নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাঙালি জাতির মতোই আমার অবস্থা নাজুক। মৌলিক এবং সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত এ জাতির অবলা এক নাগরিক মাত্র।

অবলা জাতি

দেশের সুদিন দেখার অপেক্ষায়....

অবলা জাতি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের মস্তিষ্ক সম্পর্কে বিস্ময়কর ও অজানা তথ্য (সভ্যতার এক বিস্ময়কর তথ্য)

২৫ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭

১. উড়োজাহাজ এবং মাথাব্যথাঃ একটি গবেষণা প্রমাণ করেছে
উড়া এবং মাথাব্যথার মধ্যে যোগাযোগ রয়েছে। বলা হয়েছে যারা
প্লেন চালায় তাদের মধ্যে ৬ ভাগ লোক বেশি মাথাব্যথায়
আক্রান্ত হয় যারা উড়োজাহাজে ভ্রমণ করছে তাদের
অপেক্ষা।

২. হাত সাফাইঃ ভোজবাজি বা জাদু দেখানো মস্তিষ্কের
পরিবর্তন আনতে পারে সাত দিনের চেয়েও কম সময়ে। সমীক্ষণ
দেখিয়েছে নতুন কিছু শেখা মস্তিষ্কে খুব দ্রুত পরিবর্তন
আনতে পারে।

৩. ডিজনি এবং ঘুমঃ স্লিপ মেডিসিন নামক একটি জার্নালে
প্রকাশিত হয়েছে যে কীভাবে মায়া ডিজনি খেলায় বিভিন্ন
প্রাণীদের দিয়ে তাদের ঘুমের বিচ্ছেদ ঘটিয়ে খেলার নানা
কৌশল শেখাতে গিয়ে।

৪. চোখ টেপাঃ প্রত্যেক সময় আমরা চোখের পাতা ফেলি এবং
মস্তিষ্ক এটা করে এবং সব সময় সব কিছু দৃশ্যমান রাখাও যাতে
পুরো পৃথিবী আমাদের সামনে অদৃশ্য না হয় যখন আমরা চোখের
পাতা ফেলি। আমরা দিনের ভেতর প্রায় বিশ হাজার বার চোখের
পাতা ফেলি।

৫. হাসিঃ কোনো কিছু শুনে বা দেখে হাসি পাওয়া এত সোজা নয়
কারণ এর জন্য মস্তিষ্কের ৫টি অঞ্চলকে সক্রিয় হতে হয়।

৬. হাই সংক্রামকঃ কখনো লক্ষ করেছেন আপনার হাই তোলার
পর আপনার চারপাশের লোকজন কী করছে? দেখা যাবে তারাও
হাই তুলছে। কারণ বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন এটা প্রাচীন
মানুষের সামাজিক আচরণের একটি অংশ।

৭. মস্তিষ্কের সংরক্ষণঃ হার্ভার্ড প্রায় ৭০০০ মস্তিষ্কের
সংরক্ষণ করেছেন।

৮. বাহ্যিক এলাকাঃ মহাবিশ্বের ঘনত্বের হেরফের মস্তিস্ককে বিভিন্ন উপায়ে আঘাত করে। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন কীভাবে এবং কেন মানুষ চাঁদে পা রাখতে চায়।

৯. গানঃ গান শুনলে বড় এবং ছোট উভয়ের মস্তিষ্কের
ক্রিয়াশীলতা বুদ্ধি পায়।

১০. চিন্তাঃ মানুষের চিন্তা যা তারা বিশ্বাস করে তার সম্মুখীন
হয় তারা প্রায় ৭০,০০০ বার।

১১. সব্যসাচীঃ যারা বামহাতি বা সব্যসাচী তাদের মস্তিষ্কের
দুটি খণ্ডের সংযোজক অঙ্গ যার নাম করপাস কোলোসাম যেটি
১১ ভাগ বেশি চওড়া ডানহাতি লোকদের তুলনায়।

১২. চাপসম্পন্ন কাজঃ একটি সমীক্ষণে দেখা যায় প্রথমে
হিসাবরক্ষক, তারপর লাইব্রেরিয়ান, তারপর বাস ও ট্রাকচালক
সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথায় ভুগে থাকে।

১৩. অ্যারিস্টটলঃ অ্যারিস্টটল ভুলবশত ভেবেছিলেন
মস্তিষ্কের সব কাজ হৃৎপিণ্ডে ঘটে।

১৪. স্বজাতি ভক্ষণঃ কিছু পরীক্ষা প্রমাণ করেছে যে, মানুষের
দেহে এমন কিছু জিন রয়েছে যা তাদের স্বজাতি ভক্ষণ রোগ
থেকে দূরে রাখে। এ থেকে ধারণা করা হয় যে আদিকালের মানুষ
তাদের নিজেদের মাংস ভক্ষণ করত।

১৫. শেক্সপিয়ারঃ ব্রেইন শব্দটি শেক্সপীয়রের শেক্সপিয়ার
প্রায় ৬৬ বার ব্যবহার করেছিলেন।

১৬. আলবার্ট আইনস্টাইনঃ আইনস্টাইনের মস্তিষ্কের আকার
সাধারণ মানুষের মস্তিষ্কের আকারের সমান ছিল। শুধু
মস্তিষ্কের যে অংশ গণিত এবং তৎসংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত
সেটি আকারে ভিন্ন ছিল। ওই অংশটি প্রায় ৩৫ ভাগ চওড়া
ছিল সাধারণ মানুষের তুলনায়।

১৭. লন্ডনের টেক্সি ড্রাইভারঃ লন্ডনের টেক্সি চালকরা
বিখ্যাত ছিল লন্ডনের মতো বিশাল এলাকায় রাস্তাঘাট চেনার
জন্য। তাদের মস্তিষ্ককে বলা হতো হিপোক্যাম্পাস বা বিশাল
অঞ্চল। বিশেষত যারা অনেক দিন ধরে টেক্সি চালায়। এ জন্য
যারা বেশি মনে রাখতে চায় তাদের মস্তিষ্ক ক্রমান্বয়ে বড়
হতে থাকে।

১৮. সপ্তম লেনিনঃ লেনিনের মৃত্যুর পর তার মস্তিষ্ক পরীক্ষা
করে দেখা গেছে তার মস্তিষ্ক অস্বাভাবিকভাবে বড় এবং কিছু
অংশে অসংখ্য নিউরন রয়েছে যা ব্যাখ্যা দান করে তার তীব্র
এবং আক্রমণাত্মক তীক্ষ্ন অত্যাচারী মনোভাবের এবং যার
জন্য তিনি বিখ্যাত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.