নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধূর্ত উঁই

প্রেম মহৎ যদি তা বিশুদ্ধ থাকে

ধূর্ত উঁই

এজগতে যা কিছু আছে চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।

ধূর্ত উঁই › বিস্তারিত পোস্টঃ

হরতাল সংঘর্ষ নয় সুষ্ঠুধারার রাজনীতি চাই।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

আমাদের কষ্টর্জিত অর্থে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বিশেষ অধিকার আছে। আমাদের ভোগান্তি দেবার অধিকার তাদের জন্মগত! রাজায় রাজায় যুদ্ধ হবে আর প্রজানাধারণ প্রাণে মরবে! এ আর নতুন কি?সিংহাসনে থাকা অবস্থায় যারা হরতালের বিরুদ্ধে কথা বলেন বিরুধীদলে গেলে তারাই হরতাল ডাকেন।বিশেষ করে ঢিলেঢালা হরতাল হলে সরকারীদল গর্বের সঙ্গে বিরুধীদলের দূর্বলতার কথা বলে থাকেন। আবার বিরুধীদল হরতালে প্রচুর জানমালের ক্ষয় করতে সক্ষম হলে সরকারের ক্ষমতার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখাতে সক্ষম হয়েছে বলে বিশেষ আরাম বোধ করেন।জনসমর্থনের দাবিতে বা জনগনের মালিকানা দাবীতে তারা শতভাগ নিজেদের বলে দাবী করে থাকেন।বক্তব্যে তাদের যাচিত অযাচিত সকল কর্মকান্ড দেশের ষোলকোটি মানুষের দাবী বলে প্রচারণা চালান। একটি মানুষকেও তারা গণণার খাতা থেকে বাদ দেন না।জনগণের দাবী ,গণদাবী,ষোলকোটি মানুষের দাবী এভাবে না বললে তাদের চলেনা।কত নিয়ম হলো। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবে না। করলে নিশ্চিৎ শাস্তির বিধান করা হয়েছে। অমুক নেতা তমুক নেতা কে অসম্মান করা যাবে না।তাদেরকে দেবতা জ্ঞান করে পুষ্পার্ঘ দিতে হবে। আপনার ভাল কাজ করলে মানুষ কেন আপনাদের কুৎসা গাইবে?



কিন্তু দেশের মানুষের সম্মানের জন্য কোন রাস্তা তাদের জানা নাই। তাদের বেড পাহাড়া দেয়া তো আর সরকারের কর্ম নয়।দেশের জন্য তারা নন। তাদের জন্যই দেশ আর এদেশবাসী। সরকারীদলের সেচ্ছাচারিতা গণতন্ত্র। আর বিরুধীদলের কার্যকলাপ দেশদ্রোহিতা।দেশ বিরুধী চক্রান্ত। এদেশের টিভি থাকবে সরকারের প্রচার যন্ত্র হিসেবে।কোর্ট থাকবে সরকারের আজ্ঞাবহ।



সংসদে হট্টগুল চেচামেচি না করলে সেটাকে তারা মৃত মনে করেন।তাই সেটি জীবিত করার প্রয়োজনে এত হট্টগুল।নিজেদের অর্জন শূণ্যহওয়াতে বিরুধীপক্ষের কুটসা রটনা করাই রাজনীতিবিদদের প্রধান হাতিয়ার। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যা দরকার তাই করতে তারা সিদ্ধহস্ত।ক্ষমতায় যেতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দরকার হলে তার জন্য বৈঠা লগি চলবে। আবার জনমত শুণ্য হয়ে গেলে ভোটে পরাজয় নিশ্চিৎ হয়ে গেলে নিজেই ক্ষমতা নিয়ে নিজের নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন করে পেশি শক্তি,কালোটাকার দৌরাত্ব ইত্যাদি করে ক্ষমতায় থাকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা থাকবে। এটাই চলমান রাজনীতির আসল চেহারা।



কিন্তু কথা হলো গিয়ে এভাবে কতকাল চলবে? দেশের চেয়ে বড় কেউ নাই কিছু নাই।দেশের মানুষের চেয়েও নাই।সেভাবে কি কেউ ভাবে? এটা কারো বাবার দেশ। এটা কারো স্বামীর দেশ। এভাবে চলতে পারে না। দেশটা ষোলকোটি মানুষের। মানুষের কথা ভেবে দেশের কথা ভেবে অন্তত রাজনীতিবিদদের হুশ হওয়া দরকার। এত কষ্ট এত হয়রানি অন্য কোন দেশের মানুষকে সেই দেশের রাজনীতিবিদরা করেন বলে আমার বিশ্বাস হয় না।জন্মই আমার আজন্ম পাপের অবস্থা।জন্ম যদি পাপ হয়ে থাকে সে পাপ থেকে রক্ষার উপায় কি?



হরতাল আসছে।বাসে আগুন ধরানো হবে,মানুষ মরবে ,রাজপথ রক্তাক্ত হবে। হয়রানি মূলক মামলা হবে।গ্রেফতার হবে।সংঘর্ষ হবে।সংঘর্ষের রাজনীতি আর কতকাল?



ক্ষান্ত দেন রাজাধিরাজরা। কয়েকমাস অরাজনৈতিক লোকজন দায়িত্ব নিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করলে সমস্যাটা কোথায়? রাজণীতি করবেন জেলে যাওয়ার এত ভয় কেন? আর ভয় যদি থাকে তাহলে বিরুধীদলের লোকজনকে জেলে ভরেন কেন?



সুস্ঠু রাজনীতি চাই ,হরতাল সংঘর্ষের সমাপ্তি চাই।শান্তি চাই।স্বাধীনভাবে শান্তি সমৃদ্ধি নিয়ে বাঁচতে চাওয়ার অধিকার আমাদের নিশচয়ই আছে। নাকি নাই? :-&

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৩

মামুন রশিদ বলেছেন: রাজনীতিবিদদের উপর পুরা বিরক্ত ।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৩

ধূর্ত উঁই বলেছেন: আমিও বিরক্ত। তারা শুধু কিছু ইমুশন নিয়ে ব্যবসা করে। আর কিছু না। পাবলিকের জীবনের বারোটা বাজায়।

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: স্বাধীনভাবে শান্তি সমৃদ্ধি নিয়ে বাঁচতে চাওয়ার অধিকার আমাদের নিশচয়ই আছে। নাকি নাই? আমার একই প্রশ্ন। :(

৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

একজন আরমান বলেছেন:
হরতাল সংঘর্ষ নয় সুষ্ঠুধারার রাজনীতি চাই।

১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৩

ধূর্ত উঁই বলেছেন: আমার মনের কথা সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি চাই। :) সহমত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.