নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান। চল্লিশ বছরের সংসার করা স্ত্রীর স্মৃতি স্মরণ করতে গিয়ে দেখলাম তার চোখ বেয়ে নেমে আসছে অশ্রু। একটু অবাকই হলাম, বৌ মারা গেলে পুরুষ মানুষের চোখে অশ্রু আমি আশা করিনি! সিনেমা নাটক হলে আলাদা কথা, বাস্তব জীবনে মৃত স্ত্রীর স্মৃতি মনে করে সত্যি সত্যি কাঁদে এমন ভালো পুরুষ দেখতে পাওয়া ভাগ্য !
আমার আত্মীয়টি ঢাকায় ছোট খাটো সরকারি চাকরি করতেন। বছর কয় হলো পরিণত বয়সে অবসরে গিয়ে গ্রামের বাড়িতেই বসবাস করছিলেন। মূলত জমি জামা দেখাশোনা, গৃহস্থালি কাজ কর্ম করেই দিন অতিবাহিত করছেন। উনার ছেলের বিয়েতে বছর কয় আগে দাওয়াত দিয়েছিলেন, গিয়েওছিলাম।
আজ খবর পেলাম উনি আবার বিয়ে করছেন, এ সপ্তাহেই বিয়ে ! ছেলেরা কেউ বিয়েতে যাবে না। তাতে কি? কে দেখবে উনাকে এ বয়সে? কে দেখবে বাড়ি ঘর, গরু বাছুর? সত্যিই তো !
এই তো জীবন!
২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:২০
ঢাকার লোক বলেছেন: আপনার দীর্ঘ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। নিজে পুরুষ মানুষ, তাই আমার আর কিছু বলার নেই!
২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:২৮
মিরোরডডল বলেছেন:
প্রথমত, পার্সোনালি নেবার কিছু নেই।
আমি জাস্ট রেশিওটা বললাম।
আমি নারী বলে কি নারীদের নেগেটিভ দিক সমালোচনা করি নাহ!
অবশ্যই করি।
নারী পুরুষ বিষয় না, আমাদের সমাজে ইউজ্যালি কি হয়ে থাকে সেটাই বলতে চেয়েছি।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৯
ঢাকার লোক বলেছেন: বলেছেন: আপা, আমি আপনার মন্তব্যকে পার্সোনালি নেইনি। আপনি ঠিকই বলেছেন, আমাদের সমাজে যা ঘটে তাই বলেছেন। আপনি হয়তো জানেন ধর্মীয় (ইসলাম) বিধান মতে কোনো মহিলার স্বামী মারা গেলে ৪ মাস ১০ দিন এবং ডিভোর্স হলে ৩ মাস "ইদ্দত" (ম্যান্ডেটরি ওয়েটিং পিরিয়ড) পালন করতে হয়। এ বিধান প্রধানত একজন নারী অন্তঃসত্ত্বা কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য। পুরুষদের ক্ষেত্রে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি নেই, তাই এমন কোনো বাধ্য বাধকতাও নেই। আমার এ আত্মীয় যাকে বিয়ে করছেন শুনেছি তিনিও বয়স্কা, ছেলে মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে, বর্তমানে স্বামী পরিত্যাক্তা। এমতাবস্থায় আমার আত্মীয় যেমন পাচ্ছেন একজন সঙ্গিনী তেমনি একজন অসহায় নারীও পাচ্ছেন আশ্রয়, একজন অভিভাবক। তাই বলছিলাম এর ভালো দিক নেই তা নয়, অনেক ক্ষেত্রে হয়তো ভালোটাই বেশি !
ধন্যবাদ, ভালো থাকুন !
৩| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:০৬
ফিনিক্স পাখির জীবন বলেছেন: আমাদের সমাজ যুগপৎ প্রাচ্য আর পাশ্চাত্য নিয়ে বাচতে চায়। এটাই মূল সমস্যা। বৃদ্ধ হয়ে যাবার পর বাবা-মায়েদের জায়গা কোথায়? ছেলে মেয়েরা নিজেরাই এখন কর্মজীবি। অনেক পরিবারে বিধবা মায়ের জায়গা হলেও বাবার জায়গা হয় না। বাবারা এভাবে বেশিদিন থাকতেও পারেন না। কেউ কেউ তাই বৃদ্ধাশ্রমে চলে যান। কিন্তু একজন বিপত্নীক পুরুষ যখন বিয়ে করেন,তখন শুরু হয় তার গুষ্টি উদ্ধার করা। অবশ্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সন্তানেরা সম্পত্তিতে নতুন ভাগীদার হবে, এটা মেনে নিতে পারেনা বলে ঝামেলা করে।
আমার নানা এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন। তার দ্বিতীয় বিয়ের পূর্বের অবস্থা, তার কারন আর বিয়ে ঠেকাতে সন্তানদের কি উদ্দেশ্য ছিল, এবং স্বার্থ উদ্ধারের পর সবাই কি করেছিল তা খুব কাছ থেকে দেখেছি।
স্ত্রী মারা গেলে দ্বিতীয় বিয়ে করাটার পেছনে কার কি কারন, তা আমরা জানিনা।
৪| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:২৩
আমি নই বলেছেন: আমাদের পাশের বাসার এক আংকেলও অনেক বয়সে বিয়ে করেন, তার ছেলে আমার বেশ কয়েক বছরের সিনিয়র হলেও এক সাথেই খেলা-ধুলা করতাম। উনি যখন বিয়ে করলেন তখন আমাদের কি রাগ, সবাই মিলে যা-তা বলেছিলাম উনাকে, ছেলের বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে কিন্তু ছেলেকে বিয়ে না দিয়ে নিজেই বিয়ে করা।
সেটা মনে হয় ১৪-১৫ বছর আগের ঘটনা, কয়েক সপ্তাহ আগে কথায় কথায় জানলাম উনি আর বিছানা ছেরে উঠতে পারেন না, ঘন ঘন প্রসাব-পায়খানা বিছানাতেই করেন। আমার সেই সিনিয়র ভাই অফিসে যাওয়ার আগে একবার পরিস্কার করে দিয়ে ডায়াপার পরান, আবার রাতে একবার...মাঝে মধ্য বাড়ীর বাইরেও থাকতে হয় সে সময় কিছুই করতে পারেন না । বাকি সময় পুরোটাই দ্বিতিয় স্ত্রীই সব কিছু করেন, খাওয়ানো, পরিস্কার করানো, গোছল করানো সব কিছুই।
আমার ঐ সিনিয়র ভাই নিজেই বলেছিলেন ঐ মহিলা না থাকলে আব্বার যে কি হত......
৫| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩৫
নতুন বলেছেন: আমাদের দেশের ছেলেরা সংসার করেনা। নারীরাই ঘর সংসার সামলায়। স্ত্রীরাই স্বামীদের দেখে রাখে।
শেষ বয়সে স্ত্রী না থাকলে পুরুষ মানুষ বেশি দিন বেচে থাকেনা। আর যারা ৫০ পার হয়ে বিয়ে করেন তারা যৌন চাহিদার জন্য না বরং সঙ্গী/দেখাশুনার জন্যই করেন।
আর নারীরা সংসারের শেকড়ের মতন। সবাই গাছের উপরের অংশটাই দেখে কত বড় গাছ। কিন্তু শেকড় কাটা পড়লে সেই গাছ খুবই সহজে মারা যায়।
আমার মা মারা গিয়েছিলেন ২০১৮ । আমি দেশের বাইরে থাকি। বোন তার পরিবার নিয়ে ঢাকা তে।
বাবা আর ছোট ভা্ই ফরিদপুরে। ছোটভাইকে বিয়ে দিলাম। কিন্তু তাতে বাবার খাবার রান্নার ব্যাবস্থা হইলো।
কিন্তু মা যে খেয়াল নিতেন সেটার তো আর হতো না। বাবার ডিমেনসিয়া বাড়তে লাগলো, অসুস্থ হলে কেউই আর জোর করে ডাক্তারের কিছে নিয়ে যেতো না, মনে করিয়ে সময় মতন ওষুধ খাইয়ে দিতো না।
বাবা কেও হারালাম ৩ বছল হতে যাচ্ছে....
এই জন্যই বেশি বয়সে স্ত্রী মারা গেলে বিয়ে করাটা ভালো, যারা স্বনির্ভর তারা হয়তো নিজের মতন করে বাচতে থাকে। কিন্তু বেশির ভাগই অল্প কিছুদিনেই চলে যায়।
৬| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৫
মিরোরডডল বলেছেন:
লেখক বলেছেন: পুরুষদের ক্ষেত্রে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি নেই, তাই এমন কোনো বাধ্য বাধকতাও নেই।
বাধ্য বাধকতা নেই, কিন্তু একটা দীর্ঘ সময় সংসার করার পর সেই মানুষ মারা গেলে শোক কাটিয়ে উঠতেও একটু সময় লাগে, তারপর বিয়ে করুক নো প্রব। কিন্তু কিছু মানুষ এতো দ্রুত বিয়ে করে, মনে হয় তার সঙ্গীর জন্য সামান্যতম অনুভুতিও ছিলো না।
তাই বলছিলাম এর ভালো দিক নেই তা নয়, অনেক ক্ষেত্রে হয়তো ভালোটাই বেশি !
ভালো দিক অবশ্যই আছে। যে কোন বয়সেই মানুষের একজন সঙ্গীর প্রয়োজন হয় এবং তার জন্য বিয়ে করবে এটা ঠিক আছে।
রিলেটিভ বা পরিচিতদের মধ্যে যা দেখেছি সেই অভিজ্ঞতায় জাস্ট দুটো বিষয় হাইলাইট করেছি।
এক, দীর্ঘ দাম্পত্যের পর বয়সকালে স্পাউজ মারা গেলে বেশিরভাগ মেয়েরা আর বিয়ে করেনা, সন্তান নিয়ে বাকি জীবন পার করে দেয় কিন্তু বেশিরভাগ পুরুষরাই বিয়ে করে ফেলে, একা থাকতে পারে না।
দুই, যারা বিয়ে করে তাদের মাঝে মেয়েরা একটু বিরতি দিয়ে তারপর করে। তাদের মায়া বেশি, তাই এতদিনের সংসারের স্মৃতি কাটিয়ে নতুন করে শুরু করতে সময় লাগে কিন্তু পুরুষেরা খুব দ্রুত সেটা কাটিয়ে উঠে বিয়ে করতে পারে।
উভয় ক্ষেত্রেই ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে।
দিন শেষে সবাই ভালো থাকুক, যার যেভাবে ভালো লাগে।
৭| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এদিক থেকে মেয়েরা স্বামী মারা গেলে কমই বিয়ে করে, সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দেয় একাকি অনেক দিন। ব্যতিক্রমও আছে।
৮| ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪
ঢাকার লোক বলেছেন: উপরে একাধিক মন্তব্যে, বিশেষত নতুন ও আমি নই এর মন্তব্যগুলো পড়লে কোনো লোকের দ্বিতীয় বিয়েতে মনে হতে পারে শুধু মাত্র পুরুষেরই উপকার রয়েছে। আমাদের সমাজে, বিশেষত গ্রামাঞ্চলে একজন বিধবা বা স্বামী পরিত্যাক্ত নারী অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাবার বা ভাইয়ের সংসারে নিতান্তই আনওয়ান্টেড গলগ্রহ; কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই, তাই অবহেলা অনাদরে, এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে নানাবিধ নিপীড়ণের শিকার হয়ে বসবাস করে। এ অবস্থা থেকে মুক্তির অন্যতম পথ তার বিয়ে। হিন্দু সমাজে বিধবা বিবাহের অনুমোদন যে পশ্চাৎপদ সমাজকে আধুনিকায়নে মুক্তির পথ দেখিয়েছে তা সম্পূর্ণ ব্যার্থ হয়ে যাবে যদি বিপত্নীক পুরুষ পুনরায় বিয়ে করতে অনুৎসাহী বা বাধাগ্রস্থ হয়। কেননা বিধবা, স্বামী পরিত্যাক্তাদের বিয়ে তাদের সাথেই বেশি হয়। এ বিষয়টাও বিবেচনার দাবি রাখে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২
মিরোরডডল বলেছেন:
এটাই নির্মম বাস্তবতা!!
চল্লিশ বছরের সম্পর্ক অথচ দুই মাসের মধ্যেই নতুন সম্পর্ক শুরু করা।
এরকম অনেক দেখেছি।
একজনকে দেখলাম বিশ বছরের সংসার, বউ মারা যাবার অল্প কিছুদিন পর বিয়ে।
একা থাকতে নাকি ভয় লাগে।
মৃত্যু অথবা ডিভোর্সের কারণে একটা সম্পর্ক শেষ হলে নতুন সম্পর্কে যাওয়া নাথিং রং কিন্তু দীর্ঘ সম্পর্কের স্মৃতি কাটিয়ে উঠতেও মিনিমাম একটা সময় লাগে। এতো দ্রুত কি করে যে বিয়ে করে ফেলে!!
তুলনামুলকভাবে পুরুষরা এটা বেশি করে, তারা একা থাকতে পারে না।
কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে বিষয়টা ভিন্ন। খুব কম মেয়েই বিধবা হলে আবার বিয়ে করে।
আসলে মেয়েরা অনেক স্ট্রং।