![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রসঙ্গ শুরুর আগে একটা গল্প (কাল্পনিক) বলি- এক লোকের ছেলে হ'ল। তো সে কুরআন শরীফ থেকে আরবী শব্দ খুঁজে নাম রাখল 'খিঞ্জির আলী'। সে ভেবে থাকল 'বেশ আরবী নাম রাখা হল', অথচ সে জানলই না যে 'খিঞ্জির' মানে হল 'শুয়োর'। আরবী হলেই যেমন ভাল নাম হয় না, তেমনি মুখে মধু মধু কথা শোনালেই সে নিষ্পাপ ভাল মানুষ (জনদরদী) হয় না। চারপাশে অনেক কিছুই জানার-দেখার আছে, শুধু জানার ও দেখার ইচ্ছা থাকলেই অনেক রহস্যাবৃত বিষয় উন্মোচন হয়ে যায়।
এখন তার কথায় আসি। আমি জানতাম উনি আইন নিয়ে লেখা পড়েছেন, তাই যদি হয় তা হলে তিনি কিভাবে এ কথা বললেন? আর বাংলাদেশের আইনে কোথায় লেখা আছে যে কোন অপরাধের শাস্তি কানে ধরানো এবং নাকে খদ দেয়ানো? (সে কি আসলেই পরীক্ষা দিয়া আইন পাশ করেছে?) তিনি অনেক বিজ্ঞবান, নীতিবান। সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি নির্ভীকভাবে অনেক কথা বলেন। আর তাতে 'এইতো পেয়েছি', 'বাংলায় আবারও বুঝি একজন এল' বলে যারা মাতম তুলছেন, তারা কি ইতিহাস ভুলে গেছেন?
চোরপুত্র আন্দালিব পার্থ তৃতীয় মাত্রায় এসে নিতিবাক্য শোনায়!! চোর বাপের রাজত্ব ভাঙিয়ে রাজনীতি শেখায়।
এই পার্থ কোটি মানুষের সামনে বলে 'ব্লগারদের কানে ধরিয়ে রাস্তায় বসিয়ে রাখতে হবে!'
অথচ যদি আমি কম করে, মানে একেবারে খুবই কম করেও যদি ধরি, তারপরেও আমি বুকে হাত রেখে বলতে পারি পার্থ আর তার পরিবার কম করে হলেও ৪ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার মালিক। এরশাদ যখন জেলে যায় তখন 'নাজিউর রহমান মঞ্জুরের' কাছে বিশ্বাস করে তার দূর্নীতির ২,৫০০ কোটি টাকা জিম্মা রেখে যায়।
কারন সব চোরদের ভেতর এরশাদের সবচাইতে বিশ্বাসী চোর ছিলো কাজী জাফর আর নাজিউর রহমান মঞ্জুর। এই মঞ্জুর সেই ২,৫০০ কোটি টাকা মেরে দিয়েছিলো দিনের আলোতেই। কিচ্ছু করতে পারেনি এরশাদ। দিনের আলোতে, বন্ধুদের আড্ডায় এই নাজিউরের ছোট ছেলে অঞ্জনই মানুষকে বলে বেড়াত "এরাশাদের পাছায় সোয়াপ করে আমার বাপ টাকা বের করে এনেছে"।
আলদালিব পার্থ সাহেব আজ অনেক বড় ধার্মিক মানুষ। ......!!!!!!
অথচ তিনি বিবাহিত হওয়ার পরও এক WHITE মেয়েকে নিয়ে ইউরোপ ঘুরেছেন বেশ কয়েকবার। ব্যাপারটা যে আমরা জানি, তিনি মনে হয় এটা জানেন না।
আলদালিব পার্থ সাহেব এর কি মনে পড়ে, তার অর্ধ মাতাল বন্ধুরা পুরো মাতাল আন্দালিব পার্থকে ইস্ট লন্ডনে ব্ল্যাক ক্যাবে উঠিয়ে বাসায় পাঠায়।
এই পার্থ তার গুলশানের আইন কলেজ ব্রিটিশ স্কুল অব ল তে মেয়েদের নিয়ে কি কি করেছে তা বাংলাদেশের মানুষ দয়া করে একটু জেনে নিবেন।
শুধু জেনে নিবেন, তারই কলিংগ ব্যারিস্টার রাহাত খলিলের বুকে কি করে পিস্তল ঠেকিয়ে অপমান করেছিলো এই পার্থ। পার্থের খালাতো ভাই ব্যারিস্টার তৌফিকুর রহমান সেসব ঘটনার জলজ্যান্ত সাক্ষী। লন্ডন স্কুল অফ ল এন্ড স্টাডিস কলেজের গুলশান শাখাতে গেলেই ব্যারিস্টার তৌফিক কে পেয়ে যাবেন আপনারা।
আজ পার্থ বিনিয়োগ নিয়ে, বিদেশে টাকা পাচার নিয়ে বড় বড় কথা বলে? আজ পার্থ শেয়ার বাজার নিয়ে বড় বড় কথা বলে? কই ছিলো তার এত বড় গলা যখন তিনি ২০০২-২০০৩ সালের দিকে লন্ডনে ট্রিনিটি কলেজের পেছনে ৩০০ হাজার পাউন্ড বিনিয়োগ করেছিলেন?
এই পার্থ তার বিয়েতেই শুধু উপহার পেয়েছিলো ৪৭ টি গাড়ি। কারা দিয়েছিলো এসব গাড়ি? কয়জন সাধু আর
সন্যাসী ছিলো ওই আপ্যায়িতদের তালিকায়??? যেই উপহার দাতাদের ভেতর আজকের সালমান এফ রহমানও ছিলেন যাকে তিনি এখন "দরবেশ" নামে আখ্যায়িত করেন আর বলে বেড়ান চোর।
কই ছিলো তার এই বড় বড় কথা যখন তিনি বাংলাদেশে প্রথম ভলভো গাড়ির শো রুম বানিয়ে এমপিদের টাকা খাইয়ে শুল্কমুক্ত গাড়ি এনে দেশের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব চুরি করেছিলো?
কই ছিলো পার্থর এত সত্যবাদীর রূপ যখন তার বাবা মেয়র আর মন্ত্রী হয়ে শত শত কোটি টাকা চুরি করেছিলো?
কোথা থেকে এলো পার্থর এত গুলো প্রাসাদপ্রম বাড়ী, বাগান বাড়ী, রেস্ট হাউস?
কোথা থেকে এলো পার্থর এত ব্যাবসা? ঢাকার ডি আইটি এক্সটেনশন রোডের অফিসে তার জাহাজ ব্যাবসার অফিস? কারখানা, গার্মেন্টস?
লন্ডনের বেথনাল গ্রীন আর আমেরিকার ওয়াশিংটনে কোথা থেকে তার এতগুলো বাড়ী কিনার টাকা এলো?
কি এই পার্থর মোরালিটি যখন তারই ছাত্রী এরিনাকে নিয়ে সিংগাপুরে গিয়ে ভ্রম করে আসে তার স্ত্রীকে ফেলে?
কোথায় থাকে তার মোরালিটি যখন তার শ্বশুর শেখ হেলাল বিখ্যাত চোর হয়!
কোথায় থাকে তার মোরালিটি যখন রাতের আঁধারে তারেক রহমানকে ৩০ কোটি টাকা গিফট হিসেবে দেয়?
তিনি নাকি ARMANI স্যুট ছাড়া পরেন না। লাস্ট টাইম তিনি তার এক ছোট ভাইকে দিয়ে একটি ARMANI স্যুট কেনালেন লন্ডন থকে, যার দাম ছিল বাংলাদেশী টাকায় ৭০,০০০ টাকা। আর উনার নাকি বাথশরিক ইনকাম ২ লাখ টাকা! হিশাব অনুযায়ী তার মাসিক ইনকাম ১৬,৬৬৬'৬৬ টাকা। তাহলে তার ARMANI স্যুট কেনার টাকা কিভাবে আসে? আর তার ৬ লাখ টাকার গাড়ির কথা তো বললামই না।
(এ হল JUST INTRODUCTION। বিস্তারিত লিখতে গেলে আমার কম্পিউটার কী বোর্ডের কী ভেঙ্গে যাবে।)
আন্ডা'র সব চাইতে বড় ক্ষোভ হচ্ছে ব্লগাররা নাকি নাস্তিক। শালা নাস্তিকতা শিখাস? তুই ২০০২সালে এরিনাকে কোলে করে বসে ছিলি তোর ঘরে বউ থাকার পরেও। তুই চিট করেছিস তোর বউকে। সিঙ্গাপুরে বেড়াতে নিয়ে গিয়েছিলি এরিনাকে, বাগান বাড়িতে মেয়ে নিয়ে ফূর্তি করতি কিংবা কয়েক বছর আগে মিনিকা নামের এক মেয়ের সাথে যে কাজ করেছিস সেসব কি আমরা জানিনা? তুই এসব কাজ করে এখন ধর্ম শিখাস? তুই ধর্মের কথা বললে আমি কেন, যাইয়া দেখ তোর মেয়েটাও ঘরে মিটি মিটি করে হাসে। বাটপারের বাচ্চা বাটপার!!
.........তবু ব্লগারদেরই ধরবে পুলিশ, পেটাবে জনগণ!! কারণ এই ব্লগাররাই অন্ধকারাচ্ছন্ন জাতিকে আলোকিত করতে চায়, সত্যকে সত্য আর মিথ্যেকে অবাঞ্চিত করতে দিনরাত লিখে যায়!
শেষ পর্যন্ত এই পার্থদেরকেই জাতি দেশ চালানোর দ্বায়িত্ব দিবে, উপহার হিসেবে পাবে রং-বেরঙের বিড়াল, দেশ
আবুলের মত আরো কিছু দেশপ্রেমিক পাবে, ফটিকছড়ির মত সাহসী নরপশুতে ভরে যাবে দেশ!!
মনে হয়, আগামী ৫০০ বছরেও আমার মত চোতমারানী বাঙালী মানুষ হবে না। এরা শুধু নিজের রক্ত ঝরিয়ে ধর্ষিত হবে, ক্ষুদা পেলে পশুর মত খাবে আর হাগবে। এদেরকে ৫ মিনিট আগে ধর্ষন করলে ৯ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের মাথায় সেই ধর্ষনকারীদের কাছেই নিজেদের পাছা পেতে দিবে। এরা সব ভুলে যায়। এরা সব কিছু ভুলে যেতে চায়।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ আপনারা সবাই ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন। কেননা, রোগাক্রান্ত জনগনকে রাজনীতিবিদ নামের পশুরা ধর্ষন করে আনন্দ পান না।
[লেখাটি ফেসবুকে কয়েকজনের পোষ্ট-কমেন্ট তথা আলাপচারিতা থেকে সংকলিত। সঙ্গত কারনে তাদের নাম উল্লেখ করা হল না।]
©somewhere in net ltd.