নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কথোপকথন আমার আত্বার সাথে আমার বাহিরের।

দীন ইসলাম

আমার কিছু চিন্তা-ভাবনা প্রকাশ করার প্রয়াস মাত্র

দীন ইসলাম › বিস্তারিত পোস্টঃ

In The Time of CORONA, আপনি কি এখনও গ্যালারীতে নাকি মাঠে ?

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৯

এখন পর্যন্ত যদি আপনি করোনার দ্বারা আক্রান্ত না হয়ে থাকেন তাহলে অন্তরের অন্তরস্থল থেকে বলুন " আলহামদুলিল্লাহ্‌"
বেশী বেশী করে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করুন, আরও বেশী বেশী করে আল্লাহর হুকুম আহকাম মেনে চলার চেষ্টা করুন। কেননা আপনি এখনও গ্যালারীতে বসে আছেন। পরীক্ষা দেয়ার জন্য আপনাকে এখনও মাঠে নামতে হয়নি। বেশী বেশী করে ইবাদত করুন ও আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যেন আল্লাহ্ আপনাকে খেলার মাঠে না নামায়।
আর আপনি যদি ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গেছেন!!!! ( আল্লাহ্ না করুক) তাও বলুন আলহামদুলিল্লাহ্, কেননা মুমিন বান্দাদের বৈশিষ্ট্যই হল আল্লাহর সিদ্ধান্তের উপরে সন্তুষ্ট থাকা।
আপনি এখন খেলার মাঠে এসে পড়েছেন। সেই খেলার মাঠে অনেকগুলো ছোট্ট ছোট্ট ঘর আছে। প্রত্যেক খেলোয়ার এক একটি ছোট্ট ঘরে পরীক্ষা দেয়ার জন্য ঢুকছে (Just like Home Quarantain/Isolation etc.) . সেই ঘরে আপনার সাথে আপনার সৃষ্টিকর্তার একান্ত সাক্ষাৎ হচ্ছে। কেউ আপনার পাশে নেই ( মেডিসিন খেয়ে বিছানায় পড়ে থাকার সময়টায়) । আপনার সাথে আপনার সৃষ্টিকর্তার অনেক দিনের জমে থাকা কথাবার্তা চলছে। আপনি এতদিন কি করেছেন, কি করেন নাই, কেন করেননি, আপনার বিভিন্ন অভিযোগ, রাগ, অভিমান, অপারগতা, অজ্ঞতা, অসহায়ত্ব তুলে ধরে আপনি আল্লাহর নিকট আপনার সাফাই গাইছেন। আল্লাহ্কে বুঝাতে চাচ্ছেন আপনি যা যা করেছেন তা সঠিক করেছেন, আপনার কোন ভুল ছিলনা। অথবা আপনি আপনার অকৃতজ্ঞতার কথা, আপনার গুনাহের কথা স্বীকার করে বার বার ক্ষমা চাইছেন।
আপনি যখন বুঝতে পেরেছেন আপনি করোনায় আক্রান্ত তখন আপনি উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে বর্তমান চরম উৎকর্ষতার যুগে, বিজ্ঞানের এতো এতো সব আবিষ্কারের মধ্যেও করোনার কোন নির্দিষ্ট নিরাময় নেই। নামমাত্র কিছু মেডিসিন খেয়েই আপনাকে পুরোপুরি আপনার সৃষ্টিকর্তার উপরে নির্ভর করতে হবে। আপনার সৃষ্টিকর্তা যদি চান তাহলে আপনি এই করোনা থেকে মুক্তি পাবেন আর না চাইলে বিজ্ঞানের কোন আবিষ্কারই আপনাকে মৃত্যু থেকে ফিরাতে পারবে না। উপরন্তু এক বেদনাদায়ক মৃত্যু আপনাকে বরন করে নিতে হবে কেননা আমরা ইতিমধ্যে জানতে পেরেছি করোনায় মৃত্যুর পরে লাশ দাফন নিয়েও কত কিছু ভাবতে হচ্ছে। আপনি অসুস্থ হয়ে বিছানায় পরে আছেন কিন্তু আপনার অত্যান্ত প্রিয় মানুষটিকেও আপনি বলছেন আমার কাছে আসার দরকার নেই। আপনি অনেক আকুতি মিনতি করে আল্লাহ্কে রাজী করাতে চাচ্ছেন হে আল্লাহ্ আমাকে আরেকবার সুযোগ দিন আমি আপনার সব হুকুম-আহকাম মেনে চলবো ।
আপনার এই পরীক্ষা গ্যালারীর কেউই দেখছেনা। গ্যালারীর দর্শকরা শুধু দেখবে ফলাফল। এখানে ফলাফল ২ রকমের হয়।
মাঠের সেই ছোট্ট ছোট্ট ঘরগুলো থেকে কেউ আবার গ্যালারীতে ফিরে আসে আবার কেউ কেউ আকাশে উড়ে চলে যায়। সবুজ আলো হয়ে যারা ফিরে যাচ্ছে তারা স্বর্গে যাবে আর যারা লাল আলো হয়ে আকাশে ফিরে যাচ্ছে তারা নরকের অধিবাসী হবে।
যারা গ্যালারীতে ফিরে যাচ্ছে তারা মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ফিরে এসেছে। আল্লাহ্র নিকট তাদের পরীক্ষা নেওা এখনও শেষ হয়নি, সামনে আরও অনেক ছোটবড় পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে তাকে। যেমনঃ গায্বাতুল হিন্দ, ইমাম মাহাদির সাক্ষাৎ, দাজ্জালের সাক্ষাৎ ও আরও নানা রকমের ছোটবড় ফিতনার সম্মুখীন হতে হবে তাকে। কেননা সৃষ্টিকর্তা তাদেরকে আরও কয়েকবার পরীক্ষা করে দেখতে চাচ্ছেন যে আসলেই তারা জান্নাতে যাওয়ার উপযুক্ত কিনা অথবা আরও কয়েকবার সুযোগ দিয়ে দেখতে চাচ্ছেন যে তারা আল্লাহর কাছে ফিরে আসে কিনা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে জান্নাতী হতে পারে কিনা।
অপরপক্ষে, যারা আকাশে উড়ে চলে যাচ্ছে তারা আবার ২টি কারণে উপরে উড়ে যাচ্ছে।
১। হয়তো আল্লাহ্ তাঁদেরকে যতটুকু পরীক্ষা নিয়েছেন তাতে তারা বারবারই পাশ করেছে বা আল্লাহ্ বুঝতে পেরেছেন তারা জান্নাত পাওয়ার উপযুক্ত হয়ে গিয়েছে সুতরাং তাঁদের আর পৃথিবীতে থেকে পৃথিবীর এত কষ্ট ভোগ করার দরকার নেই, (আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে এই দলভুক্ত করুন, আমীন ) ।
অথবা
২। আল্লাহ্ তাঁদেরকে যতটুকু পরীক্ষা নিয়েছেন তাতে তারা বার বারই ফেল করেছে বা আল্লাহ্ বুঝতে পেরেছেন তাঁদের উপরে জাহান্নাম নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে সুতরাং তাঁদের আর পৃথিবীতে থাকার দরকার নেই। কেননা তারা এতটাই গাফেল হয়ে গিয়েছে যে যতই পরীক্ষা নেয়া হোক তারা আর জান্নাতে জেতে পারবে না ( আল্লাহ্ আমাদের তাঁদের দলভুক্ত না করুক) ।
সুতরাং যারা গ্যালারীতে আছেন তাঁদের বুঝার কোন উপায় নেই যারা আকাশে উড়ে যাচ্ছে তারা কি কারণে উড়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ করোনায় বা মহামারিতে বা যে কোন দুর্যোগ বা বিপর্যয়ের মাধ্যমে যদি কেউ মারা যায় তাহলে এইটা বলা ঠিক হবে না যে ঐ লোকটি খারাপ ছিল তাই এমন মৃত্যু হল।
এমন অনেক ঘটনা আছে যেখানে দেখা যায় সারাটা জীবন একজন অনেক পাপ করেছে কিন্তু শেষ সময়ে এসে আল্লাহর কাছে সব ভুল স্বীকার করে আল্লাহর দরবারে এমনভাবে সিজদায় পরে তওবা করেছে যে,
ইয়া আল্লাহ্, আমি অনেক গুনাহ করেছি, আপনার কাছে আমি এখন তওবা করছি। আপনি আমার তওবা কবুল করে থাকলে এই সিজদারত অবস্থাতেই আমাকে আপনার কাছে তুলে নিন। আমাকে এখনি মৃত্যু দান করুন।
আর আল্লাহ্ তায়ালা তার তওবা কবুল ও করে নিলেন। তাই আপাতদৃষ্টিতে খারাপ লোকের মৃত্যুতেও বলা উচিত না যে সে নিশ্চয় জাহান্নামী।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

বিজন রয় বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ! মাঠে এবং গ্যালারি দুই জায়গাতেই আছি।

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:০৫

দীন ইসলাম বলেছেন: কীভাবে ভাই, একই সময়ে তো দুই স্থানে থাকা সম্ভব না ?
যারা করোনায় আক্রান্ত হয়নি তারা গ্যালারীতে, আর যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে তারা মাঠে।

২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:১০

বিজন রয় বলেছেন: মাঝে মাঝে বের হতে হচ্ছে মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় কিছু পৌছে দেওয়ার জন্য।
যেমন- স্যানিটাইজার, খাবার ইত্যাদি।

৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৮:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: যারা এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়নি তারা আল্লাহর নাম স্মরন করবে। আর যারা করোনা আক্রান্ত হয়েছে তারা কার নাম স্মরন করবে?

১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ৯:৩৯

দীন ইসলাম বলেছেন: ৫ম লাইনে আছে, তারাও আলহামদুল্লিাহ বলবে। কেননা মুমিনের বৈশিষ্ট্যই হলো সর্বাবস্থায় আল্লাহর সিদ্ধান্তের উপড় সন্টুষ্ট থাকা।

৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২০ রাত ১০:৪৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ভালো আছি । এবং কিছু উপহার (খাদ্য) এলাকায় দিয়েছি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.