![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রথমবারের মতো ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনীতিবিদ, পেশাজীবী, অ্যাক্টিভিস্ট, আলেম ও বিশিষ্ট নাগরিকদের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করেছে নতুন এই দলটি। এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি সহ অন্যান্য গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
নতুন এই রাজনৈ্তিক দলের টাকার উৎস নিয়ে চারিদিকে প্রশ্ন তৈরী হয়েছে। এই প্রশ্নটা খুবই স্বাভাবিক প্রশ্ন । তবে শুধু এনসিপি নয় , দেশের প্রত্যেকটি রাজনৈ্তিক দলের নেতানেত্রীর কাছ থেকে তাদের দলের আয়ের উৎস জানবার একটা পরিবেশ তৈরী হওয়া প্রয়োজন । এনসিপি নেতারা বলছে তাদের অর্থের উৎস হচ্ছে শুভাকাঙ্খীরা!! নাহিদ ইসলাম সামনে পাবলিক ফান্ডিং এর মাধ্যমে স্বচ্ছভাবে দল চালানোর কথাও ঘোষনা করেছে। খুবই উত্তম চিন্তাধারা। জনগনও এটাই চায় যে আপনারা ব্যবসায়ী নয়, জনগনের টাকায় দল চালান।
রমজান মাসের প্রায় প্রতিদিনই আমরা দেখতে পারছি যে , আপনারা ইফতার পার্টির আয়োজন করছে! ইফতার পার্টির এই ধারা কেবল বাংলাদেশেই রাজনৈ্তিক দলগুলোর মাঝে প্রচলিত আছে। অন্য আর কো্ন দেশে এই ধারা চালু নাই। আপনারা কি তবে আরেকটা আওয়ামিলীগ বা বিএনপি তৈরীর চেষ্টায় আছেন ? কেন আপনারা শুভাকাংখীদের অর্থ এভাবে অপচয় করছেন ? আপনার শুভাকাংখিরা যদি আমারদের মত কেউ হয়, তবে তাদের কষ্টার্জিত অর্থ এভাবে অপচয় হতে দেখলে পছন্দ করার কথা নয়। আর যদি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকেন, তবে মনে রাখবেন যে, এরা আপনাদেরকে কায়দা করে কেনার চেষ্টা করছে। আপনারা কি কোণ ফাদে পা দিচ্ছেন কিনা ভেবে দেখুন।
টকশো গুলোতে বাংলাদেশের অপরাজনীতির বিরুদ্ধে গরম গরম বক্তৃতা দেন আপনারা। শুনলে আমাদের সবার রক্তেই আগুন ধরে। আপনাদের জন্য শ্রদ্ধা , ভালবাসা উপচে পড়ে। নিজেদের অজান্তেই মন চলে যায় সেই জুলাই এর রক্ত ঝড়া দিনগুলোতে। আপনাদের বীরত্বপুর্ন সেই সময়গুলো চোখের সামনে ভেসে উঠে। আপনাদের মনে রাখতে হবে যে, এই দেশের মানুষের ভালবাসাই আপনাদের আসল সম্পদ। এই ভালবাসাকে মূল্যায়ন করতে শিখুন। শহীদের রক্তের উপড় দাঁড়িয়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইফতার পার্টির আয়োজক হিসাবে নাহিদ, সারজিসদের জনগন দেখতে চায় না। জনগন আপনাদের নিজেদের পাশে দেখতে চায়। আপনারা জনগনের অর্থ এমনভাবে খরচ করুন যা আমাদের দেশের রাজনীতিতে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। ডঃ ইউনুসের দিকে তাকান। দেখুন যে তিনি কিভাবে তার দিন পার করছে। ডঃ ইউনুসের অনেক আস্থা আপনাদের ওপড়। এই আস্থা নষ্ট হতে দেবেন না।
২| ১২ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:২২
শাহ আজিজ বলেছেন: গুরুত্তপুরন বিষয় তুলে ধরেছেন । এই বালকেরা এমনিতেই ভেসে যাবে ।
৩| ১২ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:২৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিশুদ্ধ ইউটোপিয়ান চিন্তা-ভাবনা আপনের। ''যস্মিন দেশে যদাচার'' বলে একটা কথা আছে, জানেন নিশ্চয়ই। এনসিপি ফেরেশতাদের দল না, কাজেই রাতারাতি তাদের কাছ থেকে তথাকথিত নির্ভুল বিশুদ্ধ আচরণ চাইলে হবে না। এমন আচরণ উন্নত দেশের রাজনৈতিক দলগুলাও করে না, সেটা সম্ভবও না। এরা এসেছে দেশের প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলোর বাইরে সুস্থধারার রাজনীতির প্রচলন করার জন্য। স্রোতের সাথে ভাসতে ভাসতেই বিপরীত দিকে সাতার কাটতে হয়। কেউ শুরুতেই যদি স্রোতের বিরুদ্ধে সাতার কাটে, তাইলে কাজের কোন কাজই হবে না। সবকিছুতে সমালোচনা না করে আরেকটু ধৈর্য ধরেন।
গভীরভাবে চিন্তা করেন......গভীরভাবে চিন্তা করার প্র্যাকটিস করেন!!!!
৪| ১২ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:০০
রিফাত হোসেন বলেছেন: আমি একটু ভিন্ন পর্যবেক্ষণ করে মতামত পেশ করছি।
তারা সম্ভবত সমসাময়িক দলগুলোকে সম্পর্ক হিসেবে বিরোধিতা নয় বরং সৌহার্দ্য এর হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ ছাড়া কোন উপায় নেই। আপনি আমি যত যাই বলি জামাত, বি এন পি, লীগের সমর্থক পঙ্গপালের মত। তাদেরকে ক্ষেপিয়ে বা শুভাকাঙ্ক্ষী না হয়ে কিছুই করতে পারবে নতুন দলগুলো। করলেও তা ইতিবাচক কোন কিছু বয়ে আনবে না নতুন কুড়িদের দলের জন্য।
আমারতো মনে হচ্ছে রাজনীতি শিখে যাচ্ছে তারা।
২য় বিষয় হল অর্থ এর উৎস নিয়ে। আমার মনে হয় না শুধু সাধারণ মানুষ এর সাথে জড়িত। এতে বোয়াল-মৃগেল থাকা কঠিন কিছু না। এরা স্বচ্ছতার কথা বলছে, হয়ত তারা ধীরে ধীরে এগুবে।
আশাইতো করতে পারি আর কি করব বলুন। আর ১টি-২টি দলের জায়গায় কয়েকটি দল সরকার গঠনে প্রাধান্য পেলে বা আলোচনা হওয়া ভাল। এতে মন্দের ভাল। ইতিবাচক উঠে আসতে পারে। monopoly ভেস্তে যায় আর কি!
৫| ১২ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:০৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: ঢাবিয়ান,
আপনার চাওয়াটা যুক্তিযুক্ত তবে ভুয়া মফিজ এর ব্ক্তব্যগুলোও ভেবে দেখার মতো।
ভুয়া মফিজ বলেছেন- " স্রোতের সাথে ভাসতে ভাসতেই বিপরীত দিকে সাতার কাটতে হয়। " তাকে বলি -
কিন্তু বিগত কয়েক দশকে কোন দল বা ব্যক্তি বিশেষকে কিন্তু আমরা কেউই প্রথমে স্রোতের সাথে ভাসতে এবং পরে স্রোতের বিপরীতে সাঁতরাতে দেখিনি। সবাইকে দেখেছি প্রথম প্রথম গায়ে তেল মেখে, কাছা মেরে পানিতে নামতে এবং যথারীতি স্রোতের পক্ষে- বিপক্ষে সাঁতার না কেটে পানিতে ডুব দিয়ে ডুবে ডুবে জল খেতে! এটা তো আমাদের রাজনৈতিক চরিত্রে মজ্জাগত। এর থেকে অর্ধ-শতাধিক কাল আমাদের মুক্তি মেলেনি ; সামনেও যে মিলবে তার আশা সুদূর পরাহত। পঞ্চাশ বছর ধরে ধৈর্য ধারণ প্রাকটিস করেছে পাবলিক তাই "ধৈর্য ধারণ" এখন আর কোনও আবেদন রাখছেনা। এখন সময় হলো - "ধর তক্তা, মার পেরেক" এর। নইলে আখেরে তক্তা বা পেরেক কিছুই পাবেন না, ঘর-বাড়ী বানানো আর হবেনা!
৬| ১২ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:২০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: জী এস ভাই...........এরা স্রোতের সাথে ভাসতে ভাসতে বিপরীত দিকে সাতার কাটে কিনা দেখার জন্য সময় দরকার, ধৈর্য দরকার। বুইড়া দলগুলাকে তো ৫৩ বছর সময় দিলাম। এখন এদেরকে না হয় খানিকটা দেই, ক্ষতি তো নাই কোন। বুইড়ারা কি করছে, দেখলাম তো!!! নবীনদের থেকে ভালো কিছুই হবে; আমি আশাবাদী। কাজেই শুরু থেকেই উঠতে-বসতে এদের কঠোর সমালোচনা না করে খানিকটা নমনীয় সমালোচক হতে হবে আমাদের।
"ধর তক্তা, মার পেরেক" এর কে তক্তা, আর কে পেরেক একটু যদি ব্যাখ্যা করতেন!!!
৭| ১২ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১০:২৪
নিমো বলেছেন: দুদিন আগেই এক মন্তব্যে আমাকে এদের বিষয়ে নসিহত করলেন। এত তাড়াতাড়িই অবিশ্বাস এসে গেল। হা-হা!।এক কাজ করুন অতলান্তিক ভাবে চিন্তা না করে, প্রশান্ত ভাবে করুন, নইলে কোন খাদে ডুবে যাবেন, কে জানে।
৮| ১২ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:২৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এই দল যদি জন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাহলে বিপদে পড়বে। আমাদের দেশে ভোটারের বড় অংশ বাস করে গ্রামে গঞ্জে। শহরেও নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের লোকেরা হল ভোট ব্যাংক। ছাত্ররা যে সব তত্ত্ব কথা বলছে সেগুলি এই শ্রেণীর ভোটারদের মাথার উপর দিয়ে যাবে। ফলে এরা জন বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। গ্রাম পর্যায়ে কাজ করার কারণেই এতো কিছুর পরেও বিএনপি এবং আওয়ামীলীগের স্থায়ী কিছু ভোটার আছে। তরুণদের এই দল কয়েকটি সমস্যায় পড়তে পারে। এক হল দলাদলি হয়ে বিভক্ত হয়ে যাওয়া। দুই হল এরা শহর কেন্দ্রিক এবং শিক্ষাঙ্গন কেন্দ্রিক প্রচার চালাচ্ছে। কিন্তু ভোটের মাঠে মূল ভোট আসে গ্রাম, গঞ্জ এবং নিম্নবিত্ত শ্রেণী থেকে। আরেকটা সমস্যায় এরা পড়তে পারে, সেটা হল জন বিচ্ছিন্নতা। পাঁচ তারা হোটেলে ইফতার পার্টি এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়কে গুরুত্ব না দেয়া এদের প্রাথমিক ভুল। নিজেদের একতা ধরে না রাখতে পারলে এরা বিপদে পড়বে। তখন কিছু করার থাকবে না।
এদের প্রতি পরামর্শ হল, দেশের সাধারণ মানুষকে আকৃষ্ট করার মত এজেন্ডা থাকতে হবে। যেমন বেকারত্ব, নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের দাম মধ্যবিত্ত এবং নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে যাওয়া, গরীবের জন্য সুলভ চিকিৎসা সুবিধা ইত্যাদি। এদের সাংস্কৃতিক সংগঠন থাকতে হবে। এদের ভালো কোন বয়স্ক মেন্টর থাকতে হবে। এদের শুরুটা ভালো লাগেনি। তবে সবে তো শুরু, আরেকটু সময় দেয়া যেতে পারে। তবে বেশী সময় এরা পাবে না।
৯| ১২ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:৪৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: হয়তো এরা পলিটিকাল ইন্টার-আ্যকশন বাড়ানোর জন্যই এগুলো করছে। তবে আর্থিক স্বচ্ছতার বিষয়টি যদি প্রথমেই জলাঞ্জলি দেয়, তবে দ্রুতই ধরা খাবে।
১০| ১৩ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১:১৮
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আপনাকে এদের বিষয়ে বেশ আশাবাদী দেখেছিলাম। দুঃখজনক ব্যাপার হলো- এরা আওয়ামী লীগ, বিএনপির চেয়েও খারাপ করবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ৯:১৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমি আগেই বলেছি এরা আওয়ামী লীগ বা বিএনপি বা জামায়াতের মতোই আরেকটা সংগঠন হবে। এরা নিজেরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। অথচ এদের চিন্তা করা উচিত সোশ্যাল রিফর্মের জন্য কাজ করা। তাছাড়া মুক্তি নেই !