নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাওয়াইন স্ট্রীল গীটার , কবিতা , উপন্যাস , প্রবন্ধ-নিবন্ধ , ভোকাল ও আর্ট • এসব আমার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে

দেবজ্যোতিকাজল

আমি ক্যাপিটেল পালিসমেন্টের বিরুদ্ধে ।মানবতা মানুষের পরিচয় ।।জনগণের বাণীই ঈশ্বরের বাণী । প্রকৃতির সবচে বড় ভুল মানুষ সৃষ্টি । পৃথিবীতে যত অধিকারের আন্দোলন হয়েছে তাতে কিন্তু মানুষকে মানুষ বানাবার আন্দোলন ক্কখোনও হয়নি ৷• বিজ্ঞানে ঈশ্বর নেই । কিন্তু সৃষ্টি আছে •O lf there is no god , create one , সাহিত্য পত্রিকা ※ http://nkkh10.blogspot.com

দেবজ্যোতিকাজল › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুগল্প~ইচ্ছে পূরণের ভাষা

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৫


অনুগল্প
ছোটবেলায় কাদা মাটি দিয়ে পিরামিট বানাতাম । পাড়ার এক দাদুর কাছে যেনেছিলাম পিরামিটে মরা মানুষ ভূত হয়ে বসবাস করে । আমি অবশ্য কখনই বিশ্বাস করতাম না ভূত-টূত বলে কিছু আছে । তবে কোনো এক কারণে মানুষ মারা জান । পিরামিড বানাতে বানাতে আমি ভাবতাম । বড় হলে আমি বিজ্ঞানী হব । মানুষ মারা গেলেই তাদের আমি বাঁচিয়ে তুলব । ওয়ান থেকে টু । টু থেকে থ্রী । আমার জীবনের পরিবর্তন ঘটতে লাগল । আমি যত বড় হতে লাগলাম বিজ্ঞানী হবার ইচ্ছাটা ততই ভিতরে দানা বাঁধতে লাগল । ভাবতাম সারা পৃথিবীর একটি মানুষকেও মরতে দেওয়া যাবে না । আমি তখনও অবদি জানতাম না বিজ্ঞানী কি করে হতে হয় । ভাবতাম এই কাদা মাটির পিরামিড বানাতে বানাতেই একদিন আমি বিজ্ঞানী হয়ে যাব ।
আমি বড় হতে হতে একদিন জানলাম । বিজ্ঞানী হতে গেলে প্রচুর বই পড়তে হয় । আমার পাশের বাড়ির এক মাস্টামোশার বাড়ি গিয়ে দেখি । আলমারি ভর্তি বই । ইংরাজি ও বাংলায় লেখার প্রচুর বই । মাস্টামোশাকে জীঞ্জেস করলাম , এটা কি বই ?
মাস্টামোশা বলে বসল , এটা মানুষ কেমন করে পৃথিবীতে এলো সেই নিয়ে বই ।
বইটা হাতে নিয়ে দেখলাম ইংরাজিতে লেখা । মনে মনে ভাবলাম দুর আমি তো ইংরাজি পড়তেই পারি না । পাশের আলমারি থেকে একটা বই বের করলাম । বইটা বাংলাতেই লেখা । কভার পেজে বড় বড় করে লেখা আছে শরৎ রচনা বলি । বইটা তাকে রেখে মাস্টামোশার দিকে তাকালাম । মাস্টামোশাই আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলল , কি হয়েছে ? হঠাৎ বই-এর পিছনে কেন লাগলি ।


আমি করুণ আর নরম গলায় বললাম , বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের লেখা বই পড়ব ।
মাস্টামোশা বলল, ওসব বই তো সব ইংরাজিতে লেখা ।

মনে মনে ভাবলাম । তবে কি হবে আমার বিজ্ঞানী হবার । আমি কি তবে পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে বাঁচাতে পারব না ? না , আজও এতটা বড় হয়েও বিজ্ঞানী হতে পারিনি । বিজ্ঞান বিষয়ের বইগুলো যে সব ইংরাজিতে লেখা । আমার স্বপ্নের পিরামিড আর বিজ্ঞানী হবার লুপ্ত বাসনা আস্তে আস্তে ইচ্ছাদের ডানায় উড়ে নিরুদ্দেশ হতে লাগল । মানুষ মরে । প্রতিদিন মরে । হয়তো আমিও একদিন মরে যাব । তবুও আমার বিজ্ঞানী হওয়া হবে না । আমার মাতৃভায় আমি কাঁদি হাসি , খিদে পেলে মাকে বলি । বড় জোড় কাউকে খিস্তি দেওয়া যায় । কিন্তু বিজ্ঞান চর্চা করা যায় না ।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

হাতুড়ে লেখক বলেছেন: ভাবতাম সারা পৃথিবীর একটি মানুষকেও মরতে দেওয়া যাবে ।

সম্ভবত "না" বাদ পড়েছে। মাষ্টারমশাই বানানটা ঠিক করুন।

বিজ্ঞানী হতে গেলে বিজ্ঞানীদের লেখাই পড়তে হয়? প্রকৃতির চেয়ে শেখার আর কোন উত্তম মাধ্যম নাই। শুভ কামনা।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৪০

দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৯

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লাগল।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১৯

ধ্রুবক আলো বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প

৪| ০২ রা মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১

সালমান মাহফুজ বলেছেন: বানানগুলোর ব্যাপারে আরেকটু সচেতন হলে লেখাটা আরেকটু সুখপাঠ্য হত । জায়গায় জায়গায় থমকে দাঁড়াইতে হইছে ।

গল্প একটা সংকট ফুটে উঠেছে ! সংকটটা অবশ্যই গুরুত্বের দাবি রাখে । কিন্তু গল্পের বুননে আরেকটু যত্মশীল হওয়ার ব্যাপারে লেখকের প্রতি সামান্য পাঠক দাবি রাখতেই পারি ।

শুভ কামনা রইল । আরো গল্পপাঠের অপেক্ষায় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.