![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পহেলা বৈশাখ আসলেই দেখা যায়-
জনৈকা সাহেবা রমনী চিরদিনের অভ্যাস পরিত্যাগ পূর্বক সাত সকালেই ঘুম হইতে উঠিয়া রমনা বটমূলের পাদপ্রান্তে বসিয়া ক্ষনেক গান উপভোগ পূর্বক উত্তেজনায় স্বীয় প্রতিভা বিকাশের অমূল্য সময়জ্ঞান ধার্য করিয়া সুললিত কোকিল কন্ঠের পরিবর্তে বিগলিত ফ্যাসফ্যাস কন্ঠে গোঁ গোঁ ধরিয়া উঠেছেন।
অতঃপর পাশের রেস্তোরা কিংবা ফুটপাতের ধারে (সাংঘাতিক) তন্ময় চিত্তে বসিয়া 'গরম ভাতে পানি দেওয়া' পান্তা-র পানে ক্ষনেক স্থির দৃষ্টি জ্ঞাপন পূর্বক পান্তা-ইলিশ ভক্ষনে আত্মনিমগ্ন হইবেন। সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। তিনি না পারছেন ইলিশের কাঁটা বাছিতে, না পরছেন এড়াইতে। তিনি চামচাভোজী, হস্তে তাহার চলিবে কেমনে? কিন্তু উপায় নাই, তাই তো হস্তের প্রয়োগ-অপপ্রয়োগে তাকে এক প্রকার হস্তিনীই সাজিতে হইল।
তিনি ইলিশকে মটকাইয়া পান্তাকে চটকাইয়া একপ্রকার খাওয়ার উপক্রম করিতেছেন। উফফ! ড্যাম! তিনি পান্তা খাইতে গিয়া হাতের পুরো কব্জিটাই ডুবিয়ে দিলেন!!
তিনি 'ভাত' আর 'মিনারেল ওয়াটার' কে আলাদা করতে পারছেন না। নলা মুখে পুড়িবার সময় তো পান্তার জল তার হস্ত বহিয়া চুহিয়া চুহিয়া গড়াইতে লাগিল। তার উপরে আবার লজ্জায়-গরমে ওদিকে একেবারে ঘাম ছুটে তরতর করে ফোঁটায় ফোঁটায় পড়ছে, কয়েক ফোঁটা যে ঐ পান্তার মধ্যেও পড়ছে সে ব্যাপারে দিব্যদৃষ্টি দেয়ার সময় নেই। এ যেন স্বয়ং ব্রক্ষ্মার দেয়া অমৃত, সব সই।
এমতে তিনি বহুকষ্টে অর্ধেক প্লেট শেষ করিয়া উঠিয়া বলিবেন- 'বাব্বাহ! খামাখা ১০০০ টাকা প্লেট?'
©somewhere in net ltd.