![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“পদ্মা সেতুর নামাকরন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামেই করা হোক” এই বিষয়ে আমি দেশবাসী এবং মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
পদ্মা সেতুকে বাংলাদেশে অনেকে 'স্বপ্নের সেতু' বলে বর্ণনা করছেন। আসলেই তাই পদ্মার ওপর এরকম সেতু অনেকের কল্পনারও বাইরে ছিল। কিন্তু এটি নির্মাণের কাজটি সহজ হবে না। বিশ্বের সবচেয়ে বিশাল এবং প্রমত্তা নদীগুলোর একটি পদ্মার দুই তীরকে সেতু দিয়ে বাঁধতে যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে প্রকৌশলীদের:
১. পদ্মা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বিশাল এবং প্রমত্তা নদীগুলোর একটি। এই নদীর যে জায়গায় সেতুটি নির্মিত হবে, সেখানে নদী প্রায় ছয় কিলোমিটার প্রশস্ত। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ছয় দশমিক পনের কিলোমিটার। এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ার কোন নদীর ওপর নির্মিত দীর্ঘতম সেতু।
২. পদ্মা সেতু শুধু মাত্র সড়ক সেতু নয়। একই সঙ্গে এই সেতুর ওপর দিয়ে যাবে ট্রেন। এছাড়াও যাবে গ্যাস পাইপ লাইন এবং বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। দুই তলা ব্রীজের ওপর দিয়ে যাবে গাড়ী, আর সেতুর নীচের লেভেলে থাকবে ট্রেন লাইন।
৩. বর্ষাকালে পদ্মা নদীতে স্রোতের বেগ এত বেশি থাকে যে, সেতুর নকশা করার সময় প্রকৌশলীদের কাছে এটি এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় । একদিকে গঙ্গা, আরেকদিকে ব্রহ্মপুত্র- দক্ষিণ এশিয়ার এই দুটি বিশাল এবং দীর্ঘ নদীর অববাহিকার পানি এই পদ্মা দিয়েই বঙ্গোপসাগরে নামছে। উজান থেকে নেমে আসা এই স্রোতের ধাক্কা সামলাতে হবে ব্রীজটিকে। সেই সঙ্গে নদীর দুই তীরে নদীশাসনে প্রচুর অর্থ খরচ করতে হবে।
৪. বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পলি বহন করে এই দুই নদী। বলা যেতে পারে এই দুই নদীর পলি জমেই গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের অনেকখানি অঞ্চল। এই সেতুর নকশা করার ক্ষেত্রে এই নদী বাহিত পলির বিষয়টিকে বিবেচনায় নিতে হয়েছে প্রকৌশলীদের।
৫. পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে এমন এক অঞ্চলে যেখানে ভূমিকম্পের ঝুঁকিও আছে। এ নিয়ে সেতুর নকশা তৈরির আগে বিস্তর সমীক্ষা করা হয়েছে। কিছু সমীক্ষা করেছে বাংলাদেশে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। সেতুর নকশাটিকে এজন্যে ভূমিকম্প সহনীয় করতে হয়েছে।
পদ্মা সেতুর ভিত্তির জন্য পাইলিং এর কাজ করতে হবে নদীর অনেক গভীরে। বিশ্বে কোন নদীর এতটা গভীরে গিয়ে সেতুর জন্য পাইলিং এর নজির খুব কম। প্রকৌশলীদের জন্য এটাও এক বড় চ্যালেঞ্জ।
৭. এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প। খরচ হবে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা। বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগে এই প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ানোর পর বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এটি করছে। বিদেশি সাহায্য ছাড়া নিজের খরচে এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের নজির বাংলাদেশে আর নেই।
প্রথম ছয়টা কোন বিষয় নয় আসল বিষয় ৭ম টা অর্থায়ন, বাকী সব টাকা দিলেই মিলে। এই অর্থায়নের সাহসী ভুমিকাটা কাঁধে নিলেন শেখ হাসিনা বললেন নিজস্ব অর্থায়নে করবেন পদ্মা সেতুর কাজ, তখন হাসল দেশ, হাসল দশ হাসল বিশ্ব। হাসল সবাই কিন্তু হাসিনা থাকলেন অটুট সেতুর ৩০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে শেষ এখন সবার সম্বিত ফিরে আসল, দেখিয়ে দিলেন শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু বাস্তবের পথে, পিলার গুলু মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, শেষ হয়েছে নদী শাসন আর এপ্রোচ রোড়ের কাজ, পদ্মা সেতু এখন আর কোন স্বপ্ন নয় এক চরম বাস্তবতার নাম। শেখ হাসিনা আর পদ্মা সেতু একে অপরের পরিপুরক।
পদ্মা সেতু প্রকল্পটি যদি হাসিনা সরকার তাদের এবারের ক্ষমতায় থাকার সময়ে দেশের অর্থে শেষ করতে পারেন, তা শুধু এ সরকারের একটি অভূতপূর্ব সাফল্য হবে না, হবে একটি বিরাট বিজয় স্তম্ভও। মার্কিন-চক্রান্ত ও বাধা দানের মুখে মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট নাসের নীলনদের উপর আসোয়ান বাঁধ নির্মাণ করে মিসরের মানুষের কাছে চিরকালের হিরো হয়ে গিয়েছিলেন। আসোয়ান বাঁধে অর্থ সাহায্য দানে আমেরিকা বিভিন্ন শর্ত জুড়ে পিছিয়ে আসার পর সঙ্গে সঙ্গে সেই অর্থ সাহায্য নিয়ে এগিয়ে এসেছিল সাবেক সোভিয়েট ইউনিয়ন। আসোয়ান বাঁধ নির্মাণে সোভিয়েট ইউনিয়ন শুধু অর্থ সাহায্য নয়, কারিগরি সাহায্যও দিয়েছিল। প্রায় অর্ধশত বছর আগে নাসেরের মিসরের সঙ্গে আমেরিকা যে খেলা খেলেছে, এবার বাংলাদেশের পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে হাসিনা সরকারের সঙ্গে প্রায় একই খেলা খেলেছে আমেরিকা। আমাদের এইবিষয়ে পালটা অর্থায়নের কোন সুযোগই নেই, কিছু করতে হলেই করতে হবে নিজ অর্থে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থ দেয়ার আগেই তাতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক প্রতিশ্রুত অর্থ বরাদ্দ বাতিল করে।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা দেশের যে একটি উন্নয়ন প্রকল্পকে অগ্রধিকার দিয়েছেন আর তাহল পদ্মা সেতু প্রকল্প। শেখ হাসিনা তার দ্বিতীয় মেয়াদের ক্ষমতায় থাকাকালেই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে আগ্রহী ছিলেন, এবার তিনি দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। পদ্মা সেতু এবার হবেই। ফলে আরও ভয় পেয়েছে বিদেশি পরাশক্তি এবং তাদের দেশি অনুচরেরা। পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এই সরকারের জনপ্রিয়তা এতো বাড়বে যে, আগামী একটি কেন, দু'টি নির্বাচনেও এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু এবার বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। শত শত শ্রমিক আর প্রকৌশলীর অক্লান্ত পরিশ্রমে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে মূল সেতু নির্মাণকাজ। সরেজমিন বিশাল নির্মাণযজ্ঞ দেখে এমনটিই প্রতীয়মাণ হয়েছে। এটিই হবে দেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম সেতু। যে সেতু দিয়ে সড়ক যান চলাচলের পাশাপাশি রেল চলাচলের ব্যবস্থাও থাকবে। আর দেশের কোটি কোটি মানুষের কাক্সিক্ষত এই সেতুর বাস্তব যাত্রা শুরু হবে ২০১৮ সালে।
রোদের প্রচণ্ড তাপ মাথায় নিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন বিপুলসংখ্যক প্রকৌশলী ও শ্রমিক। কেউ পদ্মা নদীতে পরীক্ষামূলক পাইপ বসানোর কাজে নিয়োজিত, কেউ আবার অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণে ব্যস্ত। দেশী-বিদেশী প্রকৌশলীরা দাঁড়িয়ে থেকে দেখভাল করছেন এসব কার্যক্রম। নির্মাণকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা জানান, স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দেশী-বিদেশী প্রকৌশলী, কর্মকর্তাসহ প্রায় তিন হাজার শ্রমিক। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করতে তারা সবাই একযোগে প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর (ফাস্ট ট্রাক) এক নম্বরে রয়েছে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এটি সরাসরি মনিটরিং করা হচ্ছে। সরকারের শীর্ষ মহলের সহযোগিতায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ নিজস্ব অর্থায়নেই বাস্তবায়ন হচ্ছে, যা এগিয়ে চলছে দ্রুত গতিতে। তারা বলেন, এই সেতুই হবে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য। বিশ্বব্যাংকসহ দেশী-বিদেশী মহলের বাধা উপেক্ষা করে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সেতু দিয়ে যুগপৎভাবে যানবাহন ও ট্রেন চলাচল করবে- এমন পরিকল্পনা সামনে রেখে এগোচ্ছে সবকিছু।
এইবার বলি আসল কথাঃ টুকটাক রাজনীতি করার কারনে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতি ছিল এইরকম অনেক রাজনৈতিক সভা, মিটিং বা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সু্যোগ আমার হয়েছে জীবনে অনেকবার। সাধারনত ঐ সব মিটিংয়ে বক্তারা যখন বক্তব্য দিতে ফ্লোর পান, তারা বক্তব্যের শুরুতে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এড্রেস করার সময় এমন এমন সব বিশেষনে অভিহিত করেন এবং তাতে ১০ মিনিটের বক্তব্যের মধ্যে ৮ মিনিটই খরচ করেন বিশেষন প্রয়োগে, তারা মনে করেন এইভাবে হয়তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানিত করা যায়।
দেশ জুড়ে যেইখানে নাম পরিবর্তন বা নামাকরনের হিড়িক চলছে অহেতুক অমুক তমুকের নামে যেকোন কিছু করা হচ্ছে সেই জায়গায় আমার একটাই জিজ্ঞাস্য, “ আমরা তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কোন পরামর্শ দিতে পারিনা কারন আপনারা যারা ৮ মিনিট বিশেষন প্রয়োগ করেন তাদের অহেতুক চিৎকারের কারনে আমাদের আকুল আহবান বা ব্যাকুলতা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কানে পৌঁছানোর কোন সুযোগই নাই কাজেই আমার ইচ্ছা এই সেতুর নামাকরন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামেই হোক।
পদ্মা সেতু সম্পর্কে এতক্ষন যা বলেছি সবই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা আর অসম্ভব রকমের সাহসের কারনে সম্ভব হয়েছে। বংগবন্ধুর জন্ম না হলে যেমন বাংলাদেশ হতোনা ঠিক তেমনি বংগবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্ম না হলে দক্ষিন বংগ আর মুল ভুখন্ডকে যুক্ত করার কোন সু্যোগই সৃষ্টি হতোনা কাজেই শেখ হাসিনার কাজের স্বীকৃতি দিতে চান ? তবে এই সেতুর নামাকরন করুন শেখ হাসিনার নামে। এইটার দাবীদার একমাত্র শেখ হাসিনা, কাজেই অহেতুক বিশেষন প্রয়োগ বন্ধ করুন শেখ হাসিনার কাজের স্বীকৃতি দিন এই সেতুর নামাকরন করুন শেখ হাসিনার নামে।
এইদেশে এখনও তেমন কিছুই নেই শেখ হাসিনার নামে অথচ তিনি বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, খালেদা জিয়ার নামে দেশের প্রায় সব বিশ্ববদ্যালয়েই একটি করে হল আছে। যারা সবসময় আমাদের প্রানপ্রিয় নেত্রীর আশেপাশে ঘুরঘুর করেন, তাকে সর্বান্তকরণে খুশী করার চেষ্টা করেন তাদের মাথা কতটাই অনুরবর যে তাদের মাথায়ই আসলনা যে এই সেতুর নামাকরন শেখ হাসিনার নামেই করা উচিত তাতেই তার প্রতি যোগ্য সম্মান করা হয়। এবং এইটা খুবই দুঃখজনক যে তা আমাদেরকেই মনে করিয়ে দিতে হচ্ছে।
শুধু শেখ হাসিনাই কি দেশ ও দেশের মানুষকে সব দিয়ে যাবে এই যেমনঃ শক্তি, সাহস, উপহার ও দক্ষ নেতৃত্বই ইত্যাদি? বিনিময়ে আমরা কি হাসিনাকে কিছুই দিতে পারিনা!!!!!!! দিতে কি পারিনা এতটুকু সম্মান হিসাবে তার কাজের স্বীকৃতি? পারিনা করতে পদ্মা সেতুর নামকরন, “ #শেখ_হাসিনার_নামে”?
মনে রাখবেন, যে দেশে গুনীর কদর হয়না সে দেশে গুনীর জন্ম হয়না"। জয়তু বংগবন্ধু কন্যা, শেখ হাসিনা"।
“পদ্মা সেতুর নামাকরন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামেই করা হোক” এই বিষয়ে আমি দেশবাসী এবং মাননীয় যোগাযোগ মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
পদ্মা সেতুকে বাংলাদেশে অনেকে 'স্বপ্নের সেতু' বলে বর্ণনা করছেন। আসলেই তাই পদ্মার ওপর এরকম সেতু অনেকের কল্পনারও বাইরে ছিল। কিন্তু এটি নির্মাণের কাজটি সহজ হবে না। বিশ্বের সবচেয়ে বিশাল এবং প্রমত্তা নদীগুলোর একটি পদ্মার দুই তীরকে সেতু দিয়ে বাঁধতে যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে প্রকৌশলীদের:
১. পদ্মা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বিশাল এবং প্রমত্তা নদীগুলোর একটি। এই নদীর যে জায়গায় সেতুটি নির্মিত হবে, সেখানে নদী প্রায় ছয় কিলোমিটার প্রশস্ত। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ছয় দশমিক পনের কিলোমিটার। এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ার কোন নদীর ওপর নির্মিত দীর্ঘতম সেতু।
২. পদ্মা সেতু শুধু মাত্র সড়ক সেতু নয়। একই সঙ্গে এই সেতুর ওপর দিয়ে যাবে ট্রেন। এছাড়াও যাবে গ্যাস পাইপ লাইন এবং বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন। দুই তলা ব্রীজের ওপর দিয়ে যাবে গাড়ী, আর সেতুর নীচের লেভেলে থাকবে ট্রেন লাইন।
৩. বর্ষাকালে পদ্মা নদীতে স্রোতের বেগ এত বেশি থাকে যে, সেতুর নকশা করার সময় প্রকৌশলীদের কাছে এটি এক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় । একদিকে গঙ্গা, আরেকদিকে ব্রহ্মপুত্র- দক্ষিণ এশিয়ার এই দুটি বিশাল এবং দীর্ঘ নদীর অববাহিকার পানি এই পদ্মা দিয়েই বঙ্গোপসাগরে নামছে। উজান থেকে নেমে আসা এই স্রোতের ধাক্কা সামলাতে হবে ব্রীজটিকে। সেই সঙ্গে নদীর দুই তীরে নদীশাসনে প্রচুর অর্থ খরচ করতে হবে।
৪. বিশ্বে সবচেয়ে বেশি পলি বহন করে এই দুই নদী। বলা যেতে পারে এই দুই নদীর পলি জমেই গড়ে উঠেছে বাংলাদেশের অনেকখানি অঞ্চল। এই সেতুর নকশা করার ক্ষেত্রে এই নদী বাহিত পলির বিষয়টিকে বিবেচনায় নিতে হয়েছে প্রকৌশলীদের।
৫. পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে এমন এক অঞ্চলে যেখানে ভূমিকম্পের ঝুঁকিও আছে। এ নিয়ে সেতুর নকশা তৈরির আগে বিস্তর সমীক্ষা করা হয়েছে। কিছু সমীক্ষা করেছে বাংলাদেশে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। সেতুর নকশাটিকে এজন্যে ভূমিকম্প সহনীয় করতে হয়েছে।
পদ্মা সেতুর ভিত্তির জন্য পাইলিং এর কাজ করতে হবে নদীর অনেক গভীরে। বিশ্বে কোন নদীর এতটা গভীরে গিয়ে সেতুর জন্য পাইলিং এর নজির খুব কম। প্রকৌশলীদের জন্য এটাও এক বড় চ্যালেঞ্জ।
৭. এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় অবকাঠামো প্রকল্প। খরচ হবে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা। বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগে এই প্রকল্প থেকে সরে দাঁড়ানোর পর বাংলাদেশ সরকার নিজস্ব অর্থায়নে এটি করছে। বিদেশি সাহায্য ছাড়া নিজের খরচে এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের নজির বাংলাদেশে আর নেই।
প্রথম ছয়টা কোন বিষয় নয় আসল বিষয় ৭ম টা অর্থায়ন, বাকী সব টাকা দিলেই মিলে। এই অর্থায়নের সাহসী ভুমিকাটা কাঁধে নিলেন শেখ হাসিনা বললেন নিজস্ব অর্থায়নে করবেন পদ্মা সেতুর কাজ, তখন হাসল দেশ, হাসল দশ হাসল বিশ্ব। হাসল সবাই কিন্তু হাসিনা থাকলেন অটুট সেতুর ৩০ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে শেষ এখন সবার সম্বিত ফিরে আসল, দেখিয়ে দিলেন শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু বাস্তবের পথে, পিলার গুলু মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে, শেষ হয়েছে নদী শাসন আর এপ্রোচ রোড়ের কাজ, পদ্মা সেতু এখন আর কোন স্বপ্ন নয় এক চরম বাস্তবতার নাম। শেখ হাসিনা আর পদ্মা সেতু একে অপরের পরিপুরক।
পদ্মা সেতু প্রকল্পটি যদি হাসিনা সরকার তাদের এবারের ক্ষমতায় থাকার সময়ে দেশের অর্থে শেষ করতে পারেন, তা শুধু এ সরকারের একটি অভূতপূর্ব সাফল্য হবে না, হবে একটি বিরাট বিজয় স্তম্ভও। মার্কিন-চক্রান্ত ও বাধা দানের মুখে মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট নাসের নীলনদের উপর আসোয়ান বাঁধ নির্মাণ করে মিসরের মানুষের কাছে চিরকালের হিরো হয়ে গিয়েছিলেন। আসোয়ান বাঁধে অর্থ সাহায্য দানে আমেরিকা বিভিন্ন শর্ত জুড়ে পিছিয়ে আসার পর সঙ্গে সঙ্গে সেই অর্থ সাহায্য নিয়ে এগিয়ে এসেছিল সাবেক সোভিয়েট ইউনিয়ন। আসোয়ান বাঁধ নির্মাণে সোভিয়েট ইউনিয়ন শুধু অর্থ সাহায্য নয়, কারিগরি সাহায্যও দিয়েছিল। প্রায় অর্ধশত বছর আগে নাসেরের মিসরের সঙ্গে আমেরিকা যে খেলা খেলেছে, এবার বাংলাদেশের পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে হাসিনা সরকারের সঙ্গে প্রায় একই খেলা খেলেছে আমেরিকা। আমাদের এইবিষয়ে পালটা অর্থায়নের কোন সুযোগই নেই, কিছু করতে হলেই করতে হবে নিজ অর্থে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে অর্থ দেয়ার আগেই তাতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বিশ্বব্যাংক প্রতিশ্রুত অর্থ বরাদ্দ বাতিল করে।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা দেশের যে একটি উন্নয়ন প্রকল্পকে অগ্রধিকার দিয়েছেন আর তাহল পদ্মা সেতু প্রকল্প। শেখ হাসিনা তার দ্বিতীয় মেয়াদের ক্ষমতায় থাকাকালেই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে আগ্রহী ছিলেন, এবার তিনি দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। পদ্মা সেতু এবার হবেই। ফলে আরও ভয় পেয়েছে বিদেশি পরাশক্তি এবং তাদের দেশি অনুচরেরা। পদ্মা সেতু প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এই সরকারের জনপ্রিয়তা এতো বাড়বে যে, আগামী একটি কেন, দু'টি নির্বাচনেও এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু এবার বাস্তবে রূপ নিতে যাচ্ছে। শত শত শ্রমিক আর প্রকৌশলীর অক্লান্ত পরিশ্রমে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছে মূল সেতু নির্মাণকাজ। সরেজমিন বিশাল নির্মাণযজ্ঞ দেখে এমনটিই প্রতীয়মাণ হয়েছে। এটিই হবে দেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম সেতু। যে সেতু দিয়ে সড়ক যান চলাচলের পাশাপাশি রেল চলাচলের ব্যবস্থাও থাকবে। আর দেশের কোটি কোটি মানুষের কাক্সিক্ষত এই সেতুর বাস্তব যাত্রা শুরু হবে ২০১৮ সালে।
রোদের প্রচণ্ড তাপ মাথায় নিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন বিপুলসংখ্যক প্রকৌশলী ও শ্রমিক। কেউ পদ্মা নদীতে পরীক্ষামূলক পাইপ বসানোর কাজে নিয়োজিত, কেউ আবার অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণে ব্যস্ত। দেশী-বিদেশী প্রকৌশলীরা দাঁড়িয়ে থেকে দেখভাল করছেন এসব কার্যক্রম। নির্মাণকাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা জানান, স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দেশী-বিদেশী প্রকৌশলী, কর্মকর্তাসহ প্রায় তিন হাজার শ্রমিক। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেতুর কাজ শেষ করতে তারা সবাই একযোগে প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোর (ফাস্ট ট্রাক) এক নম্বরে রয়েছে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এটি সরাসরি মনিটরিং করা হচ্ছে। সরকারের শীর্ষ মহলের সহযোগিতায় স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ নিজস্ব অর্থায়নেই বাস্তবায়ন হচ্ছে, যা এগিয়ে চলছে দ্রুত গতিতে। তারা বলেন, এই সেতুই হবে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য। বিশ্বব্যাংকসহ দেশী-বিদেশী মহলের বাধা উপেক্ষা করে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সেতু দিয়ে যুগপৎভাবে যানবাহন ও ট্রেন চলাচল করবে- এমন পরিকল্পনা সামনে রেখে এগোচ্ছে সবকিছু।
এইবার বলি আসল কথাঃ টুকটাক রাজনীতি করার কারনে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতি ছিল এইরকম অনেক রাজনৈতিক সভা, মিটিং বা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সু্যোগ আমার হয়েছে জীবনে অনেকবার। সাধারনত ঐ সব মিটিংয়ে বক্তারা যখন বক্তব্য দিতে ফ্লোর পান, তারা বক্তব্যের শুরুতে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে এড্রেস করার সময় এমন এমন সব বিশেষনে অভিহিত করেন এবং তাতে ১০ মিনিটের বক্তব্যের মধ্যে ৮ মিনিটই খরচ করেন বিশেষন প্রয়োগে, তারা মনে করেন এইভাবে হয়তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানিত করা যায়।
দেশ জুড়ে যেইখানে নাম পরিবর্তন বা নামাকরনের হিড়িক চলছে অহেতুক অমুক তমুকের নামে যেকোন কিছু করা হচ্ছে সেই জায়গায় আমার একটাই জিজ্ঞাস্য, “ আমরা তো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে কোন পরামর্শ দিতে পারিনা কারন আপনারা যারা ৮ মিনিট বিশেষন প্রয়োগ করেন তাদের অহেতুক চিৎকারের কারনে আমাদের আকুল আহবান বা ব্যাকুলতা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কানে পৌঁছানোর কোন সুযোগই নাই কাজেই আমার ইচ্ছা এই সেতুর নামাকরন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামেই হোক।
পদ্মা সেতু সম্পর্কে এতক্ষন যা বলেছি সবই আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা আর অসম্ভব রকমের সাহসের কারনে সম্ভব হয়েছে। বংগবন্ধুর জন্ম না হলে যেমন বাংলাদেশ হতোনা ঠিক তেমনি বংগবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার জন্ম না হলে দক্ষিন বংগ আর মুল ভুখন্ডকে যুক্ত করার কোন সু্যোগই সৃষ্টি হতোনা কাজেই শেখ হাসিনার কাজের স্বীকৃতি দিতে চান ? তবে এই সেতুর নামাকরন করুন শেখ হাসিনার নামে। এইটার দাবীদার একমাত্র শেখ হাসিনা, কাজেই অহেতুক বিশেষন প্রয়োগ বন্ধ করুন শেখ হাসিনার কাজের স্বীকৃতি দিন এই সেতুর নামাকরন করুন শেখ হাসিনার নামে।
এইদেশে এখনও তেমন কিছুই নেই শেখ হাসিনার নামে অথচ তিনি বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, খালেদা জিয়ার নামে দেশের প্রায় সব বিশ্ববদ্যালয়েই একটি করে হল আছে। যারা সবসময় আমাদের প্রানপ্রিয় নেত্রীর আশেপাশে ঘুরঘুর করেন, তাকে সর্বান্তকরণে খুশী করার চেষ্টা করেন তাদের মাথা কতটাই অনুরবর যে তাদের মাথায়ই আসলনা যে এই সেতুর নামাকরন শেখ হাসিনার নামেই করা উচিত তাতেই তার প্রতি যোগ্য সম্মান করা হয়। এবং এইটা খুবই দুঃখজনক যে তা আমাদেরকেই মনে করিয়ে দিতে হচ্ছে।
শুধু শেখ হাসিনাই কি দেশ ও দেশের মানুষকে সব দিয়ে যাবে এই যেমনঃ শক্তি, সাহস, উপহার ও দক্ষ নেতৃত্বই ইত্যাদি? বিনিময়ে আমরা কি হাসিনাকে কিছুই দিতে পারিনা!!!!!!! দিতে কি পারিনা এতটুকু সম্মান হিসাবে তার কাজের স্বীকৃতি? পারিনা করতে পদ্মা সেতুর নামকরন, “ #শেখ_হাসিনার_নামে”?
মনে রাখবেন, যে দেশে গুনীর কদর হয়না সে দেশে গুনীর জন্ম হয়না"। জয়তু বংগবন্ধু কন্যা, শেখ হাসিনা"।
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২০
ঝাপসা বালক বলেছেন: আমাদের দেশে হাসিনা ও খালেদার নামে অনেক শিক্ষা প্রতিস্থান ও হাসপাতাল আছে, কিন্তু দেশের এক মাত্র হাডথ্রব নেতা এরশাদের নামে কিছু নাই। তাই পদ্ধা সেতু এরশাদের নামে করা হোক ।
৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৭
রাশেদ রাহাত বলেছেন: বালক ভাই ঠিকই বলেছেন। চাচার জন্য আমরা কিছুই রাখলাম না। অন্তত....
৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৯
মহা সমন্বয় বলেছেন: আমার মনে হয় বঙ্গবন্ধুর নামে করলে ভাল হবে। যদিও বঙ্গবন্ধুর নামে বর্তমানে একটা সেতু আছে। পদ্মা সেতুর নাম হতে পারে " বঙ্গবন্ধু২" সেতু। বঙ্গবন্ধুর নামে নামকরণ করলে নামকরণ নিয়ে কোন বিতর্ক হবে না কারণ বঙ্গবন্ধু হজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী।
আর কঠিন আইন করতে হবে যাতে পবর্তীতে কোন সরকার নাম পরিবর্তন করতে না পারে।
৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪
সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: আপনার লেখাটি বাস্তবসম্মত। পদ্মানদীর ওপর নির্মিত সেতুর নাম “শেখ হাসিনা সেতু” অথবা “বঙ্গবন্ধু সেতু-২” করা যেতে পারে। সমর্থন রইলো। আর লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৫
আবু শাকিল বলেছেন: আগে হইতে দ্যান তারপর নাম নিয়া চিন্তা করমু
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭
রানার ব্লগ বলেছেন: হা শেখ হাসিনার নামে দেন এর পর পরবর্তী সরকার এসে তার প্রথম ওয়াজিব কাজ হবে ওই নাম আগে পরিবর্তন করা, আর তাদের কিছু পদলেহন কারী বির বিক্রমে সেই নাম ফলক সমূলে তুলে পদ্মায় ফেলে দিবে। তার থেকে যা আছে তাই ভালো।