![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রথমবারের মতো ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী, অ্যাক্টিভিস্ট, আলেম ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করেছে এনসিপি । এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি সহ অন্যান্য গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
নতুন এই রাজনৈ্তিক দলের টাকার উৎস নিয়ে চারিদিকে প্রশ্ন তৈরী হয়েছে। এই প্রশ্নটা খুবই স্বাভাবিক প্রশ্ন । তবে শুধু এনসিপি নয় , দেশের প্রত্যেকটি রাজনৈ্তিক দলের নেতানেত্রীর কাছ থেকে তাদের দলের আয়ের উৎস জানবার একটা পরিবেশ তৈরী হওয়া প্রয়োজন । এনসিপি নেতারা বলছে তাদের অর্থের উৎস হচ্ছে শুভাকাঙ্খীরা!! নাহিদ ইসলাম সামনে পাবলিক ফান্ডিং এর মাধ্যমে স্বচ্ছভাবে দল চালানোর কথাও ঘোষনা করেছে। খুবই উত্তম চিন্তাধারা। জনগনও এটাই চায় যে আপনারা ব্যবসায়ী নয়, জনগনের টাকায় দল চালান।
রমজান মাসের প্রায় প্রতিদিনই আমরা দেখতে পারছি যে , আপনারা ইফতার পার্টির আয়োজন করছে! ইফতার পার্টির এই ধারা কেবল বাংলাদেশেই রাজনৈ্তিক দলগুলোর মাঝে প্রচলিত আছে। অন্য আর কো্ন দেশে এই ধারা চালু নাই। আপনারা কি তবে আরেকটা আওয়ামিলীগ বা বিএনপি তৈরীর চেষ্টায় আছেন ? কেন আপনারা শুভাকাংখীদের অর্থ এভাবে অপচয় করছেন ? আপনার শুভাকাংখিরা যদি আমারদের মত কেউ হয়, তবে তাদের কষ্টার্জিত অর্থ এভাবে অপচয় হতে দেখলে পছন্দ করার কথা নয়। আর যদি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকেন, তবে মনে রাখবেন যে, এরা আপনাদেরকে কায়দা করে কেনার চেষ্টা করছে। আপনারা কি কোণ ফাদে পা দিচ্ছেন কিনা ভেবে দেখুন।
টকশো গুলোতে বাংলাদেশের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে গরম গরম বক্তৃতা দেন আপনারা। শুনলে আমাদের সবার রক্তেই আগুন ধরে। আপনাদের জন্য শ্রদ্ধা , ভালবাসা উপচে পড়ে। নিজেদের অজান্তেই মন চলে যায় সেই জুলাই এর রক্ত ঝড়া দিনগুলোতে। আপনাদের বীরত্বপুর্ন সেই সময়গুলো চোখের সামনে ভেসে উঠে। আপনাদের মনে রাখতে হবে যে, এই দেশের মানুষের ভালবাসাই আপনাদের আসল সম্পদ। এই ভালবাসাকে মূল্যায়ন করতে শিখুন। শহীদের রক্তের উপড় দাঁড়িয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইফতার পার্টির আয়োজক হিসাবে নাহিদ, সারজিসদের জনগন দেখতে চায় না। জনগন আপনাদের নিজেদের পাশে দেখতে চায়। আপনারা জনগনের অর্থ এমনভাবে খরচ করুন যা আমাদের দেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। ডঃ ইউনুসের দিকে তাকান। দেখুন যে তিনি কিভাবে তার দিন পার করছে। ডঃ ইউনুসের অনেক আস্থা আপনাদের ওপড়। এই আস্থা নষ্ট হতে দেবেন না।
১৩ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:০৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: সোশ্যাল রিফর্মই হওইয়া উচিত এই নতুন দলের মুল মন্ত্র।
২| ১২ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:২২
শাহ আজিজ বলেছেন: গুরুত্তপুরন বিষয় তুলে ধরেছেন । এই বালকেরা এমনিতেই ভেসে যাবে ।
১৩ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:০৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: আমি নিরাশাবাদী নই এদের নিয়ে একেবারেই। ১৭ বছরের স্বৈরাচারকে এরা যেভাবে উঁৎখাত করেছে তা এক কথায় অকল্পনীয়। কিছু ভুল ভ্রান্তি থাকবেই। আর তাই দেশের সচেতন জনগনের উচিত গঠন্মুলক সমালোচনার মাধ্যমে এদের সঠিক রাস্তা দেখানো।
৩| ১২ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:২৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিশুদ্ধ ইউটোপিয়ান চিন্তা-ভাবনা আপনের। ''যস্মিন দেশে যদাচার'' বলে একটা কথা আছে, জানেন নিশ্চয়ই। এনসিপি ফেরেশতাদের দল না, কাজেই রাতারাতি তাদের কাছ থেকে তথাকথিত নির্ভুল বিশুদ্ধ আচরণ চাইলে হবে না। এমন আচরণ উন্নত দেশের রাজনৈতিক দলগুলাও করে না, সেটা সম্ভবও না। এরা এসেছে দেশের প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলোর বাইরে সুস্থধারার রাজনীতির প্রচলন করার জন্য। স্রোতের সাথে ভাসতে ভাসতেই বিপরীত দিকে সাতার কাটতে হয়। কেউ শুরুতেই যদি স্রোতের বিরুদ্ধে সাতার কাটে, তাইলে কাজের কোন কাজই হবে না। সবকিছুতে সমালোচনা না করে আরেকটু ধৈর্য ধরেন।
গভীরভাবে চিন্তা করেন......গভীরভাবে চিন্তা করার প্র্যাকটিস করেন!!!!
১৩ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৩৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: দের ভুল ভ্রান্তি হলে ধরিয়ে না দিলে কিন্তু বিপদ। গঠনমুলক সমালোচনা না হলে এরা বিপথে চালিত হতে পারে। এরা খুব সম্ভবত কিছু ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়েছে। আওয়ামী ছদ্মবেশি এইসব ব্যবসায়ীরা শুভাকাংখীর বেশ ধরে এই দলকে ধংশ করার পায়তারা করে থাকতে পারে। কিছুদিন আগেও নাহিস, আসিফ, মাহফুজেরা সরকারের উপদেষ্টা থাকাকালীণ সময়ে ভাল ভাল কাজ করে দেখিয়েছে, জনস্বার্থে বিভিন্ন প্রচারনা চালিয়েছে। সরকারের বাইরে সারজিস , হাসনাত বিভিন্ন জনসেবামুলক কার্যক্রমে অংশশগ্রহন করে ও জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়ে এই দেশের রাজনীতির ময়দানে অত্যন্ত ইতিবাচক একটা ধারা সৃষ্টি করেছে। এদের থামিয়ে দেবার জন্য কিন্তু নানান বহল সক্রিয়। কথিত শুভাকাংখীদের অর্থায়নে ইফতার পার্টিগুলো কিন্ত এই ষঢ়যন্ত্রের অংশ হওয়া খুব স্বাভাবিক।
নাহিদ দল চালাতে ক্রাউড ফান্ডিং এর কথা বলেছে। এটাই সর্বোৎকৃষ্ট পন্থা।
৪| ১২ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:০০
রিফাত হোসেন বলেছেন: আমি একটু ভিন্ন পর্যবেক্ষণ করে মতামত পেশ করছি।
তারা সম্ভবত সমসাময়িক দলগুলোকে সম্পর্ক হিসেবে বিরোধিতা নয় বরং সৌহার্দ্য এর হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ ছাড়া কোন উপায় নেই। আপনি আমি যত যাই বলি জামাত, বি এন পি, লীগের সমর্থক পঙ্গপালের মত। তাদেরকে ক্ষেপিয়ে বা শুভাকাঙ্ক্ষী না হয়ে কিছুই করতে পারবে নতুন দলগুলো। করলেও তা ইতিবাচক কোন কিছু বয়ে আনবে না নতুন কুড়িদের দলের জন্য।
আমারতো মনে হচ্ছে রাজনীতি শিখে যাচ্ছে তারা।
২য় বিষয় হল অর্থ এর উৎস নিয়ে। আমার মনে হয় না শুধু সাধারণ মানুষ এর সাথে জড়িত। এতে বোয়াল-মৃগেল থাকা কঠিন কিছু না। এরা স্বচ্ছতার কথা বলছে, হয়ত তারা ধীরে ধীরে এগুবে।
আশাইতো করতে পারি আর কি করব বলুন। আর ১টি-২টি দলের জায়গায় কয়েকটি দল সরকার গঠনে প্রাধান্য পেলে বা আলোচনা হওয়া ভাল। এতে মন্দের ভাল। ইতিবাচক উঠে আসতে পারে। monopoly ভেস্তে যায় আর কি!
১৩ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:৩৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: সমসাময়িক দলগুলোর সাথে সৌহার্দ্যএর হাত বাড়িয়ে দেয়াটা ঠিক আছে। কারন ভারতীয় আগ্রাসন ও আওয়ামিলীগকে রুখতে হলে রাজনৈ্তিক দলগুলোর ঐক্যের বিকল্প নাই। কিন্ত সেই ঐক্য হতে হবে রাজপথে , পাঁচ তারা হোটেলের ইফতার পার্টিতে নয়। রাজনৈ্তিক দলগুলোরই বরং নিজ স্বার্থে নতুন দলের সাথে ঐক্য গড়তে এগিয়ে আসতে হবে। এনসিপির বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা এই মুহুর্তে জনগনের হ্রদয়ে আছে। সেই আসন পাকাপোক্ত করতে হলে দরকার জনকল্ল্যানমুলক কার্যক্রম যা তারা এতদিন ধরে দেখিয়ে এসেছে। তারা যত বেশি জনগনের কাছাকাছি পৌছুবে , প্রচলিত লুটেরা রাজনৈ্তিক দলগুলো তত বেশি দূরে ছিটকে পড়বে। এই বাস্তবতাটা তারা ধরে না রাখতে পারলে , নতুন এই দল খুব শিঘ্রই আরেকটা নুরুল হক নুরের গন অধিকার পরিষদে পরিনত হবে।
৫| ১২ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাবিয়ান,
আপনার চাওয়াটা যুক্তিযুক্ত তবে ভুয়া মফিজ এর ব্ক্তব্যগুলোও ভেবে দেখার মতো।
ভুয়া মফিজ বলেছেন- " স্রোতের সাথে ভাসতে ভাসতেই বিপরীত দিকে সাতার কাটতে হয়। " তাকে বলি -
কিন্তু বিগত কয়েক দশকে কোন দল বা ব্যক্তি বিশেষকে কিন্তু আমরা কেউই প্রথমে স্রোতের সাথে ভাসতে এবং পরে স্রোতের বিপরীতে সাঁতরাতে দেখিনি। সবাইকে দেখেছি প্রথম প্রথম গায়ে তেল মেখে, কাছা মেরে পানিতে নামতে এবং যথারীতি স্রোতের পক্ষে- বিপক্ষে সাঁতার না কেটে পানিতে ডুব দিয়ে ডুবে ডুবে জল খেতে! এটা তো আমাদের রাজনৈতিক চরিত্রে মজ্জাগত। এর থেকে অর্ধ-শতাধিক কাল আমাদের মুক্তি মেলেনি ; সামনেও যে মিলবে তার আশা সুদূর পরাহত। পঞ্চাশ বছর ধরে ধৈর্য ধারণ প্রাকটিস করেছে পাবলিক তাই "ধৈর্য ধারণ" এখন আর কোনও আবেদন রাখছেনা। এখন সময় হলো - "ধর তক্তা, মার পেরেক" এর। নইলে আখেরে তক্তা বা পেরেক কিছুই পাবেন না, ঘর-বাড়ী বানানো আর হবেনা!
১৪ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:৩৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: বাংলাদেসের ৫৩ বছরের ইতিহাসে আমি প্রথমবারের মত আশাবাদি যে, দেশের রাজনীতিতে একটা পরিবর্তন আসন্ন। এর কারন হচ্ছে এই দেশের তরুন সম্প্রদায় দেশপ্রেমের যে নজির এবার স্থাপন করেছে তা অবিস্মরনীয়। স্বাধীনতার পর আর কোন গনআন্দোলনে তরুনদের এমন গনজোয়ার সৃষ্টি হয়নি। আশা করছি যে এই জেনারেশন জি - পথ হারাবে না। হারালেও আবার শুধরে নেবে। এনসিপি শুরু থেকেই যে কোণ ভুল শোধরানোর মানসিকতা দেখিয়ে এসেছে। সচেতন জনমতকে এরা খুবই প্রাধান্য দেয়।
৬| ১২ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:২০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: জী এস ভাই...........এরা স্রোতের সাথে ভাসতে ভাসতে বিপরীত দিকে সাতার কাটে কিনা দেখার জন্য সময় দরকার, ধৈর্য দরকার। বুইড়া দলগুলাকে তো ৫৩ বছর সময় দিলাম। এখন এদেরকে না হয় খানিকটা দেই, ক্ষতি তো নাই কোন। বুইড়ারা কি করছে, দেখলাম তো!!! নবীনদের থেকে ভালো কিছুই হবে; আমি আশাবাদী। কাজেই শুরু থেকেই উঠতে-বসতে এদের কঠোর সমালোচনা না করে খানিকটা নমনীয় সমালোচক হতে হবে আমাদের।
"ধর তক্তা, মার পেরেক" এর কে তক্তা, আর কে পেরেক একটু যদি ব্যাখ্যা করতেন!!!
১৪ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:০২
ঢাবিয়ান বলেছেন: নতুন এই দলকে অবস্যই সময় দিতে হবে। তবে ভুল করলে গঠনমুলক সমালোচনা অবস্যই করতে হবে, যাতে শুধরে নিতে পারে। ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইফতার পার্টির অর্থের উৎস নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিভিন্ন টকশোতে এনসিপির নেতারা বেশ নাজেহাল হয়েছে। এদের বুঝতে হবে যে , স্বৈরাচারের দোসররা বসেই আছে এদের খুত বের করতে । আপনি , আমি সমালোচনা না করলেও সাংবাদিকেরা তাদের কিন্তু ছাড় দেবে না এক বিন্দু। খেয়াল করলে দেখবেন যে বেশ কিছু জনপ্রিয় সাংবাদিক এখন ভিন্ন সুরে কথা বলে যেমন তৃতীয় মাত্রার জিল্লুর রহমান। একদা এই জনপ্রিয় সাংবাদিক এখন অকারনে লেগে আছেন সম্ন্বয়কদের পেছনে। হাসনাতের বিরুদ্ধে এক হাস্পাতালে গুন্ডামি ও চাঁদাবাজির ভয়ঙ্কর অভিযোগ উপস্থাপন করেছেন তিনি। পরবর্তীতে মিডিয়া সেই হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পায় ভিন্ন ঘটনা। এক লাখ টাকা বিল না দেওয়ায় এক শিশুর লাশ আটকে রাখে হাসপাতাল কতৃপক্ষ। হাসনাত সেখানে গিয়ে কতৃপক্ষকে মানবিকতা প্রদর্শনের অনুরোধ করে। আর এই ঘটনাকে জিল্লুর রহমান প্রচারিত করেছে সম্পুর্ন ভিন্ন খাতে। মিডিয়ার কাছে পরে হাসপাতাল কতৃপক্ষ হাসনাতের পক্ষেই বিবৃতি দেয় এবং অর্ধেক টাকায় শিশুর লাশ হস্তান্তর হয়। দেখেন যে , কিভাবে এদের হ্যরাস করার জন্য বসে স্বৈরাচারের দোসররা। কাজেই সাবধানতা খুবই জরুরী।
৭| ১২ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:২৪
নিমো বলেছেন: দুদিন আগেই এক মন্তব্যে আমাকে এদের বিষয়ে নসিহত করলেন। এত তাড়াতাড়িই অবিশ্বাস এসে গেল। হা-হা!।এক কাজ করুন অতলান্তিক ভাবে চিন্তা না করে, প্রশান্ত ভাবে করুন, নইলে কোন খাদে ডুবে যাবেন, কে জানে।
১৪ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:০৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: অবিশ্বাস এসে যায়নি মোটেই। ভুল করতেই পারে। আর ভুল করারইতো বয়স এই তরুনদের।
৮| ১২ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই দল যদি জন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাহলে বিপদে পড়বে। আমাদের দেশে ভোটারের বড় অংশ বাস করে গ্রামে গঞ্জে। শহরেও নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের লোকেরা হল ভোট ব্যাংক। ছাত্ররা যে সব তত্ত্ব কথা বলছে সেগুলি এই শ্রেণীর ভোটারদের মাথার উপর দিয়ে যাবে। ফলে এরা জন বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। গ্রাম পর্যায়ে কাজ করার কারণেই এতো কিছুর পরেও বিএনপি এবং আওয়ামীলীগের স্থায়ী কিছু ভোটার আছে। তরুণদের এই দল কয়েকটি সমস্যায় পড়তে পারে। এক হল দলাদলি হয়ে বিভক্ত হয়ে যাওয়া। দুই হল এরা শহর কেন্দ্রিক এবং শিক্ষাঙ্গন কেন্দ্রিক প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু ভোটের মাঠে মূল ভোট আসে গ্রাম, গঞ্জ এবং নিম্নবিত্ত শ্রেণী থেকে। আরেকটা সমস্যায় এরা পড়তে পারে, সেটা হল জন বিচ্ছিন্নতা। পাঁচ তারা হোটেলে ইফতার পার্টি এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে গুরুত্ব না দেয়া এদের প্রাথমিক ভুল। নিজেদের একতা ধরে না রাখতে পারলে এরা বিপদে পড়বে। তখন কিছু করার থাকবে না।
এদের প্রতি পরামর্শ হল, দেশের সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করার মত এজেন্ডা থাকতে হবে। যেমন বেকারত্ব, নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের দাম মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে যাওয়া, গরীবের জন্য সুলভ চিকিৎসা সুবিধা ইত্যাদি। এদের সাংস্কৃতিক সংগঠন থাকতে হবে। এদের ভালো কোন বয়স্ক মেন্টর থাকতে হবে। এদের শুরুটা ভালো লাগেনি। তবে সবে তো শুরু, আরেকটু সময় দেয়া যেতে পারে। তবে বেশী সময় এরা পাবে না।
১৪ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:২১
ঢাবিয়ান বলেছেন: আপনার কমেন্টের সাথে পুরোপুরি একমত। গ্রাম বা জেলা পর্যায়ে ছাত্রদের এত দ্রুত ভোট ব্যাংক বানানো সম্ভব নয়। তাছাড়া আমাদের দেশে অশিক্ষিত লোকেরা এক বেলার ভাতের বিনিময়েও বিক্রি করে দেয় ভোট। এই ট্রেন্ড এত দ্রুত বদলাবে না। তরুনদের শিক্ষাঙ্গন ভিত্তিক প্রচারনাই চালিয়ে যেতে হবে এবং শিক্ষিত মানুষদের ভোটই তাদের আসল ভোট ব্যাংক । তবে নেতৃত্বে এরা যেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীক করে রেখেছে , এটা মারাত্মক একটা ত্রুটি। এছাড়াও নতুন এই দলে দরকার কিছু প্রমিনেন্ট লোকজন , যাদের ফেস ভ্যলু আছে। তবে বাস্তবতার নিরিখে বিএনপির উচিত কিছু সীট এন্সিপিকে ছেড়ে দেয়া। ভবিষ্যতে ডঃ ইউনুস বীহিন সরকারের ভারতীয় আগ্রাসন ও আওয়ামিলীগকে রুখতে দরকার শক্তিশালী জাতীয় সরকার।
৯| ১২ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: হয়তো এরা পলিটিকাল ইন্টার-আ্যকশন বাড়ানোর জন্যই এগুলো করছে। তবে আর্থিক স্বচ্ছতার বিষয়টি যদি প্রথমেই জলাঞ্জলি দেয়, তবে দ্রুতই ধরা খাবে।
১৫ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:১২
ঢাবিয়ান বলেছেন: নাহিদ ইসলাম , উপদেষ্টার পদ ছেড়ে নিজের ব্যাংক ডিটেইলস প্রকাশ করেছে। বন্যার সময় ত্রান তহবিল তসরুফের ভুয়া অভিযোগ ওঠার পর হাসনাত আব্দুল্লাহও সেই ত্রানের হিসাব প্রকাশ করেছে। এই ধারাটা তারা যদি অব্যাহত না রাখে , তাহলে তাদের সাথে অন্যান্য প্রচলিত দলগুলোর কোন পার্থক্য থাকবে না।
১০| ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১:১৮
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আপনাকে এদের বিষয়ে বেশ আশাবাদী দেখেছিলাম। দুঃখজনক ব্যাপার হলো- এরা আওয়ামী লীগ, বিএনপির চেয়েও খারাপ করবে।
১৫ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:১৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: এটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত মতামত।
১১| ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৬:৪৩
রিফাত হোসেন বলেছেন: ভুল হল মনে হয়। এমন হবে যে, তাদেরকে ভাল করতে দেওয়া হবে না। ভিতর থেকে হোক আর বাহির থেকে দংশন করা হবে।
১৫ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:১৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: তাদেরকে থামিয়ে দেয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি সক্রিয় সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। এরাই নানান টোপ ফেলে বিপথে চালিত করার চেষ্টা চালাতে পারে।
১২| ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১১:৫২
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
হে তরুণদল তোমাদের দিকে আশায় তাকিয়ে আছে জাতি। সে আশা নিরাশায় পর্যবেশিত হতে দিওনা।
১৫ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:১৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: একমত আপনার সাথে
১৩| ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:১৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপমর জনগোষ্টির সংগে সম্পর্ক না করলে কাজের কাজ কিছুই হবেনা।
১৫ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:১৮
ঢাবিয়ান বলেছেন: একমত। প্রান্তিক জনগনের কাছে পৌছাতে হবে তাদের।
১৪| ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:২৭
ধুলো মেঘ বলেছেন: ভাই, এরকম একটা ইফতার আয়োজন করতে খুব বেশি একটা খরচ লাগেনা। আমাদের অফিস থেকে একবার ২০০ জনের একটা এ্যারেঞ্জমেন্ট করেছিল। সব মিলিয়ে আড়াই লাখের মত খরচ গেছে। কোন একটা ব্যবসায়ী গ্রুপ স্পন্সর করলে এরকম আয়োজন কোন ব্যাপারই নয়।
১৫ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:২২
ঢাবিয়ান বলেছেন: শেরাটনে এক প্লেট ইফতারির দাম শুনলাম ৯০০০ টাকা। টাকা যেই পরিমান খরচই হোক , তার উৎস কি? এনসিপির নেতারা বলছে শুভাকাংখীদের আর্থিক অনুদানে। সে ক্ষেত্রে বলতে হবে যে, অনুদানের সংজ্ঞাই তারা জানে না। ডোনেশন বা চ্যরিটির টাকা খরচ করতে হয় জনকল্ল্যানমুলক কার্যক্রমে , বিলাসবহুল পার্টি আয়োজনে নয়।
১৫| ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১:১০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার ৩নং মন্তব্য আর আপনের উত্তরের সূত্র ধরে বলি,
এরা বিশ্বের ৪টা নামকরা দলের সবকিছু পর্যালোচনা করে তাদের কর্মপদ্ধতি ঠিক করেছে। এর সাথে ''যস্মিন দেশে যদাচার'' সূত্রটাও আপনাকে মনে রেখে এপ্লাই করতে হবে। একটা উদাহরন দেই, উন্নত দেশগুলোতে প্রতিটা নাগরিক নিজ খরচে, নিজ বিচার বুদ্ধিতে ভোট দেয়। বাংলাদেশে কি সেটা হয়? গ্রামের কয়জন নিজ খরচে বেশ দুরের ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়? রাজনৈতিক দলগুলো তাদেরকে ভোটকেন্দ্রে আনার জন্য পরিবহন আর চা-পানির খরচা দেয়। এরা সাধারনভাবে সেইসব পার্টিকেই ভোট দিবে, যতোই আপনি নীতির কথা বলেন না কেন। এটাকে মোকাবেলা করার জন্য এনসিপিকেও সেই পথে হাটতে হবে। শুধুমাত্র ক্রাউড ফান্ডিং করে এই বিশাল খরচ কি মেটানো সম্ভব? প্রতিটা উন্নতদেশের রাজনৈতিক দলগুলো একটা নীতিমালার আওতায় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ডোনেশান নেয়। আমাদের ড. ইউনুসও আম্রিকাতে ডোনেশান দিয়েছিলেন। এর বিনিময়ে পার্টি কাউকে অন্যয্য সুযোগ দিল কিনা, সেটাই মুখ্য বিষয়।
এবার আসি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইফতার পার্টির বিষয়ে, যেটাকে উদ্দেশ্য করে আপনি জ্বালাময়ী শিরোনাম দিলেন। এই ধরনের শিরোনামে আপনে ব্লগের ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরোধী ফ্যাসিবাদী চরিত্রের কিছু মানুষের হাততালি পাবেন; এর বাইরে আর কিছুই হবে না। আপনাকে বুঝতে হবে, কিছু কিছু আয়োজনে নিরাপত্ত্বাসহ বিভিন্ন প্রটোকল থাকে। চাইলেই আপনি যেখানে সেখানে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক মিশনের লোকজন আর নেতৃস্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের ডাকতে পারেন না। একটা দুর্ঘটনা ঘটলে (মনে করেন, আওয়ামী লীগ তাদের বদনাম করার জন্য সেখানে দূর-নিয়ন্ত্রিত বোমা পেতে রাখলো। ''র'' এর সহায়তায় তারা যে কোনও কিছুই করতে পারে) সেটার দায়ভার তো তাদের উপরেই বর্তাবে, নাকি!!! কাজেই কিছু বলার আগে আবেগতাড়িত না হয়ে গভীরভাবে ভাবেন।
মনে রাখবেন, আমাদের দেশের প্রচলিত রাজনৈতিক প্র্যাকটিস আপনি রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না, সেটা যতোই পরিশুদ্ধভাবে করা হোক না কেন!! তাতে হিতে বিপরীত হবে। কাজেই পরিবর্তন আনতে হবে ধীরে ধীরে, সবাইকে সেই পরিবর্তনে অভ্যস্ত করে। দেশের একমাত্র পার্টিপ্রধান নাহিদ পদে বসার আগেই তার সম্পদের হিসাব দিয়েছে। এই উদাহরন দেশে আর আছে? কাজেই গঠনমূলক সমালোচনা হোক, নরমভাবে। এনসিপি'র বয়স কতো? মনে রাখবেন, আকাশচুম্বি আশাও তাদের উপরে চাপ সৃষ্টি করবে। সেই চাপে তারা ভুল পদক্ষেপ নিয়ে ফেলতে পারে!!! এখনও তাদেরকে কঠিন চাপ দেয়ার সময় আসে নাই।
আপনে কইছেন, এদের থামিয়ে দেবার জন্য কিন্তু নানান বহল সক্রিয়। এইটাই মাথায় রাখেন। আমি নিশ্চিত, তাদের মাথায়ও এইটা আছে।
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই দল যদি জন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাহলে বিপদে পড়বে। সেটা সবাই জানে। তেমন কোন লক্ষণ কি দেখা যাচ্ছে? থাকলে নির্দিষ্ট করে বলেন, আমরা আলাপ করি। বলার জন্য বললে তো হবে না।
১৫ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: ডোনেশন নেয়াটা আপত্তির জায়গা নয়, ডোনেশনের টাকা কোণ খাতে খরচ হচ্ছে সেটা গুরুত্বপুর্ন । আজকে যদি এনসিপি বিভিন্ন কোম্পানি বা ব্যক্তি থেকে ডোনেশন নিয়ে জনকল্ল্যানমুলক কাজে ব্যায় করে তাহলে কিন্তু কোন প্রশ্নই উঠত না। কারন ডোনেশনের অর্থই তাই। এমনকি নতুন দল পরিচালনা করতে , সমাবেশ আয়োজন করতেও যদি ডোনেশনের টাকা ব্যায় হয়, তাহলে সেটাও পুরোপুরি ঠিক আছে। তারা যখন মানিক মিয়া এভিনিউতে দলের আত্মপ্রকাশের অনুষ্ঠান করেছিল, তখনও কিন্তু সেই অনুষ্ঠান আয়োজনের খরচের উৎস জানতে চাইলে তারা জানিয়েছিল যে অনুদানের টাকায় করা হয়েছে। আর সেই অনুষ্ঠানও হয়েছিল পুরোপুরি বাহুল্য বর্জিত। তাই যারাই প্রশ্ন তুলেছিল, তারা চুপসে গিয়েছিল। কিন্ত এবারের ইফতার পার্টির বিষয়টা ভিন্ন। এই রমজানে তারা বেশ কয়েকটি ইফতার পার্টি করেছে
গতকাল এক টকশোতে দেখলাম যে, গন অধিকার পরিষদের নুরুল হক নুর ও এনসিপির হান্নান মাসুদ এর মাঝে ঝগড়া লেগেছে এই ইস্যূ্তে। নুর বলছে যে , এনসিপি বসুন্ধারা থেকে টাকা নিয়ে শেরাটনে ইফতার পার্টি করছে । হান্নান বলছে যে , নুর ভাইরাও হোটেল স্কাই গার্ডেনে ইফতার পার্টি করেছে, তারা টাকা পেল কোথায় ? এদের ঝগড়া ঝাটি দেখে ভাবছিলাম যে , এনসিপি কি তবে আরেকটা গন অধিকার পরিষদ হতে চাইছে ??
আমার এখনও অনেক আশা নাহিদ , আসিফ , মাহফুজ, হাসনাত ও সারজিসের ওপড়। এরা যেভাবে বৈষম্যবিরোধি আন্দোলনে নেতৃ্ত্ব দিয়ে আওয়ামিলীগকে উৎখাত করেছে , তা ভুলবার নয়। এদের যে মেধা, তেজ ও দেশপ্রেম রয়েছে তা ভন্ড ব্যবসায়ীদের ক্ষপ্পরে পড়ে যেন নষ্ট না হয়ে যায় , এটাই কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি। ডঃ ইউনুসের অনেক আশা এই তরুনদের ওপড়। আশা করি তারা সেটা জলাঞ্জলি দিতে দেবে না।
১৬| ১৪ ই মার্চ, ২০২৫ সকাল ১০:০১
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট এবং মন্তব্য গুলো পড়লাম।
আমার কিছু বলার নাই।
১৭| ১৪ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ ভুয়া মফিজ ভাই - আমি জন বিচ্ছিন্ন বলতে যা বুঝাচ্ছি সেটা হল, ছাত্ররা বর্তমানে মুলত শহর কেন্দ্রিক এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক রাজনীতি করছে। কিন্তু বাংলাদেশের বেশীর ভাগ ভোট আসে গ্রাম, গঞ্জ এবং মফস্বল শহর থেকে। ছাত্রদের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে এরা ঢাকা কেন্দ্রিক রাজনীতি করছে মুলত। ছাত্র ছাড়াও ভোটার আছে। তাদের কাছে যেতে হবে। দেশের কম শিক্ষিত এবং কম আয়ের মানুষ এখনও এদের খবর রাখে না।
আরেকটা ব্যাপার হল এদেরকে মনে রাখতে হবে যে ভোটারের ৯০% তত্ত্ব কথা বোঝে না। ছাত্ররা শিক্ষিত হওয়াতে সংবিধান, রাষ্ট্র বিজ্ঞান ইত্যাদি নিয়ে অনেক কঠিন কঠিন কথা বলছে। যেটা অনেক শিক্ষিত মানুষের পক্ষেই বোঝা সম্ভব না। ছাত্রদের বক্তৃতা, বিবৃতি দেয়ার সময়ে এমন শব্দ ব্যবহার করতে হবে যেটা দেশের একজন অশিক্ষিত মানুষও বোঝে। ছাত্রদের অগ্রাধিকারের বিষয়গুলি জনগণের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত না। দেশের সাধারণ মানুষ সংবিধান, রাষ্ট্র বিজ্ঞান ইত্যাদি নিয়ে বেশী ভাবে না বা বোঝে না। জনগণের দুঃখ কষ্টের কথা ছাত্রদের বলতে হবে। যেমন বেকারত্ব, দারিদ্র্য, খাদ্য, চিকিৎসা, সুলভ শিক্ষা ইত্যাদি বিষয়কে ফোকাস করতে হবে। ছাত্রদের জনসভা করতে হবে থানা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে এবং সেই পর্যায়ে তাদের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করতে হবে। ছাত্ররা শিক্ষিত, ধনী এবং শহর কেন্দ্রিক মধ্যবিত্তকে ফোকাস করছে। তাদেরকে মনে রাখতে হবে বেশীর ভাগ ভোট আসে দরিদ্র জনগোষ্ঠী থেকে এবং গ্রাম থেকে।
জনপ্রিয়তা অর্জনের কিছু কৌশল আছে। যেমন জিয়াউর রহমান তেমন সুবক্তা ছিলেন না, তাই ওনাকে একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ বুদ্ধি দিয়েছিলেন আপনি গ্রামে গ্রামে হেটে সাধারণ মানুষের কাছে যাবেন। এই বুদ্ধি প্রচণ্ড কাজে দিয়েছিল। গ্রামের মানুষের মুখে জিয়ার নাম ছড়িয়ে পরে ২ বছরের মধ্যে। উনি খাল কাটতেন আর গ্রামের মানুষের সাথে কোদাল নিয়ে নেমে পড়তেন। মানুষ ভাবতো এই লোক আমাদের লোক। এরশাদ বন্যার পানিতে নেমে পড়তেন। আওয়ামীলীগের গ্রাম পর্যায়ে সংগঠন আছে। জামায়াত কিছু জনকল্যাণ মুলক কাজ করছে।
ছাত্ররা দেশের সাধারণ, দরিদ্র এবং অল্প শিক্ষিত মানুষের কাছে যাওয়ার মত কোন কর্মসূচী এখনও দেয় নাই। মনে রাখতে হবে তাদের তত্ত্ব কথা এই দেশের ৫% লোকও বুঝবে না। তাদেকে এমন কর্মসূচী নিতে হবে যেটা ৯৫% লোকের স্বার্থ থাকে। তাদের বক্তৃতার কথা হতে হবে এমন, যেন গ্রামের একটা বয়স্কা শাশুড়িও সেটা বুঝতে পারে। এই কারণেই ডঃ কামাল হোসেন অনেক শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও একজন অর্ধ শিক্ষিত মানুষের কাছে ভোটে হেরে গিয়েছেন। তার রাজনৈতিক জীবনে ব্যর্থতার মূল কারণ ছিল সাধারণ মানুষের কাছে যেতে না পারার ব্যর্থতা। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ শিক্ষা এবং জ্ঞানের চেয়ে জন দরদি, মন ভোলানো, জনপ্রিয়, সাধাসিধা কিন্তু ক্যারিশমেটিক নেতা পছন্দ করে।
১৫ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১:০৯
ঢাবিয়ান বলেছেন: একমত আপনার সাথে। এনসিপিকে প্রান্তিক জনগনের মাঝে পৌছুতে হবে। এমন কার্যক্রম হাতে নিতে হবে যেন তা জনগন চোখের সামনে দেখতে পায়। হান্নান মাসুদ এদিক দিয়ে বেশ এগিয়ে। সে তার অঞ্চল হাতিয়ায় ব্যপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে । সে তার অঞ্চল উন্নত করতে বেশ কাজ করে যাচ্ছে। গনমাধ্যমের সুত্র অনুসারে - অবহেলিত দ্বীপ হাতিয়ার ৮ লাখ মানুষের জন্য সুখবর দিয়ে এই অঞ্চলের কৃতি সন্তান আব্দুল হান্নান মাসুদ বলেন, ইতোমধ্যে হাতিয়ার ৮ লাখ মানুষের জন্য ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল অনুমোদন হয়েছে। খুব শীঘ্রই হাতিয়া থেকে নোয়াখালীর মূল ভূখণ্ডে যাওয়ার নদী পথে ফেরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। হাতিয়ার তমরদ্দী ইউনিয়নের বেকের বাজার থেকে সোনাদিয়া ইউনিয়নের হিল্টন রোড পর্যন্ত দীর্ঘ প্রায় ১১ কিলোমিটার সড়ক মেরামতের টেন্ডার পাস হয়েছে। অতি দ্রুতই সেটার কাজ শুরু হবে। খবির মিয়া থেকে দাসের হাট পর্যন্ত সড়কের টেন্ডার পাস হয়েছে। শীঘ্রই এটারও কাজ শুরু হবে। এছাড়া হাতিয়ার প্রধান সড়কের কাজ নিয়েও রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে বিভাগে কথাবার্তা চলছে বলে জানান মাসুদ। তিনি বলেন, এরকম ৩টিসহ মোট ৫টি সড়কের কাজ অতি শীঘ্রই শুরু হবে। এছাড়া হাতিয়ার মানুষের দুঃখ খ্যাত 'নদীভাঙন' রোধে প্রায় ১০ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে ব্লক বাঁধ দেওয়ার কথা জানান মাসুদ। তিনি বলেন, প্রায় ১৮০০ কোটি টাকার ব্লক নির্মাণের কাজ শুরু হবে আগামী বছরেই। এটা প্রাথমিকভাবে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত কাভার করবে।
সারজিস ও হাসনাতো নিজ নিজ জেলায় বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এ ধারা অব্যাহত রাখলে তারা সামনে সফলতা অর্জন করবে।
তবে বর্তমানে তাদের চলাফেরা ও কার্যক্রম বেশ বিতর্কিত। বিভিন্ন ব্যবসায়ী , জামাত, মামুনুল গং এর সাথে চলাচল করলে খুব দ্রুতই যে তারা ডাস্টবিনে নিক্ষিপ্ত হবে , এটা বুঝতে না পারলে মুশকিল ।
১৮| ১৬ ই মার্চ, ২০২৫ বিকাল ৩:১৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর এর ১৭ নং মন্তব্যটি ভালো লেগেছে। আপনার প্রতিমন্তব্যও বেশ কয়েকটি ভালো হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:১৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমি আগেই বলেছি এরা আওয়ামী লীগ বা বিএনপি বা জামায়াতের মতোই আরেকটা সংগঠন হবে। এরা নিজেরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। অথচ এদের চিন্তা করা উচিত সোশ্যাল রিফর্মের জন্য কাজ করা। তাছাড়া মুক্তি নেই !