![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রানা প্লাজার গ্রাউন্ড ফ্লোরে নামাজ পড়ার জন্য একটি স্হান ছিল। গ্রাউন্ড ফ্লোরটি মূলত গাড়ী পাকিং এর জন্য নিধারিত ছিল। পাকিং এর সামনের দিকে নামাজের স্হানটি ছিল। অথাৎ ঠিক ব্র্যাক ব্যাংকের নিচে ছিল নামাজের জায়গাটি।
সাভার বাজারে থাকা অবস্হায় যখন নামাজের সময় হত, তখন রাস্তার পাশে থাকায় এখানে প্রায়ই নামাজ পড়তে যেতাম। ঢুকার সময় ভয় ভয় লাগত। কারন গ্রাউন্ড ফ্লোরটি অনেক নিচু ছিল । ভেতরে প্রচুর গরম, বাতাসের অভাবে নিশ্বাস প্রায় বন্ধ হয়ে আসতো। নামাজ শেষে যখন বেড় হয়ে আসতাম, তখন মনে হতে- আহ! বাচলাম। তারপরও যেতাম বাস কাউন্টার থেকে কাছে ছিল বিধায়।
লোকদের মুখে শুনতে পেলাম- নামাজ স্হানটি যেখানে ছিল, সেই স্হানটি অক্ষত। অথাৎ উপর থেকে ব্র্যাক ব্যাংক পর্যন্ত ধসে পড়েছে। তারপর থেকে অক্ষত। বিষয়টি আশ্চার্যজনক।
এই ঘটনা থেকে একটি বিষয় বেশ প্রকাশ হয়ে পড়েছে- তাহল আমাদের দূর্ঘটনা মোকাবিলায় অনেক অভাব রয়েছে। অনেক অবাক লাগছে- একটি ভবনের উদ্ধার কাজ করতে গিয়ে আমরা সেনা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, জনগণ, সরকার হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি। নেই পর্যাপ্ত পরিমান অকসিজেন, লাইট, মই, হাতুড়ি, শাবাল, আধুনিক মেশিনারিজ – যা থাকাটা খুবই স্বাভাবিক ছিল। সাথে কোন মেডিকেল টিম নেই। সাথে সাথে ফিতা দিয়ে স্পর্টকে কর্ডন করা হয়নি। নেই কোন সমন্বিত প্রচেষ্টা। সবাই কেমন আনাড়ির মত যে যার মতো কাজ করছে। অনেককেই অসহায়ের মতে দাড়িয়ে থাকতে দেখেছি। অথচ তার পায়ের নিচ থেকে ক্ষীণ কন্ঠের কাতরতা- ভাই বাচান, ভাই বাচান। সেনা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস কাউকেই প্রফেশনাল মনে হয়নি। খুবই স্লো গতিতে কাজ হচ্ছে। আমার মনে হয়েছে- প্রশিক্ষণ এবং অভিগ্তারও অভাব রয়েছে সকলের।
বিষয়গুলো কাটিয়ে উঠাটা অনেক দরকার। বিশেষ করে সরকারের এ দিকে যথেষ্ট পরিমান নজর দেয়া দরকার।
২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:০৫
তানিম৭১৯ বলেছেন: "নেই কোন সমন্বিত প্রচেষ্টা। সবাই কেমন আনাড়ির মত যে যার মতো কাজ করছে।"
ভাই কি বললেন ! যে যেভাবে পেরেছে জানপ্রাণ দিয়ে সাধ্যমত কাজ করেছে এবং করছে যা দেখে আবেগ ধরে রাখা যায়না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:০৯
কাজী মামুনহোসেন বলেছেন: সহমত.....
(ছবি কথা কয় পর্ব ৭)
ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ল মানবতা