নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এইচএসসি তে পড়ার সময় ঢাকা কলেজে প্রিন্সিপাল জালালউদ্দিন স্যার আমাদের ইংরেজি পড়াতেন। অনুবাদ সম্বন্ধে বলতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, “A translation is like a woman, when she is faithful, she is less likely to be beautiful and when she is beautiful, she may not be that faithful!” (কেউ আবার একে সবক্ষেত্রে সত্য বলে ধরে নিয়ে হৈচৈ শুরু করে দিয়েন না! আমি এক্সাক্টলি উনার কথাটাই শুধু লিখেছি।, এ আমার কথাও নয়, কাউকে undermine করাও আমার উদ্দেশ্য নয়)। উনি যা বোঝাতে চেয়েছেন তা হলো এক ভাষার মূল লেখা অন্য্ ভাষায় অনুবাদ করতে গেলে হুবুহু শব্দগত অনুবাদের মান খুব স্বভাবতই একটা ভালো হয় না। অনেক সময় একই শব্দের ভিন্ন ভিন্ন অর্থ হতে পারে তার ব্যবহারের উপর নির্ভর করে। একজনের মাতৃভাষা তিনি যেমন ভালো জানেন বা বুঝেন আরেকজন বিদেশির পক্ষে ঠিক সেরকম দখল অর্জন করা অসম্ভব না হলেও অত্যন্ত কঠিন এবং সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। আমাদের বাংলাই ধরুন, হাত তোলা বলতে সাধারণত “আমি উপস্থিত, বা আমি কিছু বলতে চাই" বোঝায়। কিন্তু যখন বলা হয়, ম্যাডাম কাজের মেয়ের গায়ে হাত তুলেছেন তখন এর অর্থ অন্য। আর যদি বলা হয় বাড়ির কর্তা কাজের মেয়ের গায়ে হাত দিয়েছেন, তো সে ভয়ানক ব্যাপার ! এ পার্থক্য বোঝার মতো বুৎপত্যি অর্জন করা একজন ভিনদেশির জন্য দুরূহ। এমনি মিস্টার এক্সকে দেখা গেছে কক্সবাজারে ছেলে মেয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন আর মিস্টার এক্সকে মেয়ে ছেলে নিয়ে কক্সবাজারে দেখা গেছে সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থ বহন করে যা শুধুমাত্র বাংলা শিখে একজন বিদেশির পক্ষে বোঝা সহজসাধ্য মোটেও না।
এছাড়াও আছে ভিন্নতর সমস্যা। ধরুন সেই হেমন্তের পুরোনো দিনের বাংলা সিনেমার গান, " তারে বলে দিও সে যেন আসে না আমার দ্বারে !" একে কিভাবে ইংরেজি অনুবাদ করবেন ? ” Tell her so that she doesn’t come to my door!” or “Ask her not to come to my door!” এই কি তার আসল অর্থ ?? এখানে তারে কি আসলেই আসতে মানা করা হচ্ছে ? একজন পরিচিত কেউ এসে আপনাকে প্রায়ই ধার চেয়ে বিরক্ত করে, তাকে আসতে মানা করা, আর এ মানা করার তফাৎ কি ইংরেজি অনুবাদ করতে সক্ষম হয়েছে ? আমাদের বাংলায় "অভিমান" এর সমার্থক একটা শব্দ ইংরেজিতে আমার চোখে পড়েনি ! আপনাদের কারো কি জানা আছে ? কেউ হয়তো বলবেন Upset, সে কাছাকাছি হতে পারে, কিন্তু অভিমান সেই করে যে ভালোও বাসে, আপসেট দিয়ে কি তা বোঝানো সম্ভব?
আরো একটি বিষয় এখানে না বললেই নয়। অনুবাদকের ভাষাজ্ঞান, উভয় ভাষায় সমান পারদর্শী হওয়া আবশ্যক। কুয়ালালামপুরে একবার এক বাংলাদেশির কাছে কোনো এক বাঙালির লেখা বাংলা থেকে মালয়ী ডিকশেনারী দেখলাম। এতে হাতের নখ এর যে মালয়ী অনুবাদ লিখেছে তার প্রকৃত অর্থ তারকাটা ! স্পষ্টতই যা প্রমান করে লেখক ইংরেজি থেকে মালয়ী ডিকশেনারী দেখে Nail এর বাংলা করেছেন, বুঝতে পারেননি এ নেইল সে নেইল নয়!
ম্যারেজ সার্টিফিকেট বা স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং বইয়ের অনুবাদ নিয়ে এ কথাগুলো আসছে না। এখানে অনূদিত হচ্ছে ফ্যাক্টস, এখানে লেখক বা অনুবাদকের আবেগ প্রকাশের সুযোগ নেই। সাহিত্যের ক্ষেত্রে বিষয়টা ভিন্ন। তাই রবীন্দ্রনাথের কবিতার ইংরেজি অনুবাদে মূল ভাব ঠিক থাকলেও আবেগ, সৌন্দর্য্য, মাধুর্য্য সম্পূর্ণ ফুটিয়ে তোলা কঠিন।
আমার এ লেখার উদ্দেশ্য মোটেও একথা বলা নয় যে অনুবাদ মাত্রই ভুলে ভরা বা পাঠের উপযুক্ত নয় ! সারা দুনিয়ায় বিখ্যাত লেখকদের অসংখ্য সাহিত্যকর্ম বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ হয়ে লক্ষ লক্ষ পাঠক কর্তৃক সমাদৃত হয়েছে। অনেক ভাষার বই বর্তমানে বাংলায় অনূদিত হচ্ছে , মানও ভালো; তবে মনে রাখতে হবে একটা বইয়ের অনুবাদ মূল বইয়ের সমান হওয়া খুবই দুরূহ। বিশেষত, এতে যদি অনুবাদক ভিন্ন পরিবেশে খাপ খাওয়ানোর মতো কিছুটা স্বাধীনতাও কাজে না লাগান।
কোরানের অনুবাদ নিয়ে এক ভাই এখানেই একটা পোস্ট দিচ্ছেন, যাতে তিনি দেখিয়েছেন ভিন্ন ভিন্ন অনুবাদকের একই বাক্যের অনুবাদে কিছুটা এদিক ওদিক হয়েছে। একজন অনুবাদক উভয় ভাষায় সমান দখল থাকলেও তার নিজস্ব চিন্তাধারা, ইমোশন, আন্ডারস্টেন্ডিং, প্রকাশ করার ক্ষমতা এবং ভঙ্গির প্রভাবমুক্ত হতে পারেন না। ফলে তিনজন অনুবাদকের অনুবাদে মূল কথা এক থাকা সত্বেও তা ভিন্নতর ব্যাক্তিত্বের কারণেও অনুবাদ কিছুটা ভিন্ন হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এজন্যই উপমহাদেশের জনৈক বিখ্যাত রাজনীতিবিদকৃত কোরানের তাফসীর তার দলের লোকজনের কাছে প্রিয় হলেও অন্যদের কাছে তেমন গ্রহণযোগ্য হতে পারেনি! পাঠকের আন্ডারস্ট্যান্ডিং ক্যাপাসিটির তারতম্যের কারণেও অনুবাদ কিছুটা ভিন্ন মনে হতে পারে। আর অনুবাদকের সঠিক শব্দ চয়নে ভুল হলে তো কথাই নেই।
আমি আগেই বলেছি, সব ভাষায়ই একই শব্দের ব্যবহার অনুসারে অর্থ ভিন্ন হওয়ার উদাহরণ আছে ! আরবিতেও অনেক শব্দের ভিন্ন ভিন্ন অর্থ রয়েছে, ব্যাবহারে পার্থক্য অনুসারে, যা অনেক সময় একজন অনারাবির জন্য সঙ্গত কারণেই সমস্যা হতে পারে। আলেমগণের মতে সমগ্র কোরান সম্বন্ধে ভালো জ্ঞান থাকা জরুরি, কেননা কোনো কোনো বক্তব্যের ব্যাখ্যা পরবর্তী অন্য কোন আয়াতে স্পষ্টতর করা হয়েছে, যা জানা না থাকলে শুধু একটি আয়াত জেনে ভুল সিদ্ধান্তে পৌঁছার আশঙ্কা থেকে যাবে। এ ছাড়াও কোরানের অর্থ কোরান যার উপর নাজেল হয়েছে সেই নবী করিম (স) যেমন বুঝেছেন এবং সাহাবাদের যেমন বুঝিয়েছেন সেই পারফেক্ট। কারণ আল্লাহ স্বয়ং তার রাসূলকে ভুল থেকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে কোনো বক্তব্যকে আল্লাহর রাসূল (স) যেভাবে বুঝিয়েছেন তা থেকে ভিন্ন মনে হলে নিজের আন্ডারস্টেন্ডিংকে বাদ দিয়ে রাসূলের ব্যাখ্যাকে গ্রহণ করতে হবে। নির্ভরযোগ্য তফসীরকারাকগণ এই নীতি অনুসরণ করেই কোরানের তাফসীর করেছেন।
বিষয়টা পরিষ্কার করার জন্য নিচের উদাহরণগুলি দেখা যেতে পারে। সূরা কাফিরুনের শেষ আয়াত "লাকুম দীনুকুম ওআল ইয়া দীন " এর প্রচলিত অনুবাদ , "তোমার ধর্ম তোমার, আমার ধর্ম আমার" আলেমগণের মতে ঠিক নয় ! এখানে "দীন" এর অর্থ ধর্ম ভুল, সঠিক অর্থ বিচার বা হিসাব, যেমন সূরা ফাতিহার ৩ নম্বর আয়াতে মালিক ইয়াওমিদ্দীন বলতে বিচার দিবস বা হিসাব নেয়ার দিবসের মালিক বোঝানো হয়েছে। আরেকটা পরিচিত আরবি শব্দ, ওয়ালী কোরানে কোথাও বন্ধু কোথাও অভিভাবক হিসাবে ব্যবহার হয়েছে। একেও অনুবাদে ভুল করার সুযোগ রয়েছে। তেমনি ইয়াকিন শব্দও কোথাও দৃঢ় বিশ্বাস, কোথাও মৃত্যু বোঝানো হয়েছে।
এমতাবস্থায় একাধিক অনুবাদ নিয়ে তুলনা করতে গিয়ে confused হয়ে পড়লে ভালো আলেম, যারা আরবি ভাষায় ভালো দখলের সাথে কোরান, হাদিস সম্বন্ধে ভালো জ্ঞান রাখেন তাদের শরণাপন্ন হওয়া ভালো।
০৯ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৯:০৮
ঢাকার লোক বলেছেন: চ্যাটজিপিটির ইংলিশ থেকে বাংলা অনুবাদ বেশ ভালোই হয়, লক্ষ্য করেছি।
সুন্দর মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা জানবেন !
২| ০৯ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৯:৩৪
শ্রাবণধারা বলেছেন: আপনার লেখাটার প্রথম অংশটা খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে যে উদাহরণগুলো দিয়েছেন এগুলো খুব দারুন হয়েছে।
অবশ্য লেখাটা আগ্রহ নিয়ে পড়তে গিয়ে বুঝতে পারিনি যে এর পরে ধর্মগ্রন্থের প্রসঙ্গ আসবে। আপনার দেয়া উদাহরণগুলো একই শব্দ স্থান এবং পরিস্থিতি ভেদে যে ভিন্ন অর্থ বহন করে সেটার যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা প্রদান করে।
তবে শব্দের মানেও যে কালের ব্যবধানে পাল্টে যায় এবং কাজে কাজেই ধর্মগ্রন্থের বানীগুলোকেও কালের কষ্টিপাথরে বিচার করে দেখতে হয় সেটা নিশ্চয়ই আপনি মানেন না?
এই যেমন ধরেন, সামনেই যে ইদ-আল-আজহা'র কোরবানী আসছে এ প্রসঙ্গে আমরা কী ঐতিহাহিক ভাবে পালিত পশু জবাই করে সভ্য সমাজের হাসির খোরাক হিসেবেই নিজেদের রেখে দেব, না কী নিজেদের এই প্রথাটিকে কি করে সময়ের সাথে মিল রেখে পরিবর্তন করা যায় সেটা নিয়ে কিছু চিন্তা ভাবনার অবকাশ আছে?
০৯ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:১২
ঢাকার লোক বলেছেন: “ আপনার লেখাটার প্রথম অংশটা খুব ভালো লেগেছে। বিশেষ করে যে উদাহরণগুলো দিয়েছেন এগুলো খুব দারুন হয়েছে।“
আপনার এ অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ !
লেখাটা অনুবাদ নিয়ে তাই এখানে ধর্ম বিষয়ে বেশি আলোচনা করতে চাই না। কালের বিবর্তনের সাথে ধর্মীয় আচার আচরণের কিছু পরিবর্তন হচ্ছে এবং হবে, কিন্তু সে পরিবর্তন একটা নির্দিষ্ট ফ্রেমের ভিতরে থেকে হবে, ফ্রেমের বাইরে গেলে তখন আর ধর্ম থাকবে না। আমি যে বাসায় ভাড়া থাকি, যেখানে আমি সাময়িক, আমি চলে গেলে আরেকজন আসবে, সেখানে আমি আমার পছন্দ মতো জানালার পর্দা বদলাতে পারব, জানালা ভেঙে দরজা বানাতে পারবো না ! দেয়ালের রং বদলাতে হয়তো পারব, দেয়াল ভেঙে রুম বড় বা ছোট করতে পারবো না ! একসময় প্রতিবন্দি, রুগ্ন হাটতে অক্ষম লোকদের ঝুড়িতে করে মাথায় নিয়ে কাবায় তওয়াফ করা হতো, এখন wheel চেয়ার এ তারা তওয়াফ করেন, আজকাল সাফা মারওয়ার সায়ী দেখেছি এক ধরণের ইলেকট্রিক কার্ট চালিয়ে করছে ! এতটুকু অনুমোদন অবশ্যি আছে, তাই বলে তাওয়াফ বা সায়ী ৭ বারের বদলে ৬ বার করা যাবে না! পশ্চিমা দেশে থাকি বলে অফিসে যুহর আসর ওয়াক্ত মতো না পড়ে রাতে বাসায় ফিরে পড়ার নিয়ম বানানো যাবে না !
আরেকটা বিষয়, কোরবানিকে আপনি কেন হাস্যকর বলেছেন আমি বুঝতে পারিনি। বর্তমান বিশ্বে স্বীকৃত সভ্য দেশের মাঝে ইউরোপের দেশ সম্বন্ধে আমার খুব ভালো ধারণা নেই, আমেরিকা কানাডায় অসংখ্য মুসলমান প্রতি বছর কোরবানি করেন। এটা ঠিক, আমাদের দেশের মতো রাস্তা ঘাটে বা যেখানে সেখানে দশ জন মিলে গরু চেপে ধরে জবাই করেনা, স্লটার হাউসে জবাই ও প্রসেস করে। সবাই মাংস এনে নিজেরা খান, আত্মীয় বন্ধুদের মাঝে বিতরণ করেন। এ নিয়ে স্থানীয় কেউ কখনো হাসি মস্করা করেছে শুনিনি ! আমাদের দেশেও হিন্দুরা পাঁঠা বলি দেন, এ নিয়ে কেউ হাসি মস্করা করে কেউ কি দেখেছেন?
যাই হোক, অল্প কথায় লিখতে চেয়েছিলাম, তাও বড়ই হয়ে গেলো , ক্ষমা করবেন, ঈদের শুভেচ্ছা রইলো!
৩| ০৯ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:৩৯
কামাল১৮ বলেছেন: বাংলা একাডেমির আগের দিনের অনুবাদগুলো খুবই সমৃদ্ধ ছিলো।যেমন সরদার ফজলুল করিম ,কাজী মোতাহার হোসেন বা আবুল ফজল প্রখ্যাত বড় বড় সাহিত্যিকরা অনুবাদ করতো।নজরুলের ফার্সি থেকে কিছু অনুবাদ পড়েছি।
কুরবানী একটি অমানবিক প্রথা।প্রানী হত্যা করে আনন্দ পাওয়া, ভাবতেও খারাপ লাগে।
০৯ ই জুন, ২০২৪ রাত ১০:৫৫
ঢাকার লোক বলেছেন: ঠিক বলেছেন, উনারা নিজেরাও প্রত্যেকে ছিলেন প্রতিষ্ঠিত সাহিত্যিক, অনুবাদেও তার প্রতিফলন অনস্বীকার্য।
কোরবানি সম্বন্ধে আপনার ব্যাক্তিগত মত থাকতেই পারে ! জানিনা আপনি নিরামিষভোজী কিনা, সে হোন বা নাই হোন, প্রতিদিন দুনিয়াতে লক্ষ লক্ষ হাঁস মুরগি গরু ছাগল জবাই করা বা মারা হচ্ছে মানবকুলের, সে মুসলমান অমুসলমান সবার, দৈনন্দিন খাদ্য চাহিদা মেটাতে। একে কেউ তেমন অমানবিক তো বলে না ! এ যদি সহনীয় হয়, বছরে একদিন কোরবানি, সেও খাওয়াই হয়, নষ্ট বা ফেলে দেয়া হয় না, সহনীয় হতে পারে না ?
৪| ০৯ ই জুন, ২০২৪ রাত ৯:০৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অনুবাদ নিয়ে আপনার লেখাটা ভালো লাগলো। শেষের অংশে কোরআনের অনুবাদ নিয়ে আপনার কথাগুলিও তাৎপর্যপূর্ণ। পুরো পোস্টের বক্তব্যের সাথে একমত।
০৯ ই জুন, ২০২৪ রাত ১০:৫৬
ঢাকার লোক বলেছেন: আপনার এ অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ !
৫| ১০ ই জুন, ২০২৪ রাত ১২:১৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: অনুবাদ নিয়ে আপনার একান্ত ভাবনা পছন্দ হয়েছে। আমার ভাবনা প্রকাশের জন্য একটা ভিডিও ক্লিপ দিলাম। দেখেনview this link
মূল কথা হলো, অনুবাদে শাব্দিক অর্থের চাইতে এক্সপেশান কম গুরুত্বপূর্ণ না। এটা বাদ দিলে অনুবাদ হবে লবন ছাড়া পান্তা ভাতের মতো।
ইসলাম ধর্মের মূল বিষয়গুলি অপরিবর্তনীয়। মুসলমান হতে হলে এসব মানতে হবে। মুসলমান নাম ধারন করে এগুলোর পরিবর্তন নিয়ে যারা চিন্তা-ভাবনা করে, তাদের উদ্দেশ্য যে মহৎ না সেটা বুঝতে কষ্ট হয় না। এদের বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরী। আর হিপোক্রেসী দুনিয়াব্যাপি একটা বড় সমস্যা। হিপোক্রেটদেরকে ধরে ধরে হনুলুলু পাঠিয়ে দেয়া দরকার।
১০ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৭:৫০
ঢাকার লোক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনার পছন্দ হয়েছে জেনে ভালো লাগলো।
ভিডিওটি দেখলাম, লিংক দেয়ার জন্য ধন্যবাদ !
এক্সপ্রেশন - বডি ল্যাংগুয়েজ সত্যি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এগুলো একজনের বক্তব্যকে শুধু জোরদারই করেনা, দর্শক শোনায় কিছু মিস করলেও বুঝতে সাহায্য করে। একজন সাহিত্যিক ভিজুয়াল এক্সপ্রেশনকে ভাষায় রূপ দিতেই দিনক্ষণ, পারিপার্শ্বিকতা, সাপ্লিমেন্ট হিসাবে ব্যবহার করেন। অনুবাদেও এগুলো অন্তভুক্ত করে পাঠকের নিজস্ব পরিচিত পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলেই পাঠক সত্যিকার রসাস্বাদনে সক্ষম হয়।
ইসলাম সম্বন্ধে আপনার বক্তব্য সঠিক, মৌলিক বিষয়গুলো অপরিবর্তনীয়। এতে কম্প্রোমাইজ করার সুযোগ নেই।
৬| ১০ ই জুন, ২০২৪ রাত ১২:১৯
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এক্সপ্রেশান 'এক্সপেশান' হয়ে গিয়েছে। ''বানাম বুল'' বা টাইপো আমার একেবারেই না পছন্দ। ক্ষমাপ্রার্থী!!!!!
১০ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৭:৫১
ঢাকার লোক বলেছেন: টাইপোর জন্য ক্ষমা চাওয়ার কিছু ছিল না ! ভালো থাকুন, ঈদের আগাম শুভেচ্ছা !!
৭| ১০ ই জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:০৯
এম ডি মুসা বলেছেন: ভালো
১৩ ই জুন, ২০২৪ রাত ৯:৩৬
ঢাকার লোক বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালো থাকুন !
৮| ১৩ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:৪২
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: পোস্টে +
১৩ ই জুন, ২০২৪ রাত ৯:৩৬
ঢাকার লোক বলেছেন: ধন্যবাদ, ভালো থাকুন !
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই জুন, ২০২৪ সকাল ৮:৩২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
অনুবাদ নিয়ে একটি সুন্দর ও মুল্যবান ভাবনা সমৃদ্ধ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন ।
সম্প্রতি, ইন্টারনেটের উত্থান বিশেষ করে বিশিষ্ট ভাষাবিদ বিষেযজ্ঞদের মাধ্যমে গুগলে অনুবাদ পরিসেবা মুল
বিদেশী ভাষা হতে টার্গেট স্থানীয় ভাষায় অনুবাদ প্রক্রিয়া দিন কে দিন সমৃদ্ধ থেকে সমৃদ্ধ হচ্ছে । দেখা যাচ্ছে
গুগল অনুবাদ পরিসেবা এখন আগের থেকে কম উল্টাপাল্টা ফল দেখায়। তাদের এমনধারা সফলতা অব্যাহত
থাকলে খুব শীঘ্রই হয়তবা দেখা যাবে অনুবাদের সকল বিধায়ক নিয়ম যথা বিদেশী উৎস-ভাষার ব্যাকরণ, বা
বাক্যবিন্যাস, শব্দের স্তর, অন্বয়ের স্তর, শব্দার্থের স্তর , ছন্দ বা ধ্বনিঝংকারের স্তর , অলংকারের স্তর, ধ্বন্যাত্মক
শব্দাবলি , স্থান কাল পাত্রভেদে যথাযথ শব্দ প্রয়োগ, বিশিষ্ট প্রাসঙ্গিক বাগধারা প্রয়োগ , স্থানীয় সংস্কৃতি-লগ্ন
শব্দাবলি, বহুল প্রচলিত স্থানীয় পরিভাষা, ভাষার নৈকট্য জনিত প্রশ্রয় যথা পিতাজী ≠ পিতা, সমার্থক শব্দাবলি
যথা যুদ্ধ, লড়াই, সংগ্রাম শব্দগুলি তার প্রেক্ষিত অনুযায়ী অর্থের রদবদল ঘটিয়ে সে সাথে ভিন্নার্থক শব্দাবলির
প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত শব্দ-সংলগ্ন হয়ে বিভিন্ন রূপকার্থ বিন্যাস, রূপান্তরণ, অনুসরণ, অনুলিখন,
সংক্ষেপণ, প্রভৃতির সমন্বয় ঘটিয়ে শাস্ত্রীয় অনুবাদ এর মুল ধারাটি অক্ষুন্ন রেখে যে কোন বিদেশী উৎস ভাষা হতে
স্থানীয় ভাষায় একই বাক্য কিংবা বাক্কাংশের জন্য বিকল্প অনুবাদ সম্বলিত সেবা প্রদানে সক্ষমতা লাভ করবে ।
তাছাড়া সুন্দর উন্নতমানের অনুবাদের জন্য চ্যাট জিপিটি ও এআই এর মত আরো কোন উন্নত অনুবাদ সেবা
প্রযুক্তি এগিয়ে আসতে পারে আমাদের নব প্রজন্মের মেধাবীদের হাত ধরে। তাই জটিল সব অনুবাদ কর্ম সহজ
হয়ে গিয়ে অনুবাদের বিভিন্নতার বিভ্রান্তি সহজেই ঘুচাতে পারবে বলে মনে করি ।
সুন্দর মুল্যবান সময়োপযোগি পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল