নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয়ে বাংলাদেশ

ঢাবিয়ান

ঢাবিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডানকি - অবৈধ অভিবাসনের ভয়ঙ্কর সব কৌশল

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৫

শাহরুখ খান অভিনীত আলোচিত মুভি ''ডানকি '' মুক্তি পেয়েছে নেটফ্লিক্সে। অবৈধ অভিবাসন কৌশলের উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে ছবিটি । জীবনের রঙ্গীন স্বপ্ন পুরনের হাতছানিতে প্রচুর মানুষ এই উপমহাদেশ থেকে প্রতিনিয়ত অবৈধ পথে পারি জমায় অজানা বিদেশের পথে। '' ডানকি '' হচ্ছে সেই ভয়ঙ্কর বিপদজনক পথ। ছবিতে তিন তরুন ও এক তরুনীর পাঞ্জাব থেকে লন্ডনে অবৈধভাবে যাবার কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। আমরা প্রায়শই নিউজপেপারে পড়ে থাকি সমুদ্রপথে ট্রলারে , নৌকায়, জাহাজের কন্টেইনারে বা বর্ডারে অবৈধভাবে বিদেশে প্রবেশ করতে গিয়ে প্রচুর অভিবাসন প্রত্যাসী প্রান হারায় ।''ডানকি'' মুভিতে দেখানো হয়েছে এর বাস্তব চিত্র । অত্যন্ত দুঃখজনক যে , অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাসী এই মানুষগুলো আমাদের সমাজের স্বল্প শিক্ষিত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী। আর তাইতো মানব পাচারকারীরা এত সহজে তাদের গাধা বানাতে পারে।

ছবির কাহিনী গড়ে উঠেছে পাঞ্জাবের এক ছোট শহরে তিন তরুন ও এক তরুনির পরিবারের সকল স্বপ্ন পুরনের আশায় লন্ডন যাবার বাসনার মধ্য দিয়ে। স্বল্পশিক্ষিত ও দরিদ্র হবার কারনে তাদের বৈ্ধ পথে বিদেশ যাওয়ার সকল চেষ্টা বিফলে যায়। ফলে তারা বেছে নেয় বিকল্প '' ডানকি'' পথ। স্বপ্ন পুরনে মানব পাচারকারীদের হাতে তুলে দেয় জীবনের সকল সঞ্চয়। প্রথম দফায় পাঞ্জাব থেকে পাকিস্তানে পৌছায় কিছুটা অংশ নৌকায় ও বাকিটা সাঁতার কেটে। আর্মি চৌকির কাছ দিয়ে সাঁতরে যাবার সময় তাদের ডুব সাঁতার দেবার প্রয়োজন হয় কিন্ত তাদের কাছে নেই কোন ডুবুরির পোষাক। এজেন্ট তাদের হাতে ধরিয়ে দিয়েছিল কিছু পাইপ। সেই পাইপের সাহায্যে পানির নীচে দম ফেটে মরে যাবার পরিস্থিতি তৈরী হলেও কোন প্রকারে ফাকি দিতে সমর্থ হয় আর্মির চোখ। বর্ডার জোয়ানদের হাতে টাকা গুজে পাকিস্তান থেকে আফগানিস্তান হয়ে পৌছায় ইরানের মরুভুমিতে। তপ্ত সেই মরুভুমি হেটে পারি দিতে গিয়ে ধরা পড়ে যায় পুলিশের হাতে। পুলিশের গুলিতে তৎক্ষনাত মারা পড়ে দলের তিন অভিযাত্রী। শাহরুখ খান ও তার তিন সঙ্গী বেচেঁ যায় শাহরুখের হিরোইজমের কল্যানে। ইরান থেকে এরপর তাদের তোলা হয় লন্ডনগামী জাহাজের কন্টেইনারে। বদ্ধ সেই কনটেইনারে তারা দেখা পায় আরো বহু মানুষের যাদের মাঝে আছে মহিলা ও শিশু! প্রায় একমাসের সেই সমুদ্র যাত্রায় কন্টেইনারের অভ্যন্তরের বিভীষিকাময় জীবন দেখে ভয়ে আতঁকে উঠতে হয়। খাওয়া দাওয়া , মলমুত্র ত্যাগ সব একই জায়গায়। পৃথীবির ভয়ঙ্কর কারাগারও মনে হয় এর চাইতে বিভীষিকাময় নয়। কন্টেইনার থেকে খালাস হয়ে সিনেমার চরিত্রগুলোকে এরপর গাড়ির বুটে ভরে নিয়ে আসা হয় স্বপ্নের লন্ডনে !!

বিগ বেন ও টেমস নদী দেখে আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠা এই অবৈধ অভিবাসীদের আনন্দ বেশিক্ষন স্থায়ী হবার সুযোগ হয় না। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে কোনমতে বেচেঁ থাকা ইল্লিগাল ইমিগ্রান্টদের আরেক কঠিন জীবন সম্মুখে এসে দাঁড়ায়। স্বল্প মজুরিতে কঠিন পরিশ্রমের কাজ করে দেখা মেলে স্বপ্নের পাউন্ডের। নিজে মানবতের জীবন বেছে নিয়ে মজুরির সিংহভাগ পাঠিয়ে দেয় দেশে। যে স্বপ্ন পুরনের প্রত্যাশায় ছেড়ে এসেছিল প্রানপ্রিয় মাতৃভুমি, সেই স্বপ্নের কিছুটা পুরন হয় স্বজনদের মুখে হাসি ফুটিয়ে। বছরের পর বছর পেরিয়ে যায় , কিন্তু চাইলেও আর ফেরা হয় না প্রিয় মাতৃভুমিতে -------

শাহরুখ খান ও অন্যান্য অভিনেতা অভিনেত্রীর প্রানবন্ত অভিনয় জীবন্তভাবে তুলে ধরেছে অবৈধপথে এই ভয়ঙ্কর বিদেশ যাত্রা । মুভিটা দেখে আমার মনে হয়েছে ছবিটি আমাদের দেশের গ্রামে গঞ্জে সর্বত্র দেখানো উচিৎ । দরিদ্র ও অশিক্ষিত মানুষ অলীক স্বপ্নের মোহে কিছু না জেনেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানব পাচারকারীদের ক্ষপ্পরে পড়ে। একমাত্র প্রান হারালেই শুধু তারা সংবাদের শিরোনাম হয়। কিন্তু দুঃখখজনক যে পরিবারের কাছে কখনই পৌছায় না সেইসব অভিযাত্রীদের লাশ। আমাদের দেশেও চলচিত্র নির্মাতাদের এই পটভুমিতে এই ধরনের ছবি বানানোতে উৎসাহী হওয়া প্রয়োজন । ''২০২৩ সালে ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ ২,৫০০ অভিবাসী '' ট্রাকের কন্টেইনারে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ৩৯ অভিবাসীর মৃত্যু, অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে সীমান্ত-রক্ষীদের পাইকারী হারে গুলি , পানির তেষ্টা মেটাতে মুত্রপান ট্রলারে ভাসমান অভিবাসীদের, প্লেনের চাকায় পিষ্ঠ হয়ে করুন মৃতূবরন জাতীয় সংবাদ শিরোনামগুলো আসলে মানবতার চুরান্ত সীমা লংঘনের উদাহরন। দেশ ডিজিটাল ও স্মার্ট হবার চাইতেও বেশি জরুরী এই ধরনের মানবতা বিরোধি কর্মকান্ডগুলো প্রতিহত করা ----

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:০৭

রানার ব্লগ বলেছেন: ডনকি গতো বছরের সেরা ছবি আমার মতে। এনিমেলের মতো জঘন্য ছবি কেবল মাত্র নির্মান গুনে উত্রে গেছে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০২

ঢাবিয়ান বলেছেন: ছবিটা এমন নির্মন বাস্তবতার উপড় ভিত্তি করে তৈরী হয়েছে , এই কারনে খুব ভাল লেগেছে।

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: অলরেডি অনেক মুভি ডাউনলোড করা আছে কিন্তু ওগুলো দেখারই সময় পাই না, দেখি এ মুভিটিও ডাউনলোড করে রাখবো।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: সময় পাইলে দেখেন। খুবই ভাল একটা মুভি। পত্রিকার শিরোনামে যেসব খবর আমরা দেখি তার উপড় ভিত্তি করে তৈরী হয়েছে এই সিনেমা।

৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৩৯

ধুলো মেঘ বলেছেন: ততোটা ভালো লাগেনি আমার কাছে। নায়িকাকে কেবল চেহারাতেই বুড়ি বানানো হয়েছে। তার ফিগার এবং আচার আচরণ রয়ে গেছে ১৬ বছরের তরুণীর মত। শাহরুখ বুড়ো হলেও তার তরুণসুলভ আচরণ বেশ হাস্যকরে লেগেছে। অন্যদের অতি অভিনয় সিনেমাটিকে ডুবিয়েছে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমি আসলে সিনেমার রিভিউ লিখিনি। অবৈধ অভিবাসনের ভয়ঙ্কর যে সব কৌশল আমরা প্রায়শই নিউজপেপারে পড়ি , সেই কৌশলগুলো তুলে ধরতে চেয়েছি। সেই বিবেচনায় সিনেমাটা শতভাগ সফল। নায়ক নায়িকার গেটাপ , কিছু আজাইরা কমেডি বা অতি অভিনয় অবস্যই সমালোচনার বিষয়। আমি সেদিকে যেতে চাচ্ছি না। কারন আমার মনে হয় এই সিনেমার মুল যেই মেসেজ তা দরিদ্র ও অশিক্ষিত শ্রেনীর মাঝে ছড়িয়ে পড়া প্রয়োজন যাতে করে তারা মানব পাচারকারীদের টার্গেটে পরিনত না হয়।

৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৩

নতুন বলেছেন: সহমত ধুলো মেঘ।

মুভির টপিকটা সিরিয়াস কিন্তু কমিডি বানিয়ে ফেলেছে। প্রথমে এবং শেষে কিছু সময় খাপছাড়া লেগেছে<..

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩১

ঢাবিয়ান বলেছেন: সিনেমাটিক কিছু বিষয় বাদ দেয়াই যায় সিনেমার বিষয়বস্তুর কারনে। শাহরুখের কারনে এই ছবি ইন্ডিয়ার দূর দুরান্তে ছড়িয়ে পড়বে এবং সমাজে অনেক ইতিবাচক ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবে এই সিনেমা । আমাদের দেশেও এই জাতীয় ছবি বানানো প্রয়োজন।

সাম্প্রতিক একটি খবর দেখেন যে , ইউরোপ যেতে সবচেয়ে জনপ্রিয় রুট হচ্ছে লিবিয়া হয়ে সমুদ্রে পথে গ্রিস বার ইতালির উপকূলে পৌঁছানো। কিছুদিন আগেই লাখ টাকা আয়ের আশায় কলকাতা হয়ে একদল পাড়ি জমিয়েছিল লিবিয়ায়। লিবিয়া থেকে ভূমধ্য সাগর পাড়ি দিয়ে যেতে চেয়েছিলো ইউরোপ। লিবিয়া থেকে ইউরোপে যাওয়ার সময় ভূমধ্যসাগরে ঠাণ্ডায় জমে সাতজন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছেন ,বাকিদের ঠিকানা লিবিয়ার কারাগারে। যেখানে তাদের কাটাতে হচ্ছে মানবেতর জীবন। জীবন বাঁচাতে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাদের স্বজনরা। সুত্র ঃ ৭১ টিভি

দরিদ্র ও অশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর কাছে এই ভয়ঙ্কর যাত্রার কথা পৌছানো প্রয়োজন। ইউরোপের লোভ দেখিয়ে কিভাবে অশিক্ষিত মানুষকে ধোকা দেয় মানব পাচারকারীরা , তা যত ছড়িয়ে পড়বে তত বেশি মানুষ সচেতন হবে।





৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:১৭

নিমো বলেছেন: অজ্ঞাতনামা না দেখে থাকলে, দেখুন।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৫৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: অজ্ঞাতনামা কি কোন সিনেমা ?

৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৬

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর রিভিউ লিখেছেন।
মুভিটা আমি অবশ্যই দেখব।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: অবস্যই দেখবেন। শাহরুখ খান এক ইন্টারভিউতে বলেছে যে , এটা তার ক্যা্রিয়ারের সেরা ছবি। আমারো মনে হয়েছে শাহরুখ খান গ্রেট একটা কাজ করেছে। মানবপাচারকারীদের রুখতে সবচেয়ে বেশী জরুরী হচ্ছে সচেতনতা। মানুষ যত বেশি জানবে , তত বেশি করে সচেতনতা তৈরী হবে।

৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৭

নতুন বলেছেন: দরিদ্র ও অশিক্ষিত জনগোষ্ঠীর কাছে এই ভয়ঙ্কর যাত্রার কথা পৌছানো প্রয়োজন। ইউরোপের লোভ দেখিয়ে কিভাবে অশিক্ষিত মানুষকে ধোকা দেয় মানব পাচারকারীরা , তা যত ছড়িয়ে পড়বে তত বেশি মানুষ সচেতন হবে।


সরকারের উচিত এই সব জিনিস নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য কাজ করা।

সম্প্রতি দুবাইতেও অনেকে ফ্রী ভিসা নিয়ে গেছে। কিছু মানুষকে ম্যানেজিং ডাইরেক্টর, অপারেসন ম্যানেজার, সিনিয়ার ম্যানেজারের ভিসা লাগিয়ে দিয়েছে।

কয়েকজন দেশের ভালো চাকুরী ছেড়ে, কয়েকলাখ টাকা হাতে নিয়ে বউ, বাচ্চা সহ দুবাই চলে এসেছে, দালাল বলেছে যে ১ মাসের মধ্যেই স্বামী স্ত্রীর জবের ব্যবস্থা হয়ে যাবে। :(

এখন এই সব মানুষ যেকোন চাকুরী করতে চায়, অনুরোধ করে। আমি একজন অপারেসন ম্যানেজারকে রেস্টুরেন্টের ওয়েটারের জন্য রিকম্ডন করতে পারিনা।



কোন হাতের কাজ বা স্কিল না শিখে দেশের বাইরে যাওয়া উচিত না।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২০

ঢাবিয়ান বলেছেন: ধন্যাদ আপনার বাস্তব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মন্তব্যের জন্য । ভুয়া চাকুরির কাগজপত্র দিয়ে ওয়ার্কপারমিট বা এমপ্লয়মেন্ট ভিসা বানানোের বিষয়টা খুবই কমন । এ ক্ষেত্রে লোকাল কোন বিদেশীদের টাকা দিয়ে তাদের কোম্পানির নামে লোক পাঠানো হয়। এরকম প্রতারনার শিকার হওয়া মানুষেরা খুবই বিপদে পড়ে বিদেশে গিয়ে , যেটা আপনি উল্লেখ করেছেন।
লন্ডনে খুব বেশী হয় ভুয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে স্টুডেন্ট পাস ইস্যূ হওয়া । ভুক্তভোগী এরকম অনেক চেনেজানা মানুষের কথা জানি। লাখ লাখ টাকা খরচ করে এরোপ্লেনে চড়ে আবার বিদেশের এয়ারপোর্ট থেকেই স্বদেশে ডিপোর্টেড হয়েছে।

৮| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:১৬

জুন বলেছেন: আমি যখন রোমের পিয়াতজা নভোনার ফোয়ারার সামনে বসে সৌন্দর্য উপভোগ করছি তখন এক শীর্নকায় কিশোর নাকি যুবক আমার দিকে গোলাপের একটি স্টিক বাড়িয়ে দিল আর জানালো এর দাম এত। বাংলাতেই বল্লো। কথায় কথায় জানলাম সে বাংলাদেশী। দু একটা কথার পর জানতে চাইলো আমরা দুজন কেমন করে ইতালি এসেছি? ডানকি করে কি? শব্দটা আমাদের কাছে সম্পুর্ন অপরিচিত ঢাবিয়ান। কিন্ত এর অর্থ জিজ্ঞেস করার আগেই বললাম "না না আমরা প্লেনে করে এসেছি"। এর মাঝেই এক আফ্রিকান পাশের সৌধের বারান্দায় জড়ো করে রাখা ফুলগুলো লাথি মেরে ফেলে দিল। আধপেটা খাওয়া জীবন যুদ্ধে সংগ্রামরত ছেলেটা প্রানপনে দৌড়ে গেল তার জীবনের চেয়েও মুল্যবান উপকরণ বাচাতে। আর জানা হয় নি ডাংকি কি।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপু, আমি আসলে ডানকি শব্দটা এই প্রথম শুনেছি। আপনার কথায় বুঝতে পারছি যে , এটা আসলে প্রচলিত শব্দ । ইতালিতে আপনার যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তা কমবেশি আমাদের সবারই আছে। ডানকি পথে বিদেশে আসতে বেশিরভাগই মারা যায় বা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেলে যায় । সব দেশেই অবৈ্ধ অধিবাসীদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তির বিধান। তাই অনেকেই যারা মনে করে যে ডানকি পথে কোনমতে স্বপ্নের দেশে পৌছাতে পারলেই কেল্লাফতে তা মোটেও নয় । পুলিশকে প্রতিনিয়ত ডজ দিয়ে টাকা কামানোদের সংখ্যা হয়ত কোটিতে এক/ দুইজন।

৯| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


প্রয়োজনের তুলনায় দেশের জমি ও সম্পদ খুবই কম।
দেশে কাজ নেই।
মানুষ জানের ঝুকি নিয়ে আয় করতে চায়।
দেশে কাজ পেলে অনেকেই হয়তো এই ধরনের ঝুকি নিত না।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫০

ঢাবিয়ান বলেছেন: দেশে কাজ নেই, বেকারত্বের হার বেশি কিন্ত তারপরেও একেবারে কাজ যে নেই তা কিন্তু নয়। আপনি একজন কাজের লোক খুজতে যান - পাবেন না, আপনি একজন বিশ্বস্ত দারোয়ান, ড্রাইভার খুজতে যান সহজে পাবেন না। মানবপাচারকারীরা মুলত মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে মানুষকে এই পথে নেয়। যারা যায় তারা কিছু না জেনেই যায়। ভূমধ্যসাগরে হাজার হাজার নিখোজ অভিবাসন প্রত্যাসী মানুষের কথা এরা জানে না। জানে না যে বিদেশের জেলগুলোতে কি পরিমান অবৈ্ধ অধিবাসী রয়েছে! জেনেশুনে আর কয়জন মরনের পথে যেতে চায় ?

১০| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৫

ধুলো মেঘ বলেছেন: সিনেমা যতই বানাক - এই ভয়ংকর প্রবণতা কখনোই বন্ধ হবেনা। এসব সিনেমা দেখে এরা আরো উৎসাহিত হবে। ডানকি হোক, চোরাই পথে হোক বা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হোক - বিদেশে যাবার পরে তো এদের সবারই আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে, নাকি?

দেশে থাকলে তো পচে মরতে হতো।

১১| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:০৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: @ধুলোমেঘ , ইল্লিগাল ইমিগ্রান্টদের কয়জন আর সফল হয় ?সংখ্যা খুবই নগন্য।

বাস্তবতা হচ্ছে -



সাম্প্রতিককালের ঘটনা এটা।

১২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫০

এম ডি মুসা বলেছেন: আমি মুভি দেখিনা ভালো লাগে না আমার এক সময় দেখতাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.