নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন দেখ,স্বপ্নেই সাফল্য...

ধূসর প্রহর

আমি মানুষ,আমার বুদ্ধি ও একটু কম, বোকাই বলা চলে।আমি কল্পনা প্রবন ও সহজাত বিবেচনাবধ সম্পন্ন ব্যক্তি। কল্পনা অনুযায়ী সব কিছহু না চললে আমি ভীত হয়ে পরি। কনো আঘাত বা প্রতিকুলতার সম্মুখীন হলে নিজেকে নিজের মাঝে গুটিয়ে ফেলি। আমি অত্তন্ত অনুভুতি প্রবন ও সহজেই মনে আঘাত পাই।সচরাচর কল্পনা শক্তির প্রভাবের জন্য আমি সফতা অর্জন করি।সপ্ন দেখতে ভালবাসি। অত্যন্ত অনুভুতিশীল বলে সহজাত গুলাবলি প্রকাশ করার জন্য অন্যের প্রশংসা চাই।সপ্ন কে বাস্তবে রুপ দেবার জন্য নিজেকে যথেষ্ট স্বাধীন রাখতে ভালবাসি……।। হয়ত আমাকে দেখে আপানার পাগল মনে হতে পারে কিন্তু আমি এমন ই……… আবেগের উত্তাল আটলান্টিক মহাসাগরে প্রতিনিয়ত ডুবছি আর ভাসছি... খুঁজছি যদি তল খুজে পাই, Email : [email protected] . fb: www.facebook.com/shihab.dipu

ধূসর প্রহর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাই, মা বসে থাকতে পারতেছেনা ব্লীডিং হচ্ছে একটু কি তাড়াতাড়ি করা যায় ?

২৭ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৩

- ভাই, মা বসে থাকতে পারতেছেনা ব্লীডিং হচ্ছে একটু কি তাড়াতাড়ি করা যায় ?
- বসে থাকতে না পারলে চলে যান
-মানে ?
- বইসা না থাকতে পারলে চইলা যান । আগে পরে কিছু নাই লাগলে অন্য জায়গায় নিয়া যান ।
-হাসপাতালে কি বালফেলানোর জন্য এসেছি ? হাসপাতাল কিসের জন্য ?
- সকালের রোগীর ও অপারেশন হয় নাই
________-( ছবিতে থাকা মাদারচোদ( ডাক্তার না অন্যকেউ জানিনা) এবং আমার কথপোকথন )
দূর্ঘটনা ঘটার পর পঙ্গু হাসপালে নিয়ে যাই । এরপর দেড় ঘন্টা ভং চং প্রসিডিওর শেষ করে অপারেশন থিয়েটারের সামনে রোগী নিয়ে যাবার পর আমাকে এই কথা শোনানো । আমি বেশ নম্রভাবে তাকে অনুরোধ করেছিলাম । তখন অনবরত ব্লিডিং হচ্ছিলো । এমন রোগীকে তারা একটা বেডে প্রাথমিক চিকিৎসা পর্যন্ত দেয় নি । উল্টো খুব খারাপ ব্যবহার করলো ।
ইমারজেন্সি ডাক্তারের কাছে নেবার পর দেখি উনি নেই । আসলো এরপর চা বিস্কুট খেতে বসলো । খাবার শেষ করে নাকি উনি রোগী দেখবেন ।
যে মানুষ কথা বলতে পারতো হাটঁতে পারতো সে মানুষ এতোক্ষনে কথা বলাও বন্ধ করে দিয়েছে । আধ মরা অবস্থায় কোন ভাবে প্রায় দু'ঘন্টা শেষে পরে ট্রমা সেন্টারে নিয়ে গেলাম । সেখানে সাথে সাথে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেলো । বিশ মিনিট পরে শুনি ডাক্তার খানা খাচ্ছেন এরপর রোগী দেখবেন ।
বলা হলো ওটি চার্জ আর ওষুধ আনতে । যেহেতু আমি আর আমার বন্ধু ছিলাম সেহেতু এতো গুলো টাকা সংগে নিয়ে বের হইনি । টাকা নিয়ে ওষুধ কেনা কমপ্লিট বাট ওটি চার্জ এখনো দেয়া হয়নি । টাকা আনতে পাঠালাম । তারা চার্জ একাউন্টে জমা করা ছাড়া অপারেশন করতে পারবেন না। শেষ মেষ দুই জায়গা থেকে টাকা নিয়ে এডভান্স করে অপারেশন শুরু করে । এর মধ্যে অপারেশন শুরুর বিশ মিনিট পরে বের হয়ে বলে সুতা শেষ নিয়ে আসেন । উনাদের কি এতটুকু আইডীয়া নেই যে কতটুক সুতা লাগতে পারে ?
মা গত কাল বাসে ওঠার সময় বাস হুট ব্যালেন্স না রাখতে পেরে চিৎ হতে পড়ে যান । এতে তার মাথার পিছনে অনেক খানি ফেটে ভেতরে ইটের গুড়ো ঢুকে যায় । আমার ছোট ভাই তখন কিছু বুঝতে না পেরে বাসায় নিয়ে আসে । আমি দেখি বোরখা স্কার্ফ পুরোটাই রক্তে ভেজা । পরে ঘটনা সবারই জানা।
আজ যদি বিলম্বে চিকিৎসার জন্য কিছু একটা হয়ে যেত? যদি আমার মা'র থেকেও বেশি সিরিয়াস রোগী থাকতো । মা'র অবস্থা যদি আরো সিরিয়াস থাকতো ?
আমার সামর্থ আছে আমি প্রাইভেট হসপিটালে নিয়ে গিয়েছি যদি দরিদ্র কোন মানুষ থাকতো যার সরকারি হাসপাতালই একমাত্র ভরসা ?
কতটুক কষ্ট হয়েছে মা'র সেটা খালি আমি দেখেছি । মাথার পেছনে পাচঁটা সেলাই , গভীর ক্ষত ।
কষাই এবং কষাই খানার এহেন সমাচারে আমি সত্যিই বিমোহিত । জীবন বাচাঁতে সাহায্য করেন যারা তারাই যদি এভাবে রোগীদের কষ্ট দিয়ে মেরে ফেলার উপক্রম করেন তাদের কি করা উচিত ? এর কোন সমাধান নেই ? আমরা কি পারি না কিছু করতে ? অবশ্য পারবোই বা কিভাবে সরকারি লোক বলে কথা ।
যাক ! আল্লাহ ভরসা ব্যাপার না দু হাজারের জায়গায় বিশ হাজার খরচ হয়েছে । আরো করবো তবুও মা ভালো থাক । বিপদ কেটেছে আপাতত । সিটি স্ক্যানের রিপোর্টও ক্লিয়ার । সৃষ্টি কর্তা সহায় হলে আগামীকাল বাসায় নিয়ে আসবো ।
এতো গুলো কষাইয়ের ভেতর শুধু ওয়ার্ড সিস্টারই মাটির মানুষ । ফিমেলওয়ার্ডে পুরুষ থাকতে দেয় না । বাসায় মা ছাড়া অন্য কোন মহিলা মানুষ নেই যে রাতে থাকবে । সো আমাকে করিডোরেই থাকতে হয়েছে । ওয়ার্ড সিস্টার বেশ ভালো ভাবেই সারারাত খেয়াল রেখেছে।
তবে আজ আমি যতটুটু হয়রানির শিকার, যদি কোনদিন আমার হাতে ক্ষমতা আসে এরকম কষাই গুলোকে শত শত টুকরো করে আমি নদীর জলে ভাসিয়ে দিবো । কসম...
বি দ্রঃ সকল ডাক্তারগণ খারাপ নন । সেসব ডাক্তারদের সম্মানের চোখে দেখে শুধু কষাইদের জন্য পোষ্ট দেয়া হলো


বিস্তাতিত জানতে যোগাযোগ করতে পারেন - facebook.com/shihab.dipu

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪

প্লাবন২০০৩ বলেছেন: কিসসু করার নাই। কিছু করতে যাবেন অমনি সব ডাক্তাররা মিলে আপনার শাস্তির দাবিতে লাগাতার কর্মবিরতি শুরু করবে। এটা কোন বিশেষ উদ্দেশ্যে বলা না। এরকমই হচ্ছে।

সম্পূর্ণ মানব জাতি এখন এমন একটা পর্যায়ে চলে এসেছে যে, এখন মানব জাতির মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য হয় আল্লাহ্‌ তা'য়ালার বিশেষ রহমত নাজিল করতে হবে, নয়ত এ সভ্যতা ধংস করে দিতে হবে।

২| ২৭ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭

প্রামানিক বলেছেন: কিসসু করার নাই এদের বিচার কেউ করে না

৩| ২৭ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪২

মাহিরাহি বলেছেন: আল্লাহ্‌ তা'য়ালা সবাইকে হেফাজতে রাখুন। আপনার মার সূস্থ্যতা কামনা করছি।

৪| ২৭ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:০৮

শেখক বলেছেন: কী আর বলবো ভাই? আমার নিজেরও বেশ কিছু অভিজ্ঞতা আছে। তবে ওভারঅল আমার যা মনে হয়, তা হলো সব পেশাজীবীরই দশা এক। ডাক্তারদের সাথে সম্পর্কটা যেহেতু সবার এবং বিষয়টা মানুষের জীবনের সাথে সম্পর্কিত, তাই আমরা বেশি উদ্বিগ্ন হই। কে ভালো বলুন? বিচারক? সাংবাদিক? শিক্ষক? পুলিশ তো...

৫| ২৭ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৩২

মহামতি আইভান বলেছেন: আল্লাহর কাছে আপনার মায়ের সুস্থ্যতা কামনা করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই :( কেবলই মনে হয় আমরা একটা ফাঁদে জড়িয়ে গিয়েছি। আর অসহায়ের মত এখান থেকে বের হওয়ার রাস্তা খুঁজে হতাশ হচ্ছি :(

ভালো থাকবেন।

৬| ২৭ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৪১

রোয়ানু বলেছেন: আহ! এই তো বাস্তবতা ... :(

৭| ২৭ শে মে, ২০১৬ রাত ১০:০৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমরা গাল ফুলিয়ে বলি বাঙালী চেতনা! সভ্য, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ.. এই কি তার নমুনা???

ছি: কসাই গং!

আমার মায়ের সময়ও দেখেছি তাদের বিভৎস রুপ!
আমার ইমিডিয়েট বড়জন কানাডা থেকে দেখতে আসেছ। সেতো ঐ দেশের মহৎ স্বাস্থ্য সেবায় অভ্যস্থ। সো মায়ের কষ্ট দেখে চিৎকার করতেই কসাই গং ঐ কেবিন বয়কট করল :(
এদিকে শরীর ক্রমাগত পানিতে ফুলে যাচ্ছে!
আল্লাহর অশেষ রহমত- কিছূক্ষন পরই আমার ভায়রা বোন দিলেন উনি মােক দেখতে আসছেন। রিটায়ার্ড বিগ্রেডিয়ার উনার বন্ধু ছিলেন ঐ হাসপাতালের চীফ।
আধঘন্টা পর যখন চীফ সহ উনি আসলেন এইবার তাদের চেহারা ফেরেশতার মতো হয়ে গেল!
পারলে ৩ জন একসাতে ডিউটি দেয়...
চীফ রোগীর রিপোর্ট হাতে নিয়েই ডিউটি ডাক্তারকে একচোট ঝাড়লেন? কে এই ইঞ্জেকশন পুশ করছে!
অনেক বকার পর উনি একটা ইঞ্জেকশন দিলেন- জাস্ট বিলিব ইট অর নট- ২ ঘন্টার মধ্যে মা পুরো আগের মতো সআবভাবিক স্বাস্থ্যে ফেরত আসলেন!
পরে ঐ ভাই যে কয়দিন ছিলেন আর কোন কথা বলতেন না। অবশ্য ওরাও বেশ সমীহ নিয়েই বাকী কয়দিন সেবা দিয়েছে!

ঐ দিন যদি উনি না আসতেন? মাকে হয়তো জীবিত নিয়ে ফিরতে পারতাম না!!!!!

এই অচলাবস্থা কাটুক। সবাই তার দায়িত্বের প্রতি যথাযথ হোন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.