![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভার্সিটিতে আমি যে ক্যান্টিনে খাই তার নাম খান জাহান আলী রেস্তোরা। আমরা সংক্ষেপে খাজা রেস্টুরেন্ট বলি। এই ক্যান্টিনে খাওয়ার সময় প্লেটের দিকে আমি গভীর মনোযোগে তাকিয়ে থাকি। কারণ এই রেস্টুরেন্টের প্রত্যেকটা প্লেটে মিশে আছে শত সহস্র গল্প। হয়তো এই প্লেটে খেতে খেতে কোন মেধাবী বুনে গেছে তার স্বপ্নরাশি। হয়তো একই প্লেটে কষ্টের কাব্য লিখে গেছে সদ্য রিটেকপ্রাপ্ত যুবক। এই প্লেটে মিশে আছে প্রেমিক প্রেমিকার প্রথম স্পর্শের শিহরন, অকারণ মান অভিমান। কিংবা মিশে আছে কোন ব্রেকআপ তরুণীর মন খারাপের গল্প। যে ছেলেটি মাছ, মাংশ এড়িয়ে প্লেটের কোণে সবজি নিয়ে বসে যায় তার দারিদ্র্যতার গল্প লেখা আছে এই প্লেটে। যেসব ভাইবোন অকালেই পাড়ি জমিয়েছে নক্ষত্রের দেশে, তাদের ছোঁয়া লেগে আছে এইসব প্লেটে। আমরা যারা এসব ঐতিহাসিক প্লেটের সাক্ষী, তারা একদিন থাকবোনা। গল্পগুলো থেকে যাবে। বাড়তেই থাকবে একেকটা প্লেটের আত্নকাহিনী। অজস্র সকালের গল্প, অজস্র দুপুরের গল্প, অজস্র রাতের গল্প লেখা থাকবে এইসব ভাতের প্লেটে।
২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৯
ধূসর অস্তরাগ বলেছেন: হ্যা। অনেক ভাইয়া, আপু, জুনিয়র আজ আমাদের মাঝে নেই। নক্ষত্রের দেশে চলে গেছে। তাদের স্পর্শ লেগে আছে এইসব প্লেটে।
৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:০০
বিজন রয় বলেছেন: সবার জীবনে এমন অনেক মধুর গল্প আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৫৫
আহলান বলেছেন: ঠিক বলেছেন...এই প্লেটে খাওয়া কেউ হয়তো এখন মরেও গেছে ....
...