নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মো: আতিকুর রহমান

মো: আটিকুর রহমান

পাঠক

মো: আটিকুর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

হযরত আব্দুল কাদির জিলানী (রঃ) এর বানী -

১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ২:০১

হযরত আব্দুল কাদির জিলানী (রঃ) বানী-

''হারাম খাদ্য ক্বলব(অন্তর বা মন) কে মেরে ফেলে।পক্ষান্তরে হালাল খাদ্য জীবিত করে।একটি লোকমা তোমাকে হারাম ও হালাল উভয় ধরনের খাদ্য সম্পর্কে বিতৃষ্ণা সৃষ্টি করবে।তেমনি একটিলোকমা তোমাকে সেসবের সৃষ্টিকর্তাকে পাবার জন্য আগ্রহী করে তুলবে।হারাম খাদ্য তোমাকে পার্থিব ব্যাপারে নিয়োজিত করবে এবং পাপের কাজে উৎসাহ যোগাবে।বৈধ খাদ্য তোমাকে আখেরাতের কাজে নিয়োজিত করবে এবং এবাদতে উৎসাহ যোগাবে।হালাল খাদ্য তোমার আত্নাকে আল্লাহর কাছে পৌছে দেবে। আল্লাহ তাআলার পরিচয় না জানা পর্যন্ত এসব খাদ্যের পরিচয় জানা যায় না।আল্লাহ তা'আলার পরিচয় ক্বলবে(মনে বা অন্তরে) অর্জিত হয়,কিতাবে নয়।তার পরিচয় কেবল তারই কাছে পাওয়া যায়,মানুষের কাছে নয়। আল্লাহ তাআলার পরিচয় অর্জিত হয় শরীয়তের উপর পুরোপুরি আমল করার পরেই,আগে নয়।সত্যকে বুঝা ও সত্যানুসারী হবার পরেই,আগে নয়।তেমনি আল্লাহ তাআলাকে লা শরীক জানা ও তার উপর নির্ভরশীল হবার পরেই,আগে নয়।তদ্রুপ সমস্ত সৃষ্টিকুল থেকে বেরি্যে আসার পরেই তার পরিচয় মেলে,তার আগে নয়। গ্রন্হসুত্র- ঐশী প্রেরনার অনন্ত উৎস- হযরত আব্দুল কাদির জিলানী (রঃ)

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ২:১০

মাহমুদডবি বলেছেন: আব্দুল কাদির জিলানী (রঃ) জীবনী লিংক দিতে পারবেন।দরকার তার জিবনী পড়ব ।

১২ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:৩১

মো: আটিকুর রহমান বলেছেন: এখানে পড়ুন। Click This Link

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ২:১৬

গরম কফি বলেছেন:
দারুন ..

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ২:১৭

গরম কফি বলেছেন: আল্লাহ তাআলাকে লা শরীক জানা ও তার উপর নির্ভরশীল হবার পরেই,আগে নয় ।

দারুন

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ২:৫৫

কামরুল হাসান শািহ বলেছেন: দারুন++

৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ ভোর ৬:১০

বিলাল বলেছেন: ধন্যবাদ এবং প্লাস

৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:০৮

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: আব্দুল কাদের জিলানী কি ছিলেন তা আপনাকে আল্লাহ প্রশ্ন করবেন না। আল্লাহ আপনাকে প্রশ্ন করবেন রাসুলুল্লাহ সাঃ সম্পর্কে। আব্দুল কাদের জিলানী সম্পর্কে জা জানেন সেগুলো কিছু অগ্রহনযোগ্য বইয়ের পাতার কথা মাত্র। তিনি কি ছিলেন আল্লাহই ভালো জানেন। আমরা খারাপও বলবো না আবার ভালোও বলবো না। আব্দুল কাদের জিলানীকে অনেক বড় বুজুর্গ হিসেবে চিহ্নিত করার জন্য তাকে অনেক সম্মান দেওয়ার জন্য তার নামে অনেক বই মার্কেটে ছাড়া হয়, অনেক আধ্যাতিকতার কাহিনী শুনানো হয়। ্এগুলো এক ধরনের ব্যবসা। আর আপনি যদি কোন একক ব্যক্তিকে অনুসরন করেন আল্লাহর রাসুল কে বাদ দিয়ে তাহলে পথভ্রষ্ট হবেন। কারণ এটাই স্বাভাবিক।

যেমন ধরেন ফাযায়েলে আমল এর ফাযায়েলে হজ্জ বইয়ের ১৫৮ নং পৃষ্ঠাতে হযরত রেফায়ী (রহঃ) একবার মদিনাতে গেলেন এবং রাসুলুল্লাহ সাঃ এর রওজার নিকট যেয়ে বললেন "বহুদিন যাবত এই খাদেম তার রুহ কে আপনাকে খেদমতে পাঠিয়ে দিয়েছে। আজ খাদেম শশরীরে উপস্থিত। ইয়া রাসুলুল্লাহ আপনি আপনার হস্ত মুবারক বাহির করুন। আমি তাহা চুম্বন করিয়া তৃপ্তি হাসিল করিব। তার পরই আল্লাহর রাসুল কবর থেকে তাহার নিকট হাত বাহির করিয়া দিলেন আর তিনি চুম্বন করিলেন। তখন মদীনাতে ৯০০০০ লোকের সমাগম ছিল। সকলেই হাতের জ্বলকানি দেখিতে পাইলো। অনেকে বলেন "মাহবুবে ছোবহানি আব্দুল কাদের জিলানীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।"

এই হইল কাহিনী। এখন বলতে পারেন শাইখুল হাদিস মাওলানা জাকারিয়া সাহেব ফাযায়েলে আমল লিখছেন তিনি কি না জাইনা লিখছেন। তার ভূল হতেই পারে না। তবে ব্যাপার হলো ইসলাম চলে দলিল প্রমাণে। মক্কার ইমামও যদি কোন কথা বলে যা কোরআন ও সুন্নাহ এর বিপরীত আমরা তার কথা মানবো না। এই গল্পে নবী প্রেম টা অনেক বৃদ্ধি করা হইছে। নবীর নামে একটা মিথ্যারোপ করা হইছে যে উনি কবর থেকে হাত উঠাইছেন। আর এগুলো যেন মানুষ বিশ্বাস করে তাই নব্বই হাজার মানুষের রেফারেন্স সাথে মাহবুব ছোবহানি দিয়া আব্দুল কাদের জিলানীর না ব্যবহার করা হইছে।

সূরা আরাফ-৩> তোমার নিকট তোমার রবের পক্ষ থেকে যা যা অবতীর্ণ হইছে (কোরআন ও সহীহ হাদিস) তুমি শুধূ সেগুলোর অনুসরণ কর। অন্য কোন আউলিয়ার (পীর, ফকীর, বুজুর্গ, আলেম, কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তির মতামত যেমন আব্দুল কাদের জিলানী, শাহপরান শাহ জালাল) অনুসরণ করো না।

তারা কি ছিলেন আল্লাই জানেন। আমরা যেহেতু দেখি নাই। তাই তাদের ব্যপারে মন্তব্য করার প্রয়োজন নেই। আমরা আব্দুল কাদের জিলানীসহ অনেক ব্যক্তির জীবনী পড়ি। কখনো কি রাসুলুল্লাহ সাঃ এর জীবনী পড়তে চেষ্টা করছি।

মাওলানা জাকারিয়া, শাহজালাল, শাহপরান, আব্দুল কাদের জিলানী অনেক মানুষের অনেক কথা ভালো মনে করে আমরা পড়ি। কিন্তু ভালো আলেম এর বাণী মনে করে উপরের গল্পের মতো অনেকে রাসুলুল্লাহ সাঃ সম্পর্কে ভিন্ন ধারণা পোষন করবে। যেমন তিনি কবর থেকে হাত তুলেন, কবরে বসে মানুষ কি করে দেখেন। তার পর রুহ কে খাদেম হিসেবে পাঠাইয়া দেওয়া ইত্যাদি।

Allah give us the right path.

Allah Know the best.

১০ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১১:১৫

মো: আটিকুর রহমান বলেছেন: রসুল পাক সা: বলেন, '' যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারে না সে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ নয়।''

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাক বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ أَطِيعُواْ اللّهَ وَأَطِيعُواْ الرَّسُولَ وَأُوْلِي الأَمْرِ مِنكُمْ

A`oodhu billahi min ashShaytaani 'r-rajeem. Bismillahi 'r-Rahmaani 'r-Raheem.
Ati`ullaha wa ati`u 'r-Rasoola wa ooli 'l-amri minkum.

Obey Allah, obey the Prophet, and obey those in authority among you. (4:59)

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যকার(ন্যায়বান) নেতৃবৃন্দের ।


আল্লাহর বন্ধুর সাথে শত্রুতায় আল্লাহর যু্দ্ধ ঘোষণা
.
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ قَالَ مَنْ عَادَى لِي وَلِيًّا فَقَدْ آذَنْتُهُ بِالْحَرْبِ وَمَا تَقَرَّبَ إِلَيَّ عَبْدِي بِشَيْءٍ أَحَبَّ إِلَيَّ مِمَّا افْتَرَضْتُ عَلَيْهِ وَمَا يَزَالُ عَبْدِي يَتَقَرَّبُ إِلَيَّ بِالنَّوَافِلِ حَتَّى أُحِبَّهُ فَإِذَا أَحْبَبْتُهُ كُنْتُ سَمْعَهُ الَّذِي يَسْمَعُ بِهِ وَبَصَرَهُ الَّذِي يُبْصِرُ بِهِ وَيَدَهُ الَّتِي يَبْطِشُ بِهَا وَرِجْلَهُ الَّتِي يَمْشِي بِهَا وَإِنْ سَأَلَنِي لَأُعْطِيَنَّهُ وَلَئِنْ اسْتَعَاذَنِي لَأُعِيذَنَّهُ وَمَا تَرَدَّدْتُ عَنْ شَيْءٍ أَنَا فَاعِلُهُ تَرَدُّدِي عَنْ نَفْسِ الْمُؤْمِنِ يَكْرَهُ الْمَوْتَ وَأَنَا أَكْرَهُ مَسَاءَتَهُ .
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আল্লাহ্ তা’আলা বলেন: যে ব্যক্তি আমার অলীর সাথে শত্রুতা করে, আমি তার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করছি। আমার বান্দার প্রতি যা ফরয করেছি তা দ্বারাই সে আমার অধিক নৈকট্য লাভ করে। আমার বান্দা নফল কাজের মাধ্যমেও আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকে। অবশেষে আমি তাকে ভালবেসে ফেলি। যখন আমি তাকে ভালবাসি, তখন আমি তার কান হয়ে যাই যা দিয়ে সে শোনে, তার চোখ হয়ে যাই যা দিয়ে সে দেখে, তার হাত হয়ে যাই যা দিয়ে সে ধরে এবং তার পা হয়ে যাই যা দিয়ে সে চলাফেরা করে। সে আমার কাছে কিছু চাইলে, আমি তাকে তা দেই। সে যদি আমার নিকট আশ্রয় কামনা করে, তাহলে আমি তাকে আশ্রয় দেই। আমি যা করার ইচ্ছা করি, সে ব্যাপারে কোন দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগি না কেবল মুমিনের আত্মার ব্যাপার ছাড়া। সে মৃত্যুকে অপছন্দ করে আর আমি তার মন্দকে অপছন্দ করি। [বুখারী: ৬৫০২]

৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:২১

Abdullah Arif Muslim বলেছেন: লেখক বলেছেন: রসুল পাক সা: বলেন, '' যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারে না সে ব্যক্তি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ নয়।''

১ম পর্বঃ-

যদিও দলিল দেন নাই তারপরও দেখান আমি কোথায় বলছি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে না। প্রমাণ দেন। আপনি কি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ মানে এটা বুঝান যে শাইখুল হাদিস মাওলানা জাকারিয়া লেখলো যে মহানবী সাঃ কবর থেকে হাত উঠাইছেন আর আমি সেটা বিশ্বাস করবো। যদি না করি তাহলে আল্লাহর অলীর অসম্মান হইবো তার প্রতি অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ হইবো । আব্দুল কাদের জিলানী কেন তার চেয়ে বড় মাপের যে কোন লোকই বলুক না কেন সুদ হালাল, আমি বলল সুদ হারাম। অনেক বড় বড় আলেমদের নিয়ে শয়তান খেলা করছে। কোন ব্যক্তিকে অন্ধ অনুকরণ করা যাবে না। এই অন্ধ অনুকরণের কারণেই ইহুদী খ্রিষ্টানদের ব্যাপারে আল্লাহ বলছেন

সূরা তাওবাহ ৯:৩১> They (Jews and Christians) took their rabbis and their monks to be their lords besides Allâh (by obeying them in things which they made lawful or unlawful according to their own desires without being ordered by Allâh),

তারা পন্ডিত (জ্ঞানী) ও সংসারবিরাগীদের রব বানিয়ে নিয়েছে আল্লাহ কে বাদ দিয়ে।

কারণ তারা তাদের আলেম, পন্ডিত বা জ্ঞানী নামধারী ব্যক্তিরা যা বলতো তাতেই বিশ্বাস করতো যেভাবে আপনি বিশ্বাস করতেছেন আব্দুল কাদের জিলানীর কোন কথাই ভূল বলা যাইবো না তাহলে আল্লাহর অলীর প্রতি অসম্মান প্রদর্শন হইবো।

এবার ২য় পর্বঃ-

Obey Allah, obey the Prophet, and obey those in authority among you. (4:59)

হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যকার(ন্যায়বান) নেতৃবৃন্দের ।

আয়াত টা কিন্তু শেষ হয় নাই। পুরো আয়াত টা হলোঃ


সূরা নিসা ৪:৫৯> হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যকার(ন্যায়বান) নেতৃবৃন্দের । তারপর যদি কোন বিষয়ে বিবাদে জড়িয়ে পড় তাহলে সেটা ফিরিয়ে দাও আল্লাহ ও তার রাসুলের দিকে যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যানকর এবং পরিণতির দিক থেকে উত্তম।

আল্লাহর এবং তার রাসুলের নির্দেশ মানে কোরআন ও সুন্নাহ। পরবর্তীতে উপস্থিত "উলিল আমরি মিন কুম " অর্থ্যাৎ তোমাদের মধ্য থেকে উপস্থিত ন্যায়বান নেতৃবৃন্দের নির্দেশ মান। কোন মৃতের কথা বলা হয় নাই। তার পরও আমরা আব্দুল কাদের জিলানীসহ সব লোকদের জন্য দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের জান্নাত দান করেন। তিনি কি ছিলেন আল্লাহই ভালো জানেন।

সর্বশেষ পর্বঃ

একটা হাদিস দিলেন সাথে রেফারেন্সসহ বুখারীর। তো যদিও আপনি আল্লাহর বন্ধু উচ্চারণ করেছেন তবুও মূল আরবীটা আউলিয়া।

আর আপনার মতে "আব্দুল কাদের জিলানী একজন অলি। আর আমি একজন অলির বিরুদ্ধে কথা বলছি।"

মানুষের মধ্যে একটা ধারণা আছে অলি আউলিয়ার ব্যাপারে।


অলি এক বচন বহুবচন আউলিয়া।

আউলিয়া মানে পরামর্শদাতা, রক্ষাকারী, সাহায্যকারী, দিকনির্দেশনাদানকারী, মুজাহিদ ইত্যাদি।

=> সূরা আরাফ এর ৩ নং আয়াতে বলা হইছে

اتَّبِعُواْ مَا أُنزِلَ إِلَيْكُم مِّن رَّبِّكُمْ وَلاَ تَتَّبِعُواْ مِن دُونِهِ أَوْلِيَاء قَلِيلاً مَّا تَذَكَّرُونَ (3
তোমরা অনুসরণ কর, যা তোমাদের প্রতি পালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে এবং আল্লাহ্‌কে বাদ দিয়ে অন্য আউলিয়াদের অনুসরণ করো না। "

এখানে বহুবচন আউলিয়া মানে কোরআন হাদিস বাদ দিয়ে পরামর্শ দানকারী ব্যক্তিকে বুঝানো হয়েছে।

=> সূরা হামিম আস সিজদা এর ৩১ নং আয়াতে ফেরেশতারা বলে "নাহনু আউলিয়া উকুম ফিল ফায়াতিদ দুনিয়া" অর্থ্যাৎ আমরাই (ফেরেশতারাই) তোমাদের আউলিয়া দুনিয়াতে এবং আখিরাতে।

এখানে আউলিয়া মানে সাহায্যকারী।

=> সূরা আরাফ এর ৩০ নং আয়াতে বলা হয়েছে

তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে শয়তানকে আউলিয়া বানিয়ে নিয়েছে।

এখানে আউলিয়া মানে বন্ধু।

=> সূরা আনকাবুত এর ৪১ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন

"যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্য কে আউলিয়ারূপে গ্রহণ করে তাদের দৃষ্টান্ত মাকড়সা"

এখানে আউলিয়া মানে সাহায্যকারী।

সূরা বাকারা-২৫৭ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন

যারা ঈমান এনেছে তাদের অলি (অভিভাবক) আল্লাহ। তিনি তাদেরকে বের করে আনেন অন্ধকার থেকে আলোর দিকে। আর যারা কুফুরী করে তাদের আউলিয়া (অভিভাবক) তাগুত (আল্লাহর বিদ্রোহী হোক সেটা আদেশের মাধ্যমে বা আইন কানুন এর মাধ্যমে)। সে তাদের কে আলো থেকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়।

এখানে আউলিয়া মানে অভিভাবক।

=> সূরা নিসা-৭৫ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, "তোমাদের কি হলো তোমরা আল্লাহর জন্য যুদ্ধ করছ না দুর্বল সেই পুরুষ নারী ও শিশুদের পক্ষে যারা বলে হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর, জালিম জাতি থেকে আমাদের রক্ষা কর। আমাদের নিকট তুমি তোমার আউলিয়া পাঠাও।

এখানে কি বাবে রহমতের পেট মোটা কোন পীর, বুজুর্গের কথা বলা হচ্ছে নাকি একে-৪৭ ধারী সেই যুদ্ধার কথা বলা হচ্ছে। এখানে আউলিয়া বলতে বলা হচ্ছে মুজাহিদদের কথা। কোন পেট মোটা পীর এর কথা না। না শাহজালাল না শাহপরান না আব্দুল কাদের জিলানী। মানুষ যখন সন্ত্রাসীদের কবলে পড়ে তখন বলে বাঁচাও বাঁচাও মানে যদিও সে বাঁচতে চায় তবুও সে চায় কোন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে রক্ষা করুক।

অর্থ্যাৎ আউলিয়া মানে যারা জিহাদ করে তারা।

এছাড়াও আরো অনেক কিছু আছে।

আপনার নিকট প্রশ্নঃ
আপনি কিভাবে জানেন আব্দুল কাদের জিলানী অলি ছিলেন? তিনি নিজে বলছেন যে আমি "আল্লাহর অলি"? নাকি মানুষের মূখে শুনছেন?

আব্দুল কাদের জিলানীর নামে যত বই আছে তার চেয়েও বেশী বই বাবে রহমত দেওয়ানবাগীর পীরের আছে।

লাস্ট প্রশ্ন
মানুষ বলে দেওয়ানবাগী দরবারের পীর ভালো আব্দুল কাদের জিলানীর চেয়েও অনেক বড় বুজুর্গ। তার অনেক আধ্যাত্মিক ক্ষমতা আছে আব্দুল কাদের জিলানীর মতো। তিনি মতিঝিলে বসে আল্লাহকে দেখেন। তো আমি কি করবো মানুষের মুখে শুনে কি তার মুরিদ হব নাকি কোরআন ও সুন্নাহ দ্বারা তাকে যাচাই করবো?


Allah know the best.

১১ ই জানুয়ারি, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫১

মো: আটিকুর রহমান বলেছেন: আপনি যে মোসলমান তা আমি কিভাবে বুঝবো ? অনেকেইতো ইসলাম ধর্মই বিশ্বাস করে না। তদ্রুপ আপনিও যদি আল্লাহর ওলী ও তাদের কারামত বিশ্বাস না করেন তাতে আমার বলার কি আছে। আর কেউ যদি বিশ্বাস করে তাতে আপনারই বা অসুবিধা কি ? শাইখুল হাদিস মাওলানা জাকারিয়া একজন অত্যন্ত ধার্মিক লোক ছিলেন।তিনি যদি কোন কথা বলে থাকেন তা অবিশ্বাসের কি আছে ?উনি যা বর্ননা করেছেন তা বর্তমানেও ইনশাআল্লাহ সম্ভব।সে রকম ইমান থাকতে হবে।আপনার নাই বলে অন্যাণ্যদেরকেও নিজের মত মনে করেন কেনো ? ।
আপনার মত লোকদএর জন্যই হয়ত হযরত আবু হোরায়রা(রাঃ) বলেছেন,''আমি রসুল পাক(সাঃ) এর কাছ থেকে জ্ঞানের দুটি পাত্র অর্জন করেছি।একটি তোমাদের মধ্যে বিতরন করেছি অন্যটি করিনি।যদি করতাম তবে আমার কন্ঠদেশ কর্তিত হতো '' (বোখারী শরীফ)। আপনার মধ্যেও জ্ঞানের একটি পাত্রের অভাব আছে বোধ হয়।তাই আপনার কাছে ইসলামের সাধারন বিষয়(কারামত) গুলিও অসম্ভব মনে হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পাক বলেন,

يَوْمَ لَا يَنفَعُ مَالٌ وَلَا بَنُونَ

إِلَّا مَنْ أَتَى اللَّهَ بِقَلْبٍ سَلِيمٍ অর্থাৎ
সেদিন (কিয়ামতের দিন) কোন অর্থ সম্পদ এবং সন্তান সন্ততি কোন কাজে আসবে না ; সে ব্যক্তি ব্যতীত যে সুস্হ বা পরিচ্ছন্ন ক্বলব নিয়ে আল্লাহর কাছে আসবে। (সুরা শু'আরা ৮৮-৮৯)
রসুল পাক সা: বলেন ,''মানুষের ক্বলবে(অন্তর বা মন) যদি শয়তানের যাতায়াত না থাকতো ,তবে মানুষ উর্ধ্বজগত নিরিরীক্ষন করতে সমর্থ হত।''(তাফসিরে মাযহারী)।তাই সুস্হ ক্বলব কি জিনিস তা জানার চেষ্টা করুন,তারপর এ বিষয়ের উপর আরো লিখতে আসবেন।
সর্বশেষ বলতে চাই, মুল্যবান জিনিষেরই নকল হয়।তাই নকল কিছু দেখেই আসল বস্তুকে অস্বীকার করা শুধুই বোকামী নয় কি ?
পরিশেষে আল্লাহ পাক আমদের সবাইকে প্রকৃত ঈমানদার হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.