![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গতকাল, ২১ শে ফেব্রুয়ারীর কালের কন্ঠে প্রকাশিত একটা প্রতিবেদনে দেশের ভূমিমালিকানা সংক্রান্ত একটি উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে।
"দেশের ৫৬ শতাংশ গ্রামীণ পরিবারের কোনো জমি নেই। ... দেশের গ্রামীণ পরিবারগুলোর শীর্ষ ১৫ শতাংশ পরিবারের দখলে রয়েছে ৬৬ শতাংশ কৃষিজমি।
ভূমিমলিকানা ব্যবস্থার এই করুণ চিত্র উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক খাদ্যনীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইএফপিআরআই) ‘ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন বাংলাদেশ : এভিডেন্স বেইসড স্ট্র্যাটেজিস ফর অ্যাডভান্সমেন্ট’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে। তথ্য ও উপাত্তভিত্তিক এই
গবেষণা প্রতিবেদনটির মতে, "চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের যথাক্রমে ৬৭.৮ ও ৬৪.৯ শতাংশ পরিবারের কোনো ভূমি নেই।
এ ছাড়া ঢাকা বিভাগের ৫৫ শতাংশ,
রংপুর ও বরিশাল বিভাগের ৫৪.৬ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগের ৫২.১ এবং খুলনা বিভাগের ৪৭ শতাংশ পরিবারের কোনো ভূমি নেই।
কৃষিজমি গুটিকয়েক পরিবারের হাতে কুক্ষিগত হচ্ছে। নিচের ২৫ শতাংশ পরিবারের কাছে মাত্র ৩.৮ শতাংশ কৃষিজমি রয়েছে। ওপরের দিকে থাকা ৫ শতাংশ পরিবারের কাছে গ্রামীণ অঞ্চলের ২৬.৪ শতাংশ, এবং পরবর্তী
১০ শতাংশ পরিবারের কাছে ৩৯.৭ শতাংশ আবাদি জমি রয়েছে। ফলে দেখা যাচ্ছে, গ্রামের শীর্ষ ১৫ শতাংশ পরিবারের কাছে দেশের গ্রামীণ এলাকার ৬৬.১ শতাংশ কৃষিজমি রয়েছে।" এ পরিসংখ্যান যে কতটা উদ্বেগজনক Statistics বা পরিসংখ্যান বিদ্যা সম্বন্ধে সামান্যতম জ্ঞান যাদের আছে তারা সহজেই অনুমান করতে পারবেন।
কালের কন্ঠের এই প্রতিবেদনে স্বাধীনতা উত্তর ভূমি মালিকানা সম্পর্কে কোন তথ্য নেই। তবে অনুমান করা যায় বিগত পঞ্চাশ বছরে দরিদ্র কৃষকের হাত থেকে অনেক জমি চলে গেছে বিত্তশালীদের হাতে যারা নিজেরা কৃষি থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন, বা গেছেন। দেশের ভূমি মালিকানার এই পরিবর্তন খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকেই।
এই অবস্থার পরিবর্তন না হলে, জমির মালিকানা কৃষকের হাত থেকে অন্যদের হাতে চলে যেতে থাকলে একটা সময় আসবে যখন শ্রেনী বিভেদ প্রকটতর হয়ে সমাজে হিংসা বিদ্বেষ বিশৃংখলার বিস্তার ঘটবে।
এর প্রতিকার কি? আন্দোলন করে
ধনীদের কাছ থেকে জমি ছিনিয়ে নেয়া বা বলপূর্বক কিনে নিয়ে দরিদ্র কৃষককে দিয়ে দেয়া কোন সমাধান হতে পারে না।
জমি বিক্রি রোধ করতে চাষিদের উৎপাদিত পন্যের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে। পরিবহন সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, ঋণের সহজলভ্যতা, প্রযুক্তি ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, কৃষি উপকরণের সহজলভ্যতা এবং কৃষককে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরো দক্ষ করে তুলতে পারলে দরিদ্র কৃষকের জমি বিক্রি কমানোর সম্ভব।
আশা করি যারা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ তারা এ সম্বন্ধে ভাববেন, কার্যকর কোন উপায় খুঁজে বের করবেন । ভুমিমালিকানা পরিবর্তনের এই প্রবণতার রাশ টানতে হবে এবং সে এখনই।
২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৩৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধনীরা সব জমি কিনে ফেলে রেখেছে।
৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ২:৫৩
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সবাই সাড়ে তিন ইঞ্চি জমি চাষ করিতে চায়।
৪| ০৯ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: অত্যন্ত ভয়াবহ এবং উদ্বেগজনক পরিস্থিতি!
এ সমস্যার প্রতি আশু নজর দিতে হবে। প্রতিকারের কিছু পন্থা আপনি বলে দিয়েছেন, যা ইঙ্গিত মাত্র। এ নিয়ে বিশদ গবেষণা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। কিন্তু এখন দেশের যা পরিস্থিতি, কে করবে সেটা?
কৃষি সমবায়কে উৎসাহিত করতে হবে এবং সেখানে সৎ নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সকাল ৮:০১
কামাল১৮ বলেছেন: কৃষি জমির সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দেয়া সরকারের দায়িত্ব।সেটা হতে পারে ৫০ থেকে একশ বিঘার মধ্যে।এবং কৃষি জমি বিক্রি বন্ধ করে দেয়া।অথবা জমির সমবায় ব্যবস্থা চালু করা।