নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়ন করছি।
বাংলাদেশ এর নদীগুলোর বেশিরভাগের উৎসমূল হচ্ছে ভারতে । কিন্তু এই নদীতে বাঁধ দিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের যে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে তার অন্যতম উদাহরন হল ফারাক্কা । ফারাক্কা বাংলাদেশের প্রান,পরিবেশ,জীবন ও জীবিকার কি বিপর্যয় ঘটিয়েছে তা বাংলাদেশের মানুষ প্রত্যাক্ক করছে । টিপাইমুখ বাঁধ এদেশে কি বিপর্যয় ডেকে আনবে তা দেশের মানুষকে তথ্য উপাত্ত দিয়ে বোঝানোর দরকার নেই । ফারাক্কা বাঁধের ফলে কি হয়েছে তা বুঝলে এই বাঁধের ফলে কি হতে যাচ্ছে তা সহজেই অনুমান করা যায় ।
ফারাক্কা ব্যারেজ সম্পর্কে Dr.MOHAMMAD SHAH তার "FARAKKA BARRAGEROBLEMS AND SOLUTIONS-BANGLADESH PERSPECTIVE" ARTICLE টিতে বলেছেন,
"The government of india undertook the construction of the Farakka Barrage in the 1960's,which was completed in 1971. The barrage is located at Farrakka in the district of murshidabad about 11 miles (18k.m)up stream of the bangladesh border."
ফারাক্কা বাঁধের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেছেন,
"The perpose of the construction of the barrage was to augment the flow of water in the Bhagirathi-Hugli channel in order to flush out the silt-desposits of the Kolkata port ,and make lt workable .A 26-mile long feeder canal was constructed to help diverting required proportion of water into the Hooghly.The barrage was built unilaterally by india without any agreement with the affected water course state."(১)
ফারাক্কা বাঁধের করাল গ্রাসে থেকে মুক্তি পায়নি বাংলেদেশের মানুষ । ক্রমান্বয়ে সেই গ্রাস মানুষের জীবনকে আরো শোচনীয় পর্যায়ে নিয়ে গেছে ।তার মধ্যে শুরু হয়ে গেছে টিপাইমুখ বাঁধ করার তোড়জোড় ।
বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে টিপাইমুখ বাঁধের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার বলা হয় আবার কোন কোন পত্রিকায় বলা হয় যে,টিপাইমুখ নাকি বাংলাদেশ থেকে দেড়/দুই কি.মি. দূরে !ভারতের বিভিন্ন সরকারি আধাসরকারি ব্লগের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে প্রস্তাবিত টিপাইমুখ বাঁধের দূরত্ব ২১০ কি.মি. । মানচিত্রে বরাক নদীতে এই বাঁধের দূরত্ব জন্য চিহ্নিত অবস্থান মেপে দেখা যায় ২০০কি.মি. এর ওপর । এর অবস্থান হচ্ছে ভারতের মনিপুর রাজ্যের চুরাচান্দপুরে,বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব কোণে ।
প্রস্তাবিত এই বাঁধটির উচ্চতা হবে ১৬৮.৮ মিটার, দৈর্ঘ্য ৩৯০ মিটার । এতি হবে একটি বহুমুখি প্রকল্প । এর উদ্দেশ্য হচ্ছে বন্যা নিয়ন্ত্রনও জলবিদ্যুৎ উৎপাদন । এই বাঁধ থেকে গ্রীষ্মকালে ১৫০০ এবং শীতকালে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হবে । ২০০২ এর ডিসেম্বরের হিসাব অনুযায়ী এই প্রকল্পের ব্যায় ধরা হয়েছে ৫,১৮৩.৮৬ কোটি ভারতীয় রুপী । (২)
'দুই '
সমস্যাটা হলো অন্য জায়গায় । ফারাক্কা বাঁধ করার সময়ও ভারতের সাথে চুক্তি হয়েছিল । কিন্তু সেই চুক্তির সামান্য দাবীও ভারত পূরণ করেনি । ব্যাপক পরিবেশ বিপর্যয় ,জীব বৈচিত্র্যের বিপর্যয় ,সর্বোপরি মানিক বন্ধোপধ্যায়ের লেখা 'পদ্মা নদীর মাঝি 'তে উল্লেখিত সেই উত্তাল পদ্মা আর নেই। যে নদীর উপর নির্ভর করে পদ্মার চরের মানুষ জীবনধারণ করত ,একমুঠো অন্ন জুঠত পদ্মা থেকে সেই পদ্মা আর নেই,প্রমক্তা পদ্মার সেই উত্তাল ঢেউ আর নেই ।পদ্মাকে নিয়ে লেখা উপন্যাস , কবিতা, গান , নাটক এখন শুধুই স্মৃতি ।
সেই ভারতের সাথে আবার একই ধরনের চুক্তি করে টিপাইমুখ বাঁধ থেকে বাংলাদেশের মানুষ কতটা লাভবান হবে ?এই প্রশ্নটাই সবার মুখে মুখে ফিরছে ।
২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৮
নুসরাত জাহান ডায়না বলেছেন: এই নুসরাত জাহান যুথি কে একটু বোলবেন?
৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
মোঃ তায়িফ-বিন-তোফা বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম আপু । ঐইটা কি আপনার কোন অ্যাসাইনমেন্ট এর কাজ ? ( এমনি বললাম ) , কারণ আমি মাঝে মাঝে অ্যাসাইনমেন্ট কষ্ট করে করলে ব্লগে তুলে দেই
৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৯
নুসরাত জাহান ডায়না বলেছেন: হা হা.…!ভালো চিন্তা ্ তো আপনার কি মনে হয়???! এ্য়াসাইনমেন্ট হলে লিখার বস্তা হয়ে যেতো …আসলে এই থিসিস টা আমি আমার এক স্যার এর অনুপ্রেরনায় করি,কয়দিন আগে আরেকজন স্যারকে জমা দিয়েছি ্ এটা অনেক বড় লিখা তাই পুরোটা তুলতে পারিনি ব্লগে … ওয়েট করুন আজকালকের মধ্যে পুরোটা পাই যাবেন …এ্য়াসাইনমেন্ট এতো বড় হয়না ভাইয়া ্ @ taif.....!
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১১
রিফাত হোসেন বলেছেন: Lo
L
N
নুসরাত জাহান যুথীকে অনেক মিস করি। . .:-)
+++