নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন স্বপ্নবাদী।স্বপ্নের কথা বলি।আমার স্বপ্ন,চারপাশের মানুষের স্বপ্ন... ....কখনো কখনো অনেকের স্বপ্ন নিজের বলে মনে হয়। আমি সবার স্বপ্নের কথাই বলার চেষ্টা করি।
ভারতবর্ষে হিন্দুদের চেয়ে মুসলিমরা পড়াশোনায় কেন পিছিয়ে ছিল এটা নিয়ে অনেক থিয়োরী আছে। থিয়োরী বলাটা ভুল হইলো, বলা যায় ফ্যাক্টস-ই আছে কিছু। প্রথম যারা মুসলিম হইলো হিন্দু থেকে তারা মূলত নিম্নজাতের হিন্দু অর্থাৎ শুদ্র থেকে হলো। তাদের হিন্দু হিসেবেও আসলে এমন কোন সামর্থ্য ছিল না যে তারা পড়াশোনা করবে। কাজে মূলত মুচি, মেথর, ঝাড়ুদার ইত্যাদি ছিল। ব্রাক্ষ্মনদের অত্যাচারের ঠেলায় মুসলিম হইলো যেখানে আসলে তাদের বলা হইছে কোন জাত পাত নাই। তো নয়া মুসলিমদের যা হয়, ধর্মটাই আসলে সব ভেবে আঁকড়ে ধরা, তারা তার বাইরে ছিলো না।
তখনকার সময়ে উচ্চতর পড়াশোনা নিয়ে এমনকি গোঁড়া হিন্দুদের ভেতরেও একটা অনীহা ছিল, যেহেতু কালাজল পাড়ি দিতে হবে উচ্চশিক্ষা নিতে হলে। তো পশ্চিমা সেই শিক্ষায় শিক্ষিত হইলে ধর্মের ক্ষতি হবে এরকম একটা কথা প্রচলিত ছিল। তাই মুসলিমরা মক্তবে সর্বোচ্চ ফার্সি ও আরবী, যা আদতে ভারতবর্ষের পশ্চিম থেকেই আগত, শিখত, যা মূলত ভাষা শিক্ষা ছিল। আর হিন্দুরা টোল বা পাঠশালায় শিখত ধর্ম, দর্শন, তর্কবিদ্যা ও প্রাচীন সাহিত্য। মুসলিম রাজারা মূলত মাদ্রাসা বানাতেই বেশি আগ্রহী ছিলেন।
মুহাম্মদ বিন তুঘলকের ২৫ বছরের শাসনামলে শুধু দিল্লিতেই প্রায় এক হাজার মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। শুধু তরবারিতে ভারত জয় করা যাবে না দেখে সাবেক ডাকাত থেকে শাসক হওয়া অনেক তুর্কি, ইরানী, আফগানী মুসলিম শাসকেরা নিজেদের ধর্ম বাড়াতে মন দেয়। জ্ঞান, অংক শাস্ত্র বা বিজ্ঞানের কোন ধারার পড়াশোনা ছিল না মুসলিম সমাজে। আরো একটি কারন ছিল অন্তর্নিহিত, পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত যারা পড়াতেন তারা অনেকেই মুলত খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী মিশনারী, তাদের কাছে পড়তে গেলে খ্রিষ্টান বানিয়ে দেবে ও জমি কিংবা বৌ নিয়ে নেবে এরকম একটা ভীতি ছিল সমাজে। যেটা হয়তো শতভাগ অমূলকও ছিল না। মিশনারীদের মূল উদ্দেশ্য শুধু সেবা ছিল না।
তো হিন্দু সমাজের তুলনায় এই যে পিছিয়ে পড়ার শুরু, সেটা কিন্তু সেই সময়ে আবদ্ধ থাকেনাই।
বাইরে থেকে আসা লম্বা দাড়িওলা মোল্লা বা মৌলভী দেখলেই শ্রদ্ধা ভরে হিন্দু ধর্মের গুরু বা বাবা ধরার অনুকরনে মুসলিমরা পীর ধরা শুরু করলো। পীরদের ধর্মীয় প্রভাব ও প্রতিপত্তি এতটাই বাড়লো যে তারা এমনকি রাজাদের সাথেও যুদ্ধ করে এলাকা দখল করে নিজের রাজত্ব বসাতে লাগলেন। কিন্তু জনগন শিক্ষিত করলে তো পীরালী কমে যাবে। তাই পীররাও সেই পথে হাঁটেননি। পরে ইংরেজরাও এই ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটায়নি। মূল কারন শ্রমিক তৈরী। স্কুলে গেলে মাঠে যাবে কে? মুসলিম ভারতীয় সমাজও তাই-ই ভাবতো, ধর্মবিরোধী ও কৃষিবিরোধী পড়াশোনা তাই করবে কোন যবন?
এই মুসলিম সমাজের ভেতর সবচেয়ে শিক্ষিত ছিলেন মুন্সীরা, যারা আসলে ফার্সী ভাষা ভালো জানতেন, সরকারীভাষা দাপ্তরিক ভাষা ফার্সি হবার কারনে যারা সরকারি কাজ করতেন। মুন্সী পদবিধারী সবাই যে মুসলিম ছিলেন, তা নয়, বহু হিন্দুও ছিলেন মুন্সী পদবী ধারী। ফার্সি ভাষা থেকে আসা এই শব্দের অর্থ হলো কেরানী বা সেক্রেটারি। সরকারী কাজের পাশাপাশি এই মুন্সীরা জমিদারদের জমি জায়গার কাগজপত্র ও দাপ্তরিক কাজও সামলাতেন।
পরের দিকে এসে কিছু ইংরেজ শাসক প্রাচ্যের এই শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন দেখতে চান। ১৭৭১ সালে ওয়ারেন হেস্টিংস এর উদ্যোগে কলকাতায় একটি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা হয়, যেখানে মূলত পশ্চিমা শিক্ষাব্যবস্থার সাথে প্রাচ্যের শিক্ষার এক মেলবন্ধনের চেষ্টা চলে। সেরকম তার কিছু বছর পরে জোনাথন ডানকান বেনারসে সংস্কৃত কলেজ চালু করেন। এটা মনে করার কোন কারণ নেই উনারা ভারত বর্ষের প্রেমে পড়ে সেটি করেছিলেন, মূলত তাদের কিছু কেরানীর দরকার ছিল যারা ইংরেজ শিক্ষা ও মূল্যবোধের সাথে পরিচিত হবে এবং শাসকদের সাথে জনগনের মিথস্ক্রিয়ায় মধ্যবর্তী ভূমিকা পালন করবে। ইংরেজ বিচারকদের মুহুরী হিসেবে এসময় অনেক ভারতীয় এসব কলেজ থেকে পড়াশোনা শেষে কাজ শুরু করেন।
বর্তমানে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি মুসলিমদের যে ক্রোধ বা ঘৃণা, সেটা তাই অনেক গভীরের। মূলত যারা বিজ্ঞান পড়ে তারা ধর্মের সাথে কন্ট্রাডিকটরি বলে নাস্তিক হয়ে যেতে পারেন বলে কাঠমোল্লাদের ভয়। আর নিয়মিত চোদ্দশ বছর আগের চাঁদ দুইভাগ, ঘোড়ায় চইড়া হাসরে যাবার মত হাস্যকর কথাবার্তা তরুনদের আরো ধর্ম বিরোধী করে তুলতে পারে বলে মোল্লাদের টার্গেট হয়ে দাড়িয়েছে আজ বিজ্ঞান।
ধর্মের ইতিহাসের সাথে মানবজাতির ইতিহাস মেলেনা। আর যেহেতু মেলেনা সেহেতু সমাজ বিজ্ঞান হোক আর পদার্থ বিজ্ঞান হোক সবই ছুড়ে ফেলে দিয়ে তরবারী আর বালুর দেশের বেদুঈন হয়ে থাকতেই রাস্তার মোড়ে মাইক নিয়ে বসে থাকা ভিখিরিদের নেতারা বেশি পছন্দ করেন। সেজন্যই হৃদয় মন্ডলরা ধর্ম ও বিজ্ঞানকে আলাদা বলতে চেয়েও জেলে যেতে বাধ্য হন। এখনো তাই বিকট শব্দে পৃথিবী ধ্বংশ হয়ে যাবে বলাতে লাখে লাখে মানুষ বিশ্বাস করতে থাকে। আদৌ এর পেছনে বিজ্ঞানের গ্রহনযোগ্য ব্যাখা আছে কিনা সেটা ভাবেই বা কতজন?
বাংলাদেশ আজ কোন পথে যাবে তার চেয়ে বড় কথা বড় প্রশ্ন হলো ধর্ম আজ কোন পথে যাবে। অসার প্রাচীন পুরাতন অবসোলেট ধর্মকে নতুন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বিজ্ঞানকে স্বীকার করে নিয়ে আধুনিক হবে নাকি সময়ের সাথে মূর্খতার অবসান ঘটবে সেটা সময়ই বলে দেবে।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৮
মাহ্মুদুল হক মুন্সী বলেছেন: মানুষ শুধু ধর্ম থেকেই নৈতিকতা শেখে কথাটা ভুল, নৈতিকতা সমাজ ও পরিবার থেকে আসে। ধর্ম যা করতে নিষেধ করে সেটা করে ভয় দেখিয়ে, পরকাল বা পরজন্মের ভয়। ভয় দেখিয়ে আসলে মানুষকে অনৈতিক কাজ থেকে দূরে রাখা যায় না, এরজন্য অন্তরাত্মার শুদ্ধিও প্রয়োজন।
যাহোক, পোস্টের আলোচনা ছিলো শিক্ষায় কিভাবে ধর্ম বাধা হয়ে ছিলো। নৈতিকতা আসলে মূল আলোচ্য ছিলো না।
২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ধর্ম আর বিজ্ঞান এক নয়
.........................................................
আর এসবের ব্যাখ্যাও সবাই এরকম করে না
ধর্ম যার যার
বিজ্ঞান সবার
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৯
মাহ্মুদুল হক মুন্সী বলেছেন: আর সেই বিজ্ঞানকে অস্বীকার করাই হলো ধর্মের কাজ। যতসব বুজরুকি আর কি
৩| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১১
বিজন রয় বলেছেন: একটা জাতির শিক্ষিত হতে কয় বছর লাগে?
বাংলাদেশ মূর্খতার দিকে অনেকটাই এগিয়েছে।
মামুনুল হক হুজুরকে একটু জেল থেকে বের করে দিয়ে দেখুন।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:২০
মাহ্মুদুল হক মুন্সী বলেছেন: শিক্ষিত হবার পথে কাঁটা বিছিয়ে যদি জাতিকে পিছিয়ে রাখা হয় তাহলে দিন দিন এগুনোর বদলে পিছাতেই থাকবে।
৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩১
রিদওয়ান খান বলেছেন: এভাবে লিখতে থাকলে অতি সহজেই কেরানী পদে উত্তীর্ণ হতে পারবেন যেহেতু নামের শেষে মুন্সি আছে। কাঠমোল্লার দল তরবারি চালায়, বোম ফুটায়; লিখতে জানেনা। কলমের জবাব কলমে দিতে জানেনা। তারপর আমরা কী দেখলাম ? কাঠমোল্লার দল লিখা শুরু করছে, বেস্ট সেলারে নাম লিখাচ্ছে। শত কায়দা কানুন করা হচ্ছে কাঠমোল্লাদের বই বিক্রি না হওয়ার জন্য বইমেলায়। তারপরেও তাদের বই বিক্রি হচ্ছে দেদারসে। রকমারিকে জামাত ট্যাগ দেওয়া হলো, আরিফ আরাজ সহ বিভিন্ন কাঠমোল্লাদের কলম থামাতে উন্মুক্ত গালির পসরা বসিয়েছে। একি, কাঠমোল্লারা লিখে কিভাবে?
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩০
মাহ্মুদুল হক মুন্সী বলেছেন: ধন্যবাদ। বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বিক্রিত লেখকের নাম জানেন? রসময় গুপ্ত। বেশি বিক্রি হওয়া মানেই সেটা খুব যে জাতে উঠে গেছে তা নয়। লিখুক না, লিখতে কে মানা করেছে। বরং এটাই প্রমাণ হচ্ছে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ বুদ্ধিবৃত্তিক দিক থেকে কতটা পিছিয়ে। ছাত্রলীগের সভাপতি বই লিখে বেস্ট সেলার হইছে, কেন? সেই বইতে কি আছে সেটার চেয়ে কোন জিনিসটি প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে? কাঠমোল্লাদের লেখা কখনো ব্যানড হতে দেখেছেন? রকমারি সরিয়ে নিয়েছে দেখেছেন? কাদেরটা সরিয়ে নেয়? সেখানে প্রভাবক হিসেবে কারা কাজ করে? মুখ বন্ধ কখনো কাঠমোল্লাদের হয় নি। প্রগতিশীল, বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চাকারিদেরই হয়েছে, জিওর্দানো ব্রুনো বলেন, হাইপেশিয়া বলেন আর আমাদের অভিজিত রায় বলেন। কোন কাঠমোল্লাকে কুপিয়ে মারতে হয় নি তার লেখনির জন্য। বরং কাঠমোল্লারা ইতিহাসের অতীত কাল থেকে এখন পর্যন্ত লেখকদের মুখ বন্ধ করেছে।
১৪০০ বছর আগের কথা, স্যাটায়ার লেখার জন্য কা'ব ইবনে আল আশরাফ কে খুন করা হয়। কে করেছিলো?
মূল পোস্ট ছিলো বিজ্ঞান নিয়ে। ধর্মের সাথে বিজ্ঞানের পার্থক্য ও সেখানে ধর্মের প্রভাব। যদি পারেন, মূল পোস্ট নিয়ে আলোচনা কইরেন। যদি সে যোগ্যতা থাকে আর কি।
৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলামের কোন শিক্ষা বিজ্ঞান অধ্যয়নের পথে বাধা না। কয়েক শতাব্দী আগের অতীতের কথা যেটা বলেছেন সেটা ঠিক আছে। মুসলমানরা ব্রিটিশ আমলেও লেখাপড়ায় পিছিয়ে ছিল তাদের গোঁড়ামির কারণে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের শিক্ষার সর্বোচ্চ ক্ষেত্র বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পড়াশোনার পরিবেশের মধ্যে ধর্মের কোন প্রভাব নাই। ৯০% বা তার চেয়ে বেশী শিক্ষার্থী সেকুলার মন মানসিকতা নিয়ে পড়াশুনা করে। বরং পশ্চিমের কিছু ছোঁয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশে ইসলামের কোন প্রভাব বা কর্তৃত্ব দেখবেন না। বাংলাদেশের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি থেকে থেকে প্রতি বছর হাজারে হাজারে শিক্ষার্থী ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছে এবং অনেকে বিজ্ঞানের গবেষণা করতে বিদেশে যাচ্ছে। এই দেশে মেধাবী শিক্ষার্থীর কোন অভাব নাই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পরিচালকদের সমস্যার কারণে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলি আন্তর্জাতিক মানের হতে পাড়ছে না। এটার সাথে ইসলাম ধর্মের কোন সম্পর্ক নাই। তাছাড়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ পরবর্তী পর্যায়ে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অত্যন্ত ভালো ফলাফল করছে। ভর্তি পরীক্ষায় অনেক মাদরাসার শিক্ষার্থী মেধা তালিকায় আসছে প্রতি বছর। বাংলাদেশের মাদ্রাসা বোর্ডে বিজ্ঞানের বিষয়গুলি নেই এমন মনে করার কোন কারণ নাই। প্রচুর মাদরাসার শিক্ষার্থী আছে যারা অত্যন্ত মেধাবী এবং তারা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও তাদের মেধার ছাপ রেখে যাচ্ছে। আপনার বক্তব্যের পক্ষে কোন জোরালো যুক্তি পোস্টে পাওয়া গেল না। মনগড়া কথা দিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে ইসলাম ধর্ম বিজ্ঞান শিক্ষার বিরোধী। এই কথার কোন ভিত্তি নাই।
০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৪২
মাহ্মুদুল হক মুন্সী বলেছেন: আপনি বলতে চাইছেন যে যারা ধার্মিক তারা ইভোলিউশন বিশ্বাস করে? করলে তো তারা ধর্মকেই অস্বীকার করবে।
কথটা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করেছেন, পড়াশোনা তো সেখান থেকে শুরু হয় না, হয় স্কুল থেকে। কবছর আগেই তো মাদ্রাসা পাস হুজুরদের নির্দেশে পাঠ্যপুস্তক পরিবর্তন, লেখা বাদ দেয়া ছবি চেঞ্জ করা, কি হয় নি?
আর বিশ্ববিদ্যালয় শুধু কেন, বাইরে থাকার সুবাদে জানি, পড়ে এসেছে পৃথিবী বিখ্যাত বিদ্যাপীঠ থেকে, দারুন তার রেজাল্ট, কিন্তু ইভোলিউশনে অবিশ্বাস করে কারণ ধর্মের সাথে সাংঘর্ষিক। এগুলি কি হিপোক্রেসী নয়? ধর্মের কারণে ব্যক্তিগতভাবে অবিশ্বাস করে আসলে যে বিদ্যা সে নিলো সেই বিদ্যার মূল্য কি থাকলো?
মাদ্রাসা পাস শিক্ষার্থীদের কত পার্সেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে যায় আর কত জন রাস্তায় ভিক্ষা করে?
হ্যা , আপনার সাথে এ ব্যাপারে একমত যে বিশ্বাবিদ্যালয় পরিচালন পদ্ধতিতে ত্রুটি আছে বলে আমরা বিশ্বমানের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থা এখনো মুখস্ত ভিত্তিক বলে মাদ্রাসা পাস শিক্ষার্থীরা ভাল করছে। কেউ কেউ যে মেধাবী নয় তা না। অনেকেই আছে। কিন্তু যা শিখছে তাতে কি তারা বিশ্বাস করে নাকি যেন ভিক্ষা করতে না হয় সেজন্য এটা তার টুল আয় ইনকামের জন্য। শিক্ষা বলতে যা বোঝায়, সে শিক্ষায় কতজন আসলে শিক্ষিত হচ্ছে যা সে নিজের ভেতরে ধারন করে, বিশ্বাস করে? শিক্ষা মানে তো শুধু মুখস্ত নয়।
আমার প্রত্যেকটা কথার ঐতিহাসিক প্রমানিত ভিত্তি আছে। এগুলি সেই বই পড়েই পাওয়া, যা তথ্য দেয়া আছে। মন গড়া বলতে আমার যে অংশটুকু নিজের বক্তব্য সেটা আসলে ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতে আসা অনুসিদ্ধান্ত মাত্র। আপনার ভিন্নমত থাকতেই পারে, তবে আপনিও এমন কোন তথ্য প্রমান দেননি যাতে আমার অনুসিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণ হয়।
ধন্যবাদ, আপনার আলোচনার জন্য।
৬| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৬
শ্রাবণধারা বলেছেন: লেখাটি মোটামুটি ভালো হয়েছে। আপনার বিরক্তিটা লেখায় বেশি প্রকট হয়ে ফুটে উঠলেও, মোটের উপর বক্তব্যটা অস্বীকার করার উপায় নেই।
ধর্ম আর ধর্মান্ধতা দুটো দুই জিনিস - প্রথমটা মানুষের জীবনাচারে শৃঙ্খলা দেয় আর দ্বিতীয়টা তৈরি করে প্রতিবন্ধকতা, নির্বুদ্ধিতা এবং চরম বিশৃঙ্খলা।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:২০
মাহ্মুদুল হক মুন্সী বলেছেন: ধন্যবাদ শ্রাবণধারা। বিরক্তি হয়তো লেখায় ফুটে উঠেছে কিন্তু ফ্যাক্ট আসলে অস্বীকার করবার উপায় নাই।
আপনার কথার সাথে একমত।
৭| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:২৮
কামাল১৮ বলেছেন: যতবেশি বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার হবে ধর্ম সংঙ্কোচিত হয়ে যাবে।মানুষ কুসংস্কার মুক্ত হবে।মানুষ যুক্তিসহকারে চিন্তা করতে শিখবে।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:৩১
মাহ্মুদুল হক মুন্সী বলেছেন: ধন্যবাদ, পৃথিবীটা হয়ে উঠুক মানুষের, হয়ে উঠুক মানবিক। ধ্বংশ হোক যত অমানবিকতা। কৃতজ্ঞতা
৮| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৫৩
আলামিন১০৪ বলেছেন: বিজ্ঞান নিয়ে যুক্তি অবতারনা করার আগে আপনার academic background সম্পর্কে খোলাসা করেন। আজকাল কলা বিজ্ঞানীরাই মূলত বাংলাদেশে ইসলামকে বিজ্ঞানের বিপরীতে দাঁড় করায়, আপনি কি তাঁদের কেও? নাকি মুন্সি নাম নিয়ে ভেক ধরেছেন? বিবর্তনতত্ত্ব, চেতনা(consciousness)সহ অনেক কিছুর ব্যাখ্যা দিতে পারে না। দৈব প্রক্রিয়ায় (Random) Mutation এর যে ব্যাখ্যা দেয়া হয় তা একটা ধারণামাত্র, প্রমাণিত নয়, সেটা জানেন তো? বাস্তবিকই এতে দৈব সংযোগ থাকলে আপনি কিভাবে একে Disprove করবেন?
১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:৪৪
মাহ্মুদুল হক মুন্সী বলেছেন: আয় হায়! মিউটেশনও মিথ্যে! কি মূর্খ আমি! আপনি শিখাঈলে শিখতাম বস।
৯| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০৬
রিদওয়ান খান বলেছেন: মানুষ সর্বজ্ঞানী নয়, মানুষের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। মানুষের পক্ষে সবকিছুর চূড়ান্ত রায় দেয়া সম্ভব না, সবকিছু জানা সম্ভব না- বিজ্ঞান এটা স্বীকার করে। এই সীমাবদ্ধতাকে পাশে রেখেই মানুষের জ্ঞানকে আরো উন্নততর পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া বিজ্ঞানের সাধনা। কিন্তু বিজ্ঞানকে মানবীয় ত্রুটির ঊর্ধ্বে পরম সত্য ধরে নেওয়া যেতে পারে কি? কখনোই না!
বিজ্ঞান কোন পরম স্ট্যান্ডার্ড হওয়া সম্ভব নয়, কেননা মানবীয় সব সীমাবদ্ধতাই বিজ্ঞানের জন্য প্রযোজ্য। বিজ্ঞানীদের মধ্যে ভিন্নমত থাকবে, বিজ্ঞানের কখনো অপব্যবহার হবে- এটা বাস্তবতা। কিন্তু বিজ্ঞান হলো মানুষের জ্ঞান আহরণের নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া- মানুষের অস্তিত্বের সাথে বিজ্ঞানের অস্তিত্ব অনিবার্য।
তাই বিজ্ঞানকে আমরা ইসলামের প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখি না, আবার বিজ্ঞানকে পরম সত্যও মনে করি না। আমরা বিজ্ঞান দিয়ে কুরআনকে জাস্টিফাই করি না। এর কারণ হলো, ইসলাম এসেছে আল্লাহ রব্বুল আলামীনের কাছ থেকে, যিনি সবকিছুই জানেন ও দেখেন। ইসলাম যা বলেছে, তার কোন পরিবর্তন হবে না, অথচ আজকের বিজ্ঞান কালকেই বদলে যেতে পারে।
১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩১
মাহ্মুদুল হক মুন্সী বলেছেন: ইসলামের অনেক কিছুই তো পরিবর্তন হইছে, দাসী লাগানো বন্ধ হইছে কি হয় নাই? নাকি ওটা আজো হালাল? জানাবেন দয়া করে।
১০| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: আমরা যারা এ যুগে জন্মেছি তারা ভাগ্যবান।
আমাদের এখন উচিত যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলা। কেন আমরা ভুলে ভরা ধর্ম গ্রন্থ গুলোকে ফলোম করবো? সমাজ এবং জীবনে ধর্মের কোনো প্রয়োজন নেই। ধর্মহীন জীবন সুন্দর জীবন।
১৪ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩২
মাহ্মুদুল হক মুন্সী বলেছেন: ধর্মহীন জীবন সুন্দর জীবন।
এটাই আসল কথা
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৮
নতুন বলেছেন: বাংলাদেশ আজ কোন পথে যাবে তার চেয়ে বড় কথা বড় প্রশ্ন হলো ধর্ম আজ কোন পথে যাবে। অসার প্রাচীন পুরাতন অবসোলেট ধর্মকে নতুন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বিজ্ঞানকে স্বীকার করে নিয়ে আধুনিক হবে নাকি সময়ের সাথে মূর্খতার অবসান ঘটবে সেটা সময়ই বলে দেবে।
দেশের মানুষের নৈতিক অবক্ষয়ের পেছনে কারন কি?
মানুষ ধর্ম থেকে নৈতিকতা শিখেছে। ধর্ম বলেছেন অন্যায় করলে দোজোখে যেতে হবে।
যখন মানুষ ধর্মে বিশ্বাস কমে গেছে তখন দোজখের ভয় কমে গেছে। তাই নামাজ পড়েও দূনিতি করে যাচ্ছে।
যখন মানুষ মানবতা ভিক্তিক নৈতিকতা শিখবে তখন মানুষ অন্য মানুষের কস্ট হয় তেমন কাজ করবেনা।