নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক আলসের আলসেমিপূর্ণ ব্লগ

দিতে পারো একশ ফানুস এনে! আজন্ম সলজ্জ সাধ, একদিন আকাশে কিছু ফানুস উড়াই ... ... ...

সুস্ময় পাল

চলছে আমার রাস্তা ... রাস্তা উদ্দেশ্যহীন ~~ উড়িয়ে যাচ্ছে হাইওয়ে জুড়ে আরো একটা দিন ~~ আরো অনেক অনেক দূর পরের শহর ~ চলতে হবে আমায় রাত্রিভোর ~~ নেই যে আমার কোন অবসর ~~ যদি খুঁজে পাওয়া একটা ঘর!

সুস্ময় পাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং আমি

২৯ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৩৮

ক্লাস ফোরে থাকতে প্রথমবারের মত তিন গোয়েন্দার প্রেমে পড়ি।তখন তিন গোয়েন্দার বই পড়ার জন্য পাগল হয়ে যেতাম।যে যেটা করতে বলত,সেটা করতেই রাজি ছিলাম।কিন্তু দুঃখের কথা,কেউ কিছু করতে বলত না।

একদিন,আমার বাবা শহরে যাবে।যাবার সময় আমাকে বলল,”বাপি,আমার সাথে যাবে?”আমার বাবা আমাকে ‘বাপি’ বলে ডাকত।আমি রাজি হলাম এক শর্তে,আমাকে আন্দরকিল্লা নিয়ে যেতে হবে।বাবা রাজি হল।আমি আর বাবা অফিসের গাড়ি করে শহরে গেলাম।বাবা অফিসে নেমে গেল,আর নবী আংকেল (যিনি গাড়ি চালাচ্ছিলেন) আমাকে নিয়ে গেলেন আন্দরকিল্লা।সেখানে যাবার পর তিনি আমাকে নিয়ে দোকানে দোকানে ঘুরতে লাগলেন বই কেনার জন্য।আমি তখন খুঁজছিলাম তিন গোয়েন্দার বই।দোকানের পর দোকান চষে ফেললাম,কিন্তু সে বই আর পাই না।শেষে এক দোকানে গিয়ে পেলাম ‘হাত কাটা রবিন’ নামে একটা বই।লেখকের নাম আর দেখলাম না,তিন গোয়েন্দার বই মনে করে কিনে ফেললাম।কেনার সময় মনে হচ্ছিল,রবিনের আবার হাত কাটল কখন?কিন্তু ভাবনাটাকে বাড়তে দিইনি,বগলদাবা করে বইটা বাসায় চলে আসি।

রাতে পড়তে বসি।পড়া শুরুর পর মনে হল,বইটা তিন গোয়েন্দার না।এরপর যখন কাহিনীর ভিতরে গেলাম,তখন পুরোপুরি বুঝে গেলাম সেটা তিন গোয়েন্দার কাহিনী না।তখন আমার উচিৎ ছিল,বইটা না পড়ে রেখে দেওয়া।কিন্তু পারিনি।মন্ত্রমুগ্ধের মত পুরো বই পড়ে ফেললাম।পড়ার পর মনে হল,কে এই জাদুগর যে আমাকে এতটাক্ষণ জাদু করে রাখলো?বইয়ের লেখকের নামটা জোরে জোরে পড়লাম,মুহম্মদ জাফর ইকবাল।

এভাবেই তাঁর সাথে আমার পরিচয় ঘটে।

‘হাত কাটা রবিন’ বইটা পড়ার পর আমি কয়েকদিন ঘোরের মধ্যে ছিলাম।আমার মনে হচ্ছিল,আমিও রবিন,টুকুদের দলের এক সদস্য।আমিও তাদের সাথে ফুটবল খেলি,গুপ্তধন খুঁজি,ডাকাত ধরি,নৌকা বাই।এ ঘোরের হাত থেকে মুক্তি পেতে আমার বেশ সময় লাগে।এরপর যা করি,তা বেশ অবাককর।আমি একটা দল গঠন করা আরম্ভ করি।যে দলের কাজ হবে টুকুদের মত খেলা,গুপ্তধন খোঁজা এবং বিভিন্ন অ্যাডভেঞ্চার করা।কিন্তু দল গঠন প্রক্রিয়া ভালো না হওয়ায় সেটা ভেঙে যায়।

দল ভাঙলেও মুহম্মদ জাফর ইকবালের প্রতি আমার ভালোবাসা,শ্রদ্ধা একদম ভাঙেনি বা কমেনি।আমি তাঁর সেই রুদ্ধশ্বাসকর বইটা পড়ার পর পাগল হয়ে যাই তাঁর বাকি বইগুলো পড়ার জন্য।আমার ভাগ্য ভালো যে আমি তাঁর বইগুলো সংগ্রহ করতে পারি।কখনো এখান থেকে,কখনো সেখান থাকে।তাঁর কোন বই পাবার পর আমি একটানে পরে ফেলি,কোন ছাড় দিই না।এভাবেই আমি পড়েছি ‘আমার বন্ধু রাশেদ’,’জারুল চৌধুরীর মানিকজোড়’,’দীপু নাম্বার টু’,’বৃষ্টির ঠিকানা’,’দস্যি কজন’,’টি-রেক্সের সন্ধানে’,’আমি তপু’ বা ‘শান্তা পরিবার’।কোন কোন বই পড়ে কান্না করেছি,কোন কোনটা পড়ে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খেয়েছি।আবার কখনো অ্যাডভেঞ্চারের গন্ধে বিভোর হয়েছি।

ছোট বেলায় একবার ’দীপু নাম্বার টু’ নামক এক মুভি দেখেছিলাম।সেটা দেখে একবার কান্না আসছিল তো আরেকবার শিহরিত হচ্ছিলাম।তখন পুরোপুরি মুগ্ধ হয়েছিলাম সেটা দেখে।পরে জেনেছি সেটা মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা।জানার পর শ্রদ্ধার কারণে মাথা নত হয়ে গিয়েছিল।তখন ভেবেছিলাম এত চমৎকার লেখা তিনি লেখেন কিভাবে?

ক্লাস সিক্সে থাকতে প্রকাশিত হয় তাঁর ‘আমি তপু’ বইটা।সেটা সংগ্রহ করে আমি পড়তে আরম্ভ করি।পড়া শেষ করে যখন বইটা বন্ধ করি,তখন আবিষ্কার করি আমার দুই চোখের কোণে জল!

এভাবেই তিনি আমাকে বহু বার কান্না করিয়েছেন।আবার বহুবার হাসিওছেন।এভাবেই তিনি আমাকে তাঁর ভক্ত বানিয়ে ফেলেছেন,মস্ত বড় ভক্ত।

সর্বশেষ বার পড়েছি তাঁর লেখা ‘রাশা’।খুব আনন্দ পেয়েছি।অনেক দিন পর ভালো বই পড়লে সবারই ভালো লাগে,আমারও লেগেছিল।

তবে তাঁর বিপক্ষে আমার একটি অভিযোগ আছে।সেটা হচ্ছে তিনি এখন মাঝে মাঝে আইডিয়া কপি করে লেখেন।সর্বশেষবার এমন করেছেন তিনি গত রোজার ঈদে দেশ টিভিতে প্রচারিত ‘লোডশেডিং এবং গোপন কথা’ এর সময়।আমি প্রথমে নাটকটা দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই।তখন ভাবছিলাম যে তাঁর পুরাতন কারিশমা আবার ফিরে এসেছে।কিন্তু কয়েকদিন পর পেপার ঘাঁটতে গিয়ে দেখি নাটকটার কাহিনী এক হলিউডের মুভি থেকে নেওয়া!আমি স্তম্ভিত হয়ে যাই।

আরেকটা হচ্ছে ‘আমি তপু’ এর বেলায়।এর কাহিনী তিনি A child called it নামক এক বই থেকে নিয়েছেন।বইটার লেখক Dave Pelzer.

তিনি কপি করার মত এক মস্ত বড় অপরাধ করার পরও আমি তাঁর সৃষ্টিকে,তাঁর কর্মকে পছন্দ করি।কারণ তিনি আমাকে বই পড়তে শিখিয়েছেন।এ মস্ত বড় কাজটা যে করতে পারে,তাঁকে কি ভুলে থাকা যায় নাকি অপছন্দ করে থাকা যায়?

আমি যখন ক্লাস সিক্সে,তখন পেপার মারফত জানতে পারি তিনি 'মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনো' নামক এক অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে আসবেন।সেবার তাঁকে দেখার জন্য আমি,আমার বাবা আর এক ভাই যাই 'নাসিরাবাদ বয়েজ হাই স্কুল' এ।ইচ্ছে ছিল,কথা বলব।কিন্তু পারিনি।সাহসে কুলায়নি।আমার ভাইটিকে দিয়ে অটোগ্রাফ সংগ্রহ করিয়েছিলাম কেবল,আর কিছু করতে পারিনি।

'গণিত অলিম্পিয়াড' আমার কাছে ছিল স্বপ্নের মত।এর পিছনে ছিল দুটি কারণ।একটি হচ্ছে গণিত আমার প্রিয় বিষয়,আরেকটি হচ্ছে মুহম্মদ জাফর ইকবাল সেই অনুষ্ঠানের একজন বিশেষ অতিথি।কিন্তু তিনি এখন আর আসেননা,তাই অলিম্পিয়াডও আমার কাছে রসকষহীন এক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।





স্যার,আপনি কি জানেন যে আপনি আমাকে লেখক হতে প্রেরণা যুগিয়েছেন?আপনি কি জানেন যে আমি আপনার ‘রঙিন চশমা’ পড়ে জীবন সম্পর্কে জানতে পেরেছি?আপনি কি জানেন আপনি আমার মত হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ কিশোরকে মুক্তিযুদ্ধের সম্পর্কে সচেতন করেছেন?

অবশেষে আপনি কি জানেন বাবা ছাঁড়া কিভাবে বাঁচা যায় আমি তা আপনাকে দেখে শিখছি?



আমি জানি আপনি এর কিছুই জানেন না।আমি আপনাকে কতশত কথা বলতে চেয়েছি,আপনি তাও জানেন না।আপনি নিষ্ঠুরের মত সবসময় দূরে দূরে থেকে গেছেন,সবসময়।

আপনার লেখা নাটক আমি সর্বদা মনোযোগ সহকারে দেখি এবং প্রায় সময়ই লক্ষ্য করি নাটকের মান ভালো নয়।তখন মন খারাপ হয়ে যায়।আপনার লেখা অনেক সুন্দর কাহিনী বাজে পরিচালকের হাতে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে।তবুও আপনি নাটক লিখেছেন।আপনার এ নিরলস অধ্যবসায়ের কারণে আমরা তাই পেয়েছি ‘শুকনো ফুল রঙিন ফুল’ এর মত চমৎকার কিছু নাটক।

আপনার লেখা কত সায়েন্স ফিকশন যে আমি পড়েছি!গণনা করা তা যায় না।আপনার লেখা সেগুলো পড়ে আমার এমন বদঅভ্যাস হয়েছে যে আমি অন্য কারোর সায়েন্স ফিকশান আর পড়তে পারি না।

আপনার লেখা ‘লাবু এলো শহরে’ এবং ‘কাজলের দিনরাত্রি’ এ দুটি উপন্যাস মুভি হতে চলেছে।আমি অধীর আগ্রহে এ দুটির জন্য অপেক্ষা করছি।





আমি আসলে আপনার সাথে দেখা করার অপেক্ষায় আছি।এটাই আমার চাওয়া।



বি: দ্র: আমি গত পোষ্টে 'আবিল (দ্যা লিরিক বয়)' কে বলেছিলাম যাতে সে আমার পোষ্টে মন্তব্য করার সময় কোন লিঙ্ক না দেয়।সে বলেছিল যে সে আর দিবে না।

কিন্তু আমি এখন চাচ্ছি সেই সকল পোষ্টের লিঙ্ক যেগুলো স্যারকে নিয়ে লেখা হয়েছে।



আশা করি ব্লগাররা আমাকে সাহায্য করবেন।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +১৩/-১

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫৩

কর্ন বলেছেন: ইকরাস এর পাখিটার আইডিয়া টাও মনে হয়েছে এক্স ম্যান ভিত্তিক । তবে আমার প্রিয় বই " দুষ্ট ছেলের দল " এর উল্লেখ না থাকায় মাইনাস ।


অট : দুষ্ট ছেলের দল তার লেখা আমার পড়া প্রথম বই

৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:২১

সুস্ময় পাল বলেছেন: মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের কতশত বই আছে!আমি কি আর সবগুলোর নাম লিখতে পারব?
'এক্স ম্যান' দেখিনি।তাই কিছু বলতে পারছি না।তবে 'ইকারাস' পড়েছি।ভালো লেগেছে।
'দুষ্টু ছেলের দল' বইটা আমার কাছে তেমন ভালো লাগেনি।'হাত কাটা রবিন' বা 'রাজু ও আগুনালির ভূত' এগুলোর কাছে ঐ বইটা পাত্তা পাবে না বলেই আমার বিশ্বাস।

২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১০:৫৫

পথিক মানিক বলেছেন: চমৎকার উপস্হাপনা। ভাল লাগলো.......কিন্তু কিছু করতে পারছি না... কারন ঘুমাতে হবে.....সকালে কাজ আছে।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:২২

সুস্ময় পাল বলেছেন: পোষ্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০০

তায়েফ আহমাদ বলেছেন: জাফর স্যারকে নিয়ে সামুতে যত পোষ্ট হয়েছে, তত পোষ্ট আর খুব কম বিষয়েই হয়েছে।
আলেকজান্ডার ডেনড্রাইটের ঐতিহাসিক পোষ্ট মিস করেছেন।:)

৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:২৬

সুস্ময় পাল বলেছেন: জাফর স্যারকে নিয়ে সামুতে যত পোষ্ট হয়েছে, তত পোষ্ট আর খুব কম বিষয়েই হয়েছে। হবে হয়ত।আমার মনে হয় হুমায়ূন আহমেদ নিয়েও অনেক পোষ্ট লেখা হয়েছে।
'আলেকজান্ডার ডেনড্রাইট' কি কোন ব্লগারের নাম?যদি তাই হয়,তবে খুঁজে বের করার চেষ্টা করব।
ধন্যবাদ।

৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:০২

তৃষ্ণার্ত পথিক বলেছেন: সময় করে চলে আসুন সিলেট। দেখা হয়ে যাবে। জাফর স্যারের সাথে দেখা করা আর এমন কি কঠিন কাজ।

* আপনাকে ইনভাইট করতে গিয়ে আমি অনেকদিন পর লগিন করলাম :)

৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩১

সুস্ময় পাল বলেছেন: সিলেটে গেলে তাঁর সাথে দেখা করার ইচ্ছা আছে।
আপনাকে মনে হয় আমি ইচ্ছার বিরুদ্ধে লগ ইন করালাম।যদি তাই হয়,তবে ক্ষমা চাচ্ছি।
পোষ্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১১

শুষ্ক বলেছেন: Click This Link Click This Link এইখানে ডিটেইলস পাইবেন । অনেক পুষ্টের লিংক ।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৩৩

সুস্ময় পাল বলেছেন: লিঙ্ক শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।সময় করে দেখব।

৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১৩

রফিক মাহমুদ বলেছেন:
প্রখ্যাত অভিনেত্রী প্রয়াত নাজমা আনো্য়ারের একটি উক্তি কাগজে বেরিয়েছিল - 'উনি তাঁর গল্পের একটা দৃশ্য আমাদের বুঝি্য়ে তারপর বললেন, এই শটটা কাট টু কাট হলিউডের 'ম্যাটিল্ডা' থেকে হবে। আমরা তো একেবারে হতবাক, এই কি মেধাবী জাফর ইকবাল?'

হুমায়ূনও তাঁর প্রথম সায়েনস ফিকশন পড়ে বলেছিলেন - এগুলো তো অনুবাদ। তবে এখন তিনি হুবহু এক বই থেকে অনুবাদ করেন না। বিভিন্ন বই থেকে কাট-পেস্ট কম্বিনেটরিকস করেন। তাঁর এই পদ্ধতির বিবরণ পরোক্ষভাবে এক অসতর্ক মুহূর্তে 'কালি ও কলম' সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশ করে ফেলেছিলেন।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৫০

সুস্ময় পাল বলেছেন: মুহম্মদ জাফর ইকবাল কিন্তু হুমায়ূন আহমেদের মত লিখতে পারেন না।এ ব্যাপারটা একদম সত্য।আমি জাফর স্যারের ভক্ত হয়ে এটা বলছি।
আমি একবার একজনের কাছে শুনেছিলাম যে তিনি (মুহম্মদ জাফর ইকবাল) তাঁর সায়েন্স ফিকশানগুলো বিদেশি বই থেকে কপি করে লিখেন।জবাবে আমি কিছু বলতে পারিনি।কারণ আমি এ ব্যাপারে কিছু জানতাম না।
এখন কিছু কিছু জানতে পারছি।
তবুও আমি তাঁকে পছন্দ করি।কারণ তিনি কিছু না পারলেও অন্তত অনুবাদ ত করেছেন!এত চমৎকার অনুবাদ সেবা প্রকাশনীর লেখকেরা ছাড়া বাংলা সাহিত্যে আর কেউ পেরেছেন বলে মনে হয় না।

৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:১৯

আদনান মাননান বলেছেন: একদম মনের কতা বললেন ..আমাদের বেড়ে ঊঠা জাফর সার এর বই পড়ে ।।একজন ছোটো কিশো্রের মনে কীভাবে দাগ কাটতে হয় তা জাফর সার ই পারেন।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৫২

সুস্ময় পাল বলেছেন: কথাটা সত্যি।তাঁর লেখা কিশোর উপন্যাসগুলো আগে চমৎকার লাগতো।এখন কিছুটা বিরক্তি লাগে।তবুও পড়ি।

৮| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৩২

জাওয়াদ হাসান বলেছেন: এখনো তিন গোয়েন্দা আমার খুবই প্রিয় বই। মুহম্মদ জাফর ইকবালের লেখা ৪৭টি বই আমি পড়েছি। এর বেশিরভাগই জোশ। তার লেখা ভৌতিক গল্পগুলোও অনেক ভালো। এতটা ভালো ভৌতিক গল্প এখনকার আর কোন বাংলাদেশী লেখক লেখতে পারেন না। যেমন - "পিশাচিনী", "ও" এই বইগুলোর সব গল্পগুলোই জটিল।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৫৭

সুস্ময় পাল বলেছেন: শামসুদ্দিন নওয়াবের লেখা বর্তমানের তিন গোয়েন্দাগুলো এখন বিরক্তি লাগে পড়তে।তাই সেগুলো আর পড়ি না।
'পিশাচিনী' বইটা আমার পড়া সেরা ভৌতিক সংকলনগুলোর মধ্যে এক্টি।আমার খুবই প্রিয় বই এটি।

৯| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৫২

জুনাইদ কবীর তন্ময় বলেছেন: আমার মনের খুব ভেতরকার কথাগুলো আপনার পোস্টে খুঁজে পেলাম। আজকের এই যে আমি, তার অনেকখানি অবদান মুহাম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের পড়া বইগুলোর। তার প্রতি অন্তরের অন্তস্হল থেকে শ্রদ্ধা।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:০০

সুস্ময় পাল বলেছেন: শত অপরাধ করলেও তিনি আমাদের কাছে মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার।
মাথা নিচু করে তাঁকে জানাই আমার তরফ থেকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

১০| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:০৭

কাউসার রুশো বলেছেন: স্যারকে দু'বার স্বচক্ষে দেখার সুযোগ হয়েছে। একবার কলেজের অনুষ্ঠানে আর একবার বইমেলায়। দু'বারই অটোগ্রাফ নিয়েছিলাম। বন্ধুর মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে বইমেলায় স্যারের সঙ্গে ছবি তুলেছিলাম। কিন্তু ছবিটা কীভাবে যেনো আমার বন্ধূর মোবাইল থেকে মুছে গিয়েছিলো :(

৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:০৭

সুস্ময় পাল বলেছেন: কোন বিখ্যাত ব্যক্তির সাথে ছবি তোলার ব্যাপারটা আমার কেন জানি ভাল লাগে না,বিরক্তিকর এবং ন্যাকা ন্যাকা মনে হয়।
তবুও মানুষ ছবি তোলে।
ছবিটা হারিয়ে গেছে জেনে খারাপ লাগলো।

১১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ ভোর ৪:১৩

কাউসার রুশো বলেছেন: মুহম্মদ জাফর ইকবালের ৩০ টি বইয়ের ডাউনলোড লিংক

৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:০৮

সুস্ময় পাল বলেছেন: লিঙ্ক শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

১২| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৪৪

স্বাধীনতার বার্তা বলেছেন: লেখাটা পড়ে খুব ভালো লাগলো। আমাকে বই পড়তে শিখিয়েছেন রকিব হাসান আর আমাকে সায়েন্স ফিকশন পড়তে শিখিয়েছেন জাফর ইকবাল। তবে অন্যান্য অনেক সায়েন্স ফিকশন পড়ার পর মনে হয়েছে জাফর ইকবালের সায়েন্স ফিকশনগুলো মৌলিক না।
আপনার পোস্ট পড়ে আরেকটা জিনিস খারাপ লাগলো। আমাকে কেউ যদি জেজ্ঞেস করত জাফর ইকবালের সেরা বই কোনটা তাহলে আমি একবাক্যে বলে ফেলতাম "আমি তপু"। এখন দেখছি..................... :(

৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৫

সুস্ময় পাল বলেছেন: রকিব হাসান এবং মুহম্মদ জাফর ইকবাল-এ দুজনেরই কাছে আমি কৃতজ্ঞ।তাঁরাই মূলত আমাকে বই পড়তে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন।
পোষ্টটি শুধুমাত্র মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারকে নিয়ে লেখা বলে রকিব হাসানের কথা আসেনি।পরবর্তীতে ২য় জনকে নিয়ে লেখার ইচ্ছা আছে।তখন তাঁর প্রতি সরাসরি কৃ্তজ্ঞতা প্রকাশ করব।
জাফর স্যারের সেরা বইয়ের ব্যাপারে কথা বলা মুশকিল।আমার মনে হয় কিশোর উপন্যাসের মধ্যে 'হাত কাটা রবিন' সেরা।আর সায়েন্স ফিকশানের মধ্যে 'রুহান রুহান' বেস্ট।তবে
এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর না নিয়ে কথা বলা ঠিক হবে না।

১৩| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৪৬

ঘোৎ বলেছেন: ভাল লিখসেন, আইজকা পেরথম পেলাস দিবার পারলাম

৩০ শে নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৬

সুস্ময় পাল বলেছেন: পোষ্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

১৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৫৮

এম চৌধুরী বলেছেন: উহুঁ। তার সামগ্রিক ভূমিকা খুবই হতাশার।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ১২:০১

সুস্ময় পাল বলেছেন: আপনার কথাটা ঠিক বুঝতে পারলাম না।তাঁর সামগ্রিক ভূমিকা খুবই হতাশাজনক নয়,তবে কিছুটা যে হতাশ করে তা স্বীকার করতে হবে।
তাঁর মত চমৎকার কিশো্র উপন্যাস বাংলা সাহিত্যে কজন লিখতে পেরেছে বা এখন পারছে?হয়ত বা তিনি তাঁর সায়েন্স ফিকশান কপি করে লিখেন,কিন্তু তাঁর আগেকার দিনের কিশোর উপন্যাসগুলো সম্ভবত নকল করে লেখা নয়।সেগুলো ছিল চমৎকার।এ দিক থেকে তাঁর ভূমিকা বেশ উজ্জ্বল।

১৫| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:১৭

আলিম আল রাজি বলেছেন: স্যার ইজ দা গ্রেটেস্ট।

অনেক চমৎকার লিখেছো। ভালো লাগলো।

আমিও স্যারের পাগলা ভক্ত।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:১৭

সুস্ময় পাল বলেছেন: সত্যি করে বললে আমি স্যারের পাগলা ভক্ত ছিলাম আগে,যখন ছোট ছিলাম।এখন তেমন ভক্ত নই।তবে তাঁকে সাপোর্ট করি যখন তাঁর কোন মতামত পড়ে ভালো লাগে।
আমাদের প্রিয় এই অসাধারণ স্যারটি অনেক দিন বাঁচুক,অনেকদিন দেশসেবা করুক,এই কামনা করি।
চলি রাজি ভাই,ভালো থাকবেন।
শেষে আমার এই পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

১৬| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ দুপুর ১২:৪৮

মা-নবি০৩ বলেছেন: ১.জাফর ইকবাল , হুমায়ন আহমেদ , সেবা প্রকাশনি এ তিন হচ্ছে বাংলা ভাষা এবং বই পড়ার অভ্যাসের সৈনিক । ৩ এর সাহিত্যিক মান নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে কিন্তু অবদান অনস্বিকার্য । সংস্কৃতির অন্য শাখায় প্রবল আগ্রাসনেও এদের কাজ গুলো বাংলা বই কে টিকিয়ে রেখেছে । বাংলা বইয়ের যে ব্যবসা সেটাও এদর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ অবদান ।

২.জাফর ইকবাল এর সাইন্স ফিকশনের বাইরে যে অল্প কিছু লেখা আছে পড়েন ভাল লাগবে (নুরুল ও তার নোট বই , একজন দুর্বল মানুষ , কাচ সমুদ্র , অাকাশ বাড়িয়ে দাও , বিবর্ন তুষার )

৩. জাফর ইকবাল এদেশের অসংখ্য কিশোর তরুন , তরুনির কাছে আদর্শ । তিসন কথা নয় অনেক কাজ ও করেছেণ । তাই তার কাছে ১০০% সততা আশা করি (একজন রাজনীতি বিদের কাছে আশা করি না , কিংবা শুধুমাত্র লেখক যে তার কাছে আশা করি না ) । এবং এখানেইসমস্যা জাফর ইকবাল হলিউড থেকে শুরু করে বিশ্ব সাহিত্যের অনেক কিছুর ছায়া অবলম্বনে লিখে যাচ্চেন স্বিকৃতি ছাঢ়া (সেবার বই তে লেখা থাকে বিদেশী গল্পের ছায়া অবলম্বনে, হুমায়ন আহমেদের অমানুষ বইয়েও বিদেশী গল্প অবলম্বনে কথাটা লেখা আছে ) এবং জাফর ইকবাল কোন এক লেখায় বলেছিলেন তিনি টিভি দেখেন না । আর থিমের মিল এক বার বা দুই বার কাকতলীয় ভাবে হতে পারে শুরু থেকে নয় ।তার প্রথম বই কপোট্রনিক সুখ দু:খ এর ভূমিকায় ই তিনি লিখেছিলেন বইটি লেখা হয়েছিল বিচিত্রায় প্রকাশিত একটি গল্প নকলের অভিযোগে অভিযুক্ত হৗয়ায় জবাব দিতে বই টি লিখেছেন । আমি এখন ও তার প্রতিটি লেখা , কলাম উপন্যাস পড়ি শুধু এই প্রতারনা টুকু গলায় কটার মতো লাগে । তার সত্যি কথার পেছনেও অন্য কিছু চলে আসে ।জাফর ইকবাল এর দীর্ঘায়ু কামনা করছি , আরো লেখা পঢ়ার অপেক্ষা করছি এবং আশা করছি সত্য টা স্বিকারের মত ক্ষুদ্র কাজটিও তিনি কোন একদিন করবেন

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ৯:৪০

সুস্ময় পাল বলেছেন: আমিও আশা করি তিনি তাঁর কোন বইতে তাঁর এই টুকলি তথা নকলের কথা স্বীকার করে যাবেন।

তাছাড়া আমার মনে হয় যদি তিনি এই কথা স্বীকার করেন,তাহলে তাঁর জনপ্রিয়তা খুব একটা কমবে না,বরং বাড়বে।কারণ মানুষ সত্য কথা পছন্দ করে,সত্যবাদীকে পছন্দ করে তথা ভালোবাসে।তাই এদিক থেকে কোনরকমের ভয়-টয় নেই।

শেষে ঐ একই কথা বলে যাচ্ছি -

আমাদের প্রিয় এই অসাধারণ স্যারটি অনেক দিন বাঁচুক,অনেকদিন দেশসেবা করুক,এই কামনা করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.