নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয়ে বাংলাদেশ

ঢাবিয়ান

ঢাবিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাগো মা, ঝিগো ঝি করলাম কি রঙে ভাঙা নৌকা বাইতে আইলাম

০২ রা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৫



কোক স্টুডিও বাংলার সাম্প্রতিক গানগুলো শুধু গানই না, এর সাথে যোগ করা হচ্ছে গানের বিষয়বস্তুর সাথে সম্পৃক্ত ঐতিহ্যও। ফলে গানগুলো পাচ্ছে এক ভিন্ন মাত্রা এবং এই ভিন্নমাত্রাই গানগুলোকে অনেক উচ্চমাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে। তাদের সদ্য প্রকাশিত মা লোমা গানটি ইতিমধ্যৈই দারুন দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। প্রয়াত খালেদ হাসান মিলুর ছেলে প্রীতম হাসানের বাংলা গান নিয়ে বিভিন্ন ধরনের একপেরিমেন্ট বেশ সফল হয়েছে। মালো মা গানটিতে অংশ নিয়েছেন প্রীতম হাসান, সাগর দেওয়ান, আরিফ দেওয়ান এবং র‍্যাপার আলী হাসান।সাগর দেওয়ান এবং আরিফ দেওয়ানের পূর্বপুরুষই মা লো মা ঝি লো ঝি নামের গানটির মূল রচয়িতা। ‘ছাদ পেটানো গানের’ সংযুক্তি এই গানের গভীরতা আরো বাড়িয়ে তুলেছে । এই গানের একটি শহুরে সংস্করণ দেখতে পাওয়া যায় আশি ও নব্বই দশকের রাজমিস্ত্রীদের মাঝে। জীবিকার জন্য শহরে পাড়ি দেওয়া এই শ্রমিকরা কংক্রিটের ছাদ তৈরির সময় এ ধরনের গান গাইতেন। ছাদ পেটানোর ছন্দের সাথে গানের কথা মিলে একঘেয়েমি দূর করার পাশাপাশি কাজের সময় একটি উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি করে।

গ্রাম বাংলার পল্লীগীতিগুলোতে থাকে জীবনের গল্প। সব বয়সের ও সর্বস্তরের দর্শক-শ্রোতা এইসব গানের সাথে একাত্ম হতে পারেন। মালো মা গানটিতে ভাঙা নৌকার উপমা দিয়ে জীবনকে বোঝানো হয়েছে আর নদী দ্বারা বোঝানো হয়েছে পৃথিবীকে।এই জীবনে অনিবার্যভাবে বড় কিংবা বুড়ো হওয়া এবং নস্টালজিয়া যেন একই মুদ্রার দুটো পিঠ। এই অবধারিত পরিবর্তনকে মেনে নিয়েই একটি কথোপকথনের মতো করে এগিয়ে যায় গানটি ।

এই প্রজন্মের তরুনদের গ্রাম বাংলার এই ফোক গানগুলো নিয়ে কাজ করতে দেখলে বড় ভাল লাগে। ফেসবুক রীল বা টিকটক কনটেন্টে রুচির দুর্ভিক্ষের এই সময়ে এই গানগুলো শুনলে প্রচন্ড গরমের মাঝে এক পশলা বৃষ্টির আমেজের অনুভুতি তৈরী হয়।

তথ্যসুত্র ঃ আলোকিত সংবাদ ডট কম

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪০

কামাল১৮ বলেছেন: কানাডায় বাংলাদেশী হোটেল গুলিতে খেতে গেল এই গানগুলি শুনা যায়।

০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ৮:৪৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: বাহ বেশ সুন্দর আয়োজন আপনাদের ওখানে।

২| ০২ রা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪২

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: ফোক গান নিয়ে কাজ দেখলে ভালো লাগে...

০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ৮:৫৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: একমত আপনার সাথে। প্রীতম হাসান চমৎকার কাজ দেখাচ্ছে। প্রীতম মনে হয় একটা সময়ে এই ব্লগে ব্লগিংও করত।

৩| ০২ রা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪

নতুন বলেছেন: গানগুলি ভালোই করেছে।

দেওয়া এবং অবাক ভালোবাসা বেশি ভালো হয়েছে।

যদিও অরিজিনাল অবাক ভালোবাসাই সেরা।

০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ৮:৫৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: ''অবাক ভালবাসা'' আমার তেমন ভাল লাগে নাই। হেভি মেটাল গ্রুপ 'ওয়ারফেজ' এর গান সেই নব্বই দশকেও ভাল লাগত না। দেওরা , তাতী , কথা কইও না - খুব ভাল লেগেছে।

৪| ০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ৯:০১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কোক স্টুডিয়ো বাংলার সাম্প্রতিক গানগুলো শুধু গানই না, এর সাথে যোগ করা হচ্ছে গানের বিষয়বস্তুর সাথে সম্পৃক্ত ঐতিহ্যও। ফলে গানগুলো পাচ্ছে এক ভিন্ন মাত্রা এবং এই ভিন্নমাত্রাই এগুলোকে অনেক উচ্চমাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে। 'তাঁতী' গানটা ছিল সম্ভবত এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

সাগর দেওয়ান একজন উঁচু মাপের শিল্পী। তার কণ্ঠ খুব ভালো এবং সুরগুলো হয় নিখুঁত ও মেলোডিয়াস। এই গানেও তার রোলটাই ছিল সবচাইতে বড়ো। আরিফ দেওয়ানের শুরুটা ভালো হয় নি, তবে শেষের দিকে তিনি আবেগ পেয়েছেন।

এ গানটা একবার শুনলাম। আমার কাছে একটু বেশি জটপাকানো মনে হয়েছে।

মালো মা, ঝি লো ঝি গানটা ছোটোবেলায় অনেক শুনেছি বিভিন্ন মানুষের কণ্ঠে এবং বয়াতি গানের আসরে। আমাদের দোহার অঞ্চলে জারিসারি/বয়াতি গান প্রচুর হতো। খালেক দেওয়ান, মালেক দেওয়ান, আনোয়ার দেওয়ান, পরশ আলী দেওয়ান, ননী ঠাকুরসহ আরো অনেক নাম খুবই পরিচিত ছিল। আমি ঠিক শিওর না, হয়ত ছোটোকালে খালেক দেওয়ানের কণ্ঠেও বয়াতী আসরে তার গান শুনেছি। তিনি না হয়ে তার ছেলেরাও হতে পারেন। তার বাড়ি কেরানিগঞ্জ উপজেলায়। আমি অবাক হয়ে লক্ষ করেছি, অনেক জনপ্রিয় ফোক গানের গীতিকার হলেন এই খালেক দেওয়ান। ছোটোবেলায় আমার বাবাকে দেখেছিলাম তার গানের একটা বই কিনে এনে সেটা দেখে দেখে গান গাইতে।

কোক স্টুডিয়োর এভাবে বিভিন্ন জনারের গান বিভিন্ন আঙ্গিকে প্রকাশ করার উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়।

তবে, আমার মতে 'ফুল বাগিচা'ই হলো এ যাবত এদের সেরা সৃষ্টি।

পোস্টে ভালো লাগা জানাচ্ছি।

০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার তথবহুল কমেন্টের জন্য। আপনার কমেন্টের প্রথম প্যারাটা পোস্টে যুক্ত করে দিলাম। কোক স্টূডিওর ভিন্নমাত্রার গানগুলো আমাদের সঙ্গীতাঙ্গনকে দিনকে দিন সমৃদ্ধ করছে। আমার বয়াতী আসর দেখার সুযোগ কখনও হয়নি। গ্রাম বাংলার জারী সারী গান মুলত টিভিতেই শুনেছি। তবে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমান প্রজন্ম যেভাবে হারানো ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও আধুনিকতার ফিউশন ঘটাচ্ছে তা খুবই প্রসংসনীয়।

৫| ০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ৯:১০

সোহানী বলেছেন: তবে আমার ফোক এ ফিউশন ভালো লাগে। এ গানটিও ভালো।

০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ৯:৪১

ঢাবিয়ান বলেছেন: খুবই ভাল হচ্ছে কোক স্টূডিওর ফিউশন। নতুন প্রজন্মের কাছে আমাদের শত বছরের পুরানো ঐতিহ্য ''পল্লীগীতি'' পৌছানোটা খুবই ইতিবাচক একটা বিষয়।

৬| ০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ৯:৩২

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- কিছু কিছু গান সত্যিই নতুন করে ভালো ফিউশন হচ্ছে। গানবাংলাতেও কিছু চমৎকার ফিউশন শুনেছি।

০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ৯:৪৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: গান বাংলার কোন গান শোনা হয়নি।

৭| ০২ রা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




আমার খুবই প্রিয় একটি বিষয়ের উপর পোস্ট । ছোট কালে মাইলের পর মাইল পারি দিয়ে দুর দুরন্তে গিয়ে
সারা রাত জেগে বাউল গান ও গানের সুরে সুরে বাউলদের মাঝে একে অপরে প্রশ্নবান ও তার উত্তর শুনতাম
মুগ্ধ হয়ে । গানের আসরে স্টেজে উঠে এক বাউল হাতে একতারা কিংবা বেহালা নিয়ে বাজনার তালে নেচে
নেচে গান গাইতেন , গান শেষে পরবর্তী বাউলের জন্য গানের সুরেই একটি প্রশ্ন রেখে যেতেন ।

পরবর্তী বাউল উঠে এসে একটি গান গেয়ে আগের বাউলের প্রশ্নের উত্তর গানের মাধ্যমে দিয়ে অপর বাউলের
প্রতি একটি প্রশ্ন রেখে যেতেন গানের সুরে।এমনি করেই চলতে থাকত প্রতিযোগীতামুলক বাউল গানের আসর।
বাউল তত্ত্বে বা আদর্শে দীক্ষিত না হলে কারো পক্ষে বাউল গানের নিগূঢ় তত্ত্ব উপলব্ধি করা সম্ভব হতোনা।
যেমন এপার ওপার বাংলার সর্বকালের বিখ্যাত বাউল লালনের একটি গান:
চাঁদের গায়ে চাঁদ লেগেছে, আমরা ভেবে করবো কি
ঝিয়ের পেটে মায়ের জন্ম, তারে তোমরা বলবে কি?
তিন মাসের এক কণ্যা ছিল, নয় মাসে তার গর্ভ হল
এগার মাসে তিনটি সন্তান, কে বা করবে ফকিরি?
ঘর আছে তার দুয়ার নাই রে, লোক আছে তার বাক্য নাই রে
কে বা তারে আহার জোগায়, কে বা দেয় সন্ধ্যাবাতি?
ফকির লালন ভেবে বলে, ছেলে মরে মাকে ছুঁলে
এই তিন কথার অর্থ না জানলে, তার হবে না ফকিরি।।


বাউল সাধনার শীর্ষস্তরে না গিয়ে কারো পক্ষে এই গানে কি বলা হয়েছে তা বুঝা সম্ভব নয় বলেই বাউলরা
বলতেন ।বাউল গানে নিতান্তই প্রেম বা প্রকৃতির গান নেই। এদের গানের একমাত্র বিষয় বাউল ভাবনা কেন্দ্রিক
তত্ত্বকথা। শাস্ত্রীয় বা নাগরিক গানের তালের পরিবর্তে, তাঁরা ভাবের দোলায় আপন ছন্দে গান বেঁধেছেন। এদের
গানে নানা ধরনের রূপক শব্দ পাওয়া যায়। যা ভাব প্রকাশের সহায়ক হলেও এর বাণী সাধারণ মানুষের কাছে
সহজে ধরা দেয় না। বাউল গানের বাণী চর্যাপদের মতই “সন্ধ্যাভাষা”। যেখানে বাইরে এক কথা থাকে কিন্তু
ভিতরে অন্য ভাব থাকে।

একালে তালে বেঁধে যে বাউল গান উপস্থান করা হয়, তাতে তালের শুদ্ধতা থাকে, কিন্তু অনেক সময় বাউল গানের
ছন্দটাই হারিয়ে যায়। আবার বাউল গানের সুরের ঢং রেখে গান বাঁধলেই কেবল বাউল গান হয় না। তার ভিতরে
বাউল দর্শনও থাকা আবশ্যক।বর্তমানে হাটে-মাঠে-গঞ্জে-আখড়ায় বাউল হিসেবে আমরা যাদের দেখি, তাদের
অধিকাংশই কর্মে ভীত একশ্রেণির মানুষ, কিংবা বাউল বেশ ধারণ করে নানাধরণের অপকর্মে লিপ্ত। বাউলরা আজ
দারুনভাবে পণ্যে পরিণত হয়েছেন। কিন্তু একটা সময়ে বাউলতত্ত্ব ও সাধনা ধর্মাশ্রয়ীদের বেশ বিপদেই ফেলে
দিয়েছিলো। শাস্ত্র-কিতাবের বাইরে গিয়ে এবং সকল প্রকার জাত-পাতকে পিষ্ঠ করে বাউলগণ মানুষকে ঈশ্বরজ্ঞান
করেছেন এবং মানুষের মধ্যে ঈশ্বর খুঁজেছেন।তাঁদের সাধনায় ঈশ্বর ছিলোনা, বর্ণ-ধর্ম ছিলোনা, ধনী-গরীবছিলো না।
কিন্তু তাঁদের গুরু ছিলেন, মুরশিদ ছিলেন।

বাউলদের জ্ঞান আহরণের জন্য তা ছেঁকে নিতে হবে মারফতের মাধ্যমে। মারফত জানতে হয় মুর্শিদের মাধ্যমে।
মুর্শিদ হলো সেই শক্তির আঁধার, যিনি শিষ্যকে সরল-গরল, ভালো-মন্দের ভেদ-প্রভেদ বুঝিয়ে দেন। মুর্শিদ তার
শিষ্যকে বাউলের গোপনীয় গুহ্যতত্ত্ব সম্পর্কে ধারণা দেন। বাউলতত্ত্বের আদর্শসমূহ হলো – গুরুবাদ, শাস্ত্রহীন
সাধনা, দেহতত্ত্ব, মনের মানুষ, রুপ-স্বরূপ তত্ত্ব ইত্যাদি।বাংলাদেশের বাউলেরা এভাবেই অকাট্য যুক্তির আলোকে
শরিয়তি গ্রন্থকে সামনে রেখেই গুরুবাদী ধারার সাধনচর্চাকে প্রতিষ্ঠা করেছেন।

যুগে যুগে কালে কালে শত সহস্র বাউলেরা পূর্বে যেমন এই সাধনা ও গানের ধারা চর্চা করেছেন, বর্তমান কালেও
অগণিত বাউল-সাধক-ভক্তগণ এই ধারা অব্যাহত রেখে চলেছেন। উল্লেখ্য ২০০৫ সালে “ইউনেস্কো” বিশ্বের
মৌখিক ও দৃশ্যমান ঐতিহ্যসমূহের মধ্যে বাউল সঙ্গীতকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসেবে ঘোষনা করেছে। আবার,
২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে ইউনেস্কো বাংলার বাউল সঙ্গীতকে ”দ্যা রিপ্রেজেন্টেটিভ অব দ্যা ইন্ট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ
অব হিউম্যানিটি”র তালিকাভুক্ত করেছে। অবশ্য তারও আগেই বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশ-ষাটের দশক হতেই যেন
ইউরোপ-আমেরিকার নানা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে বাউলগান ও বাউলদের সাধনপদ্ধতি নিয়ে নানা ধরণের গবেষণা
কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। পাশাপাশি এই বাংলার বাউলগান পরিবেশন করতে গ্রামের বাউল-সাধক শিল্পীগণ বিভিন্ন
দেশ-বিদেশেও ভ্রমণ করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত “আমার সোনার বাংলা,
আমি তোমায় ভালবাসি” এর সুরও গৃহীত হয়েছে বাউল গগন হরকরার গান হতে। বর্তমানে বাংলার বাউল গানের
বিশ্ব-ঐতিহ্য রক্ষা করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বিভিন্ন ডর্যায়ে । তাই আমাদের সকলেরই সচেতন হতে হবে
বাউল গানের সাথে সম্পৃক্তরা যেন এমন কোন কাজ না করেন, যাতে বিশ্ব-ঐতিহ্য বাউল গান প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে।

কামনা করি বাউল গানের মুল বৈশিষ্ট ও সুরের ধারাটি অক্ষুন্ন রেখে সততার সহিত বাউল শিল্পীরা জাতীয় ও
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদেরকে তুলে ধরবেন । এখানে উল্লেখ করা যায় যে দেশে বিদেশে পরিচিত একুশে পদক
প্রাপ্ত প্রয়াত ভাটির বাউল শাহ আবদুল করিমের রচিত অনেক গান অনেকেই নীজের নামে চালিয়ে দিয়েছিল ,
পরে অবশ্য তারা ধরা খেয়েছে।এখানে এ পোস্টে উল্লেখিত মাগো মা, ঝিগো ঝি করলাম কি রঙ্গে, ভাঙ্গা নৌকা
বাইতে এলাম গাঙ্গে
এই বাউল গানটি আমি আমি ষাটের দশকে ঢাকার ভাউয়াল গাজীপুর এলাকার প্রত্যন্ত
অঞ্চলে প্রবীন বাউল শিল্পী কেরামত আলীর কন্ঠে নীজ কানে শুনেছি । গানটির সুর ও কথা এখনো আমার মনে
গেথে আছে ।
আপনার এই পোস্টের সুবাদে জানতে পারলাম গানটির রচয়িতা হলেন সাগর দেওয়ান ও আরিফ দেওয়ানের
পুর্ব পুরুষ । সম্ভবত কেরামত আলীই হতে পারেন তাদের পুর্বপুরুষ এই গানটির রচয়িতা , তবে অনেকেই এই
গানটির রচয়িতা হিসাবে দাবী করেন বলে দেখতে পাওয়া যায় অন্তরজালে । আর কেরামত আলী নামেও
রয়েছেন বেশ কিছু বাউল ।

যাহোক, বাউল সাধক গগন হরকরা কিংবা ময়মনসিংহ গীতিকায় থাকা লোক গাথার সংগ্রাহক চন্দ্র শেখরের
মত আমাদের কিছু নিবেদিত প্রাণ বাংলার আদি বাউল গানের সংগ্রাহক থাকা খুবই প্রয়োজন বলে মনে করি ।
তা না হলে এই মুল্যবান বাউল গানের জগত ভেজালে ভরে যেতে পারে ।

মুল্যবান পোস্টটি দিয়ে এ বিষয়ে কিছুটা আলোচনর সুযোগ করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।

পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম

শুভেচ্ছা রইল

০৩ রা জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:৫২

ঢাবিয়ান বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার তথ্যবহুল কমেন্টের জন্য । আপনার কমেন্টই আসলে একটা পোস্ট। আপনাদের প্রজন্মের সবাই মনে হয় গ্রাম গঞ্জের বাউল, লালন , বয়াতি গানের আসরের শ্রো্তা।

https://bangla.thedailystar.net/entertainment/stage-music/news-581746

আপনি উপড়ের লিংকে দেখতে পারেন ১৯৬০ সালে খালেক দেওয়ান 'মা লো মা' গানটি লেখেন। আরিফ দেওয়ান এর দাদা খালেক দেওয়ান।

৮| ০৩ রা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: গান আর আগের মত শোনা হয় না

০৩ রা জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমি এখনও আগের মত গান শুনি, বই পড়ি।

৯| ০৩ রা জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:





লিংকটি দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
দেখে আসলাম । অনেক তথ্য
জানা হল। গানটির রচয়িতার
প্রতি রইল শ্রদ্ধাঞ্জলী ।

০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ৯:০৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার কমেন্ট থেকে অনেক কিছু জানা হল গ্রাম বাংলার পল্লীগীতি সম্পর্কে।

১০| ০৩ রা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

করুণাধারা বলেছেন: এই ধরনের গান আমি কখনো শুনিনি! আপনার পোস্টে ঢু মেরে এই গানটা শোনা হলো...

০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ৯:১৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: আসলেই একটু আলাদা ধরনের এই গানগুলো। গ্রাম বাংলার বয়াতীদের আসরের গানে আধুনিকতার ছোয়া এনেছে নতুন প্রজন্মের সিঙ্গার/ কম্পোজাররা।

১১| ০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ৮:১১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আমার তো বেশ ভালো লাগে, এর আগে মুড়ির টিন ও ভালো লাগছে।

০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ৯:১৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: ''মুড়ির টিন '' গানটা আমারো খুব ভাল লেগেছে। এদের প্রতিটা গানেই নতুনত্ব আছে, আছে স্বকীয়তা ও পুরানো দিনের গন্ধ।

১২| ০৫ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৫১

হাসিব শান্ত বলেছেন: আগে কোক স্টুডিও পাকিস্তানের গান শুনতাম, তারা তাদের ফোক মিউজিক, সূফি মিউজিক, কাওয়ালী উইথ মেলোডি, বিভিন্ন লোকাল ভাষার মিশ্রণ সহ নানাবিধ এক্সপেরিমেন্ট করতো এবং তাদের গান সারা বিশ্বে হীট হয়ে যেত। এরপর কোক স্টুডিও ইন্ডিয়া আসলো তারাও মোটামুটি ভাল করতে লাগলো।

নিজের দেশের এরকম একটা কোক স্টুডিও নেই বলে আফসোস লাগতো। মধ্যখানে 'গান বাংলা' ট্রাই করছিলো। কিন্তু তারা অতিরঞ্জিত করে ফেলছিলো। এবং ফেমাস গান গুলো রিক্রিয়েশন করতে গিয়ে আরো খারাপ করছিলো।

কিন্তু বছর দুয়েক ধরে আমাদের কোক স্টুডিও বাংলা খুবই অসাধারণ করতেছে। এই টীম কে ধন্যবাদ সাথে ধন্যবাদ প্রিতম হাসান কেও।
আমাদের হারানো ঐতিহ্য এবং রিজিওনাল গায়ক-গায়িকাদের তুলে আনার জন্য।

লেখনের কাছে প্রশ্ন,আপনি কোক স্টুডিও পাকিস্তান বা ইন্ডিয়ার মিউজিক শুনছেন কখনো?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.