নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কর্কশ সুর

ফারহান দাউদ

খুব সাধারণ মানুষ ..পড়েছি পুরকৌশল এ, কাগজে-কলমে বেকারত্ব ঘুচলেও স্বভাবে রয়ে গেছে। মাথা একটু গরম,একটু বোকাও,তবে মানুষটা মনে হয় আমি খারাপ না।

ফারহান দাউদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিনলিপি ১-অলস সময়ের ধারে

১৩ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:৪১

প্রথম চাকরিটা ছাড়ার ১০ দিন পরে দ্বিতীয় গোলামিটা নিয়ে ঠিক চার দিনের মাথায়,বা ফাঁকিবাজিটা ধরলে,ঠিক সাড়ে তিন দিনের মাথায় কারার ঐ লৌহ কপাট ভাঙার স্টাইলে সেটাও ছেড়ে দিয়ে দু'দিন হল বাসায় বসে ঝিমিয়ে যাচ্ছি রাণীক্ষেত রোগাক্রান্ত মুরগীর মত। একটা ভাবনা ছিল যে সময় কেটে যাবে মন্দ না,যেহেতু বাপের হোটেল এখনো আছে এবং পিতামাতা তাদের হোটেলে অন্য কোন অতিথির অভাবেই আমাকে সাদরে আবারো আমন্ত্রণ করেছেন,কাজেই নানারকম সৃষ্টিশীল(যদিও সৃষ্টিশীল ব্যাপারটা কি সে সম্পর্কে আমার ধারণা নেই,বলতে হয় তাই বলা) কাজ করে দিন গুজরান করা যাবে যতক্ষণ না আর কেউ চাকরগিরির মুলা ঝুলিয়ে সামনে নিয়ে না আসে। মুলা,তা সে চাকরি করারই হোক আর ছাড়ারই হোক,সেটা যে বারবারই আমাকে খেতে হবে তাও বেশ জানি কারণ গাধার সাথে নিজের তেমন কোন তফাৎ যেমন নিজে পাইনি তেমনি শ্রদ্ধেয় গুরুজন বা বন্ধুবৎসল বন্ধুকুলও পায়নি,কাজেই পরপর দু'বার মুলা চিবিয়ে ফেলে দেয়ার পরেও কেউ যে বিশেষ চিন্তিত হয়েছে সেটা বলছি না।



দেখা গেল,ঘটনা এত সোজা না। রসায়ন বইতে পড়া সেই আদর্শ গ্যাসের মত,যে ইহাকেই আদর্শ গ্যাস বলে তবে বাস্তবে ইহার কোন অস্তিত্ব নাই বরং প্রমাণের সুবিধার্থে ইহাকে এইরূপ ধরে নেয়া হয়,অলস সময়ও সেভাবেই আদর্শ গ্যাস থেকে বাস্তব গ্যাস(নাকি আদর্শ মুলা থেকে বাস্তব মুলা?) এ ঘুরে গেছে।



আমি বেকার,তারমানে এই না যে বন্ধুমহলও বেকার,আড্ডা দেয়ার চিন্তা বাদ,সারাদিন খাটাখাটনি করে যারা বাসায় ফেরে তারা আমাকে দেখলে খুশি হবে এমন ভাবার কারণ নেই। ভাবলাম লেখার চেষ্টা করি,ভুলেই গিয়েছিলাম আমি লেখক না,কাজেই কীবোর্ড ধরে তো মাথায় খেলে না,বিরক্ত হয়ে ঠিক করলাম অন্যের আইডিয়া মেরে দিই,আর কিছু না পাই অনেকে যেমন ব্লগে লেখে সেরকম ডায়েরি লিখি,মানুষজন পড়ে কিছু গালি তো দেবে,তা-ই সই,সেজন্যই এই অখাদ্যের অবতারণা।



দিনলিপি লিখতে তো বসে গেলাম,এবং তারপরই আবিষ্কার করলাম,আসলে লেখার মত কিছু নেই। সারাদিনে এমন কিছু আমার জীবনে ঘটে না যা নিয়ে কিছু লেখা যেতে পারে,নিজেকে যা-ই আমরা ভাবি আসলেই হয়তো আমরা কেউ তেমন গুরুত্বপূর্ণ নই যার কথা ইতিহাসের পাতায় লেখা হবে,যার থাকা বা না থাকায় কোন কিছু থমকে যাবে,শেষ বিচারে সবাই শূন্য হাতে চলে যাব যেমন গেছে আর সবাই,মাঝে শুধু বড় বড় কিছু কথা আর আস্ফালন। কিশোর কবি

সুকান্ত যদিও ঠিক সেভাবে দেখেননি,আর কিছু না হোক যতক্ষণ দেহে প্রাণ আছে প্রাণপণে পৃথিবীর জজ্ঞ্জাল সরানোর প্রতিজ্ঞা করে গেছেন,কিন্তু আমার নিজের হাতেই এত আবর্জনা যে ভয় হয় জজ্ঞ্জাল সরাতে গিয়ে পৃথিবীকে না আরো নোংরা করে ফেলি।



কাজেই সে চেষ্টা বাদ,ভাবি বরং সারাদিনে কতটা ধুলো পৃথিবীতে জমা করলাম। আগের অফিসে বলে আসিনি যে আমি ভেগে যাচ্ছি,কেন ভেগে যাচ্ছি সেটা সামনাসামনি ব্যাখ্যা করা মুশকিল,দ্বারে দ্বারে গিয়ে কন্ট্রাক্ট ভিক্ষা করতে যে খুব গায়ে লাগে সেটা বললে আমাকে পাগলা গারদে পাঠানো হতে পারে। ফোন করেছিল,আজকে আমি কোথায় জানতে চেয়ে,যদিও সিনিয়র মার্কেটিং এর ছোকরাটা আমার চরম অপছন্দের তাও ভদ্রতা করে বলে দিলাম জ্বর এসেছে,যাবো না(সাথে মনে মনে কয়েকটা গালি)। কালকে একটা ব্যবস্থা করে ফেলতে হবে,যেভাবেই হোক,নইলে আরেকদিন ফোন করলে গালি দিয়েও বসতে পারি। বসে বসে ভাবছিলাম বাসা বদলানোর সময় আস্ত ১টা ঠেলাগাড়ি ভরে যে বইগুলো এনেছিলাম সেগুলো বস্তাবন্দী হয়ে পোকার খাদ্য হচ্ছে,এ বেলা গুছিয়ে ফেলবো,হয়নি এখনো,পোকাদেরও বিদ্যাশিক্ষার দরকার আছে,হোক। সকালে ঘুম থেকে উঠে সূর্যটা না দেখেই দৌড় দিতাম,আজকে জানালা দিয়ে তাকিয়ে রোদটা মন্দ লাগলো না। নেটে বসলাম গদাইলস্করি চালে নাস্তা করে,বসতেই মোটকা নক করলো,কিরে মতি মিয়া কি বাঁইচা আছে নাকি পটল তুলছে? জানালাম,বেঁচে আছে। (এখানে জানিয়ে দেয়া কর্তব্য যে মতি মিয়া আমাদেরই এক কর্মপাগল বন্ধু,যে কিনা কর্তব্য পালনের চাপে আগের দিন পানিশূন্যতায় ভুগে হাসপাতাল যাত্রা করেছিল এবং

বাংলাদেশের নামকরা প্রাইভেট হাসপাতালগুলোর উদ্ভট সার্ভিসের বদৌলতে যথেষ্ট ভোগান্তি করেই তাকে আমাদের সুস্থ করতে হয়েছে।) সুস্থ আছে শুনে মোটকার আফসোস বাড়ে,আহহা,এত তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়া গেল রে? আরেকটু পরে হইলে হইত,মনে রাখতো ঠিকমত! হ,ইন্ঞ্জেকশনটা আরেকটু পরে দিলে চলতো,আরো ২ দিন শোয়ায়া রাখা যাইতো,আমার বিজ্ঞ মতামত। দু'জন খানিক আফসোস চলে,পোলাপানের কর্তব্যপরায়নতা নিয়ে। আফসোস আমিও করি,মনে মনে,মোটকা,যেকোন মহাবিপদে ডাকলেই যাকে সব কাজ ফেলে পাওয়া যেত, শিগগিরি আরো বেশি কর্তব্যপরায়ন হয়ে দূরদেশে উড়াল দিচ্ছে,কবে দেখা হবে কে জানে!



খানিক ঝিমিয়ে বিরক্ত হয়ে ভার্সিটির দিকে রওনা দিই,এককালের চরম অপছন্দের জায়গাটা বেশ আপন লাগে এখন। ভার্সিটি ছুটি,এর মাঝেও দু-চারজনের সাথে দেখা হয়ে যায়,আরো বেশি আপন মনে হয় সবাইকে, যদিও আমাদের সূর্যের দিন শেষ হয়ে গেছে,এখন যাত্রা ফিকেরঙা বিকেলের দিকে,তবু অনেকদিন পর একসাথে টিচারদের মুণ্ডুপাত করার সুযোগ পেয়ে খুশি হয়ে উঠি সবাই,বদমেজাজী শিক্ষকদের এখন কেন যেন ভালই লাগে। একজনের সাথে দেখা হয়ে গেল,জানালাম,বেকার আছি। রেজাল্ট শুনে মাথা নাড়লেন,নাহ,সময় থাকতে কেন যে পড়ো না! যাক, চিন্তা নেই,হবে কিছু একটা। মাথা নাড়ি আমিও,হবে হবে,আমরা সবাই বড়ই আশাবাদী।



আবার বাসায় ফেরা,অনিচ্ছায় খেয়ে নিয়ে ঝিম ধরা,হঠাৎ টুপটাপ থেকে রিমঝিম,জানালায় বসে বৃষ্টি দেখা,মাঝে মাঝে কীবোর্ডে খটাখট। একটু উদাস লাগে,টিউশনি করতে যাবো না,সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। রাসেলের ফোন আসে,ছোকরা ঢাকায় এখন,ফোন রিসিভ করার সময় মনে হয়,ব্যাটা একটা গান চেয়েছিল,অনেক কিছু লেখা হল,গায়কের জন্য একটা গান আর লেখা হয়ে উঠলো না। লিখে ফেলতে হবে যত তাড়াতাড়ি পারি,সিদ্ধান্ত নিই যেমন নিয়েছিলাম জীবনের অনেকগুলো না করা না পারা কাজ করার। যেমন ভেবেছিলাম নিজের চরম অগোছালো পড়ার টেবিল আর ঘরটার মত অগোছালো জীবনটাও গুছিয়ে ফেলব খুব তাড়াতাড়ি,যেমন ভেবেছিলাম তারছেঁড়া ভাঙ্গা স্পিকারটার মত ফাটা কপালটাও মেরামত করে ফেলব জলদি করে,যেমন ভেবেছিলাম না পড়া বইগুলো পড়ে ফেলব যত্ন করে,যেমন ভেবেছিলাম খোলা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে সূর্যের দিকে হাত মেলে শ্বাস নেব বুক ভরে।



তারপরেও,কেন যেন না করা কোন কিছুই করা হয়ে ওঠে না। চারমাস ধরে না কাটা মাথার চুলগুলো এখনো কাটানো হয়ে ওঠে না,আমার বেসুরো এক তার ছেঁড়া গিটারের তারগুলো লাগানো হয়না,আমার ভাঙা স্পিকারে অনেকদিনের মতই আজো গান বাজেনা,অন্ধকার বাড়ি ছেড়ে আরো ঘুপচি বাড়ির জানালায় বসে থাকা আমার সূর্যমুখী ফুল দেখার স্বপ্নও সত্যি হয়না। আমার বইগুলো পোকার খাদ্য,আমার পেটে এসিডিটি,অসুস্থ নগরের অসুস্থ নগরবালকের ধুসর চোখে ধোঁয়াটে দৃষ্টি,নষ্ট ক্যালকুলেটরটার মতই বারেবারে ডিজিটগুলো কোথায় যেন নষ্ট হয়ে যায়,টেবিলের ছবির ফ্রেমে গালে হাত দিয়ে বসে থাকা ৫ বছরের বড় বড়

চোখের বালকের দিকে তাকিয়ে আমি হ্যারি পটারের ম্যাজিক ওয়ান্ড খুঁজে বেড়াই,বর্ষার তীব্র বৃষ্টিতে ভিজে আমি শরতের মেঘ স্পর্শ করতে চাই,আরো একবার আমি ধোঁয়া ওঠা চুলোর ভাপ নিয়ে মানুষ হতে চাই।



আহা জীবন,এক জীবনে আমরা কত কিছুই না চাই!

মন্তব্য ৯৭ টি রেটিং +৩০/-২

মন্তব্য (৯৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:৫৬

একরামুল হক শামীম বলেছেন:
বসে বসে ভাবছিলাম বাসা বদলানোর সময় আস্ত ১টা ঠেলাগাড়ি ভরে যে বইগুলো এনেছিলাম সেগুলো বস্তাবন্দী হয়ে পোকার খাদ্য হচ্ছে,এ বেলা গুছিয়ে ফেলবো,হয়নি এখনো,পোকাদেরও বিদ্যাশিক্ষার দরকার আছে।

একদম ঠিক কথা। আমিও তাই মনে করি। পোকাদেরও বিদ্যাশিক্ষার দরকার আছে। :)

শেষ লাইনটা পড়ে কেন জানি মনটা উদাস হয়ে গেল- আহা জীবন,এক জীবনে আমরা কত কিছুই না চাই!

একজীবনে আমরা কতো কিছু যে চাই.........কতো কতো কিছু....... :(

১৩ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:০৯

ফারহান দাউদ বলেছেন: অন্তত পোকাগুলার মাথায় আমাদের চেয়ে বেশি বিদ্যা থাকে।
চাই অনেক কিছুই,তবে না পাওয়াগুলো নিয়েই জীবন।

২| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:০৩

বিবর্ণ বলেছেন: আমি ছাড়ি নাই, আমাকে ছেড়ে দিয়েছে।

সুন্দর লিখেছেন।

১৩ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:২১

ফারহান দাউদ বলেছেন: সবকিছুই ভাই ছেড়ে যায়,কি করি? পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৩| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:০৮

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: এই ছেলে তোমার বয়স কত?
এত সুন্দর করে লিখ, অবাক হয়ে যাই।

১৩ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:২৩

ফারহান দাউদ বলেছেন: বাপ-চাচার আমল ধরলে বয়স নেহাৎ কম না,এখনকার আমল ধরলে তেমন বেশিও না,প্রশংসা করলে লজ্জা পাই এইটুক বয়স হয়ে গেছে,সেশন জটের ফাঁক গলে মাত্রই ভার্সিটি থেকে বের হলাম।:)

৪| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:১৪

একরামুল হক শামীম বলেছেন: আমি বুঝি না একজীবনে মানুষের এতো না পাওয়া থাকে কেন?
মানুষ কি তবে বেশি বেশি চায়.......

এ যেন তেমন হয়ে উঠেছে...
যা চাই না তাহা ভুল করে পাই
যাহা চাই তাহা পাই না....

১৩ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:২৪

ফারহান দাউদ বলেছেন: মানুষ বেশি বেশি চায় কি? অথবা মানুষকে হয়তো ঠিক জিনিসটা চাইবার ক্ষমতাই দেয়া হয়নি।

৫| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:২৬

রন্টি চৌধুরী বলেছেন: লিংকে নেয়া হল।
তবে পোষ্ট দেবার সংখ্যা বাড়াতে হবে।

১৩ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:৩৩

ফারহান দাউদ বলেছেন: অনেক কৃতজ্ঞতা।
তবে কিনা,একটা লিখতেই নিজের সব ক্ষমতা শেষ হয়ে যায়,লেখক না হয়েও লেখা খুব কষ্টের কাজ,সন্দেহ নেই সামহোয়্যারের ব্লগাররা উদার,নাহলে এতদিনে আমার নামে মামলা হয়ে যেত:)

৬| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:৩২

বাফড়া বলেছেন: চাকরি ছাড়ার সাড়ে তিনদিনের মাথায় আরেক চাকরি পাওয়া যা্য যদি তবে চাকরি বারবার ছাড়া যেতে পারে... বেশি কি সাড়ে তিন দিন পর আরেকটা...

১৩ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:৩৫

ফারহান দাউদ বলেছেন: কপাল বারবার দুয়ারে আসেনা ভাই,পায়ে ঠেললে নাকি লক্ষ্মীজী মাইন্ড করেন,দেখা গেল পরের সাড়ে তিন মাসে কোথাও ডাকলোই না:(

৭| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:৪১

শফিউল আলম ইমন বলেছেন: হুমম...কি বলব বুঝতে পারছি না। তবে বেকার হইতে ইচ্ছে করতেছে। দেশে গেলেও এখন আগের মতো কেউ আপন ভাবে না। সবাই নির্বাসনে পাঠিয়ে দিয়েছে, ভাবখানা এমন আমি এখন একজন অথিতি মাত্র।

তোমার ডায়েরী প্রতিদিন পড়তে চাইবো।

১৩ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৫:০১

ফারহান দাউদ বলেছেন: অসুবিধা কি,মানুষ মাত্রেই মুসাফির,কি দেশে কি বিদেশে,যেখানেই যাবেন একটা থানা গাড়ার জায়গা পেয়েই যাবেন:)
ডায়েরি লেখার সমস্যা তো বললাম,এমন কিছুই ঘটেনা যেটা লেখা যায়,কি আর করা!

৮| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:৪৩

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: আবারও বলতে বাধ্য হলাম - অসাধার। কেমন যেন একটা অদ্ভুত আকর্ষন। এক মুহুর্তের জন্য মনে হয় না বিরক্ত হচ্ছি। বরং লেখাটা শেষ হবার পর মনে হলো শেষ কেন হলো? আপনার লেখায় সবচেয়ে ভালো লাগে উপমাগুলো। এত সহজ, সাবলিল এবং অসাধারন উপমা - খুঁজে পান কি করে?

একটা প্লাস এ লেখার জন্য যথেষ্ট নয়। (++++++++++........)

১৩ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৫:০৪

ফারহান দাউদ বলেছেন: সহজ মানুষ তাই উপমাও সহজ হয়ে যায়,যদি সেগুলোকে উপমা বলা যায়:)
এতগুলো প্যাচাল ধৈর্য্য ধরে পড়েছেন সেজন্য আপনাকেও +:)

৯| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৫:৫৮

হরিসূধন বলেছেন:
+

১৩ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:১৪

ফারহান দাউদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

১০| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ৮:৩৩

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "আহা জীবন,এক জীবনে আমরা কত কিছুই না চাই! "

চমৎকার।

১৩ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:১৮

ফারহান দাউদ বলেছেন: চাই,কিন্তু ঠিকভাবে কি চাই?

১১| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ১০:২৫

আশিক হাসান বলেছেন: ভাল লাগলো আপনার লেখা ।
কিন্ত ঝিমিয়ে পড়লে চলবেনা জেগে উঠুন এবং আরো ভাল ভাল লেখা দিন ।

১৩ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:২২

ফারহান দাউদ বলেছেন: ঝিমানো ছাড়া তো কিছু করার নেই:( পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১২| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ১১:৫০

মাহবুব সুমন বলেছেন: ডায়েরী লেখার রোগ পেলো নাকি !!
ভালো লেগেছে :) বাছা এবার একটা বিয়ে করে ফেলো,বুঝবা কত চালে কত খই ;)

এ জীবনে আমরা আসলে কি চাই সেটাই বুঝতে পারি না। যখন বুঝতে পারি তখন দেখা যায় জীবনের অনেকটুকু পথ পার হয়ে এসেছি।

১৩ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:২২

ফারহান দাউদ বলেছেন: এইটা একটা কথা কইলেন বস্? বিয়া করতে কত টাকা লাগে জানেন? সোনার ভরি ৩০ হাজার,খিক খিক:)

১৩| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:২২

সীমান্ত আহমেদ বলেছেন: পরের চাকরি কবে ছাড়বা?

১৩ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:৩১

ফারহান দাউদ বলেছেন: এখনো তো পাই নাই,পোলাপান এখন আমারে কোথাও ডাকতে ভয় পাইতাসে,আমি ভাগলে তো তারা চিপায় পড়বো:(

১৪| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:২৫

কণা বলেছেন: বরাবরের মতোই ভাল লেখা...

রাসেলের নামটা শুনে আমার সেই 'একটা কবিতা লিখতে চাই'- এর রাসেলের কথা মনে পড়ে গেল... :)

১৩ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৩

ফারহান দাউদ বলেছেন: সেই লোকই,৪ মাসের সারা দেশ ঘুরার চাকরি ছেড়ে আজকাল ঢাকাতে স্থির হয়েছে নতুন কাজে:)

১৫| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৩

শুকলা দাস বলেছেন: প্লাস দিলাম।
আপনার লেখা পড়ে আপনাকে খুবই চঞ্চল চিত্তের লোক বলে মনে হয়।
তাই কি?

১৩ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১:১৪

ফারহান দাউদ বলেছেন: মোটামুটি।
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য।

১৬| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:০২

আন্দালীব বলেছেন: বিচিত্র দিনলিপি.....তারোচে' বিচিত্র তার প্রকাশ
বর্ণনাগুলো খুব জলজ্যান্ত....সেখানে সঙ্গোপনে মিশেছে কিছু হতাশা।

কতোকিছুইতো কেউ হতে পারেনা ! অমলকান্তিও তো রোদ্দুর হতে পারেনি...

১৩ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:২০

ফারহান দাউদ বলেছেন: হতে পারিনা তারপরেও চাই,রোদ্দুর হতে না পারি তার স্পর্শ নিতে চাই।

১৭| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:৩৫

মোসতাকিম রাহী বলেছেন: পড়েছিলাম কাল রাতেই, লগইন না করে।

আপনাকে আমার সালাউদ্দিন জাকি'র মতোই ঘাড় ত্যাড়া মনে হচ্ছে। দেশে আসলেই এবার অবশ্যই দেখা করতে হবে।

দিনলিপিও উৎকৃষ্ট সাহিত্য হয়, ফারহান দাউদের হাতে পড়লে।

১৩ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:০২

ফারহান দাউদ বলেছেন: আসলে মানিয়ে নেয়া শিখতে হয়,এখনো শেখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। দেশে এলে খবর দেবেন,অবশ্যই দেখা হবে বেঁচে থাকলে।

১৮| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

আকাশচুরি বলেছেন: আহা জীবন,এক জীবনে আমরা কত কিছুই না চাই!

চাকরী - বাকরি বাদ দিয়ে লেখা-লেখি শুরু করেন

++++++++

১৩ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:১৩

ফারহান দাউদ বলেছেন: লেখাও তো ঠিকমত পারি না,ভাত জুটবে না,শখের লেখা কত আরামের:)

১৯| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৫

নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: হাহাহা.... কমেন্ট করে প্লাস পওয়া, মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি :) নিয়মিত পড়তে চাই এরকম লেখা।

১৩ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:১৩

ফারহান দাউদ বলেছেন: আপনাদের দোয়া:)

২০| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৮:৪৪

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "বিয়া করতে কত টাকা লাগে জানেন? সোনার ভরি ৩০ হাজার,খিক খিক"

আপাতত ফুলের মালা ট্রাই করা যায়।

১৩ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:১৪

ফারহান দাউদ বলেছেন: রাস্তার ফুল বেচনেওয়ালীও এখন আর ফুলের মালা দিয়া বিয়া করতে রাজি হইব না,সব ধান্দাবাজ হয়া গেসে:(

২১| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:১০

মুনিয়া বলেছেন: হুম এক জীবনে খুব বেশি কিছু চাই মনে হয়। আবার কারও কারও পাওয়ার হার দেখলে মনে হয় কিছুই চাইনি আসলে!

১৩ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:১৬

ফারহান দাউদ বলেছেন: মনে হয়,খানিকটা শান্তি চাই,তার পিছনে ছুটতে গিয়েই অর্ধেক জীবন চলে গেল।

২২| ১৩ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:২০

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "সব ধান্দাবাজ হয়া গেসে"

কিছুটা একমত। আমারে সোনা না দিয়া বিয়ে করলে আমিও ধান্দাবাজ ভাবতাম। এমনিতেই বহু কথার হুল আমি ফুটিয়েছি। আর ফুল দিয়ে বিয়ে করলে তো কথাই নেই। কি যে করতাম কে জানে।

১৩ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:৩৪

ফারহান দাউদ বলেছেন: যে বাজার পড়সে,উপায় নাই,কয়দিন পরে ফুল কেনারও পয়সা থাকবো না।

২৩| ১৪ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:০৮

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: নাহ, এতটা নৈরাশ্যবাদী হওয়া ঠিক নয়। এই ব্লগে বিবাহিত পুরুষরা অন্য মেয়েদের যেসব কথা বার্তা অবলীলায় বলে যায়, সেটা দেখে হলেও ফুল দিয়ে বিয়ে করা ছেলেদের কদর মেয়েদের কাছে মোটেও কমবে না।

আমি তো রীতিমত শোকর করেছি। আফটার অল, বিশ্বাস তো করা যায়।

মন্তব্য অপছন্দ হলে মুছে দিতে পারো। নিজের মানসিকতা শেয়ার করলাম।

১৪ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:৩৯

ফারহান দাউদ বলেছেন: আপনার মুখে ফুলচন্দন পড়ুক:) এইরকম আর ২-৪ জন চিন্তা করলে সোনার ভরি নিয়ে দুশ্চিন্তা কমতো:)

২৪| ১৪ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:৫৭

উত্তরাধিকার বলেছেন:
প্রিয় ফারহান ভাই,
ক'দিন বাইরে ছিলাম।
এসে আপনার অসাধারন রোজনামচা খানি পড়লাম।

আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করতে চাই এবং কামনা করি যেন -
শীঘ্রই আপনার লাইফ কার্ভটি নেগেটিভ থেকে পজেটিভ অক্ষে ফিরে আসুক।
আর ইনশাআল্লাহ তা অচিরেই শীর্ষে পৌঁছে ইলাস্টিক লিমিটের মধ্যেই অবস্থান করুক।
:)

১৪ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:৪১

ফারহান দাউদ বলেছেন: আপনার প্রার্থনা সত্যি হোক,ইলাস্টিক লিমিটের মাঝেই থাকুক,বাড়াবাড়ি কোন কিছুই চাই না।

২৫| ১৪ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ১১:১৫

সিক্স স্ট্রিং বলেছেন: জটিলস্‌ এবং জটিলস্‌ হইছেরে ভাই :)

১৪ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:৪৪

ফারহান দাউদ বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অপ্রাসঙ্গিক ১টা কথা,আপনার নিকটা দেইখা ব্রায়ান অ্যাডামসের সামার অভ সিক্সটি নাইন মনে পইড়া গেল,আই গট মা' ফার্স্ট রিয়েল সিক্স স্ট্রিং,বট ইট অ্যাট দ্য ফাইভ অ্যান্ড ডাইম:) একসময় সারাদিন চিল্লাইতাম গানটা:)

২৬| ১৪ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ১১:১৭

রাতিফ বলেছেন: ফাটাইয়া ফালাইছেন দাউদ ভাই............আমি পড়তে দেরী কইরা ফালাইছি.......ক্ষমা দেন:(

১৪ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:৪৫

ফারহান দাউদ বলেছেন: পড়াটাই বড় কথা,তোমাগো মত একটার পর একটা লেইখা যাইতে পারলে তবে না সময়মত পড়ার কথা আসে:)

২৭| ১৪ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:৫২

নিশীথ রাতের বাদলধারা বলেছেন:
হায় রে দিনলিপি! রাইফেলস স্কোয়ারের সামনে একা একা এলোমেলো পায়ে মাতালের মত হাঁটা, এক বোতল পানি কিনে মাথা ঘুরে রাস্তায় পড়ে যাওয়ার ভয়ে একটা রিকশা নিয়ে ফেরা, আবার ইচ্ছে হল তাই যেখানে যাওয়ার কথা সেখানে না যেয়ে রিকশাকে অন্য দিকে যেতে বলা..........কী অনুল্লেখ্য জীবনযাপন! কোন উচ্চাশা নেই, কোন স্পৃহা নেই..........এটা কি আমার দিনলিপি?


এলোমেলো আজাইরা একটা কমেন্ট করলাম, মুছে দেয়ার পূর্ণ অধিকার দিলাম।

পোস্টটা অবশ্যই ভালো লেগেছে, নইলে কমেন্ট করতাম না।:)

১৪ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:০২

ফারহান দাউদ বলেছেন: ঐটাই দিনলিপি,দিন যে আসে-যায় সেটা না বসে দেখলে বুঝবো কিভাবে? সারাক্ষণ উচ্চাশা নিয়ে দৌড়ালে তো সেটা দৌড়লিপি হয়ে যায়:)

২৮| ১৪ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:২৪

সিহাব চৌধুরী বলেছেন:
দিন লিপি লিখে গেল কবি, দিন বয়ানের কবিতায় ।

১৪ ই জুলাই, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩১

ফারহান দাউদ বলেছেন: তোমার নিজের লেখা কই?

২৯| ১৫ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:২২

চিটি (হামিদা রহমান) বলেছেন: আপনার লেখার স্টাইলই আলাদা.........পাঠক কে ধরে রাখে শেষ পযর্ন্ত

খুব ভালো লেগেছে..........।
ভালো থাকুন

১৫ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ২:০০

ফারহান দাউদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ,অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩০| ১৫ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:৩৪

মাহবুবা আখতার বলেছেন: মন খারাপ করা দিনলিপি। মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছে করে গা-ঝাড়া দিয়ে উঠি! এইসব গতানুগতিক দিনযাপন থেকে অনেক দূরে সরে যাই.....
হয় না।
আজকাল জীবনের পারপাস নিয়ে ভাবি (আসলে না ভাবার চেষ্টা করি। কিন্তু আপনার লেখাটা পড়ার পর আবার ভাবতে বসলাম:()...........
বেশিরভাগ মানুষের জীবনই খুব গতানুগতিক। কেন যেন প্রতিটা মানুষই নিজেকে অন্যদের চেয়ে আলাদা ভাবে। এই যেমন আমিও ভাবি। মনে হয়, এইসব উড়াধুরা টাইপের লাইফ ফেলে দেই:(:(। কিন্তু পারা যায় না। পৃথিবীটা এত বড়, জীবনটাও এত বছরের; তারপরও জীবনটা খাঁচায় বন্দী কেন?

*এই ধরনের লেখা দেয়া অন্যায়.... মন খারাপ হয়ে যায়.......*

১৫ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:২৪

ফারহান দাউদ বলেছেন: খুব বেশি ভাবলে মাথা নষ্ট হয়ে যায়,সুখী মানুষরা ভাবে না।
সবাই কোন ১টা শেকলে বাঁধা,সব ছেড়ে বের হয়ে যেতে কয়জন পারে? নিজের মন-মেজাজ বেশি ভাল ছিল না,তাই লিখলাম,সেটা পড়ে অন্যদের মেজাজ খারাপ হয়ে গেলে তো মুশকিল:(

৩১| ১৫ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ২:০১

আহসান হাবিব শিমুল বলেছেন: কঠিন!ম্যাক্সিম গোর্কি'র ত্রিপিটক উপন্যাস পড়ছি(আমার ছেলেবেলা,পৃথিবীর পথে,পৃথিবীর পাঠশালায়),কোথায় যেন একটু একটু করে মিল খুঁজে পাচ্ছি!

লেগে থাক বাছা তোর হবে(মাউণ্ড কইরেন না, একটু গোর্কি স্টাইলে বললাম আরকি!)।

১৫ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:২৭

ফারহান দাউদ বলেছেন: গোর্কির ঐ উপন্যাস ৩টা পড়ার পর অনেকদিন আর কোন বই পড়তে পারিনি,কি অদ্ভূত এক বিষন্নতার মাঝেও জীবনকে খুঁজতে চেয়েছেন তিনি,কষ্টের মাঝে রঙধনু তুলে এনেছেন গোর্কি। মনে করিয়ে দিলেন আবার,মনে হয় জীবনটাকে আরেকটা কোণ থেকেও দেখতে হবে। অসংখ্য ধন্যবাদ।

৩২| ১৫ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:৪৬

নির্বাসিত বলেছেন: অসম্ভব ভাল লেগেছে লেখাটি। আমার যদি সামর্থ্য থাকতো, টাহলে আপনাকে বলতুম এইভাবে বেকারজীবন কাটাতে, খরচাপাতি আমার। বিনিময়ে এইরকম লেখা চাই।

"আমি হ্যারি পটারের ম্যাজিক ওয়ান্ড খুঁজে বেড়াই,বর্ষার তীব্র বৃষ্টিতে ভিজে আমি শরতের মেঘ স্পর্শ করতে চাই,আরো একবার আমি ধোঁয়া ওঠা চুলোর ভাপ নিয়ে মানুষ হতে চাই।"

মিলিয়ন ডলার রাইটিং!

পড়ে মনে হয়-আহা- কেন সবসময় আমরা এমন করে ভাবিনা?

ভাল থাকুন।

১৫ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:৩৫

ফারহান দাউদ বলেছেন: সত্যি লজ্জা দিলেন। যাদের লেখা পড়ে আরো আরো ভাবতে চাই আপনি তাদেরি একজন,সেখানে আমার বেকার ভাবনা আপনার মনে গিয়েছে সেটাই তো আমার জন্য অনেক। কৃতজ্ঞতা,প্রার্থনা করবেন মনটা যেন কখনো হারিয়ে না ফেলি।

৩৩| ১৫ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৩

মোস্তাফিজ রিপন বলেছেন: আপনার ভারী নাম দেখে ভাবতাম মোটামুটি টেঁশে যাওয়া কেউ।
আপনি ভাল লিখেন কথাটি ঠিক নয়; আপনি চমৎকার লিখেন। সোনার দোয়াত-কলম হোক আপনার।

১৬ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ২:০৭

ফারহান দাউদ বলেছেন: হাহাহাহাহাহা,পিতৃপ্রদত্ত নামটা ছাড়তে পারিনি,জানতাম না এটা আমাকে টেঁশে যাওয়ার দলে ফেলে দেয়:)
আপনি পড়েছেন এজন্যই আমি সার্থক,শুভকামনার জন্য অনেক ধন্যবাদ,আপনার লেখার আমিও একজন ভক্ত,এ সুযোগে জানিয়ে রাখি।

৩৪| ১৫ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:৩১

সারওয়ার জামান চন্দন বলেছেন: ফিরে দেখা ৭১ - ই সংকলনে আপনার লেখা পেলাম... সংকলনে লেখা পেয়ে ভাল লাগলো।

সবগুলো পড়ার ইচ্ছা রইল।

ভাল থাকবেন।

১৬ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ২:০৪

ফারহান দাউদ বলেছেন: সংকলনটা যাঁরা করেছেন তাঁরা কৃতজ্ঞতার দাবীদার।
আপনিও ভাল থাকবেন।

৩৫| ১৫ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ১২:৪১

সারওয়ার জামান চন্দন বলেছেন: বস এলেমেলো দিনের কথাও তো দেখি পরিপাটি করে ফাটাইফেলসেন... পিলাস (+++) :)

১৬ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ২:০৮

ফারহান দাউদ বলেছেন: পরার জন্য অনেক ধন্যবাদ:)

৩৬| ১৬ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:২৪

মুক্ত মানব বলেছেন: লেখাটা খুব ভালো লাগলো। সবাইকে চাকরীই করতে হবে এর কোন মানে নাই রে ভাই। কয়েকজন সমমনা বন্ধু মিলে নির্মান সংস্থা খুলতে পারেন, যেখানে বস্ কেউ নেই, সবাই কলিগ। আমারো "বস" এর চেয়ে 'সিনিয়র কলিগ' -মার্কা মানুষের সাথে জমে বেশি।
বস (বদ?) হজম না হো'ক, দেখবেন কলিগ ঠিকই হজম হবে।

আর job satisfaction জিনিসটা অনেক সময় 'নদীর ওপারের ঘাঁস বেশী সবুজ..' মার্কা ব্যাপার। কিম্বা রবি কবির ভাষায়: 'যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই, যাহা পাই তাহা চাইনা"র মতো ব্যাপার।

মার্কিন দেশে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিতদের মধ্যে কারা বেশি job satisfaction পান, কারা কম, সে নিয়ে ফি বছর র‌্যান্কিং সুচক প্রকাশিত হয়। মাস্টারেরা প্রায় বছরেই তালিকার শীর্ষে থাকে।
যেকোন একটা কলেজে পড়ানোর কাজ নিয়ে দেখতে পারেন।

আমরা বাংগালী এবং বাংলাদেশীরা ঐতিহাসিকভাবেই খুব চাকরি নির্ভর। দক্ষিণ এশীয়ায় সবচে' বেশি উদ্যোক্তা রয়েছে ভারতের গুজরাটে (ধর্ম বিশ্বাস নির্বিশেষে)।

আমার মাঝে মাঝে মনে হয় কিছুদিনের জন্য জাতীয় পন্চবার্ষিকী পরিকল্পনার আওতায় বাংলাদেশীদের সাথে গুজরাটিদের আত্নীয়তা পাতানো দরকার। একটা উদ্যোক্তা প্রজন্ম পেলে সত্যি এই দুর্ভাগা দেশের জন্য বেশ হতো....।

(স্বীকারোক্তি: সম্প্রতি প্রবাসী এক বাংলাদেশী ছেলের সাথে এক গুজরাটি মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে খানা-পিনার ভীড়ে শশ্রু মন্ডিত, কাজ পাগল গুজরাটি কয়েকজন উদ্যোক্তাকে (ঠিকাদার, দোকানদার, ব্যবসায়ী, ইত্যাদি দেখে একথা মাথায় এলো। ঘটক পাখী ভাই-কে গুজরাটে শাখা খোলার জন্য জাতীয় স্বার্থে অনুরোধ করছি। )

১৬ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ২:১২

ফারহান দাউদ বলেছেন: দাসত্ব আসলে রক্তের মাঝে ঢুকে গেছে,বের হওয়া খুব কষ্ট। মাস্টারিটাই পছন্দ ছিল,কিন্তু রেজাল্ট এত খারাপ যে ভবিষ্যতে এদেশে অন্তত ঐ পেশায় ঢোকার সুযোগ নেই,তবে মনের মাঝে ইচ্ছেটা রয়েই গেছে,সারাদিনরাত অক্ষরের মাঝে ডুবে থাকার চেয়ে আনন্দ মনে হয় আর কিছুতে নেই।
গুজরাটি পাব কোথায়,তবে বিকল্প হিসেবে পুরান ঢাকা চিন্তা করা যায়,কি বলেন? :)

৩৭| ১৬ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:৪৩

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন: খুব খুব ভালো লাগলো ফারহান..............।
চাকরী হীন থাকলে যদি এমন লেখা আসে............তাহলে এই রকম দিন তো ভালই।:)
"আহা জীবন,এক জীবনে আমরা কত কিছুই না চাই!"............ঠিক এই কথাটা ভেবেই একটা কবিতা লিখলাম কাল।দেখি আজ পারলে পোষ্ট করবো।
অনেক শুভেচ্ছা।
রোজনামচা চলুক ফারহান।

১৬ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ২:১৪

ফারহান দাউদ বলেছেন: চাকরিহীন থাকলে পকেট খালি থাকে আপু,এই দেশে ঐ জিনিসটার কথা ভুলে থাকা কঠিন:)
আপনার লেখা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম,ভালো থাকুন।

৩৮| ১৬ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ৩:৫৩

আহমাদ মোস্তফা কামাল বলেছেন: 'চাকরি আসলে করার জিনিস নয়, ছাড়ার জিনিস'--- কোথায় যেন পড়েছিলাম, মনে করতে পারছি না! হা হা হা । ছাড়তে থাকুন, যতোদিন সম্ভব। একসময় আর ছাড়তে চাইলেও পারবেন না। মধ্যবিত্ত জীবনে দাসত্বের এই শৃঙ্খল অনিবার্য।

চমৎকার লিখেছেন। 'আমি লেখক না'-- আপনার এই কথার সঙ্গে তীব্রভাবে ভিন্নমত পোষণ করলাম।

১৬ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:৩১

ফারহান দাউদ বলেছেন: আপনার কথাটা খুব নির্মমভাবে মাথায় ঢুকলো,যতই ছাড়ি,একদিন বাঁধা পড়তেই হবে। দেখা যাক কতদিন ছেড়ে যেতে পারি।:)

৩৯| ১৭ ই জুলাই, ২০০৮ ভোর ৪:৪৪

আশরাফ মাহমুদ বলেছেন: :) আপনি যাই লিখেন না কেন শুধু হাসি পায়। :);)

১৮ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১২:৪৬

ফারহান দাউদ বলেছেন: কি সর্বনাশ,শেষমেশ কি জোকার হয়ে গেলাম?:(

৪০| ১৮ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১:২৩

তাত্ত্বিক বলেছেন:
চালু লেখা।
:)
এক জীবনে আমরা আসলেই কত কি যে চাই !
তার উপর যা পাই তা চাই না।
আমি ভেবে পাই না, রবীন্দ্রনাথ সেই আমলে এই কথা কেমতে বইল্যা
গেল ...!

১৮ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:৫২

ফারহান দাউদ বলেছেন: ঐ বুড়া ভদ্রলোক সবই বইলা গেসেন,আমরা নতুন কিছু বলার পাই না:(

৪১| ১৮ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ৭:১২

সোনার বাংলা বলেছেন:

সব সময়ের মতো ভালো....

২য় পর্বের অপেক্ষায়।

১৮ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:৫৩

ফারহান দাউদ বলেছেন: ঘুমায়া কাটাই,ভাঙলেই দিব:)

৪২| ১৮ ই জুলাই, ২০০৮ সকাল ৯:৩৮

বিবর্তনবাদী বলেছেন: এভাবেই লিখে যান প্রতিদিনের দিনলিপি। আমরা আছি......

১৮ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:৫৪

ফারহান দাউদ বলেছেন: অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।

৪৩| ১৮ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:৩৭

কোলাহল বলেছেন: আপাতত + দেয়া গেল। বেশিদিন বেকার থাকলে মাইনাস হয়ে যাবে বলে রাখছি।

১৮ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:৫৫

ফারহান দাউদ বলেছেন: কাজকর্ম তো কেউ দিতে চায়না,যাওয়ার আগেই এখন মাইনাস করে দেয়:(

৪৪| ১৮ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:১৮

মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: সুখের লেখা লিখো একটা

১৮ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:০২

ফারহান দাউদ বলেছেন: দুঃখের কি দেখলা,সুখেই তো আছি:)

৪৫| ১৮ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৩:৩২

রিফাত হাসান বলেছেন: চাকরি বাকরি ছেড়ে দিনলিপি লিখতে থাকেন। ভালইতো হচ্ছে। তবে উপরে মেহরাব এর কথাটা মনে রাইখেন।

১৮ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৪:০৪

ফারহান দাউদ বলেছেন: হুম,তবে পকেট ফাঁকা,ঐ নিয়ে চিন্তায় আছি।

৪৬| ১৮ ই জুলাই, ২০০৮ বিকাল ৫:০০

ইফতেখার ইনান বলেছেন: লৈখা ভাল লাগসে... :)
ফোন নাম্বার নিয়া তো তোর কোন খবর নাই.. বিষয় কি??

১৮ ই জুলাই, ২০০৮ রাত ১১:২৭

ফারহান দাউদ বলেছেন: ফোন নম্বর নেয়ার পরে জ্বরে পইড়া চিৎ হয়া গেসি,একটু সামলায়া নেই:(

৪৭| ১৯ শে জুলাই, ২০০৮ ভোর ৫:৫৫

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: দেখে গেলাম নূতন লেখা আছে কিনা।

১৯ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:৪৭

ফারহান দাউদ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। চেষ্টা করছি কিছু করার,ঠিকমত কিছু হচ্ছে না।

৪৮| ০২ রা আগস্ট, ২০০৮ রাত ৮:৫৫

অজানা অচেনা বলেছেন: অনেক দেরীতে পড়লাম। চাকরিজীবনের জ্বালায় যখন পিষ্ট হচ্ছি, তখন নদীর ওপারের লোকদের দিনলিপি পড়ে বেশ চিন্তার খোরাক পাচ্ছি।

বরাবরি অসাধারন। + এবং প্রিয়তে +।

০২ রা আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:০০

ফারহান দাউদ বলেছেন: নদীর কোন পারই আসলে খুশি হয়না,হাতে টাকাকড়ি না থাকলে দুনিয়াটাও সাদা-কালো লাগে:(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.