নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ক্যাপিটেল পালিসমেন্টের বিরুদ্ধে ।মানবতা মানুষের পরিচয় ।।জনগণের বাণীই ঈশ্বরের বাণী । প্রকৃতির সবচে বড় ভুল মানুষ সৃষ্টি । পৃথিবীতে যত অধিকারের আন্দোলন হয়েছে তাতে কিন্তু মানুষকে মানুষ বানাবার আন্দোলন ক্কখোনও হয়নি ৷• বিজ্ঞানে ঈশ্বর নেই । কিন্তু সৃষ্টি আছে •O lf there is no god , create one , সাহিত্য পত্রিকা ※ http://nkkh10.blogspot.com
বিছানায় শুতে গিয়ে আইমা চমকে উঠল । তার বালিশের পাশেই ছিল একটা মাকড়সা । বাঁ হাতের ঝটকায় মাকড়সাটা ফেলে দিয়ে । তাঁর স্বামীর বালিশটা তুললো । বালিশের নীচে একটা সাদা খাম দেখতে পেলো আইমা । কৌতূহলী মন নিয়ে আইমা খামটা হাতে তুলে নিয়ে । খামটা খোলার চেষ্টা করল । আইমা খামের মুখটা খুলতেই একটা অল্প বয়সি মেয়ের ছবি দেখতে পেলো । কে এ ! এক ঝটকা ভাবতেই । আইমার চোখের ঘুম বেমালুম উবে গেল । ঝাপসা চোখ পরিস্কার হতেই । গাঢ় দৃষ্টিতে আইমা ছবির মেয়েটাকে চেনার চেষ্টা করল । কিন্তু চিনতে পারল না । বুক কেঁপে উঠল । সুমনকে আইমা ভালবেসে বিয়ে করেছিল । তাই আইমার ছোট পিসি আইমাকে মজা করে মাঝে মাঝে বলতেন , “প্রেম করে তো বিয়ে করলি । ছোঁড়াটাকে চোখে চোখে রাখিস । এই প্রেমে পড়া ছোঁড়ারা মেয়ে মানুষ দেখলেই বারবার প্রেমে পড়তে চায় । ” সত্যি তো তাই । সুমনকে বিয়ে করে এক দিনের জন্যেও শান্তি পেলো না সে । বাবা মায়ের অমতে বিয়ে করে সুমনের সব খারাপ আচরণ হজম করা ছাড়া আর কোন উপায় ছিল না । বাবা-মাকে বললেই হয়তো বলবে , “ তুমি যেহেতু নিজের পছন্দে বিয়ে করেছো । সম্পর্কের ভাল-মন্দ তোমার ।” সেই ভেবেই হজম করা ছাড়া তার আর কোন উপায় ছিল না । আইমা এখন নিঃসঙ্গ হয়ে গেছে । সংসারের এক কোণে কখন যে ফেলনা হয়ে রয়ে গেল তা বুঝে ওঠার আগেই মানসিক মৃত্যু ঘটে গেল । কোনো ভাবেই সুমনের সাথে অ্যাডজাস্টমেন্ট করে উঠতে পারছে না আইমা । হয় তো আর পারবেও না । আটে না হলে তা যে আশিতেও হয় না । এ হচ্ছে গুণী জনের কথা । মানুষের একটা বা দুটো বদ অন্যায় কে মেনে নেওয়া যায় । কিন্তু একাধিক অন্যায় ক্ষমা করার মত মানসিক জোড় বা ভরসা কোনটাই ছিল না আইমার । অতীত বড় নিষ্ঠুর হয়ে বুকে চেপে বসেছে । যে অতীত আইমাকে স্বপ্ন দেখিয়েছিল । বিশ্বাস করতে শিখিয়েছিল । পথ চলতে শিখিয়ে ছিল । আর আজ সে সব ভুলের মাশুল হয়ে কাঁদায় । তাকে কোনো ভাবেই ভুল বলে হেসে উড়িয়ে দেওয়া যায় না ।
সুমন যখন আইমার প্রেমিক ছিল । তখন ওর ঔ সহজ সরলতায় আইমাকে বোকা বানিয়ে রেখেছিল । সুমন বারবার আইমাকে বলত । প্রেম না কি গরিব বড়লোক মানে না । বয়সের ভার মানে না । এমন কি , ধর্মেরও কারণ হয়ে ওঠে না । মিথ্যা কথা । একদম ডাহা মিথ্যা কথা । প্রেম যদি ধর্মই না মানবে , তবে বিয়ে করতে গেলে ধর্মান্তরের প্রশ্ন উঠে কেনো ? রিমার ব্যাপারটা তো সচক্ষেই দেখলাম । রিমা যখন আসাদকে বিয়ের চাপ দিচ্ছিল । তখন আসাদ স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়েছিল । ধর্মান্তর না করে নাকি আসাদ বিয়ে করতে পারবে না রিমা কে । রিমাও তখন কোন পথ খুঁজে না পেয়ে কালমা পড়ে আসাদকে বিয়ে করেছিল । সত্যি প্রেমের বই-এ কত প্রকারের ফেক কোটেশন আছে । যা শুধু মিথ্যাই না , ডাহা মিথ্যা । এই ধর্ম পরিবর্তন ব্যপারটাই যেনো বড্ড গোলমেলে । ধর্ম কি পোষাক ! পছন্দ হলো না । ফেলে দিয়ে আর একটা পড়ে নিলাম । ধর্ম আর প্রেম দুটো দুই প্রান্তের সামাজিক বাঁধন । মোহের আরাক নাম যদি প্রেম হয় । ধর্ম সেই মোহের শরীরে দেয় সিল মোহর ।
তবে কেনো বাপু এই মিথ্যা জ্ঞানের শিয়ালী তরপাও । কত প্রকারের মিথ্যার মধ্যে এই একটা মিথ্যা যুগ য়ুগ ধরে চলে আসছে । ভাবলেই গা গুলিয়ে ওঠে । যে “ প্রেম ভালবাসায় নাকি ধর্ম নেই ।”
আইমা সুমনকে বারবার চিৎকার করে তারার-সপ্তমে গলা চড়িয়ে ডাকতে লাগল ,“ কি গো শুনছো ? এ দিকে একটু এসো তো । অনেক তো জ্বালালে । আর কিভাবে জ্বালালে তুমি সুখি হবে ।"
সুমন বিরক্তি ভাব নিয়ে আইমার সামনে দাঁড়াতেই । আইমা ছবির খামটা সুমনের দিকে বাড়িয়ে ধরল । সুমন খামটা হাতে নিয়ে । তাপ বা উত্তাপ না দেখিয়ে মেজাজ চড়িয়ে বলল , “তো.... ”
সুমনের নির্লজ্জপনা কথা শুনে । আইমা চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দিল । এক সময়ে সে ঝগড়াটা চরম মাত্রায় গিয়ে দাঁড়াল । আইমা যতটা গলা চড়িয়েছে । সুমন ছিল তার চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে । সুমনে হাতে যে সিগারেটটা ছিল । তা আইমার কাধে চেপে ধরে দাঁত কিটিমিটি করে বলল ,“ বেশ করেছি । ”
আইমা এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে । এরপর যা ঘটল তা যেনো ভালবাসার চরম উপহার । অন্ধকার রাস্তা আইমাকে তিরস্কার করতে লাগল । পিসির কথাটা এত মূল্যবান ছিল । আগে কখনও ভেবে ওঠতে পারে নি ।
এদিকে সুমন ১০ মিনিটের মধ্যে ৫/৭ জন বন্ধুকে নিয়ে । আইমাকে এক অন্ধকার গলির মধ্যে পেয়ে গেল । সেখান থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে সুমন তার ভালবাসার বৌটিকে গণ ধর্ষণ করালো । আইমা সুমন কে চিনতে পেরেছিল । যখন সুমন আইমার উপর শারিরীক অত্যাচার চালায় । বহুদিনের অভ্যাস গত বেডপার্টনার ছিল সুমন । তাই সুমনকে চিনতে অসুবিধা হলো না । সুমনের লালসার মধ্যে ধরে পড়ে গেল আইমার কাছে সুমন । সুমনও চায়নি নিজেকে ধরা দিতে । আইনি প্রমান লোপাট করতে । তাই নিজে হাতে আইমার শরীরে কেরসিনের তেল ঢেলে জ্বালিয়ে দিতে ভুলেন নি সুমন । এই মানুষ সুমনটা কখন যে কনভার্ট হয়ে জানোয়ার হয়ে গেল । বেমালুম বুঝতে পারল না আইমা । আইমার মুখ বাঁধা ছিল বলে বলতে পারল না ,“ সুমন ! তুমি কি সেই অতীতের সহজ সরল সুমন ! তোমাকে চিনতে এতটাই ভুল হয়ে গেল !”
০১ লা আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: যেমন..।
২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:১৬
প্রোলার্ড বলেছেন: বেড পার্টনার < বিয়ে < ধর্ষন < পুড়িয়ে হত্যা
এটাই তো হবার কথা এরকম স্ট্যাটাসে
০১ লা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২৭
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ধন্যবাদ রইল
৩| ০১ লা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: ভালো। তবে কিছু কিছু গ্যাপ আছে।
০১ লা আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৫৭
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: একটু ধরে দাও তো ঠিক করে নিব
৪| ০১ লা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:২২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: তোমার এই গল্প খাপছাড়া ধরনের, কোন ধারাবাহিকতা নাই। আর ''।'' এর ব্যবহার অত্যাধিক। আরও চেষ্টা করো, আস্তে আস্তে হবে।
০২ রা আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৭:২৪
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
করুণ, কস্টকর।
আপনার লেখা সাবলীল নয়