নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মুহাম্মদ এনামুল হক আপনাদেরই লোক

ঢাকার লোক

বাংলা ভালোবাসি

ঢাকার লোক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৈতৃক সম্পত্তিতে মেয়েদের হক

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫০

আমাদের দেশে বাবা মারা গেলে জমিজমা বসতবাড়ি অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছেলেরা উত্তরাধিকারী হিসাবে ভোগ দখল করে আর মেয়েরা দূরে বা অন্য গ্রামে বিয়ে হয়ে যাওয়ায় এর ভাগ থেকে বঞ্চিত হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেয়েদেরকে কোনো অংশ দেয়ার কথাই উঠে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কিছু নগদ অর্থ দিয়ে তাদের ন্যায্য অংশ থেকে বঞ্চিত করা হয়। অনেক অঞ্চলে এমন একটা ধারণাই আছে যে মেয়েদের জন্য বাবার সম্পত্তি চাওয়া বা নেয়াটা অনাকাঙ্খিত এবং লজ্জাজনক। এমন কথাও প্রচলিত আছে যে বাপের বাড়ির সম্পত্তি সংসারে অকল্যাণ বয়ে আনে! বিয়ের পর জামাই ছেলে মেয়ে নিয়ে ভাইয়ের বাড়ি বছরে দুই চার দিনের জন্য বেড়াতে এলে তাদের খাতির যত্ন করা হয়, যাওয়ার সময় এক টিন মুড়ি, বাড়ির পশে মাচায় বেড়ে উঠা দুইটা লাউ বা কুমড়া আর বড়জোড় একখানা শাড়ী বোনকে দিয়ে দেয়া হয়। এর পর আর সে বোন ভাইদের কাছে পৈতৃক সম্পত্তিতে তার অংশের দাবি তোলার লজ্জা অতিক্রম করতে পারে না !

এমনিভাবে দিনের পর দিন অতিক্রম করে এবং শেষমেষ সেই সম্পত্তি ভাইদের দখলেই থেকে যায়। ভাইরাও স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বোনের ভাগ দিতে এগিয়ে আসেন না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পিতার বর্তমানেই তার সম্মতিতে সম্পত্তিতে মেয়েদের অংশ দাবি না করার মৌখিক বা লিখিত সম্মতি আদায় করা হয়; প্রয়োজনে আত্মীয়স্বজন মারফত মেয়েদের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। এভাবেই নগন্য সংখক ব্যাতিক্রম ব্যাতিরেকে প্রায় সর্বত্র বোনদের অংশ ভাইদের দখলে থাকাটাই একটা স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছে।

এ অনিয়ম আমাদের সমাজে প্রচলিত থাকার কারণ হিসাবে প্রধানত দুইটা বিষয় বিশেষ ভূমিকা রেখেছে । প্রথমত হিন্দু সংস্কৃতির প্রভাব, হিন্দুদের কন্যা সন্তান পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হতো না, আমাদের পূর্বপুরুষেরা একসময় হিন্দু থেকেই মুসলমান হয়েছিল, ফলে একই মানসিকতায় তাদেরই অনুকরণে কন্যা সন্তানকে উত্তরাধিকার থেকে বঞ্চিত করে যাচ্ছেন। আমাদের মেয়েরাও হিন্দু নারীর মতোই এ না পাওয়াটাকেই স্বাভাবিক মেনে নিতে শিখেছেন।

দ্বিতীয়ত, আমাদের স্বল্প জমি ক্ষুদ্র বসতবাড়িতে ভিন গায়ে বিয়ে হয়ে যাওয়া বোনের ভাগ প্রকারান্তরে ভিন গায়ের ভগ্নিপতি বা ভাগিনেয়দের মালিকানায় চলে যাওয়াটা কেউই সহজ ভাবে নিতে পারেন না। ফলে না দেয়া বা ক্ষেত্র বিশেষে নগদ অর্থ দিয়ে দেয়াই অধিক পছন্দনীয় মনে করা হয়।

অথচ আল্লাহ পাক কোরানে সূরা নিসার ৭ নম্বর আয়াতে সুস্পষ্ট ভাবে পৈতৃক সম্পত্তিতে মেয়েদের হক নির্ধারণ করে দিয়েছেন, এরশাদ হচ্ছে,
"পিতা-মাতা ও আত্নীয়-স্বজনদের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে পুরুষদেরও অংশ আছে এবং পিতা-মাতা ও আত্নীয়-স্বজনদের পরিত্যক্ত সম্পত্তিতে নারীদেরও অংশ আছে; অল্প হোক কিংবা বেশী। এ অংশ নির্ধারিত।"

ভাই ও বোনের অংশ নির্ধারণ করে ১১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন ,
'আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেনঃ একজন পুরুষের অংশ দু?জন নারীর অংশের সমান। অতঃপর যদি শুধু নারীই হয় দু' এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের পুত্র থাকে। যদি পুত্র না থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়, তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অতঃপর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যতের পর, যা করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ।“
এর পর ১৩ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তার নির্দেশ মানার পুরস্কার হিসাবে জান্নাতের ওয়াদা করে, ১৪ নম্বর আয়াতে সাবধান করছেন , "যে কেউ আল্লাহ ও রসূলের অবাধ্যতা করে এবং তার সীমা অতিক্রম করে তিনি তাকে আগুনে প্রবেশ করাবেন। সে সেখানে চিরকাল থাকবে। তার জন্যে রয়েছে অপমানজনক শাস্তি।"

প্রত্যেকের পাওনা অংশ মিটিয়ে দেয়ার তাগাদা দিতে গিয়ে আল্লাহ আরো বলেন , " পিতা-মাতা এবং নিকটাত্নীয়গণ যা ত্যাগ করে যান সেসবের জন্যই আমি উত্তরাধিকারী নির্ধারণ করে দিয়েছি। আর যাদের সাথে তোমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছ তাদের প্রাপ্য দিয়ে দাও। আল্লাহ তা’আলা নিঃসন্দেহে সব কিছুই প্রত্যক্ষ করেন।" (৩৩ নং আয়াত )

আল্লাহর এ আইন মানতে গিয়ে কিছু বিষয় আপাত দৃষ্টিতে সমস্যা বলে মনে হতে পারে। যে বোনেরা দূরে বাস করেন তাদের অংশ ক্ষুদ্র বসতবাড়িতে তাদের দখলে থাকলে যারা বাড়িতে থাকেন তাদের অসুবিধা হতে পারে। এমতাবস্থায় বোনেরা যদি স্বেচ্ছায় তা ব্যাবহারে অনুমতি দেন, বিনা মূল্যে বা ভাড়ায়, তার সমাধান হতে পারে। নিশ্চয় আল্লাহ তার প্রতিদান দিবেন। বাজারদর অনুযায়ী নিজস্ব অংশ যদি ভাইদের কাছে বিক্রি করে দেন তাতেও সমাধান হতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে তা হতে হবে বোনেদের স্ব ইচ্ছায়, জোর খাটিয়ে বা চাপিয়ে দিয়ে নয়।

এও আল্লাহরই একটা পরীক্ষা , আল্লাহ দেখে নিতে চান আমরা কারা চলি তার আইন মেনে যদিও আপাতদৃষ্টিতে আমাদের দুনিয়াদারি ও স্বার্থের সাথে সাংঘর্ষিক এবং আমাদের অপছন্দনীয়। আল্লাহর আইন বা নির্ধারিতও সীমা মেনে চলা বা না চলার মাঝে নির্ভর করবে আমাদের দুনিয়া ও আখিরাতে সাফল্য।

কখনো কখনো দেখা যায় পিতা তার জীবদ্দশায়ই জমিজমা শুধুমাত্র ছেলেদের নামে লিখে দিয়ে যান। এ আল্লাহর আইনের সুস্পষ্ট লংঘন এবং এর জন্য তারা আল্লাহর কাছে দায়ী হবেন।

অছিয়ত সম্পর্কিত একটা হাদিস যা শেখ নাসিরুদ্দিন আলবানী সহী বলেছেন, হাদীসটি সংকলিত হয়েছে তিরমিজি নং ২১২০ এবং সুনান আন নাসায়ীতে নং ৩৬৭১, অছিয়ত অধ্যায়, খণ্ড ৪; আমর বিন খারিজা বর্ণনা করেন , রাসূলুল্লাহ (স) এক খুৎবায় বলেন , " আল্লাহ প্রত্যেক উত্তরাধিকারীর অংশ নির্ধারণ করে দিয়েছেন এবং এদের জন্য কোনো অছিয়ত নেই " এ হাদিসের আলোকে সব আলেমগণ একমত যে যারা শরীয়ত মোতাবেক ওয়ারিশ তারা সম্পত্তির মালিকের মৃত্যুর পর যার যার নির্ধারিত অংশ পাবে, তাদেরকে অছিয়তে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না, শুধু মাত্র এমনিতে যারা কিছুই পাওয়ার কথা না, তাদের কাউকে কিছু দান করতে হলে অছিয়তনামায় বলে যেতে পারে।

এ ছাড়া একজন তার সমস্ত সম্পত্তির সর্বোচ্চ এক তৃতীয়াংশ অছিয়ত করে দান করে যেতে পারেন। এ সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (স) এর নির্দেশনা নিম্নল্লেখিত হাদিসে বর্ণিত হয়েছে,
ইমাম বুখারী ও মুসলিম সংকলিত হাদিসে সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস নামের একজন সাহাবী বর্ণনা করেন, " বিদায় হজের সময় আমি অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়লে রাসূলুল্লাহ (স) আমাকে দেখতে আসেন, আমি তাকে বলি, ইয়া রাসুল্লাহ (স), আপনিতো দেখছেন আমার অবস্থা কত খারাপ , আমার সয় সম্পত্তি আছে এবং আমার একটা মেয়ে ছাড়া আর কোনো উত্তরাধিকারী নেই, আমি কি আমার সম্পত্তির দুই তৃতীয়াংশ দান করে যেতে পারি ? নবি (স) বললেন "না " ; "তবে অর্ধেক ?" নবি (স) আবারো বললেন , "না" . আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম , "এক তৃতীয়াংশ ?" তিনি বললেন এক তৃতীয়াংশ দান করতে পার, যদিও এক তৃতীয়াংশও অনেক। নিজের উত্তরাধিকারীকে ভালো অবস্থায় রেখে যাওয়া তাদেরকে দরিদ্র, অপরের কাছে হাত পাততে হয়, রেখে যাওয়ার চেয়ে উত্তম। আল্লাহর ওয়াস্তে যা খরচ কর, এমন কি তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে দাও তার জন্য আল্লাহ তোমাদের প্রতিদান দিবেন।"

অছিয়তকারী ইচ্ছাকৃতভাবে কাউকে তার ন্যায্য অংশ থেকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে অন্যায় ভাবে সম্পত্তি বন্টন করে গেলে তাকে পরকালে জবাবদিহি করতে হবে। তবে কোনো অছিয়তকারী ইচ্ছায় বা ভুলে কাউকে তার ন্যায্য অংশ থেকে বঞ্চিত করে গেলে সালিস বা উপযুক্ত কতৃপক্ষের মাধ্যমে এর প্রতিকার করার সুযোগ শরীয়ত দিয়েছে। সূরা বাকারার ১৮১ ও ১৮২ আয়াতে আল্লাহ বলেন,
যদি কেউ ওসীয়ত শোনার পর তাতে কোন রকম পরিবর্তন সাধন করে, তবে যারা পরিবর্তন করে তাদের উপর এর পাপ পতিত হবে।
যদি কেউ ওসীয়তকারীর পক্ষ থেকে আশংকা করে পক্ষপাতিত্বের অথবা কোন অপরাধমূলক সিদ্ধান্তের এবং তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দেয়, তবে তার কোন গোনাহ হবে না। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু।

আরো একটা বিষয় এখানে না বললেই নয়, আমাদের সমাজে যাদের ছেলে নেই, শুধু মেয়ে আছে তেমন ক্ষেত্রে অনেকে মৃত্যুর পূর্বেই সমস্ত সম্পত্তি মেয়েদের নামে লিখে দিয়ে যান, এর পিছনে আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত ভাই বোনদের প্রাপ্য অংশ না দেয়ার অসদুদ্দেশ্য মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এ আল্লাহর আইনের বিরোধিতা !

আল্লাহ নির্ধারিত সীমা না মানার পরিণতি সম্বন্ধে উপরোল্লেখিত সূরা নিসার ১৪ নং আয়াতে আল্লাহ পাক যে সাবধানবাণী উচ্চারণ করেছেন তা স্মরণ করে আমাদের মাঝে প্রচলিত ইসলাম বিরোধী প্রথা পাল্টানো আবশ্যক । জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচতে হলে বোনদের সম্পত্তির ভাগ ভাইদের স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই দিয়ে দিতে হবে এবং বোনদেরও দায়িত্ব ভাইদের কাছ থেকে চেয়ে নেয়া। এতে ভাইরা যেমন বাঁচবেন, তেমনি বোনরাও তাদের আইনানুগ উত্তরিধকারী ছেলে মেয়ে বা স্বামীকে বঞ্চিত করার অপরাধ থেকে বাঁচবেন । সর্বোপরি আল্লাহর আইনের বিরোধিতা করে গুনাহগার হওয়া থেকে বাঁচবেন। সুষ্ঠ ভাবে অংশ নির্ধারণে ফারায়েজ বা উত্তরাধিকার আইনে অভিজ্ঞ কোনো বিচারক বা আলেমের সহায়তা নেয়া উত্তম।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০

সনেট কবি বলেছেন: কিছুটা পড়লাম।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯

ঢাকার লোক বলেছেন: দুঃখিত, লেখাটা একটু বড়োই হয়ে গেলো ! শুরুতো করেছেন , পরে সময় পেলে পড়বেন, ক্ষতি নেই ! ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য !!

২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: একটা কথা বলি। এইটা আবার আপনাকে বলতেছিনা।


আমাদের দেশের মানুষ হল খুব চালাক।

যখন বোনের বিয়া দিবে তখন তারা বলে যৌতুক বন্ধ কর, যৌতুক নেয়া ভাল না।অথচ বোন কোটি টাকার জমি পাবে। সেটাও সে
যৌতুক বলে।

আর যখন নিজে বিয়ে করবে।।তখন সে ইসলামি চিন্তাবিদ হয়ে যায়। রাসূল বলেছে মেয়েকে পিতার সম্পদ দাও।
ভাইয়ের অর্ধেক দাও। কারন বউয়ের সম্পদ নিজে ভোগ করতে পারবে।

এইভাবে হাদিস মানলে চলবে? না

বোনের হক টাও দিতে হবে। আবার বউ এর হক্ক টাও। হাদিসে এটা নাই বউ যা সম্পদ নিয়ে আসবো। সেটা তুমি একেবারে পায়ের উপর পা রেখে ভোগ করবে।
এটা হয়।।।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪০

ঢাকার লোক বলেছেন: ভালোই বলেছেন, আসলে সবাই তার মেয়ে বা বোনের হক দিলে বোনদের স্বামীরা যেমন পাবে ওদের ভাইরাও তাদের স্ত্রীদের সম্পত্তির সুবিধাটুকু পাবে ! সর্বোপরি তাতে সবার সংসারেই আল্লাহ বরকত দান করবেন ।ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য !!

৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
আমাদের দেশের আলিম সমাজ এ বিষয়ে বিরাট জ্ঞান রাখেন, তবে এই অধ্যায়ের সবচেয়ে অযত্নটা তারাই করেন।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪৫

ঢাকার লোক বলেছেন: যারা প্রকৃত আলেম তারা আল্লাহর এ বিধান অমান্য করেন না, জ্ঞানের অভাব জনিত কারণে সাধারণ জনগণ অনেকে ভুল করেন ।ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য !!

৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: এই জন্যই আমার বাপের কোনো সম্পত্তি নাই।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৪৯

ঢাকার লোক বলেছেন: আপনার বাবার নেই , ইনশাল্লাহ হবে একদিন , না হয় একদিন আপনার হবে, তখন মেয়েদের পাওনা ঠিকমতো যেন পায় তার খেয়াল রাখবেন ! ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য !!

৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আল্লাহই ভালো জানেন। আরো জানতে হবে। এ বিষয়েটা অনেক জটিল...

০২ রা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৫২

ঢাকার লোক বলেছেন: একটা বিষয় সহজ, বাবার সম্পত্তিতে মেয়েদের অংশ আছে, তাকে না দেয়া বা পাওনা থেকে কম দেয়া ঠিক না ! কত টুকু সে হিসাব হয়তো সবার কাছে সহজ নাও হতে পারে, তার জন্য আলেমগণ আছেন, আছে দেশের বিচারিক আদালত । তারা সাহায্য করতে পারেন। পড়া ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ !

৬| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

আরজু পনি বলেছেন: অছিয়ত করার কারণে কেউ যদি অধিকার বঞ্চিত হয় তবে সেটা অবশ্যই অন্যায়।
আর মেয়েদের হক যতটা আছে তা বাস্তবায়ন করাটা কঠিন আমরা সম্পর্ক নষ্ট হবার ভয় করি বলে।

০৩ রা অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪২

ঢাকার লোক বলেছেন: ভাই বোনের সম্পর্ক ভালো থাকুক সে আমরা সবাই চাই, বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি ন্যায় সঙ্গত ভাবে ভাগ বাটোয়ারা হলে, কারো প্রতি অন্যায় না হলে, কারো প্রতি ক্ষোভ থাকবে না এবং সবার মাঝে সুসম্পর্ক থাকবে আশা করা যায় । পড়া ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.