নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজীবনে শুধু মানুষের গল্প শুনতে চাই, আর নিজের মত করে গল্পগুলো লিখতে চাই...

নয়ন বড়ুয়া

মানুষ দেখতে পছন্দ করি, এবং মানুষের গল্প শুনতে পছন্দ করি...

নয়ন বড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাগ্নীর অফলাইন পরীক্ষা

০২ রা মে, ২০২১ দুপুর ১২:৩২

আমার ভাগ্নীর আজ অফলাইনে বাংলা-১ম পরীক্ষা। প্রশ্ন স্কুল থেকে দিয়েছে আগেই।
ঘুম থেকে উঠলাম সকাল ৭ টায়। আমার রুমে খাতা-কলম নিয়ে বসে আছে। জিজ্ঞেস করলাম, কী করেন? বলে, মামা পরীক্ষা দিচ্ছি...
যাক, এই লক ডাউনেও বাসায় স্কুলের পরীক্ষা দিচ্ছে দেখে ভালো লাগলো। আমাদের সময় এমন হলে, আমরা নিশ্চিত কোন কথা ছাড়া সব বিষয়ে ১০০ পেতাম...
পরীক্ষা চলাকালীন দেখলাম ভাগ্নী চা বিরতি নিয়েছে। মনে মনে ভাবলাম, বাহ, ভালো তো। আগে খাওয়া-দাওয়া, পরে বাকী সব কাজ, আর এটাতো একটা সামান্য পরীক্ষা, তাও বাসাতে। ব্যাপার না, বাসায় একটু এই সুবিধা না থাকলে, সেই পরীক্ষা দিয়ে লাভ কী?
মাঝে আবার এসে ৫ মিনিট প্রশ্ন দেখলো। কী বুঝলো কী জানি, সম্ভবত প্রশ্ন পছন্দ হয় নাই, সে কার্টুন দেখতে চলে গেলো, মাইন্ড ফ্রেশ করতে।
বললাম, কী হলো আপনার? আপনি পরীক্ষা না দিয়ে কার্টুন কেন দেখতে গেলেন? বলে, মামা সুন্দরবন সম্পর্কে ৫টি বাক্যে লিখতে বলেছে প্রশ্নে, কিন্তু সুন্দরবন নিয়ে তো কোন কিছুই স্কুলে পড়াননি টিচাররা, তাই লিখবো কীভাবে? তাই কার্টুন দেখতে আসছি...
বাহ ভালো, তো আপনি কতক্ষণ কার্টুন দেখবেন?
১০ মিনিট দেখেই পরীক্ষা দিতে চলে যাবো...
আমি ফ্রেশ হওয়ার জন্য বাথরুমে গেলাম। বের হয়ে দেখি সে পরীক্ষা দিচ্ছে।
মাঝে দিদি আসলো, কী কী লিখছে তা দেখার জন্য। দেখে চলে গেলো।
কিছুক্ষণ পর দেখলাম সে বাথরুমে যাচ্ছে। প্রায় আধা ঘন্টা কাটিয়ে বের হলো। স্কুল, কলেজ, ভার্সিটিতে পরীক্ষার সময় আমরা এই পন্থা অবলম্বন করতাম। কিছু না পারলে বাথরুমে গিয়ে দেখে আসতাম। আগেই একটা বই বাথরুমের আশে-পাশে রেখে আসতাম, না পারলে দেখার জন্য...
কিন্তু আমার ভাগ্নীর যেহেতু বাসাতেই পরীক্ষা, সেহেতু তার নকল করার কোন দরকারই নাই...
বের হল বাথরুম থেকে। আবার সেই প্রশ্ন দেখছে। ততক্ষণে রিপনের কলে বাসা থেকে বের হলাম। এক ঘন্টার মত আড্ডা দিয়ে বাসায় ফিরলাম, তখনও দেখি ভাগ্নী পরীক্ষা দিচ্ছে। আমি বাথরুম গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বের হলাম, তখন দেখি সে ভাত ভাজা খাচ্ছে। তার নাকি খুবই ফেবারিট।
আমি তার জন্য বাইরে থেকে একটা ললিপপ আনলাম। বাঁশিওয়ালা ললিপপ। বাঁশি বাজানো যায় এমন ললিপপ। সেটা পাওয়ার সাথে সাথে পরীক্ষা, ভাতভাজা সবকিছু ভুলে গিয়ে দেখি বাঁশি বাজাচ্ছে...
জানি না আজ অফলাইন পরীক্ষা আদৌ শেষ হবে কী না, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, এখন সে গোপাল ভাঁড় দেখছে বাঁশি বাজিয়ে বাজিয়ে...

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০২১ রাত ১২:২১

সোহানী বলেছেন: হায় হায়... একি অবস্থা। আমার বাচ্চারা করোনা শুরু থেকে অনলাইনেই স্কুল করছে। কোন পরীক্ষা হলে টিচাররা ক্যামেরা অন রাখে পুরোটা সময়। তাদের সামনেই পরীক্ষা দিয়ে শেষ করতে হয়। এমন কি ক্লাসেও কোনভাবে ক্যামেরা অফ রাখা যায় না।

আসলে দেশে এটি নতুনতো তাই সব কিছু মিলিয়ে সময় নিচ্ছে।

২| ০৩ রা মে, ২০২১ সকাল ১০:৩৬

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন:
কতদিনপর আপু। কেমন আছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.