নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয়ে বাংলাদেশ

ঢাবিয়ান

ঢাবিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কফি বাগানে একদিন

১৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:২৭

চা বাগান ভ্রমনের অভিজ্ঞতা আমাদের প্রায় সবারই আছে। সিলেটে জেলার বিশাল অঞ্চল জুড়ে আছে চা বাগান। অপরুপ সৌন্দর্য্যের এক লীলাভুমি আমাদের চা বাগানগুলো। কিছুকাল পুর্বে ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপ বালি ভ্রমনে গিয়েছিলাম। ইউরোপিয়ান টুরিস্টদের কাছে খুবই জনপ্রিয় টুরিস্ট গন্তব্য । প্রাকৃ্তিক সৌন্দর্য আহামরি কিছু নয়। আসলে কেন জানিনা অন্য কোন দেশের প্রাকৃ্তিক সৌন্দর্য আমাদের কক্সবাজার , বান্দরবন , রাঙ্গামাটির কাছে তুচ্ছ মনে হয়।তবে বালি দ্বীপবাসীর নিজস্ব সংস্কৃতি ও কৃষ্টিকে খুব সুন্দর করে তুলে ধরে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা হয়েছে দ্বীপটিকে। এয়ারপোর্টকেও এত সুন্দর করে সাজানো হয়েছে মনে হয় যেন হয় যেন কোন কালচারাল হেটিটেজ এর মিউজিয়ামে ঢুকেছি। হোটেল লবিতে হাতে ধরিয়ে দেয়া ব্রুশিয়ারে দেখার কি আছে জানার জন্য চোখ বোলাতে গিয়ে '' কফি গার্ডেন'' স্পটটা বেশ ইন্টারেস্টিং মনে হল। এর আগে কখনও কফি গার্ডেনে যাইনি।তাই প্রথমেই সেখানে যাবার প্ল্যান করলাম। সেখানে যেয়ে সবচেয়ে যে জিনিষটা ভাল লেগেছে তা হল ব্যবস্থাপনা। চলুন ঘুরে আসি কফি বাগানে ---



টিকিট কেটে বাগানে ঢোকার আগেই গেটে হাতে ধরিয়ে দেয়া হল লুয়াক কফির প্ল্যমফেট। লুয়াক কফি পৃথিবীর সবচেয়ে দামি কফি। এই কফির উৎপাদন প্রক্রিয়া, স্বাদ-গন্ধ একদম অনন্য। এক ধরনের বন্য বিড়ালকে কফি সিড খাওয়ানো হয়। এরপর তার মল থেকে তৈরি করা হয় এই কফি। তবে যত দামীই হউক না কেন বা স্বাদ গন্ধ যাহাই হোক না কেন, চেখে দেখার ইচ্ছে একেবারেই হয়নি। ইউরোপিয়ান টুরিস্টদের দেখলাম খুব আগ্রহ নিয়ে খেতে।


কফি গাছ


পাহাড়ের গা ঘেসে তেরী হয়েছে কফি বাগান। সেই বাগানের এক পাশে তৈরী করা হয়েছে একটি রেস্তোরা। রেস্তোরায় বসে কফি পান এর সাথে কফি বাগানের সৌন্দর্য্য অবলোকনের চমৎকার একটি আয়োজন।



রেস্তোরার পাশের একটা ঘরে দেখলাম বিভিন্ন ধরনের কফি ।


ভাজা কফি



এই সেই বন বিড়াল, যার মল থেকে তৈরী হয় এই বাগানের বিখ্যাত লুয়াক কফি ।



কফি ভাজা হচ্ছে । ছবি তোলার অনুমতি চাইতেই, সুন্দর করে হেসে অনুমতি দিলেন। পাহাড়ি এই মানুষগুলো সব দেশে, সব অঞ্চলেই বড় সহজ , সরল, সুন্দর।



রেস্তোরার বেঞ্চে বসে ভাবছিলাম কোন কফি অর্ডার করা যায়। কিন্ত অতীব চমৎকৃত হয়ে দেখলাম অর্ডার করার আগেই ১৪ ফ্লেভারের কফি এনে হাজির এক মহিলা। জানালো এটা পুরোপুরি ফ্রি। বাগানের কফি দিয়ে অতিথিদের আপ্য্যায়ন করা হয় । এত বিভিন্ন ফ্লেভারের কফি আগে কখনই খাইনি।



রেস্তোরার পাশেই কফির দোকান। বিভিন্ন ফ্লেভারের কফি কিনে ফিরে এলাম হোটেলে।

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: লুয়াক কফি নাকি হাতির মল থেকেও উৎপাদিত হয়! ওয়াক!ওয়াক!

১৫ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৬

ঢাবিয়ান বলেছেন: :) :)

২| ১৫ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৯

শাওন আহমাদ বলেছেন: আমার এতু দামী কুফি খাওয়ার শখ নাই, আমি রুচিবান গরিব্জ। :|

১৫ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: কমদামী কফিগুলোই অনেক ভাল লেগেছে। কফি পরিবেশন করা মহিলাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম লুয়াক কফি কোনটা ? সে জানালো , লুয়াক কফি ফ্রি দেয়া হয় না । কিনে খেতে হয়। হাপ ছেড়ে বাচঁলাম কথাটা শুনে।

৩| ১৫ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০২

কামাল১৮ বলেছেন: আমাদের সবই আছে কেবল পরিকল্পনা ও নিরাপত্তার অভাব।সেই সাথে আছে ধর্মীয় গোঁড়ামি।

১৫ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: একমত। কয়েকবছর আগে শ্রীমঙ্গলে গিয়ে পর্যটনের হোটেলে উঠেছিলাম। এত সুন্দর জঙ্গলের ভেতর বানানো সেই হোটেলে টুরিস্ট বলতে গেলে একেবারেই ছিল না। কি পরিমান সরকারী অপচয় , তাই ভাবছিলাম। কোন পরিকল্পনাই নাই পর্যটন কর্পোরেশনের।

৪| ১৬ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।

আগামীল এক মেয়ে আমাকে কফি খাওয়ার দাওয়ার দিয়েছে।
সারা বিকাল তার সাথেই থাকবো।

১৭ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: সবসময় মনে হয় কাল্পনিক দুনিয়ায় বিচরন করেন

৫| ১৬ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৩১

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমার একবার হলেও লুয়াক কফি খাবার সখ! সেটার দাম কেমন? আমি কোরিয়াতে থাকতে অক্ট্রোপাশ খেয়েছি, অক্টোপাসের সূপ অনেক খেয়েছিলাম, তারপর জীবন্ত অক্তোপাসও খেয়েছি একবার (জাষ্ট জানার জন্য কোরিয়ানরা এটা কেন খায়!), কেচি দিয়ে পা কেটে সসে মেখে চপস্টিক খেয়েছি! আর কাকড়াতো এখনো খাই বাসায় রেধে!

লুয়াক কফি ঘৃণা লাগবে খেতে তবে আমি খেয়ে দেখতে চাই অন্তত এটা জানার জন্য, এর দাম বেশী কেন!

১৭ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার খাবারের মেনুগুলো শুনে ভিমরি খেলাম :) / লুয়াক কফিতো মনে হয় সুপারমের্কেটে পাওয়া যায়। খেয়ে দেখতে পারেন।

৬| ১৬ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:৫৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইওরোপিয়ান ট্যুরিস্টদের গন্তব্যে আপনের বেড়ানোর দরকার কি? বরং ইওরোপ আসেন, দারুন সময় কাটাইতে পারবেন। পারলে ইংল্যান্ডে আসেন। আপনেরে নতুন রাজার পুরান বাড়ি ঘুরায়া দেখামু নে। :-B

টাট্টি কফি না খায়া ভালো করছেন। আমার এক কলিগ একবার বালি ঘুইরা আইসা এই টাট্টি কফির একটা ছোট্ট প্যাকেট গিফট করছিলো। আমি না খায়া ক্রিসরে দিলাম। আগের রাজারা যেমন বিষক্রিয়ার ভয়ে অন্য কাউরে আগে খাওয়াইতো, অনেকটা সেই রকমের। খায়া ওর পাতলা পায়খানা হয়া গেল। আমিও হাফ ছাইরা বাচলাম। ভাগ্যিস খাই নাই!!! :P

আমি খাই নেসক্যাফে গোল্ড এর ক্যাপুচিনো। চমৎকার কফি। পেট খারাপ হয় না। একটা ট্রাই মাইরা দেখতে পারেন। :)

১৭ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

ঢাবিয়ান বলেছেন: এইসব লুয়াক, টাট্টি , মাট্টি কফি আমাদের জন্য না। তবে নেসক্যফেে ছাড়াও আমার এদিকে এখন ইন্দোনেশিয়ান ব্যন্ডের কিছু কফি খুব জনপ্রিয়। খুবই স্বাদ এইসব কফির। আর বাসার বাইরে স্টারবাক্স এবং ম্যাকক্যফের কাপাচিনো, মোচা , লাটে সব ফ্লেভারই দারুন।

রাজার বাড়ি দেখি নাই। যামু একদিন ইনশাল্লাহ

৭| ১৬ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৯

নীলসাধু বলেছেন: ১৪ রকমের কফি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে, আমিও চা কফি প্রিয় মানুষ।

শুভেচ্ছা।

১৭ ই জুন, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: বেশিরভাগই ছিল বিভিন্ন ফ্রুট ফ্লেভারের , ভালই স্বাদ। আপনাকেও শুভেচ্ছা।

৮| ১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:০৭

মিরোরডডল বলেছেন:



এরপর তার মল থেকে তৈরি করা হয় এই কফি।

সিরিয়াসলি???? B:-) :|| #:-S

এই সেই বন বিড়াল, যার মল থেকে তৈরী হয় এই বাগানের বিখ্যাত লুয়াক কফি ।

শুধু খাঁচা দেখতে পেলাম, বিল্লু কোথায়?

পাহাড়ি এই মানুষগুলো সব দেশে, সব অঞ্চলেই বড় সহজ , সরল, সুন্দর।

ট্রু।

ধোঁয়া ওঠা গরম কফি হাতে ঢাবিকে দেখলাম নাহ যে!!!


১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৩০

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপু, সিরিয়াসলি বিড়ালের মল থেকেই তৈরী হয় লুয়াক কফি। কফি সীড খাওয়ানো হয় বিড়ালকে, এরপর তার মল থেকে তৈ্রী হয় এই কফি। গাছের ডাল আর বিড়ালের গায়ের রঙ ব্লেন্ড হয়ে যাওয়ায় মনে হয় বোঝা যাচ্ছে না। সাধারন বিড়ালের চাইতে একটু বড় সাইজের হয় বনবিড়াল।

কফি কাপ হাতে আসলে ছবি তোলাই হয়নি :)

৯| ১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৩৫

মিরোরডডল বলেছেন:




কামাল১৮ বলেছেন: আমাদের সবই আছে কেবল পরিকল্পনা ও নিরাপত্তার অভাব।সেই সাথে আছে ধর্মীয় গোঁড়ামি।

কামালের কমেন্ট খুব পছন্দ করি কিন্তু এটা পড়ে হাসলাম।
প্রথম অংশটুকু ঠিক ছিলো কিন্তু তারপরই আবার এর মাঝে ধর্ম আসলো কি করে :)

১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৫৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: সর্বহারা , বামপন্থী ইফেক্ট :)

১০| ১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৩৯

মিরোরডডল বলেছেন:



সাধারন বিড়ালের চাইতে একটু বড় সাইজের হয় বনবিড়াল।

তাহলেতো আরো ভালো দেখার কথা কিন্তু আমি কোনো বিল্লু দেখতে পাচ্ছিনা :(
আমি কি অন্ধ হয়ে গেলাম! :((

কফি কাপ হাতে আসলে ছবি তোলাই হয়নি :)

তুললেও কি আর এখানে শেয়ার করবে :)

১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:০১

ঢাবিয়ান বলেছেন: জুম করে দেখলে দেখা যাবে মনে হয়। গাছের ডাল, ও বিড়ালের গায়ের কালার মিলেমিশে একাকার ।

তুললেও কি আর এখানে শেয়ার করবে :)

একই কথা আপনার বেলাতেও প্রযোয্য :)

১১| ১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:১৪

মিরোরডডল বলেছেন:




ঢাবি আমারতো মনে হয় বাবু হবে! আমার গা গুলাচ্ছে, বমি বমি আসছে ....

হা হা হা কাছের মানুষের এই কমেন্ট পড়ার পর =p~

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমার একবার হলেও লুয়াক কফি খাবার সখ! সেটার দাম কেমন? আমি কোরিয়াতে থাকতে অক্ট্রোপাশ খেয়েছি, অক্টোপাসের সূপ অনেক খেয়েছিলাম, তারপর জীবন্ত অক্তোপাসও খেয়েছি একবার (জাষ্ট জানার জন্য কোরিয়ানরা এটা কেন খায়!), কেচি দিয়ে পা কেটে সসে মেখে চপস্টিক খেয়েছি! আর কাকড়াতো এখনো খাই বাসায় রেধে!

লুয়াক কফি ঘৃণা লাগবে খেতে তবে আমি খেয়ে দেখতে চাই অন্তত এটা জানার জন্য, এর দাম বেশী কেন!



১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:০১

ঢাবিয়ান বলেছেন: হা হা হা আপু, কাছের মানুষের কমেন্ট পড়ে আমিও ভিমরি খেয়েছি :)

১২| ১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:১৯

মিরোরডডল বলেছেন:



ওহ মাই গড!!! ভূম পারেও।
এতো হাস্যকর কমেন্ট :)

১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:০২

ঢাবিয়ান বলেছেন: :)

১৩| ১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ৯:৩১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: কফি পান বাদ দিতে হবে দেখছি। আমি র চা পছন্দ করি। মাঝে মাঝে দুধ চা।

১৭ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:০৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: কফি বাদ দিবেন কেন? লুয়াক কফির কথা শুনে ? :) আদা চা আমার খুব পছন্দ। দুধ চাতো সবারই প্রিয়।

১৪| ১৯ শে জুন, ২০২৩ রাত ১:২৫

জটিল ভাই বলেছেন:
পোস্ট পড়ে মন ভরেনি প্রিয় ভাই। কফি খাওয়া দরকার :P :P :P
আচ্ছা, আপনি কি নেসক্যাফের উপকরণ সম্পর্কে সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেন?

২৭ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: Click This Link

উপড়ের লিংকে দেখতে পারেন নেসক্যাফের উপকরণ সম্পর্কে ।

১৫| ২১ শে জুন, ২০২৩ রাত ৮:৪৩

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ১৪ রকম কফি !!!
ব্যাপারটা দারুণ কিন্তু , পছন্দ হইছে কফি বাগান ভ্রমণ পোষ্ট।

২৭ শে জুন, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ আপু

১৬| ০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:২৫

সোহানী বলেছেন: আরে দারুনতো। এইখানে আমাকে যেতেই হবে। এতো এতো রকমের কফির স্বাদ নেবার জন্য আমার মনটা আঁকুপাকুঁ করছে। একজন কফিখোরের নেশা বলে কথা :P

আমি যখনই ভিন্ন স্বাদের কফি দেখি কিনে ফেলি। কিন্তু ওরকম বাগানে যেয়ে ফ্রেস কফির স্বাদের তো তুলনায় চলে না। ....... কি যে লোভ দিলা!!!

ছবিগুলো যথার্থ, না হলে পরিপূর্ণতা পেতো না পোস্টের।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.