নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ধকারের বাসিন্দা

অন্ধ আবেগ কোন যুক্তি মানে না। চুপ করে থাকাই বোধহয় ভাল।

Ðârķŋễšs

অন্ধকারের বাসিন্দা :)

Ðârķŋễšs › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বপ্ন ছোঁয়ার মহাশিক্ষা পাঠশালা - (আলোকিত সমাজ চাই)

২০ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১:২৫

এলাকায় শিক্ষিত যুবকরা শিক্ষাদান করছেন বিনাশ্রমে। খোলা আকাশের নিচেই চলে ক্লাস। তবুও দিনদিন বাড়ছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। পাঠশালাটির জন্য এখনও নির্ধারণ করা হয়নি কোনো স্থান। যখন যেখানে সুযোগ মেলে সেখানেই দেয়া হয়ে থাকে শিক্ষাদান। ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে এভাবেই চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেধাবী ছাত্র এম কাবিল উদ্দিনের উদ্যোগে গড়ে তোলা দামুড়হুদার জয়রামপুরের 'মহাশিক্ষা পাঠশালা'র কার্যক্রম। দেশ ও জাতির উন্নয়নে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড । যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। সুশিক্ষা সমাজ, জাতি তথা দেশকে উন্নয়নের স্বর্ণ শিখরে পৌঁছে দিতে পারে। এ রকম মহতী চিসাধারা থেকে শিক্ষা বিসারে ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া এক মেধাবী ছাত্র। এলাকার ঝরেপড়া ছেলেমেয়েদের নিয়ে তিনি দামুড়হুদার জয়রামপুর বারুইপাড়ায় গড়ে তুলেছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মায়ের নামে প্রতিষ্ঠা করেছেন সালেহা খাতুন (এসকে) মহাশিক্ষা পাঠশালা। দামুড়হুদার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর বারুইপাড়ার মৃত আবদুল হামিদের ছেলে এম কাবিল উদ্দিন সালেহী। কাবিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ বিএসসি অনার্স চতুর্থ বর্ষের অষ্টম সেমিস্টারের ছাত্র। কাবিল ২০১০ সালের ৬ জুন গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন এসকে মহাশিক্ষা পাঠশালা নামক একটি প্রাক-প্রাইমারি প্রতিষ্ঠান। শুরুতেই ওই পাঠশালায় মাত্র ছয়জন শিক্ষার্থী থাকলেও বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১০০ ছুঁয়েছে।



প্রথম শিফটে ৪ থেকে ৫ বছরের বাচ্চাদের আর দ্বিতীয় শিফটে যারা মাঠে (কামলা) কাজ করে তাদের নিয়ে মহাশিক্ষা নাইট স্কুল নামে রাতের বেলায় শিক্ষাদান করে থাকেন। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে এ পর্যস প্রতিষ্ঠানটিতে হতদরিদ্র বাচ্চাদের লেখাপড়া করার সব সামগ্রী নিজের থেকে বহন করছেন। কাবিল টিউশনি করে যে টাকা পান সেই টাকা দিয়ে নিজের পড়ালেখার খরচ মেটানোর পর যে টাকা থাকে সেই টাকা আর তুষার, সাকিব, শাহিন, জামিরুল, জাকির, আশিক, সোহেল ও আমিন এই আট বন্ধুর খাতা, কলম, বই ও টাকায় পাঠশালাটি পরিচালিত হয়। মহাশিক্ষা প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই একজন শিক্ষিকা বিনা বেতনে বাচ্চাদের পাঠদান করে আসছেন। তার এই মহাশিক্ষা কেন্দ্রের পাঠদান চলে খোলা আকাশের নিচেই। ২৮ নভেম্বর দামুড়হুদা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরজাহান বেগম কাবিলের অনুরোধে প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শন করেন। তিনি তার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। এছাড়া তার পক্ষে যা যা সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা সম্ভব হবে, তা প্রদান করবেন বলে আশ্বস করেন। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রতিষ্ঠার সাড়ে ৩ বছরের মাথায় প্রথমবারের মতো ১৫ ডিসেম্বর ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ পাঠশালায় এলাকায় শিক্ষিত যুবকরা শিক্ষাদান করছেন বিনাশ্রমে। বিদ্যালয়ে শিক্ষার মানে খুশি সচেতন শিক্ষানুরাগীমহল। খোলা আকাশের নিচেই দেয়া হয়ে থাকে শিক্ষাদান। তবুও দিনদিন বাড়ছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা। মহাশিক্ষা পাঠশালাটির জন্য এখনও নির্ধারণ করা হয়নি কোনো স্থান। যখন যেখানে সুযোগ মেলে সেখানেই দেয়া হয়ে থাকে শিক্ষাদান। ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্রতিষ্ঠিত পাঠশালাটি যাতে উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি লাভ করে সেদিকে সমাজের বিত্তবান, শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবক সবার সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া উচিত বলেই মন্তব্য করেছে সচেতনমহল।





ফেচবুকে: সালেহা খাতুন মহাশিক্ষা পাঠশালা





কার্টেসিঃ বিস্তারিতও দেখুন

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে মার্চ, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬

আমিনুর রহমান বলেছেন:




চমৎকার উদ্যোগ। এম কাবিল উদ্দিন সালেহীকে স্যালুট।
আপনাকে ধন্যবাদ শেয়ারের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.