নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধূর্ত উঁই

প্রেম মহৎ যদি তা বিশুদ্ধ থাকে

ধূর্ত উঁই

এজগতে যা কিছু আছে চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।

ধূর্ত উঁই › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুন্দরবন বাঁচাও

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩



নামকরণ

বাংলায় "সুন্দরবন"-এর আক্ষরিক অর্থ "সুন্দর জঙ্গল" বা "সুন্দর বনভূমি"। সুন্দরী গাছ থেকে সুন্দরবনের নামকরণ হয়ে থাকতে পারে, যা সেখানে প্রচুর জন্মায়। অন্যান্য সম্ভাব্য ব্যাখ্যা এরকম হতে পারে যে, এর নামকরণ হয়তো হয়েছে "সমুদ্র বন" বা "চন্দ্র-বান্ধে (বাঁধে)" (প্রাচীন আদিবাসী) থেকে। তবে সাধারণভাবে ধরে নেয়া হয় যে সুন্দরী গাছ গাছ থেকেই সুন্দরবনের নামকরণ হয়েছে ।



প্রকৃতপক্ষে সুন্দরবনের আয়তন হওয়ার কথা ছিলো প্রায় ১৬,৭০০ বর্গ কি.মি. (২০০ বছর আগের হিসাবে)। কমতে কমতে এর বর্তমান আয়তন হয়েছে পূর্বের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের সমান। বর্তমানে মোট ভূমির আয়তন ৪,১৪৩ বর্গ কি.মি. (বালুতট ৪২ বর্গ কি.মি. -এর আয়তনসহ) এবং নদী, খাঁড়ি ও খালসহ বাকি জলধারার আয়তন ১,৮৭৪ বর্গ কি.মি. । সুন্দরবনের নদীগুলো নোনা পানি ও মিঠা পানি মিলন স্থান। সুতরাং গঙ্গা থেকে আসা নদীর মিঠা পানির, বঙ্গপোসাগরের নোনা পানি হয়ে ওঠার মধ্যবর্তী স্থান হলো এ এলাকাটি। এটি সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী অঞ্চল জুড়ে রয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে সুন্দরবন অবস্থিত ।

উদ্ভিদঃ-

সুন্দরবনের প্রধান বনজ বৈচিত্রের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সুন্দরী (Heritiera fomes), গেওয়া (Excoecaria agallocha), গরান (Ceriops decandra) এবং কেওড়া (Sonneratia apetala) । ১৯০৩ সালে প্রকাশিত প্রেইন এর হিসেব মতে সর্বমোট ২৪৫টি শ্রেণী এবং ৩৩৪টি প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে সেখানে ।

প্রাণী:-

সুন্দরবনের বাস্তুসংস্থান মৌলিক প্রকৃতির এবং যা বন্য প্রাণীর বিশাল আবসস্থল। বন্য প্রাণীর সংখ্যা এবং এর লালনক্ষেত্রের উপর মানুষের সম্পদ সংগ্রহ ও বন ব্যবস্থাপনার প্রভাব অনেক। কচ্ছপ এবং , গিরগিটি ও , অজগর এবং রয়েল বেঙ্গল টাইগার (Panthera tigris tigris) সুন্দরবনের স্থানীয় প্রজাতিগুলোর মধ্যে অন্যতম।



এদের মধ্যে কিছু প্রজাতি সংরক্ষিত, বিশেষ করে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, ১৯৭৩ (P.O. 23 of 1973) দ্বারা। বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ , মহিষ , গন্ডারএবং কুমিরের এর মত কিছু কিছু প্রজাতি সুন্দরবনে বিরল হয়ে উঠেছে ২১ শতকের শুরু থেকে।



মৎস্য সম্পদ:-

সুন্দরবনের অধিবাসীদের অন্যতম জীবিকা নদীতে মাছধরা।

সুন্দরবনের সামগ্রিক মাছের ওপর পূর্বাপর কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণা হয়নি। ফলে মাছের বর্তমান অবস্থা, বিলুপ্ত মাছ, বিলুপ্তপ্রায় মাছের ওপর উপাত্তনির্ভর তথ্য পাওয়া যায় না। শুধু, মানুষ যেসব মাছ খায় এবং যেসব মাছ রপ্তানি উপযোগী, সেসব মাছ চিহ্নিত করা হয়েছে। ধারণা করা হয়, সুন্দরবনে শিরদাঁড়াওয়ালা মাছ রয়েছে প্রায় ৩০০ প্রজাতির। সাইডেনস্টিকার ও হাই-এর (পরিপ্রেক্ষিত ১৯৭৮) মতে, এর মধ্যে বাণিজ্যিক মাছ ১২০ প্রজাতির; অবশ্য বার্নাকসেকের মতে, (২০০০) বাণিজ্যিক মাছ ৮৪ প্রজাতির, কাঁকড়া-চিংড়ি ১২ প্রজাতির ও ৯ প্রজাতির শামুক রয়েছে

অর্থনীতি:-

সুন্দরবনের জনসংখ্যা ৪ মিলিয়নের বেশি[১৮] কিন্তু এর বেশির ভাগই স্থায়ী জনসংখ্যা নয়।



বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনীতিতে যেমন, ঠিক তেমনি জাতীয় অর্থনীতিতেও সুন্দরবনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এটি দেশের বনজ সম্পদের একক বৃহত্তম উৎস। এই বন কাঠের উপর নির্ভরশীল শিল্পে কাঁচামাল জোগান দেয়। এছাড়াও কাঠ, জ্বালানী ও মন্ডের মত প্রথাগত বনজ সম্পদের পাশাপাশি এ বন থেকে নিয়মিত ব্যাপকভাবে আহরণ করা হয় ঘর ছাওয়ার পাতা, মধু, মৌচাকের মোম, মাছ, কাঁকড়া এবং শামুক-ঝিনুক। বৃক্ষপূর্ণ সুন্দরবনের এই ভূমি একই সাথে প্রয়োজনীয় আবাসস্থল, পুষ্টি উৎপাদক, পানি বিশুদ্ধকারক, পলি সঞ্চয়কারী, ঝড় প্রতিরোধক, উপকূল স্থিতিকারী, শক্তি সম্পদের আধার এবং পর্যটন কেন্দ্র



রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প চুক্তি বাতিল কর, সুন্দরবন রক্ষা কর



গত ২০ এপ্রিল সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে সুন্দরবন বিধ্বংসী রামপাল কয়লা তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ), বাস্তবায়ন চুক্তি (আইএ), যৌথ উদ্যোগ চুক্তির সম্পূরক (এসজেভিএ) স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে মূলত বিজয় হল ভারতীয় পুঁজির করপোরেট আগ্রাসনের, বিজয় হল ভারতীয় আধিপত্যবাদ আর লুণ্ঠনের আর হেরে গেল এই অসম চুক্তির আয়োজনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ করে আসা নানান মহল ।





একটা দেশের প্রাকৃতিক বৈষম্য টিকিয়ে রাখার জন্য শতকরা ২৫ ভাগ বনভূমি আবশ্যক।সেখানে বাংলাদেশে আছে মাত্র ৯ ভাগ। দেশের স্বাভাবিক জলবায়ু বিদ্যমান রাখার জন্য বনায়ন কর্মসূচী যেখানে অবশ্যম্ভাবী হয়ে ওঠেছে সেখানে সুন্দরবন ধ্বংস করা একটা আত্ন ঘাতি সিদ্ধান্ত।



সুন্দরবন শুধু মাত্র প্রাকৃতিক সুন্দর্যের লীলা ভূমি নয়।এটা বিশ্বের বৃহত্তম ম্যাংগ্রোভ বন।বিদ্যুৎ গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু ।এর জন্য সুন্দরবন ধ্বংস না করে এর বিকল্প চিন্তা সরকারের নেয়া উচিৎ।সাম্প্রতিক পারমানবিক সম্ভাবনা,কয়লা সম্পদ, পানি বিদ্যুৎ ,সোলার পাওয়ার বায়ু গ্যাস সহ নানাবিধ শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদণ করে ঘাটতি পূরণ করা অসম্ভব নয়। ভারতের স্বার্থে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলী দেয়া কোন দেশ প্রেমিকের কাজ নয়। ভারততোষন করে দেশের জন্য ক্ষতি বয়ে আনা দেশের ১৭ কোটি মানুষের ক্ষতি করার সামিল। দেশের প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপর্যস্ত করে টেকসই উন্নয়ন অসম্ভব অলীক।বিদ্যূৎ কেন্দ্র স্থাপিত হলে হয়তো কিছু লোকের কর্মসংস্থান হবে কিন্তু জমি অধিগ্রহণের ফলে কৃষি জমি ও কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত যে ব্যাপক সংখ্যক মানুষ কর্মহীন আর উদ্বাস্তু হয়ে পড়বে তাদের সবাইকে পুনর্বাসন করা আদৌ সম্ভব নয়। ক্ষতিপূরণ হিসেবে হয়তো কিছু টাকা মিলবে কিন্তু তা দিয়ে নতুন করে কৃষি জমি কেনাও দূরহ।দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে করা চুক্তি যে কোন মূল্যে প্রতিহত করার জন্য মানসিক প্রস্তুতি রাখা জরুরী হয়ে দাড়িয়েছে। “সুন্দরবন রক্ষামঞ্চ” সময়ের দাবী।রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প চুক্তি বাতিল করে, সুন্দরবন রক্ষা করতে হবে।



ছবি ও সুত্র নেট

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৪০

পাকাচুল বলেছেন: সুন্দরবনকে রক্ষা করতে হবে।

বিদ্যুত আমাদের দরকার, তবে সেটা সুন্দরবনের বিনিময়ে নয়।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:৩৪

ধূর্ত উঁই বলেছেন: সহমত শুভকামনা।

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সরকারের হঠকারী সিদ্ধান্তে সুন্দর বন আজ হুমকির মুখে বিলুপ্তির পথে।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৫২

আরজু পনি বলেছেন:

আপনার মডারেশন স্ট্যাটাস বদলালে জানাবেন আশা করি। পোস্টে ভাল লাগা রইল।।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:১৪

ধূর্ত উঁই বলেছেন: ঠিক আছে ।জানাবো এখনো ওয়াচ এ আছি

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৫:১৭

ধূর্ত উঁই বলেছেন: আমার ভাবমূর্তির কি হবে?আর কতকাল পর্যবেক্ষণে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.