নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ দেখতে পছন্দ করি, এবং মানুষের গল্প শুনতে পছন্দ করি...
আমার আগের প্রেমিকার সাথে সম্পর্কের সময়কাল ছিল প্রায় পাঁচ বছর...
তার সাথে টাকার ঝামেলা হওয়ায় আমি নতুন একটি সম্পর্কের সন্ধানে বের হই এবং ভাগ্যক্রমে পেয়েও যাই। কিন্তু সেই সম্পর্ক বেশিদিন টিকেনি, মাত্র তিন মাসেই শেষ হয়ে যায়...
এরমধ্যে বাড়িতে শিফট হওয়ার কারণেই সেই প্রেমিকার সাথে বাধ্য হয়ে ব্রেকআপ করতে হয়...
তবে এবারের প্রেমিকার সাথে বর্তমানে এক মাস হলো সম্পর্ক চলছে। এরই মধ্যে দুইবার দেখা হয়েছে। এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে সে সবদিক থেকেই বেষ্ট মনে হচ্ছে—কথাবার্তায় বুদ্ধিমত্তা, কাজের আধুনিকতা এবং সবচেয়ে বড় কথা, আমাকে নিয়ে তার আগ্রহটা বেশ...
পুরুষ মানুষ একবার সেলুনের প্রেমে পড়লে আর ছাড়তে চায় না!
আমিও এখন ঠিক সেই অবস্থায় আছি...
আগের ৩-৪ জন সেলুন কর্মী তো না বলেই বিদেশ চলে গেল। কত কষ্ট করে যে এই সেলুনগুলো খুঁজে পেয়েছি, তা আমিই জানি। মাঝে একজনের কাছে গিয়েছিলাম, সে আমার চুল-দাঁড়ি এমনভাবে কাটলো যে, মনে হলো আর্মিতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন তার মধ্যে ছিল; সেই কারণেই আমাকে আর্মি কাট দিয়ে তার দায়িত্ব শেষ করেছিল!
যাই হোক, বর্তমানের এই সেলুন নিয়ে আমি খুব খুশি। তাকে আর ছাড়বো না। এর সাথেই থেকে যাব আজীবন!
আমাদের দোয়া করবেন, সে যেনো আমার চুল-দাঁড়ির কোন ক্ষতি না করে...
নয়ন বড়ুয়া
নভেম্বর, ২০২৪
১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৪৯
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: আপনার ব্যাখ্যা খুবই সুন্দর ও বাস্তবসম্মত! সত্যি বলতে, সেলুনের পরিবেশ, পরিচিতি এবং হেয়ার স্টাইলিস্টদের সাথে গড়ে ওঠা সম্পর্কই মানুষকে ওই নির্দিষ্ট সেলুনে বারবার ফিরে আসতে উৎসাহিত করে। এক্ষেত্রে আস্থা ও আরামদায়ক অভ্যাসই মূল ভূমিকা পালন করে। আপনার ব্যাখ্যার মধ্যে প্রতিটি পয়েন্ট বাস্তব অভিজ্ঞতার সাথে মিলে যায়। ধন্যবাদ, এমন একটি সুন্দর বিশ্লেষণ শেয়ার করার জন্য দাদা...
২| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:২৫
জুল ভার্ন বলেছেন: গতানুগতিক ধারার প্রেম প্রীতির বাইরে এক প্রেমকাহিনী ভালো লেগেছে।
১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫২
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা...
আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম...
৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩২
রাজীব নুর বলেছেন: সেলুনে যেতে ইচ্ছে করে না।
১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৪
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: হ্যাঁ, অনেক সময় সেলুনে যাওয়াটা ঝামেলার মনে হতে পারে। তবে নিজেকে একটু গুছিয়ে নেওয়ার পর সেই ফ্রেশ অনুভূতিটাও দারুণ লাগে!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ...
৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৫
মায়াস্পর্শ বলেছেন: অনেকদিন পর আপনার লেখা পেলাম দাদা। কেমন আছেন?
একবার ব্রেকাপ হয়ে গেলো ৭ মাস আগে। সেই দুঃখে আর সেলুনেই যাইনা।
দেখি কতদিন না যেয়ে থাকতে পারি।
১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: একবার ব্রেকাপ হয়ে গেলো ৭ মাস আগে। সেই দুঃখে আর সেলুনেই যাইনা।
দেখি কতদিন না যেয়ে থাকতে পারি।
ওহ, সেলুনের সাথে এমন একতরফা ব্রেকআপ! সেলুনের চেয়ারে বসে থাকার দিনগুলো কি আপনাকে মিস করছে না? দেখি, কে আগে হার মানে—আপনি না সেলুন!
কেমন আছেন?
ভালো আছি দাদা...
আপনি কেমন আছেন?
৫| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩
নান্দাইলের ইউনুছ বলেছেন:
ভাতিজা,
কষ্টের কতা ভি কি কমু।
আছল আর খাটি পেরেম ভি নাইক্যা।
১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:০১
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: আহা, চাচা! এই যুগে আসল-খাঁটি পিরিতির কথা বইলা লাভ কি! সবাই যে মিশ্রণ মেরে চলতেছে...
৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৯
অভিক্ষেপ বলেছেন: দোয়া রইল আপনার চুল-দাড়ি যত্নে বেড়ে উঠুক।
১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:০৩
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: দোয়ার জন্য ধন্যবাদ! চুল-দাড়ি নিশ্চয়ই আপনার দোয়ার মান রাখবে। সেলুনের সঙ্গে এই দূরত্ব টিকে থাকুক...
৭| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯
মায়াস্পর্শ বলেছেন: ওহ, সেলুনের সাথে এমন একতরফা ব্রেকআপ! সেলুনের চেয়ারে বসে থাকার দিনগুলো কি আপনাকে মিস করছে না? দেখি, কে আগে হার মানে—আপনি না সেলুন!
ব্রেকাপের যন্ত্রনায় মনে মনে মাথায় বড় একটা ঝুটি করার প্রতিজ্ঞা করেছি , বছর তিনেকের ভেতর আর প্রেম পিরিতি নাই।
আপনি কেমন আছেন?
ভালো আছি দাদা।
৮| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৯
স্প্যানকড বলেছেন:
পুরুষ মানুষের প্রেমের শুরু আছে শেষ নাই। ভালো থাকবেন।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:২৯
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: গল্পদেরও গল্প থাকে… আপনিও ভালো থাকুন।
৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৯
মিরোরডডল বলেছেন:
রম্যটা ভালোই হয়েছে নয়ন।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১০
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ, কষ্ট করে পড়ার জন্য...
১০| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫০
আজব লিংকন বলেছেন: মনে হলো আর্মিতে যোগ দেওয়ার স্বপ্ন তার মধ্যে ছিল; সেই কারণেই আমাকে আর্মি কাট দিয়ে তার দায়িত্ব শেষ করেছিল!
আমি হাসতে হাসতে শেষ। সেলুন নিয়া এইভাবে জীবনেও ভাবি নাই।
ভাইজান এরপর সেলুনে গিয়ে কাজ শেষে আপনার একটা পিকাচার দেবেন, আপনার ইস্টাইল দেখতে মন চায়।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১১
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: হাহাহ, ঠিকাছে...
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ঠিকই বলেছেন পুরুষ মানুষদের চুল কাটার সেলুনে বিশেষ এক ধরনের ভালোবাসা বা আকর্ষণ তৈরি হতে পারে, যা
একবার শুরু হলে সহজে থামে না। এই অনুভূতির পেছনে অবশ্য বেশ কিছু কারণ রয়েছে যা এই আকর্ষণকে ধরে
রাখে।
১. পরিচিতি ও অভ্যাস
পুরুষরা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সেলুনেই চুল কাটাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। সময়ের সাথে পরিচিত সেলুনের
পরিবেশ, কর্মচারীদের সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ এবং কমফোর্ট জোন গড়ে ওঠে। এমনকি হেয়ার স্টাইলিস্টও
তাদের পছন্দ, চুলের ধরন ও স্টাইল সম্পর্কে ভালোভাবে জানেন। এই ধারাবাহিকতা তাদের জন্য আরামদায়ক
হয়ে ওঠে, ফলে তারা ওই সেলুনেই ফিরে যেতে পছন্দ করেন।
২. বিশ্বাস ও সন্তুষ্টি
বিশ্বাস একটি বড় কারণ যা মানুষকে নির্দিষ্ট সেলুনে বেঁধে রাখে। একজন হেয়ার স্টাইলিস্ট যখন কয়েকবার
সঠিকভাবে চুল কাটেন বা স্টাইলিং করেন, তখন ক্লায়েন্টের মধ্যে এক ধরনের বিশ্বাস তৈরি হয়। চুল কাটানোর
সময় সঠিক স্টাইল পাওয়ার নিশ্চয়তা এবং পছন্দমতো পরিষেবা পাওয়ার জন্য তারা সেই সেলুনে ফিরে যেতে
থাকেন।
৩. বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক
অনেক সময় সেলুনের কর্মচারীদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একাধিকবার যাওয়া আসার মাধ্যমে তাদের
সাথে ব্যক্তিগত আলাপ হয়, এমনকি জীবনের বিভিন্ন দিক শেয়ার করেন। এই সম্পর্কগুলোও মানুষকে সেই সেলুনে
ফিরে আসতে উদ্বুদ্ধ করে। অন্য কোথাও গেলে নতুন করে সেই বন্ধুত্ব গড়ে তোলা কঠিন, যা তাদের পুরোনো
সেলুনেই আকর্ষিত রাখে।
৪. আরামদায়ক পরিবেশ ও পরিষেবা
একটি ভালো সেলুনের পরিবেশই মানুষকে সেখানকার নিয়মিত গ্রাহক করে তোলে। সেলুনের সজ্জা, পরিষ্কার
-পরিচ্ছন্নতা, আরামদায়ক চেয়ার, টিভি বা মিউজিক প্লেয়ার ইত্যাদি ব্যাপারগুলোও একটি ভালো অভিজ্ঞতার অংশ।
অনেক সময় সেলুনে বোনাস হিসেবে শেভিং, ম্যাসাজ, ফেসিয়াল ইত্যাদির সুযোগ থাকে, যা তাদেরকে আরও বেশি
আনন্দ দেয়। এই আরামদায়ক পরিবেশেও অনেকেই অভ্যস্ত হয়ে যান।
৫. সামাজিক সংযোগ
অনেক সময় সেলুনে বসে নিজের এলাকার অন্য লোকদেরও দেখা মেলে, যা একটি সামাজিক সংযোগ তৈরি করে।
এই আলোচনার মধ্যে নানা বিষয় উঠে আসে যা একটি পরিচিতির আবহ তৈরি করে। ফলে পুরুষদের মধ্যে সেই
সেলুনে ফিরে আসার আকর্ষণ বাড়ে।
৬. কম খরচ এবং সহজলভ্যতা
কিছু কিছু পুরুষ সেলুনের খরচ এবং পরিষেবার মূল্যায়ন করে এটি একটি অভ্যাসে পরিণত করে। একটি নির্দিষ্ট
সেলুনে খরচ ও পরিষেবার তুলনা করে এবং ভালো সেবা পেয়ে সেটিকে নির্ভরযোগ্য মনে করে।
এসব কারণেই পুরুষ মানুষ একবার কোনো সেলুনের প্রেমে পড়ে গেলে সেটি সহজে ছাড়তে চান না।