![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের সুদিন দেখার অপেক্ষায়....
১৯৭৩ সালের ১৭ই অক্টোবর তারিখে ১৯৭৩ এর তেল
সংকটের সূচনা হয়। এই দিনে তেল
রপ্তানীকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক আরব-
ইসরাইল যুদ্ধের প্রতিক্রিয়া হিসাবে
ঘোষণা করে যে, ইসরাইলকে সমর্থনদানকারী
কোনো দেশে তারা তেল সরবরাহ করবে না।
ওপেকের অধিকাংশ সদস্যই ছিলো আরব রাষ্ট্র।
এই ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্র, পশ্চিম ইউরোপ, এবং জাপানে
তেল সরবরাহ বন্ধ হয় যায়।
একই সময় ওপেকের সদস্য দেশগুলো
আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মূল্য
নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। খনিজ
তেলের উপরে শিল্পোন্নত বিশ্বের
নির্ভরতার সুযোগে ওপেকের সদস্য রাষ্ট্ররা
একচেটিয়া ভাবে তেলের দাম বাড়িয়ে
দেয়। ফলে পশ্চিমা বিশ্বের অর্থনীতিতে
সংকটের সূচনা হয়। এই তেল সংকটের
মোকাবিলা করতে পশ্চিমা দেশগুলো
বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে তেলের উপরে
নির্ভরতা কমাতে সচেষ্ট হয়।
#পটভূমি#
ওপেকের প্রতিষ্ঠাঃ
ওপেক প্রতিষ্ঠিত হয় ১৩টি তেল
রপ্তানীকারক রাষ্ট্র নিয়ে, যাদের মধ্যে
ছিলো ইরান, সাতটি আরব রাষ্ট্র,
ইন্দোনেশিয়া , নাইজেরিয়া , ঘানা , এবং
ভেনেজুয়েলা । ১৯৬০ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর
ওপেক প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এর প্রাথমিক
লক্ষ্য ছিলো মার্কিন, ব্রিটিশ ও ওলন্দাজ
তেল কোম্পানীগুলোর প্রভাব কমানো।
শুরুতে এটি তেল রপ্তানীকারক দেশগুলোর
অনানুষ্ঠানিক দরকষাকষিকারক সংগঠন হিসাবে
ভূমিকা পালন করতো। তবে ১৯৭০ এর দশকের শুরু
হতে ওপেকের প্রভাব বিস্তৃত হয়।
ইয়োম কিপ্পুর যুদ্ধেরঃ
আরব-ইসরায়েলী সংঘাত ও যুদ্ধের জবাব
দেয়ার মাধ্যমে ওপেক একটি প্রভাবশালী
সংগঠন হিসাবে আবির্ভূত হয়। ১৯৬৭ সালের ছয়
দিনের যুদ্ধের পরে ওপেকের আরব সদস্যরা
অর্গানাইজেশন অফ আরব পেট্রোলিয়াম
এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ নামে একটি সংগঠন
প্রতিষ্ঠা করে, যার উদ্দেশ্য ছিলো
ইসরাইলের সমর্থক পশ্চিমা রাষ্ট্র সমূহের
উপরে চাপ সৃষ্টি করা। পরে ১৯৭৩ সালের ইয়োম
কিপ্পুর যুদ্ধের পরে আরব অসন্তোষ আরো
বৃদ্ধি পায়, এবং এই যুদ্ধের সময় ১৯৭৩ সালে
আরব দেশগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পশ্চিম
ইউরোপ, এবং জাপানে তেল রপ্তানীর উপরে
নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
অবশ্য আরব-ইসরায়েলী যুদ্ধের আগে থেকেই
তেল সংকট ঘনীভূত হচ্ছিলো। পশ্চিমা
রাষ্ট্রগুলোতে শক্তির চাহিদা বছরে ৫% করে
বাড়ছিলো, কিন্তু তেলের দাম কম থাকাতে
তেল উৎপাদক দেশগুলো এর সুফল অল্পই ভোগ
করেছে। তখনকার দিনে বিশ্বের দ্বিতীয়
বৃহত্তম তেল উৎপাদক দেশ ইরানের শাসক শাহ ১৯৭৩
সালে নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেয়া
সাক্ষাতকারে বলেছিলেন:
“ Of course [the world price of oil] is going to
rise, Certainly! And how...; You [Western
nations] increased the price of wheat you sell
us by 300%, and the same for sugar and
cement...; You buy our crude oil and sell it
back to us, refined as petrochemicals , at a
hundred times the price you've paid to us...;
It's only fair that, from now on, you should
pay more for oil. Let's say ten times more. "
©somewhere in net ltd.