![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অলিম্পিকে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ১৯৮৪ সাল থেকে। নবমবারের মত এবারের অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করছে বাংলাদেশ। এই দীর্ঘসফরে বাংলাদেরশের নেই কোন বিশেষ অর্জন কিংবা সুখ স্মৃতি। প্রতিবারই ওয়াইল্ড কার্ড কোটায় অংশগ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। ওয়াইল্ড কার্ড হল কোন খেলোয়াড় বা দলের জন্য বিশেষ কোটা; যারা সরাসরিভাবে মূল খেলায় কোয়ালিফাই করেনি। অনেকটা প্লে-অফ খেলার মতই।
২০১৬ অলিম্পিক বাংলাদেশের জন্য বিশেষ গুরুত্ববহ। বাংলাদেশ প্রথমবারের মত অলিম্পিকের মত বিশ্ব প্রতিযোগিতায় সরাসরি অংশ গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। এবং শেষ পর্বের মশাল যাত্রায় মশাল বহন করবেন একমাত্র বাংলাদেশী নোবেল বিজয়ী ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস।
আগামীকাল ৫ আগস্ট, পর্দা উঠছে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক অলিম্পিয়াড ২০১৬ এর। এবারের অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হচ্ছে ব্রাজিলের “রিও-ডি-জেনেরিও” তে। এটি রিও ২০১৬ নামেও পরিচিত। রেকর্ড সংখ্যক ২০৬ টি দেশের ১০,৫০০ এরও বেশী প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করছে এই আসরে। প্রথমবারের মত অংশ নিচ্ছে কসভো এবং দক্ষিণ সুদান।
প্রথমবারের মত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার কোন দেশে। এই বিশাল আয়োজনের উদ্বোধনী এবং সমাপনি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে ৭৪,৭৩৮ জন দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন মারাকানা স্টেডিয়ামে। একই স্টেডিয়ামে ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবারের অলিম্পিকের ফুটবল ফাইনাল ম্যাচও এখানেই অনুষ্ঠিত হবে।
অলিম্পিক গেমসের জন্মস্থল গ্রিসের অলিম্পিয়া নগরীতে ২১ এপ্রিল, অলিম্পিকের মশাল জ্বালানো হয়। এরপর ২৭ এপ্রিল এটি ব্রাজিলিয়ান সংস্থার নিকট হস্তান্তর করা হয়। পরে এটি সুইজারল্যান্ডের অলিম্পিক হেডকোয়ার্টার ও অলিম্পিক মিউজিয়াম ঘুরে আসে। ব্রাজিল আয়োজনের মশাল রীলে শুরু হয় ৩রা মে, রাজধানী ব্রাসিলিয়া থেকে। ব্রাজিলের ২৬ টি স্টেটের রাজধানীসহ ৩০০’শর বেশী শহর ঘুরে উদ্বোধনী শহর রিও ডি জেনেরিও” তে আসবে ৫ আগস্ট।
ড. ইউনূস ৪ আগস্ট রিও-তে অলিম্পিক মশাল যাত্রার শেষ পর্বে মশাল বহন করবেন। একই দিন রিওতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সভায় ভাষণ দেবেন তিনি। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যগুলো অর্জনে পৃথিবীর নতুন কল্পচিত্র নিয়ে বক্তব্য রাখবেন মুহাম্মদ ইউনূস। সামাজিক ব্যবসা সৃষ্টির মাধ্যমে পৃথিবীব্যাপী মানুষের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সব অনুষ্ঠান, ভেন্যু ও সংগঠন যেন উদ্যোগ নেয় এ ব্যাপারেও আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির একযোগে কাজ করবেন।
সম্পুর্ণ নিজ যোগ্যতায় প্রথমবারের মত বাংলাদেশী হিসেবে অলিম্পিকে সরাসরি অংশগ্রহণ করছেন দেশসেরা গলফার সিদ্দিকুর রহমান। আন্তর্জাতিক গলফ ফেডারাশনের তালিকায় টপ ৬০ এ জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। এটিই তার জন্য অলিম্পিকের মত বিশ্ব আসরে খেলার সুবর্ণ সুযোগ করে দেয়। পুরো দেশ তাকিয়ে থাকবে এই পরিশ্রমী ও ভাগ্যবান নাগরিকের দিকে।
রিও ২০১৬ তে, বাংলাদেশের হয়ে ৫ টি ইভেন্টে মোট ৭ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করছে। এদের মাঝে ১০০ মিটার দৌড়ে দু’জন, সাঁতারে দু’জন, শুটিং এ দু’জন এবং গলফে ১ জন।
রিও অলিম্পিকে ২৮টি খেলার ৪১ টি ভিন্ন ভিন্ন ডিসিপ্লিনের ৩০৬ টি ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। ফুটবল ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২০ আগস্ট। ২১ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত হবে ২০১৬ অলিম্পিক।
পরবর্তি অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হবে ২০২০ সালে জাপানের রাজধানী টোকিও তে।
২| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:০৭
অশ্রুকারিগর বলেছেন: মনোসংযোগ ধরে রাখতে না পারাটাই একমাত্র সমস্যা সিদ্দিকের। স্কিলের দিক দিয়ে উনি বিশ্বের সেরা গলফারের সাথে লড়াই করার যোগ্যতা রাখে। দেখা যাক, অলিম্পিকে কি করেন। যাওয়ার আগে তো মনোবিদের কাছ থেকে পরামর্শ নিলেন। কি ফল আনেন সেটা দেখার আগে উনাকে অভিনন্দন জানাই বাংলাদেশের প্রথম ক্রীড়াবিদ হিসেবে সরাসরি অলিম্পিকে সুযোগ পাওয়ার জন্যে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:০২
চাঁদগাজী বলেছেন:
ভালো