নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হৃদয়ে বাংলাদেশ

ঢাবিয়ান

ঢাবিয়ান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিএনপির হঠকারিতা

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৪









সোস্যালমিডিয়ায় ভাইরাল এই ছবিগুলো দেখছি আর মনটা বার বার ফিরে যাচ্ছে জুলাই-অগাস্টের রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের সময়কালে। ভারতের প্রত্যক্ষ সমর্থনে এক দানব সরকার আমাদের সকল মৌ্লিক অধিকার কেড়ে নিয়ে জোড়পুর্বক ক্ষমতায় বসে ছিল দী্র্ঘ ১৬ বছর। আমাদের তরুন প্রজন্মের অসম সাহসিকতা ও রক্তের বিনিময়ে পতন ঘটেছে বাংলাদেশের ইতিহাসের নিশৃংষতম স্বৈরাচারী সরকারের। রক্তাক্ত সেই বিপ্লবের ক্ষত এখনও তাজা। কিন্ত হায় আমাদের কুৎসিত রাজনীতি!

নেত্রীর বাড়ির সামনে থেকে সামান্য এক বালুর ট্রাক সরাতে অক্ষম এক চুরান্ত অপদার্থ রাজনৈ্তিক দল আজ ছাত্রদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সাফল্যের মধু খেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।এই দলের নেতাদের ভারতীয় হাই কমিশনে দাওয়াত খেতে যাওয়া দেখে কি মনে হয় যে ফ্যসিস্ট আওয়ামিলীগের পতন ঘটাতে এই দেশের তরুনদের ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দাড়াতে হয়েছিল ? গুলির সামনে বুক পেতে দিতে হয়েছিল? আসিফ নজরুলের হাসিমুখে ছবি তোলার ঢঙ্গেতো আমারই মনে হচ্ছে কয়েক মাস আগে কিছুই ঘটেনি! সব এ আই দিয়ে বানানো মুভি!

দেশের লিডিং নিউজ পেপারগুলোতে ভারতীয় প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানের খবর সেভাবে আসেনি। বিশেষ করে গেস্ট লিস্টে কারা ছিল তা গোপন রাখা হয়েছিল। মাহমুদুর রহমান এর আমার দেশ পত্রিকায় এই খবরটা প্রকাশিত হয়েছে। আর ছবিগুলো সোস্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। অন্তবর্তী সরকারের তরফ থেকে আসিফ নজরুল ও শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ গিয়েছিল। এই দুইজনেই বিএনপি ঘরানার লোক। কুটনেতিক মিশনের দাওয়াতে পররাস্ট্র উপদেষ্টা গেলে তাও মেনে নেয়া যেত যে কুটনৈতিক শিষ্টাচার রক্ষার্থে গেছেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেই প্রোগ্রামে গিয়েছে মুলত বিএনপির নেতৃবৃন্দ , বিএনপি ঘরানার ব্যক্তিবর্গ ও বিএনপির বি টীম বিকাশ নুরা , মাহি বি চৌধুরি!! বিপ্লবের সাথে বিশ্বাঘাতকতার এতো প্রাথমিক ধাপ । এর পরের ধাপে কি করবে বিএনপি?

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫৭

জটিল ভাই বলেছেন:
বহুধাপ এখনো বাকি। মসনদে বসার পর পুরোপুরি বুঝবেন।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:১৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: আওয়ামিলীগের রুপেই ফিরবে বিএনপি। এটা পরিষ্কার ।

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২০

এ পথের পথিক বলেছেন: নেত্রীর বাড়ির সামনে থেকে সামান্য এক বালুর ট্রাক সরাতে অক্ষম এক চুরান্ত অপদার্থ রাজনৈ্তিক দল আজ ছাত্রদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সাফল্যের মধু খেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
খুবই ভাল লেগেছে ভাই । সে সময় আমি টিভির দিকে তাকিয়ে ছিলাম হয়ত এবার মনে কিছু একটা হবে । কিন্তু বি দলের কর্মিরা কোন উদ্যোগ নেয়া নি । বিগত সময়ে ফখরুল আর রিজভির ভুমিকা দেখে আমার মনে হয়েছে তারা খুনি হাসুর পোষ্য ছিল ।
এখন অনেকে বলবে আপনি কিরেছেন । আমি জুলাই ২০২৪ এ রাজপথে ছিলাম ভাই ।

বি দল এখন খাওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে । কি পরিমাণ অভুক্ত আছে তা পত্রিকা খুললেই দেখতে পাবেন । সারাদিন নেতার মুখে নির্বাচন আর নির্বাচন, আর কর্মির টেম্পু স্ট্যান্ডে চান্দাবাজি করা . ...............।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৩৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: ১৬ বছরে বিএনপির কর্মীরা তুমুল দমন নীপিড়নের শিকার হয়েছে , বিএনপির নেতৃবৃন্দ নয়। এই চুরান্ত লোভী, দুর্নীতিপরায়ন নেতারা বহাল তবিয়তেই ছিল এবং জনগনের স্বার্থে কখনই তাদেরকে কোন কথা বলতে দেখা যায়নি। তাদের ডাকে কোন আন্দোলনে তাই জনগনের সম্পৃক্ততা ছিল না। আর এখন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য তারা কি করে বেড়াচ্ছে ! তরুন সম্প্রদায় দেশের তরে জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছে , নিজেদের জীবন্ত শহীদ হিসাবে বিবেচনা করছে, আর দেশের বৃহত্তম রাজনৈ্তিক দল ক্ষমতার লোভে এই বিপ্লবীদের বিরুদ্ধে ষঢ়যন্ত্র করে বেড়াচ্ছে !!

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৪৭

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বায়ীত্ব প্রাপ্তদের জন্য এটা বেমানান। অন্যদের ভোটে বিচার করবে জনগণ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:৪৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের সিংহভাগ জনগন অশিক্ষিত ও অজ্ঞ। ভোট মানেই দেশের এক শ্রেনীর মানুষ কেবল মার্কা বোঝে। এদের ম্যনি্পুলেট করে খুব সহজেই এক প্লেট ভাত খাইয়েও তাদের ভোট কেনা যায়। তাই জনগনের মাঝে সচেতনতা তৈরী করতে হবে আগে। সেই সাথে দরকার প্রসাষন , পুলিশ , বিচার বিভাগ ও নির্বাচন কমিশনে কাংখিত সংস্কারের বাস্তবায়ন । তানাহলে নতুন রাজনৈতিক দল মাঠে এসেও একেবারেই সুবিধা করতে পারবে না ধুর্ত ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারদের সাথে। অভিজ্ঞতা অর্জন এবং গনমানুষের কাছে পৌছানোর জন্য তাদের প্রয়োজন সময়। এই কারনে অনলাইন ইউটিউবাররা অন্তবর্তী সরকারের সময়সীমা আরো বাড়ানোর পক্ষে জনমত তৈরীর কথা বলছে। অন্তত পাচঁ বছর ডঃ ইউনুসের ক্ষমতায় থাকা দরকার।

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:৫৭

অগ্নিবাবা বলেছেন: উনি হচ্ছেন বাংলাদেশে বসবাসরত ২৫ লাখ ভারতীয়দের পতিনিদি, ওনাকে ভারতীয়রা খুব পেয়ার করে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: এমন মন্তব্যের পরেও দেখি দাওয়াত পায় এম্বেসিতে !

৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: পাকিস্তানের কোনো অনুষ্ঠানে গেলে আপনি নিশ্চয়ই খুশি হইতেন।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনি মনে হয় বর্তমানে একটা চাকুরি পেয়েছেন !! অনলাইনে এখন টাকার ছড়াছড়ি

৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:২৯

এস.এম.সাগর বলেছেন: নিজেদের চরকায় তৈল দেন। বালুর ট্রাক বিষয়ে আপনার ভুমিকা কি ছিলো সেটা বলেন।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমি তখন দেখলাম যে বালুর ট্রাক চীনের প্রাচীরের মত দুর্ভেদ্য যা ভেদ করা যায় না !!!!!

৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৩০

এস.এম.সাগর বলেছেন: সরকারকে বলেন ভারতে সাথে সম্পর্ক যেন না রাখে ।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:১৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: ভারতের সাথে সম্পর্ক রাখবে না কেন? সম্পর্ক অবস্যই রাখবে কিন্ত তা নায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে। কিন্তু আমাদের বৃহত্তম রাজনৈ্তিক দলতো বোঝাই যাচ্ছে দাসত্বে আগ্রহী, নায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে সম্পর্কে নয় ।

Pinaki Bhattacharya - পিনাকী ভট্টাচার্য এর কিছুক্ষন আগের স্ট্যটাস শেয়ার করছি -
·
ইন্ডিয়ার মুল প্লান হচ্ছে প্রফেসর ইউনুসকে সরানো। প্রফেসর ইউনুসের ব্যাপক আন্তর্জাতিক গ্রহনযোগ্যতার জন্য বাংলাদেশে ইন্ডিয়া কিছুই করতে পারতেছে না। প্রফেসর ইউনুস ইন্ডিয়ার গলার কাটা। এই কাটা সরাইতে চাইতেছে ইন্ডিয়া। এইজন্যই নির্বাচন দিয়ে সরে যাওয়ার চাপ তৈরি করছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলা আওয়ামী লীগের সাথে আনন্দচিত্তে ইন্ডিয়ান এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য কামলা দিয়া যাইতেছে।
প্রফেসর ইউনুসের অকালবিদায় মানে ইন্ডিয়ার পুনরায় বাংলাদেশের তালুকদারি বহাল।

৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:২৩

জুল ভার্ন বলেছেন: বিষয়টাকে ভিন্নভাবে দেখুনঃ- দূতাবাস দাওয়াত দিলে যাবে- এটা সৌজন্যতা। ভারতের সাথে রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক ছিন্ন করা হয় নাই। রাষ্ট্রদূতদের দুই দেশ ফিরিয়ে নেয় নাই। দূতাবাস বন্ধ করা হয় নাই। ব্যবসাবানিজ্য, স্পোর্টস, পর্যটন চালু আছে। রাষ্ট্রীয় সম্পর্ক পুরোদমে চলমান। যুদ্ধাবস্থা তো আর ঘোষণা করা হয় নাই। অতএব এগুলো তো চলবেই।

সম্পর্কের চর্চাটাকে রিডিফাইন করতে হবে। সমতা ও রেস্পেক্টের ধারণায় দেশগুলোকে চলতে হবে। বন্ধুরাষ্ট্রের মতো ফালতু ধারণা ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতি বাদ দিয়ে আন্তরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক আগাবে, তাইবলে দৃশ্যমান শত্রুতা ডিপ্লোম্যাসির মধ্যে পড়ে না।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: গেস্ট তালিকা ও ছবিগুলোতেতো সমতা ও নায্যতার ভিত্তিতে সম্পর্ক রক্ষার বহিঃপ্রকাশ একেবারেই ঘটেনি। আপনারা যারা দলের কারনে দীর্ঘদিন দমন , নীপিড়নের শিকার হয়েছেন , তাদের সামনে আরো অনেক স্বপ্ন ভঙ্গ হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.