নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নচারী পথিক।যখন যা ভালো লাগে তাই মনযোগ দিয়ে করার চেষ্টা করি।সত্যের সন্ধানী।

দেব জ্যোতি কুন্ডু

সাঁঝবাতি

দেব জ্যোতি কুন্ডু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিষয়-কারিকুলাম ২০২৩-২০২৪

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩২

অনেকেই বর্তমান কারিকুলাম নিয়ে নানা মন্তব্য করছেন, কারিকুলাম সম্পর্কে টুকরো টুকরো জ্ঞান নিয়ে।সৃজনশীল পদ্ধতির শুরুতেও অনেক আন্দ্লন,সমালোচনা হয়েছিলো।এর আগে এমসিকিউ শুরুর সময়ও আলোচনা সমালোচনা হয়েছিলো।তার মানে নতুন কিছুর শুরুতে এমন প্রতিক্রিয়া করতে দেখা যায়।এখন যেমন সোশাল মিডিয়া আছে তাই সহজে কোনকিছু নিয়ে আলোচনা সমালোচনা সহজে করা যায়।ডিজিটাল স্লোগান নিয়ে যখন নির্বাচনি ইস্তেহার এসেছিলো তখন তা নিয়েও বেশ সমালোচনা হয়েছে।এখন তা যখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে তখন তা ব্যবহার করে কারিকুলাম নিয়ে বুঝে বা না বুঝে সমালোচনা চলছে।কেউ বিতর্ক উস্কে দিয়ে বিভিন্ন অসত্য কন্টেন্ট বানিয়ে প্রচার করে টাকা ঊপার্জন করছে।আবার সেটা শেয়ার করে বা দেখে বা কুরুচিপুর্ণ মন্তব্য করে তার চরিত্রের বহিপ্রকাশ করছে।যখন বিদ্যুৎ এর ভয়াবহ সংকট ছিলো তখন তা নিয়ে মারাত্মক ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করতো।সাথে সাথে বিভিন্ন কুরুচিপুর্ণ মন্তব্য করে, বক্তৃতা বিবৃতি দিয়ে সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দিত।এখন বিদ্যুৎ ,এন্টারনেট সহজলোভ্য পেয়ে এবং তা ব্যবহার করে সেই অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
যদি এমন হতো, ষষ্ঠ বা সপ্তম শ্রেণির অমুক বইয়ের অমুক বিষয়টা ভুল আছে বা এটা পড়লে এই নেতিবাচক দিক আছে এটা সংশোধন করা ভালো তবে জাতি সেটা জানতে পারে এবং তাতে উপকার আসতো।তা না করে তারা কী করছে ট্রেনিং এর অবসরে রিলাক্স বা এক্সট্রা কারিকুলাম এক্টিভিটজকে কারিকুলামের অংশ বানিয়ে তা নিয়ে চলছে ট্রল।
আগের কারিকুলাম বা তার আগের কারিকুলাম দিয়ে জাতির কী উপকার হয়েছে তা জাতি জানে।মানুষ কতটা জ্ঞানবিজ্ঞানে,গবেষণায়,সততায়,অসাম্প্রদায়িকতায় এগিয়েছে তাতো দৃশ্যমান।শিক্ষায় ভালো করলে চলে যাচ্ছে উন্নত দেশে,আর্থিক ভালো হলে টাকা নিয়ে যাচ্ছে উন্নত দেশে।
একসময় একটা বিষয়ে নিজের ভাষায় লিখতে বলতো নম্বর দিতো পরিক্ষকের মর্জিমত।মুখস্থ নির্ভর ছিলো পড়ালেখা,যে মুখস্থ বিদ্যায় ভালো সে রেজাল্ট ভালো করতো। বিজ্ঞানে পড়ে হয়েছে কুসংস্কারাচ্ছন্ন লোক।বিজ্ঞানে পড়ে ব্যাংকার,কেরাণি।দেশের বেশিরভাগের চাহিদা সর্বোচ্চ বিসিএস ক্যাডার।
আর কারিকুলাম নিচ্ছে উন্নত দেশের কিন্তু সেখানার মত শিক্ষায় বিনিয়োগ করছেনা সরকার।খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ন দেশ।কিন্তু সবকিছু আমদানি নির্ভর।মানুষ থাকছে বেকার।টেকসই হচ্ছেনা উন্নয়ন।উন্নয়ন যেন ওয়ানটাইম।শিক্ষকরা পাচ্ছে কম বেতন,কম মর্যাদা।মেধাবীরা আসছেনা শিক্ষক হতে।কে ভালো বাসছে দেশকে তা আতশি কাঁচ দিয়ে খুঁজতে হয়।শিক্ষক,শিল্পি,ব্যবসায়ি সবাই চাচ্ছে সুবিধা।দেশকে নিয়ে ভাবার সময় কই!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

রিফাত হোসেন বলেছেন: এই কারিকুলাম ২০২৩-২৪ খারাপ নয়। কিন্তু তা বাংলাদেশের জন্য কতটুকুই উপযোগী? শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থী অনেক। শিক্ষকদের মান অত ভাল নয়। দেখা যাক, ভবিষ্যতে কি প্রভাব সৃষ্টি হয়!

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৬

নাহল তরকারি বলেছেন: সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর, সবাই বানাইয়া বানাইয়া উত্তর দিয়ে আসে। মনে করুন প্রশ্নে চাইছে “আপনি কি দিয়ে ভাত খেয়েছেন?” উত্তরদাতা লিখবে “গতকাল পাহাড়পুর গিয়েছিলাম।” ১৯৮০ সালের এসএসসি পাশ করার ছাত্রের সাথে বর্তমান মাষ্টার্স পাশের ছাত্রের ইংরেজি writing প্রতিযোগিতা করুন। দেখবেন এসএসসি পাশ মুরব্বি পাশ করবে। আর মাষ্টার্স পাশ ছাত্রের একটি লাইনে ১০টি ভুল পাবেন।

দেশ ডিজিটাল হয়েছে। জন্মনিবন্ধন, ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র, জমির খাজনা, পাসপোর্ট সব অনলাইন বেইস হয়েছে। এখন অনলাইনে এসএসসি ও এইচ এস সি পরীক্ষর রেজাল্ট দেয়। জন্মনিবন্ধন অনলাইন হবার আগে এই সার্ভিস এক দিনেই পাওয়া যেতো। এখন বাচ্চার নতুন জন্ম নিবন্ধন করতে গেলে ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন এর আঞ্চলিক অফিসে ১০ থেকে ১৫ দিন যাওয়া লাগে। আর সামান্য একটি সংশোধন (মনে করেন “আরীফ এর স্থানে আরিফ”) মাসের পর মাস সংশোধনী আবেদন পড়ে থাকে, সংশোধন আর হয় না। সব সার্ভার জটিলতার দোষ। তাহলে দেশ ডিজিটাল হয়ে লাভ হলো কি? এখন একদিনের স্থানে মাসের পর মাস লাগে।

বিজ্ঞান পড়ে সে ব্যাংকার হবে নাকি কেরানী হবে এটা তার ইচ্ছে। কারন বউ খুজতে গেলে ছেলের বাপ জ্ঞিগাসা করে ছেলে সরকারি চাকরি করে নাকি? ব্যাংকার কি না? বিজ্ঞানী হলে মাসে ১০ হাজার বেতন। আর বিসিএস ক্যাডার হলে ২০ হাজার থেকে বেতন শুরু। তাহলে কোনটা ভালো?

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=3xHJAue8k-o

আপনি বলেছেন শিক্ষক প্রশিক্ষন নিয়ে যেসব ট্রুল হচ্ছে তা নাকি আসলে ট্রেনিং এর অবসরে রিলাক্স বা একট্রা কারিকুলাম এক্টিভিটিজ =p~ =p~ =p~ =p~ =p~

এই দেশকে আপনারা অত্যন্ত সাফল্যের সাথে একটা সার্কাস বা চিড়িয়াখানা বানিয়ে ফেলতে সমর্থ হয়েছেন !!!

৪| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: প্রাইমারী স্কুলের ৮৫% শিক্ষকরা মানহীন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.