|  |  | 
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস | 
আমার পিতা ব্যবসা করতেন। স্বাভাবিকভাবে অনেক ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের সাথে লেনদেন ছিল এবং তিনি মারা যাওয়ার সময় অনেকের কাছে দেনা ও পাওনা ছিল। তিনি জীবিত থাকতে এগুলোর সুরাহা করে যাননি। ব্যবসা করতে গেলে পুরোপুরি দেনা মুক্ত থাকাও কঠিন।
তাঁর মৃত্যুর পর দোকান কর্মচারী ও অন্য ব্যবসায়ীদের সহায়তায়(যেহেতু আমরা দুই ভাই ছাত্র ছিলাম এবং ব্যবসায় ছিলাম না) আমরা কিছু পাওনা ফেরত পাই এবং কিছু দেনাও পরিশোধ করি। এর মধ্যে কয়েকজন পাওনাদারকে কিছু দিয়ে মাফ নিয়ে নেই এবং কয়েকজন দেনাদারের কাছ থেকেও আমরা লাম সাম নিয়ে হিসাব বন্ধ করি।
কিন্তু এর মধ্যে দুইটি বড় প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তা আমাদের পিতার দেনা পুরোপুরি মাফ না করে চালিয়ে যেতে বলেন কোন চাপ দেওয়া ছাড়া। আমরা কয়েক মাস পর পর অনিয়মিতভাবে কিছু টাকা পরিশোধ করি। উনারা কোন চাপ দেননি আমার পিতার সাথে সুসম্পর্কের কারণে আবার পুরোপুরি মুক্তও করে দেননি। আমার ভাই শেষ বার টাকা দিতে গিয়ে বলেছে, "আংকেল মাফ করে দিন। আর হয়তো দেয়া যাবে না।" তবুও উনি বলেছেন, "আবার এসো"। 
এর পর আমি প্রবাসী হয়ে যাই, আমার ভাই-ও অন্য শহরে চলে যায় জীবিকা ও বিবাহ সূত্রে। এর মধ্যে ঐ প্রতিষ্ঠানের কেউ আর যোগাযোগ করেনি আর আমরাও যাইনি তাদের কাছে। 
এখন ব্যবসা করতে গেলে যে লেন দেন হয় সেটা সাধারণ ধার-এর মত না। এখানে আমাদের পিতাও যেমন ছাড় দিয়েছে অন্য ব্যবসায়ীকে তেমন আমার পিতাও ছাড় পেতে পারে(যদিও মৌখিক ভাবে মাফ পাইনি আমরা)। আমার প্রশ্ন হল - 
* আমার পিতার দেনা কি মাফ হয়েছে ধরে নেয়া যাবে? (যেহেতু তারা আর কোন রিমাইন্ডার দিচ্ছে না অনেক বছর ধরে)
* কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে দেনা কি সাধারণ ধারের মত ধরে নিতে হবে?
* ঐ প্রতিষ্ঠান যদি বাকীর তালিকা থেকে আমার পিতার নাম মুছে দেয় তাহলেও কি মাফ হয়ে গিয়েছে ধরে নিতে পারব?
* ঐ প্রতিষ্ঠানের মালিক যদি মারা যায় তাহলে এটা মাফ করার অধিকার কি অন্যদের আছে?
ব্লগে অনেক ইসলামী জ্ঞান সম্পন্ন ব্লগার আছেন। তাদের সুচিন্তিত মতামত জানতে চাই। ধন্যবাদ।
 ২২ টি
    	২২ টি    	 +০/-০
    	+০/-০  ২৯ শে জুন, ২০১৮  রাত ৮:৫৬
২৯ শে জুন, ২০১৮  রাত ৮:৫৬
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: অপেক্ষায় আছি।
২|  ২৯ শে জুন, ২০১৮  রাত ৮:৫৬
২৯ শে জুন, ২০১৮  রাত ৮:৫৬
একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: আপনার আইনি বিশেষজ্ঞের মতামত প্রয়োজন।
  ২৯ শে জুন, ২০১৮  রাত ৯:০৮
২৯ শে জুন, ২০১৮  রাত ৯:০৮
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: এখানে ইসলামী বিশেষজ্ঞদের মতামত প্রয়োজন।
৩|  ২৯ শে জুন, ২০১৮  রাত ৮:৫৮
২৯ শে জুন, ২০১৮  রাত ৮:৫৮
ঢাকার লোক বলেছেন: ১) উভয় পক্ষের স্বীকৃত দেনা -পাওনা উভয় পক্ষ মেনে নিলে মিটমাট হতে পারে 
২) পাওনাদার মাফ করে দিলে মাফ হতে পারে, না মাফ করলে দেনা মাফ হবে না, এখানে মাফ হয়েছে ধরে নেয়ার সুযোগ নেই  
৩) পাওনাদার মারা গেলে তার উত্তরাধিকারীরা মাফ করে দিলে মাফ হতে পারে, না মাফ করলে দেনা  মাফ হবে না
আমার মনে হয় আপনাদের জন্য তাদের সাথে নিজেদের উদ্যোগে যোগাযোগ করে বিষয়টা মিটমাট করে নেয়াই উত্তম . আল্লাহ আপনাদের এ ঋণ থেকে মুক্তি সহজ করে দিন !
  ২৯ শে জুন, ২০১৮  রাত ৯:১০
২৯ শে জুন, ২০১৮  রাত ৯:১০
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: আমরা এখন অন্য জেলায় বসবাস করছি এবং তারা কেউ আমরা আগের জেলায় থাকা অবস্থায় যোগাযোগ করেনি। এখন আবার গেলেই হয়তো চেয়ে বসতে পারে! সব মিলিয়ে একটু দৌদুল্যমান। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৪|  ৩০ শে জুন, ২০১৮  রাত ১২:৫৯
৩০ শে জুন, ২০১৮  রাত ১২:৫৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: 
পাওনাদার মাফ করুক বা না করুক, পুত্ররা সক্ষম হলে পিতার বকেয়া মিটিয়ে দেয়াই উচিত।
কিন্তু ভাই যুগতো খারাপ।
মানুষ আজকাল ঋন নিয়ে ঋন ফেরত দেয় না।
খেলাপি ঋন একলাখ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।
হুজুররা মসজিদের দোকান ভাড়া মেরে খাচ্ছে। বলে শিকি পরিমান (২৫%)মারা সুন্নত।
  ৩০ শে জুন, ২০১৮  রাত ১:১১
৩০ শে জুন, ২০১৮  রাত ১:১১
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: উনারা পাওনাদার না ঠিক, কারণ প্রতিষ্ঠানের সাথে ব্যবসা হয়েছে। কিন্তু চেয়ারম্যান পুরোপুরি মুখে বলেনি 'আর দিতে হবে না'।আবার আমরা অন্য জায়গায় চলে যাওয়াতে আর যোগাযোগের আগ্রহ দেখাইনি। ১৫ বছর আগের কথা।
৫|  ৩০ শে জুন, ২০১৮  রাত ১:২২
৩০ শে জুন, ২০১৮  রাত ১:২২
নাহিদ০৯ বলেছেন: তাদের সাথে নিজেদের উদ্যোগে যোগাযোগ করে বিষয়টা মিটমাট করে নেয়াই উত্তম।
  ৩০ শে জুন, ২০১৮  রাত ১:২৩
৩০ শে জুন, ২০১৮  রাত ১:২৩
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: আমার ভাই বলছে, তারা মাফ না করলে এতদিন কেন যোগাযোগ করেনি? ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের লেনদেন তো কখনোই ক্লিয়ার হয় না। মন্তব্যর জন্য ধন্যবাদ।
৬|  ৩০ শে জুন, ২০১৮  সকাল ৯:৪৯
৩০ শে জুন, ২০১৮  সকাল ৯:৪৯
নাহিদ০৯ বলেছেন: "এখন আবার গেলেই হয়তো চেয়ে বসতে পারে!" আপনার এরকম মনে হওয়ার মধ্যেই আসলে উত্তর লুকিয়ে আছে। চেয়ে বসতে পারে যদি মনে করেন তাহলে আর কোন পথ আমি দেখছি না। ভালো হয় সরাসরি দেখা করে, এবং আপনার নিজ উদ্যগে দেখা করে বিষয় টা পরিস্কার করিয়ে নেওয়ার।
চেয়ে বসতে চাইলে বসবে, আপনি দিতে না পারলে মাফ চেয়ে নিবেন, আর দিতে পারলে অবশ্যই পরিশোধ করে দিবেন। হয়তো টাকা টা না দিলে তাদের কিছু হবে না, ব্যবসায়ীক মানুষ, এরকম ২-১ টা দেনায় তেমন কিছু যায় আসে না ব্যবসা চললে। তবে আপনার নিজের ই ক্ষতি। দেনা পরিশোধ না করার দায়ে কিন্তু আপনি ই মানসিক কষ্টে ভুগবেন।
  ৩০ শে জুন, ২০১৮  সন্ধ্যা  ৬:৪৮
৩০ শে জুন, ২০১৮  সন্ধ্যা  ৬:৪৮
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: আমি তো মানসিক কষ্টে আছি বলেই এই বিষয় নিয়ে পোস্ট করেছি। আল্লাহ যেন আমাকে এই কষ্ট থেখে মুক্তি দেন। সময়, সুযোগ হলে অবশ্যই যাব ইনশআল্লাহ। মন্তব্যর জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৭|  ৩০ শে জুন, ২০১৮  সন্ধ্যা  ৭:১৮
৩০ শে জুন, ২০১৮  সন্ধ্যা  ৭:১৮
নতুন বলেছেন: আপনি মনে কস্ট পাচ্ছেন তাই এই বিষয়ে চিন্তা করছেন। 
তাই আমার মনে হয় আপনি মিটিয়ে ফেলুন.... 
টাকা না দিলে আপনি মনে কস্টে থাকবেন আজীবন... পরিশোধ করুন... মনের শান্তিতে থাকবেন। 
তবে যদি আপনার বাবার দেনা তার রেখে যাওয়া সম্পতির চেয়ে বেশি হয় তবে সেটা আপনার শোধ করতে হবেনা। 
আপনি নিজে আয় করে বাবার দেনা শোধ করতে হবেনা। 
তার অথ` বাবার দেনা তার রেখে যাওয়া টাকা থেকেই শোধ দিতে হবে...যেহেতু বাবার প্রতিস্ঠানের দেনা...সেই প্রতিস্ঠানের আয় থেকেই তার করা দেনা দিয়ে দিন। 
ভালো মানুষ হিসেবে এটা আমাদের নৈতিক দায়ীত্ব। 
  ৩০ শে জুন, ২০১৮  রাত ১১:২০
৩০ শে জুন, ২০১৮  রাত ১১:২০
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: আমার পিতা জীবিত থাকাকালীন আমরা ব্যবসায় বসতাম না। উনার মৃত্যুর পর কয়েক মাসের মধ্যে দোকান ও ব্যবসা ছেড়ে দেই আমরা। তারপর আমি প্রবাসে ও অন্য ভাই দেশে চাকুরিতে প্রবেশ করে। যে কারণে, আর ওদের পক্ষ থেকে আর যোগাযোগ করেনি। তবে আমি প্রবাসে যাওয়ার পরও কিছু কিস্তি চালিয়ে গিয়েছিলাম যেটা পোস্টেই উল্লেখ করেছি।
৮|  ৩০ শে জুন, ২০১৮  রাত ১১:৪১
৩০ শে জুন, ২০১৮  রাত ১১:৪১
নতুন বলেছেন: যদি দোকান ও ব্যবসা ছেড়ে দেবার সময় যেই টাকা পেয়েছিলেন তা থেকেই বাবার দেনা শোধ দিতে হবে।
 
তা থেকে যদি শোধ দিতে না পারেন তবে আপনার চাকুরীরর আয় থেকে বাবার দেনা শোধ দিতে হবেনা। 
বাবার রেখে যাওয়া সম্পদ থেকেই তার দেনা দিতে হবে....সেখান থেকে দিতে সক্ষম না হলে তার দায় আপনার ঘাড়ে পড়বেনা।
  ০১ লা জুলাই, ২০১৮  সন্ধ্যা  ৭:২৭
০১ লা জুলাই, ২০১৮  সন্ধ্যা  ৭:২৭
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: এইটা আমার কাছে নতুন মনে হল। কারণ, সাধারণত পিতার দেনা সন্তানদের উপরই বর্তায়...
৯|  ০১ লা জুলাই, ২০১৮  সন্ধ্যা  ৭:৪১
০১ লা জুলাই, ২০১৮  সন্ধ্যা  ৭:৪১
নতুন বলেছেন: পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি থেকেই তার দেনা শোধ দিতে হবে। 
যদি বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি দেনা শোধ না হয় তবে সেটা সন্তানের উপরে দায় থাকবেনা। 
এটা ইসলামী নিয়ম... বেশ কিছু সাইটে সেই রকমেরই আলোচনা দেখলাম।
  ০২ রা জুলাই, ২০১৮  রাত ১২:০৪
০২ রা জুলাই, ২০১৮  রাত ১২:০৪
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: জাজাকাল্লাহ। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
১০|  ০২ রা জুলাই, ২০১৮  ভোর ৪:২২
০২ রা জুলাই, ২০১৮  ভোর ৪:২২
নিশি মানব বলেছেন: হাশরের মাঠে আপনার বাবাকে পেলে সেই পাওনাদাররা ধরে বসবে। তাদের দাবী পেশ করবে। তখন তারা এটা দেখবেনা উনি কি মারায় গেছেন নাকি পালায়ে গেছেন। তাদের মাথায় একটা জিনিস থাকবে আপনার বাবার কাছে তাদের পাওনা আছে। সেই পাওনাতো বাবা শোধ করতে পারবেনা। তখন নেকি দিতে বাধ্য থাকিবেন।
আমার মতে সন্তান হিসাবে আপনার উচিৎ হবে সরাসরি তাদের মুখোমুখি হওয়া। ক্ষমা কিংবা শোধ ক্লিয়ারলী আদায় করে নিবেন। তারা যোগাযোগ করেনি। এসব ওজুহাত কোনভাবেই গ্রহনযোগ্যনা। অনেক ঘাটলে এরকম রায় পাবেন,  যে ঋণ শোধ করতে হবেনা। তবুও সবচেয়ে ভাল হয়, ঋণ শোধ করা। এতে আপনি নির্ভার হবেন। মনে শান্তি পাবেন। বাবার আত্মাটাও শান্তি পাবে।
  ০৩ রা জুলাই, ২০১৮  রাত ১:৪৪
০৩ রা জুলাই, ২০১৮  রাত ১:৪৪
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্যর জন্য।
১১|  ০৩ রা জুলাই, ২০১৮  রাত ৮:১৩
০৩ রা জুলাই, ২০১৮  রাত ৮:১৩
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বেশ কিছু সমাধান এসেছে। 
আশা করছি উপরের মন্ত্যব্য গুলির ভিতর আপনার প্রশ্নের উত্তর রয়েছে।
  ০৩ রা জুলাই, ২০১৮  রাত ৯:০৫
০৩ রা জুলাই, ২০১৮  রাত ৯:০৫
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: হ্যাঁ। মোটামুটি উত্তর পাওয়া গিয়েছে। আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্য ও পড়ার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে জুন, ২০১৮  রাত ৮:৫৩
২৯ শে জুন, ২০১৮  রাত ৮:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: না ভাই এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।
তবে নতুন নকিব ভাই এবং সন্টে কবি আশা করি ভালো বলতে পারবেন।