নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কখনো অলস হবার নই আমি

আমি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, আমি আরো স্বাধীন চাই, স্বাধীনতা ধরে রাখতে চাই, তাকে ভালবাসার সুযোগ চাই,

মোহাম্মদ ওমর ফারুক ডেফোডিলস

আমার সব চেয়ে প্রিয় কিছু হলো শেখা, যেখানে শেখার কিছু আছে সেখানে না শেখা পর্যন্ত মনে শান্তি থাকেনা, যখনই সময় তখনই শিখি, এখনো শিখছি

মোহাম্মদ ওমর ফারুক ডেফোডিলস › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিছু তথ্য উপাথ্য আপনার ভাল লাগতেও পারে

০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:০৭

১।



রাজিলের কিশোরী, উঠতি মডেল



এলিস্যানি ডি ক্রুজ সিলভা হচ্ছেন



বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা পাত্রী।



অষ্টাদশী এলিস্যানির উচ্চতা হল ৬ ফুট



৮ ইঞ্চি। তিনি গত তিন বছর ধরে যাঁর



সঙ্গে প্রেম করছেন তাঁর উচ্চতা হল ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি।



ফ্র্যান্সিনাল্ডো,



এলিস্যানির প্রেমিক অবশ্য তাঁর



থেকে লম্বা প্রেমিকাকে নিয়ে বেশ



গর্বিত। তবে এলিস্যানি জানিয়েছেন,



তিনি কখনওই মা হতে পারবেন না তাঁর



এই অস্বাভাবিক উচ্চতার জন্য।



তবে বাচ্চা দত্তক নিতে দুজনেই ইচ্ছুক।



এলিস্যানি ও ফ্র্যান্সিনাল্ডোর



প্রেমে একটাই বাধা, তাঁদের একে অপরকে চুম্বন করার সময় একটু



সমস্যা হয়। অবশ্য সমস্ত সমস্যাই



প্রেমের কাছে তুচ্ছ। জয় হোক প্রেমের...



প্রেম হোক সর্বজনীন...



০২।



পেনিসিলিন আবিষ্কারের মজার



কাহিনী ।।



আমরা সবাই পেনিসিলিন



সম্পর্কে জানি। কিন্তু



আমরা কি জানি কিভাবে আবিস্কার



হয়েছিল এই



পেনিসিলিন? তখন সময় ১৯২১ সাল।



একদিন ইংল্যান্ডের সেন্ট মেরিজ মেডিকেল স্কুলের



ল্যাবরেটরিতে কাজ



করছিলেন আলেকজান্ডার ফ্লেমিং।



কয়েকদিন



ধরে তিনি সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন।



তিনি তখন সেটে জীবানু কালচার নিয়ে কাজ



করছিলেন। হঠাৎ



হাঁচি এলো।



তিনি নিজেকে সামলাতে পারলেন না।



সেটটা সরানোর আগেই নাক



থেকে কিছুটা সর্দি সেটের উপর পড়ে গেল।



পুরো জিনিসটা নষ্ট হয়ে গেল



দেখে সেটটা এক



পাশে সরিয়ে রেখে নতুন আরেকটা সেট



নিয়েকাজ শুরু



করলেন। কাজ শেষ করে বাড়ী ফিরে গেলেন।



পরদিন ল্যাবরেটরিতে ঢুকে টেবিলের



এক



পাশে সরিয়ে রাখা সেটটার দিকে নজর



পড়লো,



ভাবলেন সেটটা ধুয়ে কাজ করবেন, কিন্তু



সেটটা তুলে ধরে চমকে উঠলেন।



দেখলেন, গতকালের



জীবাণুগুলো আর নেই।



দেহ নির্গত এই প্রতিষেধক



উপাদানটির নাম দিলেন লাইসোজাইম। দীর্ঘ ৮ বছর পর হঠাৎ



একদিন



কিছুটা আকষ্মিকভাবেই



ঝড়ো বাতাসে খোলা জানালা দিয়ে ল্যাবরেটরির



বাগান থেকে কিছু পাতা উড়ে এসে পড়ল



জীবাণুভর্তি প্লেটের উপর। কিছুক্ষন পরে কাজ করার জন্য



প্লেটগুলো টেনে নিয়ে দেখলেন



জীবানূর কালচারের



মধ্যে স্পষ্ট পরিবর্তন ঘটেছে।



ছত্রাকগুলোর বৈজ্ঞানিক



নাম ছিল পেনিসিলিয়াম নোটেটাইম। তাই এর নাম



দিলেন পেনিসিলিন।



এভাবে আলেকজান্ডার



ফ্লেমিং পেনিসিলিন আবিস্কার করেন।



রসায়ন সম্মন্ধে জ্ঞান না থাকার



কারণে পেনিসিলিন আবিস্কার করলেও ঔষধ কিভাবে প্রস্তুত



করা যায়



তা তিনি বুঝে উঠতে পারেননি। এরপর



ডাঃ ফ্লোরি ও



ড. চেইন



পেনিসিলিনকে ঔষধে রুপান্তরিত করেন।



০৩।



হারিয়ে যাওয়া শহর "আটলান্টিস"।।



আটলান্টিস হল পৌরাণিক



উপকথা অনুযায়ী সমুদ্রতলে হারিয়ে যাওয়া একটি দ্বীপ।



এর প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় খৃষ্টপূর্ব



৩৬০ অব্দের প্লেটোর



ডায়ালগ টাইমাউস এন্ড ক্রিটিয়াসে।



প্লেটোর মতে প্রায় ৯০০০ বছর আগে আটলান্টিস



ছিল



হারকিউলিসের পিলারের



পাদদেশে একটি দ্বীপ



যা এর নৌ সক্ষমতা দিয়ে ইউরোপের



অধিকাংশ স্থান জয় করেছিল। কিন্তু এথেন্স জয় করার



একটি ব্যার্থ



প্রয়াসের পর এক দিন ও এক রাতের



প্রলয়ে এটি সমুদ্র



গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।



প্লেটোর এই ঘটনা কোন পৌরাণিক কল্পকাহিনী অনুপ্রানিত কি না এ



ব্যাপারে ইতিহাসবিদরা এখনও একমত



হতে পারে নি।



তবে প্লেটো ক্রিটিয়াসে দাবি করেন



যে তিনি এই



গল্প সোলোনের কাছ থেকে শুনেছেন। সোলোন



ছিলেন খৃষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকের এথেন্সের



বিখ্যাত



নিতীনির্ধারক। প্রাচীন



মিশরে প্যাপিরাসের



কাগজে এথেন্স এবং আটলান্টিস সম্পর্কে হায়ারোগ্লিফিতে কিছু নথি ছিল



যা গ্রীকে অনুবাদ করা হয়। সোলোন



সেখান



থেকে আটলান্টিস



সম্পর্কে জানতে পারেন। তবে কিছু



পন্ডিৎ মনে করেন যে প্লেটো প্রাচীন কিছু যুদ্ধের



কাহিনী থেকে অনুপ্রানীত হয়ে এই



কাহিনী গড়েছেন।



আটলান্টিসের সম্ভাব্য অস্তিত্ব



নিয়ে প্রাচীনকালে অনেক বিতর্ক



হয়েছে তবে পরবর্তীতে বিভিন্ন লেখক এর



সমালোচনা এবং ব্যাঙ্গ বিদ্রুপ করেছেন।



এলেন



ক্যামেরুনের বলেন



প্রাচীনকালে আটলান্টিসের



ঘটনাকে কেউ এত গুরুত্বের সাথে না নিলেও বর্তমানেই



এই প্রাচীন



কাহিনীকে গম্ভীরভাবে দেখা হচ্ছে।



আটলান্টিসের গল্প শুরু হয় প্লেটোর



একটি লেখায়। এই



লেখায় প্রথম উঠে আসে আটলান্টিসের হারিয়ে যাওয়া জনপদের কথা। অনেকেই



ভাবে,



আটলান্টিস আর কিছুই ছিলনা প্লেটোর



কল্পনা মাত্র।



আবার অনেকেই খুঁজে যাচ্ছেন



আটলান্টিসের জনপদকে। আজ পর্যন্ত অনেক প্রত্নতাত্বিক নির্দশন



আবিষ্কার



হয়েছে তবে এগুলো যে হারানো আটলান্টিস



তার



কোন জোরালো প্রমাণ নাই।



প্রায় এগারো হাজার বছর আগে আটলান্টিক



মহাসাগরের কোন এক দ্বীপ নগরী ছিল



আটলান্টিস।



আটলান্টিসের কথা প্রথম জানা যায়



প্লেটোর ডায়লগ



Timaeus and Critias এ। এখানে তিনি বলেন আটআন্টিস



প্রায় নয় হাজার বছর পূর্বে কোন ভূমিকম্প



বা সুনামিতে ধ্বংস হয়ে যায়।



তিনি বলেন



আটলান্টিসের আবস্থান ছিল পিলার অফ



হারকিউলিসের আশে পাশে।



০৪।



মাংসাশী গাছ!



আমাদের এই পৃথিবীতে বিভিন্ন জাতের



গাছ আছে। এই সকল গাছের মধ্যে কোন গাছ



উপকারি, কোন গাছ অপকারি আবার কোন



গাছ সামান্য হলেও ভয়ংকর। তেমনই



একটি গাছ হচ্ছে নেপেন্থেস



অ্যাটেনবারোওঘি। এই গাছটির নাম কি আপনি কখনও শুনেছেন? হ্যাঁ, এই



গাছটি অন্য সকল গাছ থেকে আলাদা।



কারণ, এই গাছটি হচ্ছে ভয়ংকর



মাংসাশী গাছ। গাছটি দেখতে যত সুন্দর



আর নিরীহই হোক না কেন,



গাছটি আসলে একটি মাংসাশী গাছ। নানা কীটপতঙ্গ, এমনকি বড় বড় ইদুর



পর্যন্ত গিলে খায় এটি।



২০০০ সালের দিকে এই গাছটির প্রথম



সন্ধান মিললেও



সম্প্রতি গাছটি সম্পর্কে বিস্তারিত



জানতে পেরেছেন উদ্ভিদ বিজ্ঞানীরা। ফিলিপাইনের পালাওয়ানের নির্জন



পাহাড়ী এলাকায় এই গাছের



দেখা মিলেছে। গাছটির বৈজ্ঞানিক নাম



নেপেন্থেস অ্যাটেনবারোওঘি। এই



পর্যন্ত পাওয়া কলসি আকৃতির গাছের



মধ্যে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহৎ এই গাছ উচ্চতায় চার ফুট পর্যন্ত হয়।



গাছটি শিকার ধরে সাধারণত তার



শরীরের কলসির মতো এক জাতীয় অংশ



দ্বারা। এই অংশটি গাছের শরীরের



বিভিন্ন অংশে ঝুলে থাকে। এই কলসির



মতো কাঠামোর মধ্যে এক ধরনের তরল পদার্থ থাকে। এই তরলের বিশেষ



অ্যানজাইম ও এসিড হতে কোন



প্রানী পড়া মাত্রই তাকে নিস্তেজ



করে দেয়। কোন প্রাণী সহজে এই থাবাই



পড়তে চাই না। তবে গাছটির স্নিগ্ধ, নরম,



রং ও সুবাস কীটপতঙ্গসহ নানা প্রাণীকে আকৃষ্ট করে এর থাবার



মধ্যে আসতে। সকল কীটপতঙ্গই এই গাছের



শিকার তবে নানা প্রাণীর মধ্যে ইদুরই



এই মাংসাশী গাছটির কবলে বেশী পড়ে।



আবার ইদুরই হচ্ছে এই গাছের



সবচেয়ে প্রিয় খাবার। গাছটি বিজ্ঞানী সহ সাধারণ মানুষের



মাঝেও ব্যাপক কৌতূহলের সৃষ্টি করেছে।



০৫।





০৬।



ছবির জুতোটি ১৪শতক সময়কার



০৭।





০৮।





০৯।





১০।





১১।





১২।





১৩।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭

আজীব ০০৭ বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ.............

০৮ ই মে, ২০১৪ দুপুর ১:৪২

মোহাম্মদ ওমর ফারুক ডেফোডিলস বলেছেন: আজীব ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.