![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আপনি মানুষটা কেমন? কেউ যখন আমাকে জিজ্ঞেস করে –
আমি বলি আমি অর্ধেক ভাল অর্ধেক খারাপ। সেটা কেমন, একটু ঝেড়ে কাশি - আমি অর্ধেক ভাল মানে আমি কারোর অনিষ্ঠ করিনা, কারোর হক নষ্ট করিনা, কারোর মনে ব্যাথা দিইনা সর্বপরি কারোর মাথায় কাঁঠাল ভাঙ্গি না। কিন্তু কেউ আমারে ধোকা দিলে, অনিষ্ঠ করলে বা আমার হক হরন করলে আমি তাকে কমে ছাড়িনা। এক কথায় আমার উপর সুবিধা নিতে চাইলে আমি সেটা প্রতিরোধ করি। যারা আমার কাছ থেকে সুবিধা নিতে পারে না, তারা আমার নামে দুর্নাম রটায়, আমাকে খারাপ ভাবে দেখে এবং তা অবলিলায় প্রচার করে। আর সেই অর্থে আমি অর্ধেক খারাপ।
মানুষ আপনার কাছথেকে সুবিধা হাসিল করতে না পারলে আপনার নামে কটুক্তি করতে, আপনার নামে বদনাম ছড়াতে এতটুকু দ্বিধাবোধ করবে না। সমাজে অনেক মানুষ আছে যাদেরকে আমরা নির্জল্য ভদ্রলোক বা ভালমানুষ বলি। তারা কারোর অনিষ্ঠ করে না, আবার কেউ তাদের উপর অনিষ্ঠ করলে, তারা হয়ত অনুভব করে কিন্তু মুখফুটে কিছু বলতে পারেনা বা প্রতিরোধ করার সাহস পায় না। আমরা তাদের বলি নিরেট ভাললোক। এই ধররেন ভাললোক হওয়ার ইচ্ছা আমার মোটেও করেনা, তাই আমি অর্ধেক খারাপ।
যদি কোন মানুষ এমন হয় যে সে কোন অন্যায় করেনা আবার কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ বা প্রতিরোধও করেনা - অনেকটা গা বাচিঁয়ে চলার মত, এই ধরনের ভালমানুষ আমি হতে চাই না। আমার মনে হয়, অন্যায়ের প্রতিবাদ বা প্রতিরোদ করতে গেলে বা কোন ভালকাজ করতে গেলে অথবা নিদেনপক্ষে কারোর উপকার করতে গেলে কিছু বঞ্চনা, কিছু ভৎসনা ঘাড়ে নিতে হয় - এটা ধ্রুব সত্য। আপনি একটা ভাল কাজ করবেন আর আপনার কোন বদনাম হবে না, এদুটো জিনিষ একসঙ্গে যায় না। দেখবেন কোন ত্রুটি বা দুর্বলতা না পেলেও একদল তাচ্ছিলেয়ের সুরে বলবে “হিহ্, বাড়ীর খেয়ে বনের মহিষ তাড়াচ্ছে”। সে কারনে সবসময় সব ভাল কাজে কিছু মানুষের কাছে আপনি খারাপ হবেন। সুতারাং আমার কাছে মনে হয় এই অর্ধেক ভাল আর অর্ধেক খারপ হয়ে থাকাটা অনেকটা Better.
একদিকে আপনি অন্যায় করলেন না এতেকরে আপনি নিজের কাছে এবং আরো অনেকের কাছে ভাল থাকলেন, সেইসাথে অন্যদিকে কারোর অন্যায় কে প্রতিরোধ করলেন – দেখবেন সেই অন্যায়কারী এবং তার দোসরদের কাছে আপনি খারাপ হয়ে গেলেন। গাধারা অন্যায় করেনা আবার তাদের উপর অন্যায় আচারন (অতিরিক্ত বোঝা চাপালেও) করলেও প্রতিবাদ করে না, কিন্তু আমরা তো মানুষ। আমাদের সমাজে অন্যায় সইতে সইতে এবং দেখতে দেখতে আমাদের কাছে অন্যায়ের সংজ্ঞাটাই change হয়ে গেছে। কোন বদলোক কারোর কাছথেকে টাকা ধার নিয়ে সেটা মেরে দিলে বা তাল-বাহানা করলে আমরা তাকে বলি ব্যাটা বিরাট বুদ্ধিমান বা চালাক। আবার কেউ কুড়িয়ে পাওয়া টাকা তার মালিককে ফিরিয়ে দিলে আমার তাকে বলি বোকার হদ্দ – সত্যবাদি যুধিষ্টীর (নানা ভৎসনা)। আমার কাছে যে মানুষটা অন্যের টাকা কুড়িয়ে পেয়ে ফিরিয়ে দিল তাকে বেশি বুদ্ধিমান বা বিবেচক মনে হয়। এক্ষেতে সে অনেকগুলো বিষয় বিবেচনায় আনে –
১। টাকাটা নিয়ে হজম করবে কিভাবে।
২। মানুষ জানলে সমাজে মুখ দেখাবে কিভাবে।
৩। সন্তান-সন্ততি পরিবারের কাছে কত ছোট হতে হবে তাকে।
৪। খোদার কাছে কি জবাব দেবে।
৫। এ টাকা তো তার না।
৬। সর্বপরি থানা-পুলিশ সামলাবে কিভাবে।
দেখুন, এতগুলো বিষয় যে মাথায় এনে, চিন্তা-বিশ্লেষন করে finally decision নেয় টাকাটা তার মালিককে ফেরত দেওয়ার, তাকে আমরা বলি বোকা। আর যে টাকাটা আগ-পাছ কিছু না ভেবে এদিক ওদিক তাকিয়ে গাটিতে ভরে, তাকে আমরা বলছি বিরাট চালাক।
কোন চাকুরীতে কম বা মোটেও কাজ (সাধারনতঃ সরকারী চাকুরী) করতে না হলে আমরা সেটাকে বলছি আহা কি ভাল চাকুরী। কাজ করতে না হলে সেটা ভাল জব আর বেশি কাজ করতে হলে সেটা খারাপ জব। আমরা একদম ভাবি না যে কম কাজের বা কোন কাজ না করার জবে দক্ষতা দিন দিন শুন্যের কোঠায় নামে, বছর শেষে ক্যরিয়ারে কিছুই যোগ হয় না। আরো অনেক উদহারণ আছে – নেগেটিভটা দেখতে দেখতে সেটাই এখন পজেটিভ হয়ে গেছে। তবে দিন বদলাবে সে ভরসা আমার আছে।
এ লেখাটা সম্পুর্ণ আমার নিজের আত্ব-বিশ্লেষন, কারোর উপদেশ দেওয়ার উদ্দেশ্যে নয়। - ধন্যবাদ।
২| ২৬ শে মে, ২০২০ সকাল ৯:৫২
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আপনি একটা ভাল কাজ করবেন আর আপনার কোন বদনাম হবে না, এদুটো জিনিষ একসঙ্গে যায় না।
............................................................................................................................................
বিষয়টি আপেক্ষিক,তারপরও বলব আমাদের সমাজে প্রযোজ্য, সবখানে নয় ।
৩| ২৬ শে মে, ২০২০ দুপুর ১২:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: যা লিখেছেন, একদম ঠিক লিখেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে মে, ২০২০ ভোর ৪:১৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: অর্ধেক খারাপ ,অর্ধেক ভালো । কোনটা খারাপ কোনটা ভালো বলা মুশকিল ।