার মাকে কেমন ভালোবাসতেন? তার কিছু উক্তিতে তার পরিচয় পাওয়া যায়। উক্তিগুলো পরে জানবো। লেটিজিয়া ছিলেন অত্যন্ত সুন্দরী। মাত্র ষোল বছর বয়সে তার বিয়ে হয়। এরপর একে একে তের জন সন্তানের জননী হন তিনি। এর মধ্যে আটজন বেঁচে ছিলেন। এতো সন্তান সন্ততি লালন পালন করতে কি পরিমান হিমশিম খেতে হয়েছে তা অনুমান করতেই কষ্ট হয়। তাই বিশেষ করে কাউকে অতিরিক্ত স্নেহ দেখানো সময় ছিলোনা। নেপোলিয়ন বলেছেন, “My wonderful mother was courageous, proud and noble, her love was strict, she equally rewarded or punished us, noticed good deeds and bad ones. She protected us with care, never letting our souls to be touched by anything but great, noble, and punished us severely for the smallest disobedience.”
ঐতিহাসিকদের মতে নেপোলিয়ন তার মা’কে ছাড়া আর কাউকে এতো বিশ্বাস করতেন না। এলবে দ্বীপে নির্বাসনের পর নেপোলিয়ন ফ্রান্সে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে তার মার কাছে পরামর্শ চাইলেন। তিনি বললেন, ‘আমি কিছু সময়ের জন্য ভুলে যেতে চাই যে আমি তোমার মা! এই বন্দিত্ব বা অপ্রত্যাশিত নিষ্ক্রিয় ভাবে তুমি মারা গেলে কখনো জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেনা। যাও, তোমার তরবারী তুলে নাও। আর তোমার স্বপ্নকে পূরণ করো’।
সেন্ট হেলেনায় যখন আবার নেপোলিয়ন নির্বাসিত হন, তখন তিনি মায়ের সম্পর্কে বলতেন, “the best mother in the world”. এই উক্তি থেকেই প্রমানিত হয় তিনি তার মাকে কতটা ভালোবাসতেন।
এবার আসা যাক রাগ নিয়ে। এ ব্যাপারেও তাদের মধ্যে একটা মিল খুঁজে পাওয়া যায়। হঠাৎ করে রেগে যাওয়া ছিলো তাদের স্বভাব। এই সময় হাতের কাছে যা থাকতো ছুড়ে ফেলে একটা কান্ড ঘটাতেন। নেপোলিয়ন যখন প্রথমবার অস্টিয়ার সম্রাটের কাছে ফ্রান্সিস সন্ধি প্রস্তাব দিয়ে পাঠান, তখন সম্রাট একটু গররাজী ছিলেন। নেপোলিয়ন বুঝতে পারলেন। অস্ট্রিয়ার দূতের সাথে কথা বলতে বলতে তিনি টেবিল তেকে একটা কাঁচ পাত্র নিয়ে দেয়ালে ছুঁড়ে মারেন। অমনি সেটি ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। কাঁচ পাত্রটির দিকে তাকিয়ে নেপোলিয়ন বলেন, ‘দেখুন সন্ধিতে স্বাক্ষর করুন নয়তো আমি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। এবার কিন্তু অস্ট্রিয়া এটার মতোই টুকরো টুকরো হবে’। এরকম অসংখ্য ঘটনা রয়েছে নেপোলিয়নের জীবনে। এটা বিপক্ষের প্রতি এক ধরনের মানসিক চাপ তৈরি করার কৌশল। আবার অধঃস্তনদের নিয়ন্ত্রণে রাখার কৌশলও হতে পারে।
যারা চার্লি চ্যাপলিনের ‘Dictator’ ছবিটি দেখেছেন তারা সহজেই অনুমান করতে পারবেন, হিটলার সম্পর্কে। যদিও সেটা ছিলো হিটলারের চরিত্রের প্রতীকী রূপায়ন। তবে এ কথাও সত্যি হিটলার যেমন রাগী ছিলেন সহজে কেউ তাকে কিছু বলতে সাহস করতো না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকে জার্মানের অবস্থা সম্পর্কে হিটলার কে কোনো জেনারেল কিছু বলার সাহস করতেন না। হিটলারের পরিকল্পনাগুলো ছিলো লক্ষ্যভেদী। কিন্তু কেউ তাকে জানাতে সাহস পায়নি- তেলের জন্য বিমান আকাশে উড়ানো যাচ্ছেনা, ট্যাংক এর চাকা বন্ধ। কেননা এই কথা জানতে পারলে হয়তো সাথে সাথেই তাকে গুলি করে হয়তো মারবেন।
একটা ব্যাপারে তাদের মধ্যে বেশ অমিল। সেটা হলো, নারীর সংস্পর্শ। বিষয়টাকে প্রেম বলিনি কেননা তাদের প্রেম নিয়ে একটা লেখা হয়ে গেছে। হিটলার এভা ব্রাউন ছাড়া অন্য কোনো নারীর সংস্পর্শে এসেছিলেন এমন দালিলিক প্রমান তেমন পাওয়া যায়না। তাছাড়া তিনি তো দেশের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তাই তিনি সাধারণ কোনো মানুষ নন, তিনি হলেন মহামানব, এই রকম রাজনৈতিক ইমেজ গড়ার জন্যও বিয়ে না করাটা ছিলো একটা কারণ। তবে এটাই মূল কারণ নয়। সবচেয়ে বড় কথা নারীর ব্যাপারে তার তেমন আগ্রহ ছিলো না।
কিন্ত নেপোলিয়ন যুদ্ধের ফাঁকে ফাঁকে অনেক নারীর সৌন্দর্যে মোহিত হয়েছেন। এমন কি কাছেও টেনে নিয়েছেন। খুব অল্প বয়সেই জোসেফাইন কে তিনি বিয়ে করেন। তবে বিয়ের পর পরই যুদ্ধে চলে যান। এরপর যখন ফিরে আসেন মানুষের কাছে অনেক কথাই শোনেন। তবে জোসেফাইন সামনে এলে ইনিয়ে বিনিয়ে কিছু একটা বললে সব ভুলে যান। তবে মিশর যাওয়ার পর যখন খবর পেলেন জোসেফাইন একজন সৈনিকের বাহুলগ্না হয়েছেন, তিনিও সেখানে এক জুনিয়র আফিসারে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে লাগলেন মিশরের রাস্তায় রাস্তায়। সেই ছবি প্রকাশ পেল ফ্রান্সের পত্রিকাগুলোতে। আবার পোল্যান্ড যেয়ে তিনি একুশ বছর বয়েসী এক নারীর রূপে মুগ্ধ হন। তার নাম মারী ভালেস্কো। মারী ভালেস্কোর সাথে নেপোলিয়নের এক ধরনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক থেকে ভালোবাসার রূপ নিলেও নেপোলিয়ন তার মর্যাদা রাখতে পারেন নি। মারী ভালেস্কোর ঘরে যে ছেলে আসে তাকে নেপোলিয়ন স্বীকৃতি দেন নি।
Eléonore Denuelle এর বাংলা কি হবে কে জানে? তিনি কিছু দিনের জন্য নেপোলিয়নের স্ত্রী হয়েছিলেন। অনেকটা এই প্রমানের জন্য নেপোলিয়ন আসলে বাবা হতে পারেন কিনা তা পরীক্ষার জন্য। জেসোফাইন যখন নেপোলিয়নকে তার উত্তরাধিকার দিতে পারছিলেন না, তখন মূলতঃ un-barrenness পরীক্ষার জন্যই তার সাথে নেপোলিয়ন মিলিত হন। তার গর্ভে সন্তান এলে নেপোলিয়ন জোসেফাইনকে ডিভোর্স দিয়ে মেরী লুইস কে বিয়ে করেন। এছাড়াও আরো কয়েকজন নারীর সাথে তার সম্পর্কের কথা জানা যায়।
এতে বোঝা যায়, নেপোলিয়ন যেমন প্রেমে সিক্ত ছিলেন, হিটলার ছিলেন ঠিক এর বিপরীত।
এদের চরিত্রের আরো বেশ কিছু দিক আছে, যেমনঃ হিটলারের পায়চারী। বিশেষ বিশেষ কিছু সময়ে তিনি পায়চারী করতেন। পায়চারী করতে করতে এমন কী সারারাত কাটিয়ে দিতেন।
নেপোলিয়নের কি করতেন জানা যায়নি।
হিটলার ছবি আঁকতে পছন্দ করতেন। তিনি একজন চিত্রশিল্পী হতে চেয়েছিলেন। আঁকতেন জল রং এ। নেপোলিয়ন তেমন ভালো ছবি আঁকতে
পারতেন না। তবে দুজনেই শিল্প-সাহিত্যের উপর বেশ ঝোঁক ছিলো। কিভাবে? নেপোলিয়ন তার দেশ কর্সিয়ার ইতিহাস লেখার কাজে হাত দিয়েছিলেন। তিনি সংবাদপত্রেও লিখতেন। আর হিটলার তার 'মাইন ক্যাম্ফ' আত্মজীবনী লিখে প্রচুর আয় করেন। তাদের শিল্প-সাহিত্যের উপর ঝোঁক বোঝা যায় তাদের কর্মের ভেতর দিয়েও। আচ্ছা হিটলার কতগুলো ছবি এঁকেছিলেন, এইটা কি জানেন? তিনি প্রায় ৮,০০০ এর মতো ছবি এঁকেছেন। চিন্তা করা যায়! নেপোলিয়ন তো ইতালি থেকে প্রচুর ছবি আর ভাস্কর্য্য নিয়ে আসে ফ্রান্সে। এ নিয়ে সেই সময় অনেকেই তাকে দস্যূর মতো আচরন করেছেন বললেও, এখন ফ্রান্স এর সুফল পাচ্ছে। তাদের জাদুঘর গুলো ভরিয়ে তোলার জন্য নেপোলিয়ন তো আর কম শিল্পকর্ম এনে জড়ো করেনি ফ্রান্সে, তাই না।
মিল-অমিল নেপোলিয়ন-হিটলার (অষ্টম পর্ব )
মিল-অমিল নেপোলিয়ন-হিটলার (সপ্তম পর্ব- উক্তি সমূহ)
মিল-অমিল নেপোলিয়ন-হিটলার (ষষ্ঠ পর্ব- উত্থানের পেছনের কাহিনী)
মিল-অমিল নেপোলিয়ন-হিটলার (পঞ্চম পর্ব- প্রথম যুদ্ধ)
মিল-অমিল নেপোলিয়ন-হিটলার (চতুর্থ পর্ব বা প্রেম পর্ব)
মিল-অমিল নেপোলিয়ন-হিটলার (তৃত্বীয় পর্ব)
মিল-অমিল নেপোলিয়ন-হিটলার (দ্বিতীয় পর্ব)
মিল-অমিল নেপোলিয়ন-হিটলার (প্রথম পর্ব)
এরপরের পর্বে থাকছে বিশ্ব রাজনীতিতে পদার্পন এবং প্রভাব। আজ এই পর্যন্তই। সকলে ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন। সুন্দর থাকুন।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৩৯
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০২
বাগসবানি বলেছেন: হিটলারের মাথাটা অনেক মোটা ছিল । বর্তমানে জার্মানকে বলা হয় ইউরোপের হার্ট - এটাই ছিল হিটলারের স্বপ্ন । যেটা সে পূরণ করতে পারেনি ।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:৪১
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: হিটলার অন্যান্য জার্মানীর চেয়ে কিছুটা খাটো ছিলো। তবে সে তার দেশের মানুষকে যেভাবে অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়েছিলেন তা সত্যি আশ্চর্যের বিষয়।
৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৫৪
উৎকৃষ্টতম বন্ধু বলেছেন: খাইসেরে, এই সিরিজটা আবার কখন কবর থেকে মমি হয়ে উঠে আসল? প্রায় এক বছর আগে এই সিরিজ সেরকমভাবে চলছিল আমার মনে আছে। তবে এবারেরটাও ভালো লাগলো।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৭
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: ধন্যবাদ। বন্ধু, আপনি যে দেখেছেন, পড়েছেন এ জন্য ফের ধন্যবাদ। আপনার ২য় বিশ্বযুদ্ধ বন্ধ কেন? আবার শুরু করেন। আমি তো মুখিয়ে থাকি।
ভালো থাকবেন সব সময়।
৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১০:২১
ঢাকাবাসী বলেছেন: চমৎকার লাগল।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৮
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাকাবাসী।
বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা জানবেন।
৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: দারূন তো সিরিজটা......এতোদিন দেখি নাই।
++++++++++++
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:১৯
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: দেখবেন কিভাবে, এতো দিন তো বন্ধ ছিলো।
বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা।
৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১
আমিনুর রহমান বলেছেন:
ভালো লাগলো জেনে +++
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:২০
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা।
৭| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
আরজু পনি বলেছেন:
হিটলার প্রসঙ্গে মায়ের অংশটা এমন করে লিখলেন, একেবারে চোখ ঝাপসা হয়ে গেল !
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩১
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: পনি আপু, ভাবতে অবাক লাগে একজন এমন নরম মনের মানুষ, যিনি ছবি আঁকতেন, তিনি কিভাবে এমন হত্যাযজ্ঞে নেমেছিলেন।
তবে সমস্ত দোষ তাকে দেয়া যাবে না। সবই হয়েছে সময়ের প্রয়োজনে। আসলে তিনি ইহুদিদের দেখতে পারতেন না, এর কারণ নিয়ে লিখলে একটা পর্ব হয়ে যাবে, কিন্তু সেটা এখানে সাজুয্য নয়। আমরা ছোটবেলায় যে বায়জীদ বোস্তামীর কবিতা পড়েছি, যিনি পানি হাতে করে সারারাত দাঁড়িয়ে ছিলেন, হিটলার কিন্তু একদিন নয়, দিনের পর দিন জেগে থাকতেন। মার যদি কিছু লাগে। সে সময়টা সংসারের প্রায় সমস্ত কাজই করেছেন। রান্না থেকে শুরু করে, ছোট বোনকে স্কুলের জন্য প্রস্তুত করা, ঘরের সমস্ত কাজ, মাকে দেখাশুনাসহ প্রায় সব কিছুই করতেন। এমন দায়িত্বশীল লোকের হাতেই দেশ ভালো থাকে। তার রাজনৈতিক চিন্তা আর প্রয়োগিক দিক নিয়ে হয়তো পরে আলোচনা করবো কিন্তু মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন ১ম শ্রেনীর। নারীদের সম্মান করতেন। ছোটদের স্নেহ করতেন। আর ছিলেন ভেজিটারিয়ান। মাংস একদম খেতেন না। এতেই তিনি ভালো থাকতেন। মৃত্যূর ছয়মাস আগেও তার বয়স বোঝা যেত না। মনে হতো ৩৫-৩৮ এ থেমে আছে। যা হোক ভালো থাকবেন। বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা জানবেন।
৮| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:২২
জামিনুর রহমান বলেছেন: খুব -ই ভালো লাগলো।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩২
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: ধন্যবাদ জামিনুর রহমান ভাই। ভালো থাকবেন।
৯| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৪:০১
রামন বলেছেন:
ভাল লিখেছেন। যে কারণে এদের পতন এবং পতন থেকে মৃত্যু হয় সেখানেও যথেষ্ট মিল ছিল।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৮
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: রামন একদম ঠিক বলেছেন। এই দিকটি ও আসবে শেষের দিকে। অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
হ্যাপি ব্লগিং।
১০| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:২৯
আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: নেপোলিয়ান আর হিটলারের অজানা তথ্যগুলি জেনে চমৎকৃত হলাম।
০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:১৮
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: ধন্যবাদ ময়ূরাক্ষী।
১১| ০৬ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৪১
জুন বলেছেন: সজীব আমি ভেবেছি এটা তোমার পুরোনো পোষ্ট। এখন দেখি একদম নতুন। যেহেতু আমি ইতিহাসের ছাত্রী ছিলাম তাই এদের নিয়ে প্রচুর পড়ালেখা করতে হয়েছে। তবে মিল অমিলের চেয়েও তাদের করুন মৃত্যু আমাকে ভাবায় অনেক বেশী। যদিও তারা অনেক নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়েছে কিন্ত সে সবই ছিল তাদের দেশ প্রেম। কিন্ত সেটা করতে গিয়ে তারা অমানবিকতার পরিচয় দিয়েছিল ।
ভালোলাগলো তোমার সিরিজ।
+
০৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:৩৭
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন আপি। একদম শেষ পর্বটা হবে ইনাদের মৃত্যু নিয়ে। সেভাবে পরিকল্পনা করিনি তবে সে ছাড়া আর উপায় কী? নেপোলিয়নের কিন্তু তেমন নিষ্ঠুরতার গল্প তেমন পাওয়া যায়না। তিনি অনেক মানবিক ছিলেন। বিশেষ করে তার সৈনিকদের ব্যাপারে তিনি ছিলেন অনেক অনেক উদার। আর তার মতো মেধাবী সৈনিকও বিশ্বের ইতিহাসে বিরল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ জুনাপি।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৩ রাত ১:০০
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
প্রথম ভাল লাগা রইল ও পোস্ট প্রিয়তে তুলে রাখলাম সযত্নে ।