![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আড্ডাঃ
সামহোয়্যার ইন ব্লগ, এক বিশাল প্লাটফর্ম যেখানে শুধু দেশ নয় এর সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বব্যাপী বাংলা ভাষা-ভাষী মানুষদের অবাধ আনাগোনা এবং মানবজীবনের সামগ্রিক বিষয়াদি নিয়ে মত প্রকাশের এক মুক্ত মঞ্চ। এর পাঠক ও লেখক- আমি, আপনি- আমরা সকলে। আমরা যারা কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ সর্বোপরি সাহিত্যের যে দিক গুলো আছে, কেবল সেই দিক গুলো দিয়েই ব্লগিং করি অথবা যাদের ব্লগিংয়ের অন্যতম বিষয় সাহিত্য তাদের একটা আড্ডার, মুখোমুখি আড্ডা কেমন হতো, এই চিন্তা থেকেই শুরু হয়েছে সাহিত্য আড্ডার পথ চলা।
ব্লগার অলওয়েজ ড্রিম (নাইম রানা) সর্ব প্রথম (১১ই আগস্ট ২০১৩) ব্লগ ও ফেসবুক কেন্দ্রিক সাহিত্যানুরাগীদের নিয়ে একটি আলাদা গ্রুপ করার পরিকল্পনা করেন। প্রথম পোস্টের পর তেমন একটা সাড়া পাওয়া যায়নি। তাতে থেমে যায়নি স্বপ্ন, ২৩শে আগস্ট ২০১৩ তে আবারো পরিকল্পনা করা হয় সাহিত্য আড্ডার। এবারও হতাশা। তবে ভাল কিছু শুরুর আগে বাধা বিপত্তি আর হতাশা মনে হয় একটা শুভ লক্ষণ, হলোও তাই। তবে দ্বিতীয় বারে মন্তব্যে মন্তব্যে ভরে উঠে ব্লগের পাতা। অনেকে সশরীরে আসতে না পারলেও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছিলো।
অবশেষে স্বপ্ন সত্যি হল। ৬ই সেপ্টেম্বর ২০১৩ তে শুরু হল এক নতুন পথচলা। আর থামতে হয়নি, দিন দিন বেড়েই চলছে আমাদের আড্ডা প্রেমীদের সংখ্যা। প্রান সঞ্চার হচ্ছে নানান বিষয়ের আলোচনায়। কি নেই আমাদের এই আড্ডার আলোচনায়? শিল্প, সাহিত্য, রাজনীতি, অর্থনীতি, খেলাধূলা সব সব নিয়েই আমাদের এই আড্ডা জমে উঠে মাসের শেষ শুক্রবার। অনেকে মনে করেছিলেন এখানে নীরস সাহিত্য আড্ডা হবে, কিন্তু আড্ডা কি আর বিষয়কে নিয়ন্ত্রন করতে পারে? সাহিত্যকে ছাপিয়ে চলতে থাকে জীবনের আড্ডা।
প্রথম আড্ডায় আমরা একত্রিত হয়েছিলাম ছবির হাটে। এরপর থেকে নিয়মিত ভাবে এই আড্ডা চলতে থাকে পাবলিক লাইব্রেরির চত্ত্বরে। গোল হয়ে দাঁড়িয়ে, কখনো বসে চলে আমাদের আড্ডা। সেই আড্ডায় যোগ দিতে সুদূর যশোর থেকে উপস্থিত হতেন ইফতি ভাই। যিনি কেবল ভালো কবিই নন চমৎকার বংশীবাদক ও। তার বাঁশির সুরের মূর্ছনায় আমাদের আড্ডা পেয়েছে এক নতুন মাত্রা।
ছবিতে ইফতি ভাই বাঁশি বাজাচ্ছেন।
এই আড্ডাকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে দুটি প্রবন্ধ। আর এই প্রবন্ধ দুটিই লিখেছেন আমাদের সাহিত্য আড্ডার সম্মানিত এ, টি, এম মোস্তফা কামাল ভাই। কামাল ভাই আমাদের আড্ডার যে শুধু মধ্যমনি এমন নয়, আসলে তিনি আমাদের আড্ডার বটবৃক্ষ। আমরা যারা আড্ডা পাগল নবীন তরুণ তাদের কান্ডারী হলেন আমাদের কামাল ভাই। আমরা তার কাছ থেকে শিখি, অনেক অজানা কিছু জিজ্ঞাস করে জেনে নিই। তার জ্ঞানের সুধায় তৃপ্ত করি নিজেদের। কি পড়তে হবে, কি পড়া হয়নি, কি পড়া একান্ত উচিত, এমন সব অনেক বিষয়ে আমাদের এই নবীন তরুনদের পথ প্রদর্শক এ, টি, এম মোস্তফা কামাল ভাই। তাই তিনি ছাড়া আড্ডাকে অসম্পূর্ণ মনে হয়।
ছবিতে এ, টি, এম মোস্তফা কামাল ভাই।
এভাবেই চলছিলো। এরপর চলে এলো ফেব্রুয়ারি মাস। আর সারা মাস জুড়ে চলে ঢাকার একুশে বইমেলা। আড্ডা চলে এলো বইমেলায়। বই দেখা আর আড্ডা দেয়া। এই মাসে কেবল শেষ শুক্রবারে আড্ডা নির্দিষ্ট ছিলোনা। আড্ডা চলতে থাকে প্রায় প্রতিদিন। কেউ বই মেলায় এলে, মুঠোফোনের কৃতিত্বে অন্য কে কে আসছে এই জেনেই শুরু হয়ে যায় আড্ডা। তেলে ভাজার সাথে সাথে চলতে থাকে চায়ের কাপে ঝড়। কে আসছে, কে খাচ্ছে, কে বিল দিচ্ছে এই সব এর কে খোঁজ রাখে। কেবল চলতে থাকে আড্ডা।
এরপর এক সময় বই মেলাও শেষ হয়। কেমন যেন ঝিমানো ভাব চলে আসে আমাদের মাঝে। এক সাথে এতো বার দেখা হয়েছে বইমেলায় যে, সবার যেন একটা ক্লান্তি ভাব চলে এসেছিলো। সেই ক্লান্তি কাটাতে আবার শুরু হয় আড্ডা। তবে নতুন জায়গায়। ৩৫ বছর পার করে উদ্বোধন করা হয় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের নতুন ভবন। এই উপলক্ষ্যে আমি (সজীব) আর দুর্জয় ভাই আগে একবার ঘুরে আসি বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের নতুন ভবন। দেখে এতো মুগ্ধ হই যে প্রায় দুজনে মিলেই সিদ্ধান্ত নিই এর পরের আড্ডা হবে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ক্যাফেটারিয়ায়। নবম তলায় খোলা ছাদে, শেষ বিকেলে রোদ মেখে মেখে চলতে থাকে আমাদের আড্ডা। সাহিত্য আড্ডার জন্য এমন একটা পরিবেশ না হলে কি হয়? আশা করা যাচ্ছে, এরপর থেকে আমাদের আড্ডা এই বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ক্যাফেটারিয়াতেই হবে।
প্রথম আড্ডার পর আমরা বেশ কিছু বিষয়ে একমত হয়েছিলাম, সেগুলো হলোঃ
১) সাহিত্য-আড্ডা গ্রুপের সদস্যগণ নিজেদের লেখার পারস্পরিক খোলামেলা সমালোচনা করবেন। সে সমালোচনাকে অবশ্যই ইতিবাচক ও গঠনমূলক হতে হবে।
২) গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ যারা লেখেন অর্থাৎ যারা সাহিত্য চর্চা করেন তারাই এই গ্রুপের সদস্য হতে পারবেন।
৩) সদস্যকে অবশ্যই সমালোচনা হজম করার মতো সাহস ও ইচ্ছা থাকতে হবে। কারণ সমালোচনা হবে কঠোর। মোটেই নরম ধরণের নয়। সুতরাং যার গন্ডারের চামড়া নেই তার এই গ্রুপের সদস্য হওয়ার প্রয়োজন নেই।
৪) মাসে অবশ্যই কমপক্ষে একদিন সাহিত্য-আড্ডার আড্ডা হবে এবং সেটা প্রতি মাসের শেষ শুক্রবারে। এছাড়াও আড্ডা হতে পারে যে কোনো দিনই। সদস্যদের কয়েকজন একত্রিত হতে পারলেই তারা সাহিত্য-আড্ডার ব্যানারে আড্ডা দেবেন এবং সে বিষয়ে গ্রুপে পোস্ট দেবেন। তবে মূল আড্ডা ঐ শেষ শুক্রবার।
৫) গ্রুপের সদস্যরা নিয়মিত গ্রুপে পোস্ট দেবেন। আগে থেকেই ঠিক করা থাকবে কে পোস্ট দেবেন। তিনি পোস্ট দিলে সবাই সেটার সমালোচনা করবেন।
৬) এই গ্রুপটা লেখার প্রশংসা অর্জনের জন্য নয়। এটা লেখার খুঁত খুঁজে বের করার জন্য। প্রশংসা আমরা অন্য জায়গা থেকে অর্জন করে নেব। এবং বাইরে থেকে প্রশংসা অর্জিত হবেও যদি সদস্যগণ সমালোচনার মাধ্যমে বের হয়ে আসা খুঁতগুলো দূর করে নিতে সচেষ্ট হন।
৭) এই গ্রুপ দলাদলির উর্ধ্বে থেকে কাজ করে যাবে। অর্থাৎ সাহিত্য-আড্ডা দলাদলিমুক্ত একটি দল।
প্রকাশনা
যাইহোক পথ পরিক্রমায় নতুন কিছু করতে আমরা সকলে খুবই আগ্রহী। সে ধারাবাহিকতায় জানুয়ারি ২০১৪ এর আড্ডায় আমাদের সকলের প্রিয় ব্লগার ঘুড্ডির পাইলট ভাই একটা প্রস্তাব রাখেন যে আড্ডা কেন্দ্রিক একটা সাহিত্য প্রকাশনার ব্যবস্থা করার। প্রথমত সবকিছু ব্যক্তিগত ভাবে করার পরিকল্পনা থাকলেও পরবর্তীতে তা নানাবিধ সমস্যায় আর হয়ে উঠেনি। একটু খুলেই বলা যাক। প্রথম চিন্তা ছিলো আমাদের সাময়িকী হবে সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু। যেমনঃ আমরা ফটোকপি মেশিনে আমাদের লেখাগুলোকে ছাপিয়ে নিজেরা তৈরি করবো হাতে। কিন্তু বাস্তবতা আমাদের সে পথ থেকে সরিয়ে আনে। লেখা জমা হয় অনেক। এতো এতো লেখাকে ফটোকপি মেশিনে ছাপিয়ে সাময়িকী করা এই দুরূহ কাজ। আমরা মনে করেছিলাম সর্বোচ্চ তিন ফর্মা হবে। কিন্তু এতো ভালো ভালো লেখা জমা হয় যে বাধ্য হয়ে প্রত্যেকের একটার বেশি লেখা দেয়া ছাড়া উপায় ছিলো না। টাইপ করে দেখা যায় প্রায় ছয় ফর্মা হয়ে যাচ্ছে। এতো বড় একটা কাজ প্রথমেই আমাদের একটু হতভম্ব করে দেয়। কাচি চালাতে যেয়ে আমাদের হৃদয় টুকরো টুকরো হয়েছে। বিশেষ করে এখানে ঠাঁই হয়নি এ, টি, এম, মোস্তফা কামাল ভাইয়ের একটা প্রবন্ধ। যা আমাদের সত্যি পীড়া দিয়েছে।
তাই, আজাদ ভাইয়ের পরামর্শে সিদ্ধান্ত হয় সাময়িকী হবে ছাপানো। এই ছাপাতে যাওয়ার হ্যাপা পোহাতে এতো দেরী হলো। বইমেলা উপলক্ষে প্রথম প্রকাশের ইচ্ছা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। তার উপর সামনে ছিল ফেব্রুয়ারী মাস তাই আমাদের প্রকাশনার কাজটা অনেক পিছিয়ে যায়। অনেক অপেক্ষার পর অবশেষে প্রকাশিত হয় আমাদের আড্ডা কেন্দ্রিক প্রথম প্রকাশনা “সাহিত্য আড্ডা”র প্রথম সংখ্যা।
সময়টা বড্ড বেশি লেগে গেছে। অনেকে মনে করেছেন হয়তো শুধু সবকিছু পরিকল্পনাই থেকে যাবে, কিন্তু সকলের ঐকান্তিক ইচ্ছাই নিয়ে গেছে আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্যে। যারা প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত ছিলাম তারা সকলেই চাকরিজীবী। সে জন্য কিছু সীমাবদ্ধতা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি এবং অনভিজ্ঞতার ও একটা ব্যাপার ছিল যে কারনে পত্রিকায় কিছু ভুল ভ্রান্তি রয়ে গেছে, আশা করি আপনারা প্রথমবারের মতো বিষয়গুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পরবর্তী সংখ্যা গুলোতে আমরা এসব সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠবো। প্রথম সংখ্যা যত পরেই প্রকাশিত হোকনা কেন, তা ফেব্রুয়ারি সংখ্যাই। এখানে তো আর বাণিজ্য হচ্ছেনা। আমরা আমরাই তো। তাই না!
মুল পরিকল্পনাকারী ব্লগার ঘুড্ডির পাইলট ভাইকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই কুহক মাহমুদ ভাই, কামাল ভাই ও সেলিম আনোয়ার ভাইকে।
প্রথম সংখ্যায় যাদের লেখা এসেছেঃ
কবিতা
গোপন নৈরাজ্যে গেয়ে ওঠা নিরাশার গান!-স্বপ্নবাজ অভি
তালাশ- সেলিম আনোয়ার
মুদ্রিত মৃত্যু সংবাদ-আহমেদ আলাউদ্দিন
অতীন্দ্রিয় অনুভুতিতে তুমি ও একাকী আমি-সায়মা
ফাগুন-সকাল রয়
অগোছালো মেয়ে-০৩-আরমান ভাই
উপহার-মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সজীব
প্রলয়বৃত্ত – ১-আশরাফুল ইসলাম দূর্জয়
গল্প নয় সত্য, কাব্য নয় বিষাদ-মাহবুবুল আজাদ
তোমাদের সন্তান-মাহমুদুল হক ইফতি
প্লাস্টিকের হাতুরি-শাহেদ খান
যে রাতে মৃত্যুই আনন্দ-শাপলা নেফারতিথী
প্রবন্ধ
বাঙ্গালা শের-এ টি এম মোস্তফা কামাল
গল্প
অনিশ্চিত -অপর্ণা মম্ময়
পুতুল খেলা ও একজন ভার্চুয়াল স্রষ্টা- কাল্পনিক ভালবাসা
অপচয়- জুলিয়ান সিদ্দীকী
ফেরা- মাহতাব সমুদ্র
ফাঁদ- মাহমুদ রহমান
প্রতিশোধ- ঘুড্ডির পাইলট
অন্তঃসত্তা জেনি এবং আমরা অবাক মানুষেরা- লুমেন হোসেন
লতা ও পুই লতার আত্মকথন- সাদিয়া সুলতানা
মিতিন ও আমি- হাসান মাহবুব
যাদের লেখা প্রকাশ হয়েছে তারা এক কপি সৌজন্য সংখ্যা পাবেন। এটি একটি ত্রৈ-মাসিক প্রকাশনা হবে। সমৃদ্ধ থাকবে আপনাদের গল্প কবিতায়। যারা এর কপি পেতে চান তারা চলে আসতে পারেন আমাদের সাহিত্য আড্ডায়। ডাকে পেতে যোগাযোগ করুনঃ
মাহবুবুল আজাদ ০১৯১৯ ৮২ ৩৩ ৫৪
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সজীব: ০১৬১৯ ৫১ ৮৯ ৩৪
আর লেখা পাঠানোর জন্য ই-মেইল করুন : [email protected]
[email protected]
মূল্যঃ ৪০ টাকা মাত্র। তবে যারা ডাক যোগে পেতে চান তাদের অন্ততঃ ৫০ টাকা বিকাশ করতে হবে। নাম ঠিকানা উপরের নম্বরে এস এম এস করে জানিয়ে বিকাশ করবেন। প্রয়োজনে ফোনে নিশ্চিত হয়ে নিন।
একই সাথে পরবর্তী সংখ্যার জন্য লেখা আহ্বান করা হচ্ছে। আশা করছি, প্রথমবারের মতো এবারেও অনেকেই লেখা পাঠিয়ে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াশকে স্বার্থক করে তুলবেন।
পাঠকও আমাদের লেখক, লেখকও আমাদের পাঠক।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৪৮
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: ধন্যবাদ নাসীমুল বারী ভাই। ইংরেজিতে এটাচমেন্ট এর বাংলা হলো সংযুক্তি। কিন্তু 'পোস্ট' এর বাংলা কি হয়? অন্ততঃ ভাব কি বোঝায়?
প্রশ্নটি উন্মুক্ত রইলো। আশা করি সকলে এই ব্যাপারে মতামত রাখতে পারেন।
ভালো থাকবেন ভাই।
২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১৩
নাসীমুল বারী বলেছেন: ইংরেজিতে এটাচমেন্ট- বাংলা 'সংযুক্তি'। একই শব্দের ব্যবহার ভাবের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। ব্লগ-এ ( ব্লগের বাংলায়ন এখনও খুঁজে পাই নি বা সৃষ্টি করতে পারি নি। পারলে পাঠাব।) যেহেতু লেখাটা সংযুক্ত করা হয়- যাকে ইংরেজিে 'পোস্ট' বলি। পোস্ট-এর প্রকৃত অর্থ 'ডাক' বা 'পদ'। এখানেও ভাবের ব্যবধানে দুটি অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। সে মতেই ব্লগে 'পোস্ট'কে 'সংযুক্তি' বলা অধিকতর যুক্তিযুক্ত মনে করি। আর তাই আমার প্রস্তাব 'পোস্ট'কে 'সংযুক্তি' বলা।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১৭
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: ভাই নাসীমুল বারী, আপনার প্রস্তাবটি এখানে রইলো। দেখা যাক সকলে এ বিষয়ে কি মতামত দেন। এ বিষয়ে একটা অর্থবহ আলোচনা হতেই পারে।
ধন্যবাদ। সাথেই থাকুন। ভালো থাকুন।
৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:২৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: আপনাদের উদ্যোগকে শুভেচ্ছা!
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:২৯
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ঢাকাবাসী। আশা করি সাথেই থাকবেন।
৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:২৭
সকাল রয় বলেছেন:
অভিনন্দন সবাইকে ___ খুব ভালো লাগলো এই উদ্যোগকে
আপনাদের অনেক অনেক ধন্যবাদ। তবে বিনীত ভাবে বলছি আপনারা থেমে যাবেন না। এখান থেকেই বেড়িয়ে আসবে কালজয়ী কেউ কেউ। আমি দুটো সংখ্যা নেব। এব সবসময় আপনাদের সাথে আছি। পাশে আছি সবসময়
বি:দ্র: আমি অনেক দুরে থাকি তো তাই ডাকে নিতে হবে।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৩২
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: সকাল রয় আপনাকেও অভিনন্দন। আপনার একটা লেখা আছে এখানে।আশা করি ভালো লাগবে। আর সাথেই থাকুন।
কোনো সমস্যা নেই। আপনার ঠিকানা মেইল ঠিকানায় পাঠিয়ে দিন। আর আজাদ ভাইয়ের মোবাইলে বিকাশ করুন। আর হ্যাঁ, বিকাশ করে অবশ্যই ফোনে জানিয়ে দিয়েন।
ভালো থাকুন।
৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৫৫
হাসান মাহবুব বলেছেন: দারুণ কাজ করেছেন। শুভেচ্ছা। খুব দ্রুতই কপি সংগ্রহ করবো।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৩
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই। আর চলে আসেন একদিন আমাদের আড্ডায়।
৬| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১০:৫৮
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অভিনন্দন সজীব ভাই !
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১৪
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
৭| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২০
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
'সাহিত্য আড্ডা'র জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
এই দূর্দান্ত শুরুটা একদিন বাংলা সাহিত্যের বিশাল আকাশে একটি নক্ষত্রের মত হয়ে জ্বলার মতো এই আড্ডা এবং কাগজ কে প্রতিষ্ঠিত করুক, প্রার্থনা থাকলো।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৪০
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ দুর্জয় ভাই। জানি সাথে আছেন। আশা করি এভাবেই থাকবেন সব সময়।
আর কবুল হোক আপনার প্রার্থনা। ভালো থাকুন।
৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১:৫৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাদের জন্য রইল অনেক শুভ কামনা। এবারের প্রচ্ছদ বেশ সুন্দর হয়েছে।
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫৫
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: ধন্যবাদ কাল্পনিক_ভালবাসা।
আমি একটু কষ্ট পেলাম। কষ্ট পেলাম এ জন্য যে, আপনাদের বলায়। এই শব্দ ব্যবহার করায় আপনি তো নিজেকে আড়াল করলেন। এই আড্ডায় আপনিও তো একজন সক্রিয় অংশীদার। প্রায়ই এসেছেন। শেষের দিকে একটু অনিয়মিত এই যা! যাই হোক। আপনি যদি আমাদের বলতেন আরো অনেক অনেক ভালো লাগতো!
প্রচ্ছদটা সত্যি সুন্দর হয়েছে। এর জন্য পুরো কৃতিত্ব মাহবুবুল আজাদ ভাইয়ের। তার অফিস সহকর্মী এটা এঁকে দেইয়েছেন। তাকেও ধন্যবাদ। ভালো থাকুন। আর হ্যাঁ, পরবর্তী আড্ডায় হাজিরা দিন। হাঃ হাঃ হাঃ
৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৪৯
অদৃশ্য বলেছেন:
সেই প্রথম থেকেই আপনাদের আড্ডার খোঁজ খবর রেখেছি... ছবিসহ অনেক পোষ্ট পড়েছি আর মজা নিয়েছি আপনাদের সাথে না থেকেই...
দশজন মিলে গেলে অনেক কিছুই করা সম্ভব... এটা আমি খুবই বিশ্বাস করি... দারুন কাজ করেছেন আপনারা... অনেক অনেক শুভেচ্ছা... অভিনন্দন সবাইকে...
শুভকামনা...
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৫৭
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: সাথে থাকুন। ভালো থাকুন।
১০| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:০০
ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: অভিনন্দন! অভিনন্দন!
এক সময় কেউ ছিল না, এখন কয়েক জন দৌড়াচ্ছে; এখন সাহিত্য আড্ডা খুব হয়তো ছোট পরিসরে, কিন্তু আমি নিশ্চিত চালিয়ে গেলে এইটা হবে বাংলা সাহিত্যের এক গুরুতবপূর্ণ পত্রিকা! কারন আগামীর সাহিত্যিক দের একটা বড় অংশ উঠে আসবে বাংলা ব্লগগুলো থেকেই!
নাইম( ব্লগার অলওয়েজ ড্রীম ) ভাইকে বিশেষ ধন্যবাদ, উনি শুরু করার কথা ভেবেছেন এবং শুরু করেছেন! আর আপনার যারা এগিয়ে এসেছেন, চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তাদের সবাইকে অভিনন্দন ও ভালোবাসা!
নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো!
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০১
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: ইফতি ভাই, আপনার মুখে ফুল চন্দন পড়ুক। আশা সব সময়ই বড় রাখতে হয়। এক সময় আমরা কিছু কিছু বিষয়ে কেবল পথপ্রদর্শক হবো তা নয়, আমারই হবো অগ্রগামী।
আমাদের এই পথ চলায় আপনার মতো পাশে পেয়েছি আর অনেককে। আশা করছি, সামনের দিনগুলোতেও এভাবেই পাশে পাবো। ভালো থাকুন।
১১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:১৪
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
সজীব,
শুভ উদ্যোগ, স্বাগত জানাই। শুদ্ধ হোক আপনাদের সাহিত্য-চর্চা।
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:০৩
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: ভাই অন্ধবিন্দু, দোয়া করবেন। আমাদের এই পথ চলা যেন সুদীর্ঘ হয়। আমরা অনেকে এক সাথে চলতে চাই অনেক অনেক দূর।
ভালো থাকুন। আর সাথেই থাকুন।
১২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৩
এ.টি.এম.মোস্তফা কামাল বলেছেন: সোজা প্রিয়তে। আপনাদের ভালোবাসা আমার জন্য অনেক বড়ো পুরস্কার। অনেক কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকবেন।
ব্লগার নাসিমুল বারী পোস্ট,ব্লগ এসবের বাংলা শব্দ তৈরীর কথা বলেছেন। কেউ যদি এর গ্রহণযোগ্য বাংলা শব্দ তৈরী করতে পারেন তাহলে ভালো লাগবে। তবে আধুনিক ও শক্তিশালী ভাষার একটা সার্বজনীন বৈশিষ্ট্য হচ্ছে প্রয়োজনে বিদেশী শব্দ গ্রহণ করার ক্ষমতা। সব চেয়ে বেশী বিদেশী শব্দ গ্রহণ করেছে ইংরেজী ভাষা। ইংরেজী ভাষার বর্ণমালা ও ভাষাতাত্ত্বিক সীমাবদ্ধতার জন্য (ইংরেজীর নিজস্ব বর্ণমালা নেই। যেটা ব্যবহৃত হয় সেটা রোমান বর্ণমালা) বিদেশী শব্দ পরিবর্তিত/বিকৃতভাবে ইংরেজীতে ঢুকেছে। (বাংলা শব্দ 'ডাকাত' ইংরেজীতে হয়েছে 'ডেকোয়েট', জঙ্গল হয়েছে 'জাঙ্গল'।) বাংলা ভাষা ও বর্ণমালার অসামান্য শক্তির জন্য যে কোন বিদেশী শব্দ সঠিক ধ্বনিতে আাত্মস্ত করতে পারে। তাই ব্লগ বা পোস্ট সঠিক ধ্বনিসহ বাংলায় লেখা সম্ভব। বাক্যতেও সেটা সুন্দরভাবে মিশে যেতে পারে। যেমন-আমি সামহয়ার ইন ব্লগে একটা কবিতা পোস্ট করেছি।
এমনিতে ইংরেজী শব্দ POST অনেক অর্থে ব্যবহৃত হয়। POST মানে কোন সংস্থার কর্মকর্তা/কর্মচারীর পদ, (চিঠি) পাঠানো, পরবর্তী বা উত্তর (POST-WAR- যুদ্ধ-পরবতী/ যুদ্ধোত্তর), খাম্বা (লাইটপোস্ট), খাতায় অন্তর্ভুক্ত করা (POSTING) ইত্যাদি। ব্লগের সাথে পোস্ট শব্দের ব্যবহার নতুন সংযোজন। আগের অর্থের বাইরের এ ব্যবহার। এটায় চোখ বুলানো যেতে পারে-http://en.wikipedia.org/wiki/Blog
১৬ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:১৭
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: সত্যি হলো আপনি আছেন তাই আমরা এতো সাহস করি। এক সময় হয়তো বড়াইও করতে পারবো।
বড়াই করা বিষয়টি ধনাত্মক শব্দ নয়। তবু, আমরা অন্ততঃ জ্ঞান অর্জনে, পড়াশোনায় অন্য অনেক গ্রুপের চেয়ে যেন বেশি জানতে পারি, শিখতে পারি, কাজ করতে পারি, আর এই ব্যাপারে যেন এক সময় গর্ব করেই বলতে পারি, আমরা দেখে-শুনে-বুঝে-জেনে এতো দূর এসেছি। কেবল তারুণ্যের উন্মাদনায় নয় অথবা অন্ধের মতো অনুকরণ করে নয়, আমরা নিজেরাই নিজেদের পথ বের করে এতো দূর এসেছি।
হয়তো একটু বেশি বলা হয়ে গেলো, তবু বলছি, একদিন জ্ঞানে-গুণে অন্য সবাইকে ছাড়িয়ে যেতে চাই। আর এই প্রত্যাশা কোনোদিনও ছাড়তে চাইনা। আপনার মাধ্যমে আবারো এই সাময়িকী এই আড্ডাকে যারা সফল করে তুলেছেন তাদের সকলকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। প্রত্যেকের ঐকান্তিক ইচ্ছা আর ভালোবাসা ছাড়া এটা হয়েই উঠতো না।
১৩| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৪০
আরজু পনি বলেছেন:
অনেক অভিনন্দন রইল, পুরো টিমের প্রতি ।
২২ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:৪৮
মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব বলেছেন: ধন্যবাদ আরজুপনি আপু। ভালো থাকুন। সব সময়।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৩৯
নাসীমুল বারী বলেছেন: শুভ নববর্ষ ১৪২১।
সাহিত্য- মনের অনুভূতির শিল্পিত প্রকাশ। আমরা মনের ভাব প্রকাশ করি কথায়। এ কথাটা যখনই সৃজনশীল শিল্পিত অবয়বে লিখিত রূপ পায়, তা-ই সাহিত্য। সাহিত্য ভাষাকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করায়। ভাষাকে স্থায়ীত্ব দেয়। সাহিত্য সৃষ্টি হয় নি বলেই অনেক ভাষা বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সাহিত্য ভাষার প্রাণ। সাহিত্য পত্রিকা সে সাহিত্য সৃষ্টির এক অনুপম বিচরণ ক্ষেত্র। 'সাহিত্য আড্ডা' পত্রিকাটি আরও বিকশিত হোক সাহিত্য সৃষ্টির ধারায়। এ প্রত্যাশাই রইলো।
আমার একটি প্রস্তাব-
আমরা যে 'পোস্ট' শব্দটি ব্যবহার করি, এই 'পোস্ট' ইংরেজি শব্দটা আমরা বাংলা প্রতিশব্দায়ন করতে পারি ' সংযুক্তি' শব্দ দিয়ে। এতে রক্তের বিনিময়ে রক্ষা করা বাংলা ভাষার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা জানানোটা আরেকটু হৃষ্টপুষ্ট হবে না?
এ সম্পর্কে আপনার মতামত প্রত্যাশা করছি।
আমার ব্লগে আমন্ত্রণ।