![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশের সুদিন দেখার অপেক্ষায়....
পাক-ভারত সীমান্ত উত্তেজনায় টালমাটাল তখন পাশ্ববর্তী দেশগুলো কষছে সামরিক শক্তির হিসেব নিকেশ। পাকিস্তান না ভারত? সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে কিংবা তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে? কার সাথে কোন দেশ আছে? এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন যাবৎ কানাঘুষি চলছে।
কিন্তু এ বিষয়গুলো আমার মূল প্রতিপাদ্য বিষয় নয়। আমার প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষ পাক-ভারত উত্তেজনাটা কীভাবে দেখছে এবং কাশ্মীরকে তারা কোন পক্ষে চায়। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, বাংলাদেশের ৬০-৬৫ শতাংশ মানুষ পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করেছে। যদিও ১৯৭১ সালে ভারত আমাদের পাশে ছিল কিন্তু ভারতের এ সময়ে বাংলাদশের অধিকাংশ মানুষ কেন পাকিস্তানের পক্ষ নিচ্ছে? ফেসবুক কিংবা ব্লগিং সাইটে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে কথা বলছে!
[বিঃ দ্রঃ বাংলাদেশ সীমান্তে প্রতিদিন নির্বিচারে হত্যা, ICC= Indian Cricket Council এই বিষয়গুলো এড়িয়ে যাওয়া যাক।]
কাশ্মীর নিয়ে উত্তেজনায় বাংলাদেশের কাছে ধর্ম একটা বড় ফ্যাক্টর। এখানে ধর্ম নির্ধারন করে দিয়েছে এদশের জনগনকে কার পক্ষ নিবে। এমনিতেই ভারতে চলছে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা। মুসলমানদের প্রতি পদে পদে শোষন ও অত্যাচারের শিকার। সেখানে উগ্র হিন্দুত্ববাদের শিকারে প্রতিনিয়ত প্রাণ দিতে হচ্ছে মুসলিমদের। সেদিনও পত্রিকায় দেখলাম, গরুর মাংস সরবরাহ করায় ভারতে এক মহিলাকে গণধর্ষনের শিকার হতে হয়েছে। তারও আগে পত্রিকায় আসে, ফ্রিজে গরুর মাংস সরবরাহ করায় একজনকে মেরেই ফেলা হয়েছে। এরকম হাজার হাজার ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে, তার কতটুকুইবা আমাদের কানে আসে।
কিন্তু এসব বিষয় বাংলাদেশের মানুষকে একটা জিনিস অনুধাবন করতে শিখিয়েছে যে, ভারতের কাছে মুসলমানরা নিরাপদ নয়, কাশ্মীরও অনিরাপদ। স্বয়ং কাশ্মীরের মানুষ ভারতে থেকে মুক্তি চায়।
কাশ্মীর যদি পাকিস্তানের সাথে একীভূত হয় কিংবা পাকিস্তানের সহায়তায় একক রাষ্ট্র গঠণ করতে সক্ষম হয় তাহলে বাংলাদেশের ঐ ৬০-৬৫ শতাংশ মানুষ একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবে। ধর্মের ভাইদের মুক্তিতে আনন্দ মিছিল করবে। এটাই স্বাভাবিক।
যদিও আওয়ামীলীগ সরকার ভারতকে বরাবরের মতো সমর্থন জানিয়ে আসছে। কিন্তু আওয়ামীলীগের কথা জনগনের মতামত নয়। কারণ, আওয়ামীলীগের অধিকাংশ সাংসদ, মন্ত্রী বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামীলীগ ক্ষমতার গদি পাকাপোক্ত করার জন্য ভারতকে ট্রানজিট দিয়েছে, রামপাল চুক্তি করেছে, সবশেষে কাশ্মীর উত্তেজনায় ভারতকে সমর্থন দিয়েছে। যেখানে, আমেরিকা এবং রাশিয়ার মত পরাশক্তি স্পষ্ট করে কারো পক্ষে অবস্থান নেয় নি। এমতাবস্থায় আওয়ামীলীগ সরকারের উচিৎ ছিল চুপ থাকা, আগ বাড়িয়ে কিছু না বলা।
তবে এ দেশের সাধারণ জনগনের কিছু অংশ চায় যুদ্ধটা হোক। তাহলে প্রমান হয়ে যাবে কার দৌড় কতটুকু। এ দেশের ৪০-৪৫ শতাংশ মানুষের ধারণা ভারত থেকে পাকিস্তান সামরিকভাবে শক্তিশালী। তাদের মধ্যে এ ধারণা জন্মেছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিডিও দেখে।
সামরিক এবং পারমানবিক শক্তিতে যে কোন এগিয়ে থাকতে পারে কিন্তু যুদ্ধের সুদূরপ্রসারী প্রভাব যে কতটুকু, তা গত শতকে মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে। তাই অত সহজে কোন দেশই যুদ্ধে জড়াবে না। কেননা, যুদ্ধের ফলশ্রুতিতে দুটি দেশের অর্থনৈতিক কাঠামো পুরোপুরিভাবে ভেঙ্গে পড়বে।
বাংলাদেশের কিছু মানুষ (একেবারেই সাধারণ) অাবার মনে করে যুদ্ধ হবে। তবে অধিকাংশরাই মনে করেন যে, যুদ্ধটা আর বাস্তবে রূপ নিচ্ছে না। সীমান্তে দু’একটা ছোটখাট ঘটনা ঘটতে পারে। বড় কোনো যুদ্ধ বা সংঘাতের কথা সবাই উড়েয়ে দিয়েছেন। এর পেছনে অবশ্য ভারতের সংযত আচরন এবং কূটনীতি সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছে। কারণ, ভারত জানে তারা যদি যুদ্ধটা শুরু করে তাহলে পাকিস্তান সর্বাত্মকভাবে শেষ পরমানু অস্ত্র পর্যন্ত লড়ে যাবে। এর ফলে, দক্ষিণ এশিয়া থেকে ভারত ও পাকিস্তানের সাথে ছোট ছোট দেশগুলো (যেমন- বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল) মানচিত্র থেকে মুছে যেতে পারে। তাই ভারত নিজের অস্তিত্ব রক্ষার্থে যুদ্ধটা এড়িয়ে যেতে চাইছে। দক্ষিণ এশিয়াকে বাঁচাতে এটাই সবোৎকৃষ্ট পন্থা।
বাংলাদেশের জনগণ কাকে সমর্থন করছে কিংবা আওয়ামীলীগ সরকার কী যুদ্ধ হলে ভারতে সৈন্য পাঠাবে, এটা বড় বিষয় নয়। বড় বিষয় হচ্ছে যুদ্ধটা আর হচ্ছে না। এজন্য ভারতকে আমি কি ধন্যবাদ জানাবো???
না, এখনও ধন্যবাদ জানানোর মতো সময় হয়নি। কারণ, কাশ্মীর কিন্তু এখনও অমিমাংসিত রয়ে গেছে। কাশ্মীরের মানুষ ভারতের সাম্প্রদায়িকতার কাছে জিম্মি। তারা মুক্তি চায়। স্বাধীনতা চায়।
ধর্মের ভাই হিসেবে এদেশের ৬০-৬৫ শতাংশ মানুষও কাশ্মীরের বিষয়ে সমঝোতা চায়। ভারত থেকে কাশ্মীরের বিভাজন চায়। তাই কাশ্মীর উত্তেজনায় বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগন পাকিস্তানের সাথেই থাকবে আজীবন। ভারতে মুসলমানরা সবসময় অনিরাপদ, তাদের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। পাকিস্তান মুসলিমপ্রধান দেশ। সেখানেই হোক কাশ্মীরদের ঠিকানা কিংবা স্বাধীনতা লাভ করুক নতুন রাষ্ট্র হিসেবে। এটাই ধর্মের ভাই হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা সকলের।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:৪৫
মোঃ আক্তারুজ্জামান ভূঞা বলেছেন: আমরা শান্তির পক্ষে।