![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজকে দীপাবলি। হিন্দুদের এই উৎসবটি মূলত প্রয়াত পুরুষদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে প্রদীপ জ্বেলে এবং কলার খোলার নৌকায় প্রদীপ জ্বেলে নদী বা জলাশয়ে ভাসিয়ে উদযাপন হয়। প্রথা অনুযায়ী বিভিন্ন এলাকায় উৎসবটির রূপের বিভিন্নতা আছে।
একই সাথে, পরিবার এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে যাঁরা গুরুজন স্থানীয়, তাঁদের পায়ের সামনে প্রদীপ রেখে প্রণাম করে আশীর্বাদ নেয় বাড়ির ছেলে মেয়েরা। উদ্দেশ্য, তাঁদের সম্মান জানানো।
আরো একটা দিক আছে এই দীপাবলির। এটা সহস্র প্রদীপ জ্বেলে অন্ধকার দূর করার প্রতীকি উৎসব।
এ দিনে কালী পুজো দেবার রীতিও আছে তাই অনেক এলাকায় এটা শুধু কালী পুজার দিন বলেই পরিচিত। কালী শক্তির দেবী, দূর্গার অন্য এক রূপ। যুদ্ধংদেহী, হিংস্র। কালী অসুর নিধন করেই ক্ষান্ত হয়নি, তাদের কাটা মুণ্ডু দিয়ে মালা গেঁথে গলায় পরেছে। অসুরের কাটা হাত দিয়ে তৈরী তার নিম্নাঙ্গের বসন। যুদ্ধ করতে করতে রক্ত লালসায় উন্মত্ত হয়ে কালীর জিঘাংসার মুখে যখন রাক্ষস জাতি শুদ্ধ ধ্বংসোন্মুখ, তখন রাক্ষসেরা দল বেঁধে গিয়ে পড়ে শিবের পায়ে। তাদের রক্ষার দাবী জানায়।
শিবের মন গলে। যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হয়ে ত্রিশুলপাণি* দেখতে পান কালী তখন যুদ্ধোন্মত্ত, তার অন্য কোন খেয়াল নেই। শিব তখন অনন্যোপায় হয়ে শুয়ে পড়েন কালীর পথে। কালী ভুল করে তার স্বামীর বুকে পা দিয়ে ফেলে। তাই লজ্জায় জিহ্বায় কামড় দেয়। এই দৃশ্যটাই কালীর সাধারণ মূর্তি।
কালীর বা শক্তির সাধকদের বলে শাক্ত। তন্ত্র সাধনায়ও কালীর স্থান বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কালীর শুধু যুদ্ধংদেহী চেহারাই আছে তা নয়, তার ভক্তদের কাছে কালী দয়াময়ী দেবী।
কালী-ভক্তি বিষয়ক গানগুলো শ্যামাসঙ্গীত নামে পরিচিত। যে অন্য কোন শ্যামাসঙ্গীতই শোনেনি সে নিদেনপক্ষে "আমার সাধ না মিটিলো/ আশা না পুরিলো" শুনেছে। বাঙালী শ্রোতার কাছে পান্নালাল ভট্টাচার্যের কণ্ঠে শ্যামাসঙ্গীতগুলো এখনো জনপ্রিয়।
[ https://www.youtube.com/watch?v=7GHfwgYzZEc ]
এবং, বাঙালী অন্য আরেকটা সত্য জানে কিন্তু প্রকাশ্যে স্বীকার করতে চায় না, সেটা হলো: অনেকগুলো শ্যামাসঙ্গীত কাজী নজরুল ইসলামের লেখা। উদাহরণ:
শ্যামাসঙ্গীত, কাজী নজরুল ইসলাম
রাগ: মিশ্র আশাবরী
তাল: দাদরা
আমার কালো মেয়ের পায়ের তলায়/ দেখে যা আলোর নাচন।
মায়ের রূপ দেখে দেয় বুক পেতে শিব/ যার হাতে মরণ বাঁচন।।
আমার কালো মেয়ের আঁধার কোলে/ শিশু রবি-শশী দোলে;
(মায়ের) একটুখানি রূপের ঝলক/ ঐ স্নিগ্ধ বিরাট নীল-গগন।।
পাগলী মেয়ে এলোকেশী/ নিশীথিনীর দুলিয়ে কেশ,
নেচে বেড়ায় দিনের চিতায়/ লীলার রে তা'র নাইকো শেষ।।
সিন্ধুতে ঐ বিন্দু খানিক/ (তার) ঠিকরে পড়ে রূপের মানিক;
বিশ্বে মায়ের রূপ ধরে না---/ মা আমার তাই দিগ্ বসন।।
সবাইকে দীপাবলী এবং কালীপুজোর শুভেচ্ছা।
______
*ত্রিশুলপাণি - যার হাতে ত্রিশুল (trident) থাকে। বা ত্রিশুল যার অস্ত্র। শিবের অন্য নাম।
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬
ধীবর চন্দন বলেছেন: পৃথিবীর সবার জীবনেই শান্তি এবং সৌহার্দ্য বিরাজ করুক! শুভকামনা আপনাকেও!
২| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:২৬
জাহিদ অনিক বলেছেন:
পৃথিবীর কেউ ভালতো বাসেনা
এ পৃথিবী ভাল বাসিতে জানেনা
অনেকদিন পরে শুনলাম। কতদিন জানি না।
ধন্যবাদ
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬
ধীবর চন্দন বলেছেন: গানটার মধ্যে অনেক আবেগ বাঁধা আছে। শুভেচ্ছা নিন!
৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:৪৬
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: অন্ধকার হয়ে উঠুক আলোকোজ্জ্বল।
শুভকামনা রইলো
২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৫
ধীবর চন্দন বলেছেন: অন্ধকারের বিরুদ্ধেই আমার জীবন দীপ্ত হোক! আপনার জন্যেও নিরন্তর শুভকামনা!
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০৮
চাঁদগাজী বলেছেন:
সনাতনীদের মনে শান্তি আসুক, শুভ-কামনা