নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মুহাম্মদ এনামুল হক আপনাদেরই লোক

ঢাকার লোক

বাংলা ভালোবাসি

ঢাকার লোক › বিস্তারিত পোস্টঃ

মসজিদে নববীতে ৪০ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার বিশেষ ফজিলত সম্পর্কে

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:১৮

শ্রদ্ধেয় সহব্লগার জনাব খাইরুল আহসান ভাইয়ের হজ পালনের লেখাগুলো পড়ে একটা বিষয় নিয়ে জানার ইচ্ছে হতে এ লেখার সূচনা। মদিনায় মসজিদে নববীতে ৪০ ওয়াক্ত নামাজ কোনো ওয়াক্ত মিস না করে পড়লে সে জাহান্নাম থেকে নিরাপদ, শাস্তি থেকে মুক্ত এবং মুনাফেকি থেকে মুক্ত, এ সম্পর্কে প্রকৃত সত্য জানতে Islamqa.info সার্চ করে যা পেলাম তার বাংলা অনুবাদ নিচে দিলাম। এ প্রসঙ্গে আরো একটা বিষয় স্পষ্ট হওয়া দরকার বলে আমি মনে করি। মদিনায় মসজিদে নববীতে নামাজ পড়ার বিশেষ সওয়াব সহী হাদিস দ্বারা প্রমাণিত, এক মক্কার মসজিদুল হারাম বাদে বিশ্বের অন্য যে কোনো মসজিদে পড়ার চেয়ে বেশি। এবং আল্লাহর রাসূল (স) যে তিনটি মসজিদ দেখতে যেতে ভ্রমণ অনুমোদন করেছেন এই মসজিদ তার অন্যতম। অন্য দুটি, মক্কার মাসজিদুল হারাম ও জেরুজালেমের মসজিদ আল আকসা। তবে মসজিদে নববীতে নামাজ পড়া বা রসূলুল্লাহ (স) কবর জিয়ারত করা, হজ বা উমরার শর্ত নয়; কেউ মক্কায় হজ বা উমরার আনুষঙ্গিকতা সম্পূর্ণ কবলেই হজ বা উমরা হয়ে যাবে, মদিনা না গেলেও।

" প্রশ্ন: ৩৪৭৫২
আমি শুনেছি যে, যে কেউ মদিনায় নবীর মসজিদে চল্লিশ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে, সে মুনাফেকি থেকে মুক্ত। এ হাদিস কি সহীহ?

উত্তর
আল্লাহ্‌র প্রশংসা এবং আল্লাহ্‌র রাসূলের প্রতি শান্তি ও দোআ বর্ষিত হোক।

এই হাদিসটি ইমাম আহমদ (১২১৭৩) আনাস ইবনে মালিক (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
“যে আমার মসজিদে চল্লিশ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে, কোনো নামাজ বাদ না দিয়ে, সে জাহান্নাম থেকে নিরাপদ, শাস্তি থেকে মুক্ত এবং মুনাফেকি থেকে মুক্ত।”
কিন্তু এ হাদিসটি দুর্বল (দাঈফ)।

এটি শাইখ আলবানী তাঁর আল-সিলসিলাহ আল-দাঈফাহ (৩৬৪) গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন: এটি দুর্বল। তিনি দাঈফ আত-তারগীব (৭৫৫)-এও উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন এটি “মুনকার” (দুর্বল হাদিসের একটি ধরন)।

শাইখ আলবানী তাঁর হুজ্জাতুন্নবী (পৃষ্ঠা ১৮৫)-এ বলেছেন: মদীনায় গিয়ে এভাবে মানুষকে বলা যে, সেখানে এক সপ্তাহ অবস্থান করতে হবে যেন চল্লিশ ওয়াক্ত নামাজ পড়া যায় এবং এভাবে মুনাফেকি ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ করা যায়—এটি একটি বিদআত।

শাইখ ইবনে বাজ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেছেন:
মদীনার যিয়ারতে গিয়ে আট দিন অবস্থান করা উচিত যাতে চল্লিশ ওয়াক্ত নামাজ পড়া যায়—এ প্রচলিত ধারণাটি ভুল। যদিও কিছু হাদিসে এসেছে: “যে সেখানে চল্লিশ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ্ তাকে জাহান্নাম থেকে নিরাপদ এবং মুনাফেকি থেকে মুক্ত করে দেবেন”—কিন্তু এ হাদিসটি আলেমদের মতে দুর্বল এবং এর উপর নির্ভর করা বৈধ নয়। নবীর মসজিদে যিয়ারতের জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই। কেউ যদি এক-দুই ঘণ্টা, এক-দুই দিন বা এর বেশি সময় অবস্থান করেন—তাতে কোনো অসুবিধা নেই।

(ফাতাওয়া ইবনে বাজ, ১৭/৪০৬)

এই দুর্বল হাদিসের বদলে আমরা সহীহ বা হাসান হাদিসের দিকে নজর দেব। আল-তিরমিজি (২৪১)-তে একটি হাসান হাদিস এসেছে, যেখানে নামাজে তাকবিরে উলার (প্রথম তাকবির) জন্য জামাতে উপস্থিত থাকার ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। আনাস ইবনে মালিক (রাদিয়াল্লাহু আনহু) বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন জামাতে নামাজ পড়বে এবং সবসময় প্রথম তাকবিরে উলায় উপস্থিত থাকবে, সে দুই জিনিস থেকে নিরাপদ থাকবে: জাহান্নাম থেকে এবং মুনাফেকি থেকে।”
এ হাদিসকে শাইখ আলবানী সহীহ আত-তিরমিজি (হাদিস নং ২০০)-তে হাসান হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছেন।

এ হাদিসের ফজিলত সাধারণ এবং এটি বিশ্বের যে কোনো স্থানে জামাতে নামাজের জন্য প্রযোজ্য। এটি শুধু মসজিদুল হারাম [মক্কা] বা মসজিদে নববী [মদীনা]-এর জন্য সীমাবদ্ধ নয়।

অতএব, যে কেউ নিয়মিত চল্লিশ দিন জামাতে নামাজ আদায় করবে এবং প্রথম তাকবিরে উলার জন্য উপস্থিত থাকবে, সে জাহান্নাম ও মুনাফেকি থেকে নিরাপদ থাকবে—হোক তা মদীনায়, মক্কায় বা অন্য কোনো স্থানের মসজিদে।" (সূত্র:Islamqa.info)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৫২

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



মনে হয়, ব্লগার খায়রুল আহসান সাহেব ১ম বাংগালী যিনি হজ্ব করেছেন। উনার জীবনের সবচেয়ে বড় গল্প হচ্ছে হজ্বের গল্প।

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৫৪

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



আপনি কি ইতিমধ্যে "মুনাফিকি" থেকে মুক্তি পেয়েছেন; নাকি এখনো মুনাফিকি করছেন?

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৯

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পড়লাম ।

৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৪১

নতুন নকিব বলেছেন:



৪০ ওয়াক্ত নামাজের বিশেষ ফজিলত সম্পর্কে কোনো সহিহ হাদিসে উল্লেখ নেই। তবে, মসজিদে নববীতে নামাজ আদায়ের সাধারণ ফজিলত সহিহ হাদিসে স্পষ্টভাবে বর্ণিত আছে। প্রধান ফজিলত হলো:

মসজিদে নববীতে একটি নামাজ আদায় করলে অন্য মসজিদে (মসজিদুল হারাম ব্যতীত) ১,০০০ নামাজের সমান সওয়াব পাওয়া যায়।

দলিল:

১. সহিহ বুখারী (হাদিস নং: ১১৯০): আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: “আমার এই মসজিদে [মসজিদে নববীতে] একটি নামাজ অন্য মসজিদে ১,০০০ নামাজের চেয়ে উত্তম, মসজিদুল হারাম ব্যতীত।”

২. সহিহ মুসলিম (হাদিস নং: ১৩৯৪): একই অর্থের হাদিস।

৩. মুসনাদ আহমাদ (হাদিস নং: ১৫৬৮৫): মসজিদুল হারামে একটি নামাজ ১,০০,০০০ গুণ এবং মসজিদে নববীতে ১,০০০ গুণ সওয়াবের। এই হাদিসটি সহিহ বলে গ্রেড করা হয়েছে।

মূল কথা: ৪০ ওয়াক্ত নামাজের বিশেষ ফজিলত সম্পর্কে কোনো সহিহ দলিল না থাকলেও প্রচলিত রীতি হিসেবে অনেকেই মদিনায় ৮ দিন অবস্থান করে মসজিদে নববীতে ইবাদত বন্দেগী করে থাকেন। সম্ভবত, তারা উপরোক্ত সহিহ হাদিসে বর্ণিত ১,০০০ গুণ সওয়াবের ফজিলতের উপর ভিত্তি করেই এটি করে থাকেন। অতএব, মসজিদে নববীতে নামাজ আদায় করলে সহিহ হাদিসে বর্ণিত ১,০০০ গুণ সওয়াব অবশ্যই পাওয়া যাবে। সুতরাং, মদিনাতুল মুনাওওয়ারায় হজ এবং উমরাহ সফরকারীগণের ন্যূনতম ৮ দিন অবস্থানের বিষয়টি এই দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অন্যদিকে, প্রিয় নবীজী সাইয়্যিদুল মুরসালীন সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রিয় শহর মদিনাতুল মুনাওওয়ারায় অন্ততঃ কয়েকটি দিন অতিবাহিত করতে পারা প্রত্যেক হাজি সাহেবান নিজেদের জন্য সৌভাগ্যের প্রতীক মনে করেন।

৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:১১

রাজীব নুর বলেছেন: গার্বেজ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.