![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জন্ম সত্তরে এক আলেম পরিবারে। প্রাইমারী শেষ করার আগেই আব্বা জোর করে মাদরাসায় ঢুকিয়ে দিলেন। মাদরাসায় পড়তে মনে চাইছিল না প্রথমে। পরে মাদারাসার দর্শনই নিজের জীবনের রক্ত-মাংসে, সীরাত-সুরতে আর মন-মস্তিস্কে মিশে গেল। এ নিয়ে গর্ব করি। [email protected]
আমার বউ একটু কম লেখা-পড়া। এ প্রজন্মে এমন সল্পশিক্ষিত মেয়ে খুব কম পাওয়া যায়। এক বাপের এক মেয়ে। অপর দিকে চার ভাইয়ের মধ্যে মধ্যে আমি তৃতীয়। আমার বড় আছে দু ভাই। ছোট ভাইয়ের বউর সাথে কথা বলিনি কখনো। প্রয়োজন হয়নি তাই।
একবার বড় ভাবী তার স্বামীর সাথে বেড়াতো আসল আমার বাসায়। আমি ভাবীর রুমে যেয়ে তার সামনে বসে আলাপ করতে লাগলাম। কেমন আছেন, আর কে কেমন আছে . . ইত্যাদি। এতটুকু সৌজন্যতা না দেখালেতো চলে না। ভাববে হুজুর মানুষের হিংসা বেশী। মানুষে খামাখা হুজুর চোখ দেখতে পারে না? একটু জিগায়ও না কেমন আছি। এ জন্য নির্দিষ্ট আলোচ্য বিষয় না থাকলেও কথা বলার জন্যই একটু কথা বলা। এটাও তো আতিথেয়তার মধ্যে পড়ে।
এরই মধ্যে আমার বউটা এসে রূমের দরজায় দাড়াল। এমনভাবে, আমি তাকে দেখি, ভাবী দেখে না। আমাকে ইশারায় ডাক দিল কাছে। মনে করলাম, জরুরী কোন সমস্যা তাই ডাকছে। কাছে আসলাম। বলল, আচ্ছা তুমি ভাবীর সাথে কথা বল কেন? এটা কি জায়েয? তুমি না হুজুর মানুষ?
আমি বললাম, সমস্যা কি? ভাবীর প্রয়োজনীয় পোশাকাদি পড়া আছে। সারা শরীর ঢাকা। হাত, চেহারা আর পা ছাড়া। এ অবস্থায় তার সাথে কথা-বার্তা বলা অন্যায় নয়, যদি অন্যায় কিছু না বলি।
বউ বলল, না, কথা বলতে পারবে না তার সাথে। সামনা সামনি এ রকম কথা বলা ঠিক না। প্রয়োজন হলে আড়ালে থেকে কথা বলা যায়।
বললাম, ঠিক আছে, কথা না হয় না-ই বললাম, তোমার যখন হুকুম। পরে অবশ্য একটু আধটু বলেছি বউ যেন না জানে, এমনভাবে।
বড় ভাবী ঢাকা থেকে একদিন আমাকে মোবাইল করল। আমি তার সাথে মোবাইলে কথা বললাম আমার বউর কাছে বসেই। সে আমাকে কথা বলতে বাধা দিতে থাকল। কথা শেষ করার পর আমাকে বলল, এত কথা কিসের? তুমি ভাবীর সাথে মোবাইলে কথা বললে কেন? নিষেধ করছি না?
আমি বললাম, তুমি না বললে, আড়াল থেকে কথা বললে সমস্যা নেই? আমি মোবাইলে কথা বলেছি, সামনা সামনি তো হইনি।
বলল, ইস! কানে কানে কথা হল। দু জনে যে কি কথা বলল কেহ শুনল না, আবার বলে সামনা সামনি তো বলিনি! যত্তসব! সামনা সামনি কথা বলার চেয়ে কানে কানে কথা বলা আরো খারাপ।
মেঝ ভাবীর সাথে আমার সম্পর্ক খুব গভীর। খুব পর্দা করে চলেন। কোন দিন সরাসরি তাকে দেখিনি। হঠাত করে কখনো কখনো ভিন্ন কথা। গভীর সম্পর্ক মানে সে আমাকে আপন ছোট ভাইয়ের মত যত্ন করত। পরিবারের সকলেই এজন্য তার প্রশংসা করত। অনেকে বলত, দেবরের জন্য এত টান কোথাও দেখা যায় না।
আমার বিয়ের আগে ছয়-সাত বছর তার হাতের রান্না খেয়েছি। তার পাকানো খাবার খেয়ে মানুষ হয়েছি। সকালে তার স্বামী, শ্বাশুড়ী, মেয়েরা সবাই ঘুমে থাকত। তারও ঘুমে থাকার কথা ছিল। কিন্তু আমি যে সকালে ঘুমাতাম না। ওটা আমার পছন্দও নয়। ভাবী শুধু আমাকে সময়মত নাস্তা দেয়ার জন্য জেগে থাকত। নাস্তা তৈরী করে পর্দার আড়াল থেকে কখন যে আমার টেবিলে রেখে যেত দেখতাম না। একটু পরে বলত, এত পড়াশুনা না করলেও ভাল মেয়ে পাওয়া যাবে। নাস্তার দিকে একটু তাকান!
তাকে এত বললাম, ঘরের সকলকে যখন নাস্তা দেবে আমাকেও তখন দেবে। আগে দেয়ার দরকার নেই। কিন্তু কে শোনে আমার কথা। এতক্ষণ নাস্তা না খেয়ে থাকলে আমার নাকি কষ্ট হবে। তার ধারনা।
বিয়ে করার পর তার পাক খাওয়া আর হয় না। অন্যভাবে একত্র হওয়ার তাগিদেই সবাই এভাবে আলাদা হয়।
আমার ঘরের পাশেই তাদের ঘর। ঢাকা থেকে বাড়ীতে গেলে তার ঘরে প্রবেশ করে সামনে না যেয়ে আড়াল থেকেই জিজ্ঞেস করি, ভাবী কেমন আছো? উত্তর, ভালো আছি। ভাইয়া, আপনি কেমন আছেন .... ।
আমার বউয়ের কাছে এটাও অপছন্দ। তার কথা হল, তুমি তাকে সরাসরি জিজ্ঞসা করবে কেন কেমন আছো? আমার মাধ্যমে বা বাচ্চাদের মাধ্যমে কি জিগানো যায় না? অপর মেয়ের কন্ঠ শোনা কি জায়েয? মানুষকে তোমরা তো কত নসীহত করো। আর নিজে আমল করার বেলায় সব . . .। তোমার মধ্যে আমল কম। এ জন্য অনেকে বলে তুমি আপ-টু-ডেট হুজুর।
মেঝ ভাবী যদি আমার বাসায় কোন তরকারী পাঠায়, তবে আমার বউ আমার সামনে এগিয়ে দিয়ে বলে, খাও! তোমার প্রিয় বান্ধবী পাঠিয়েছে। তার সুন্দর হাতের পাক . . কতদিন তুমি খাওনি . . খাও! মজা করে খাও!!
মনে করতাম, ভাবীদের প্রতি তার একটু হিংসা আছে। তাই আমি তাদের সাথে কথা বলি এটা তার সহ্য হয় না।
কিন্তু এখন দেখি, না। শুধু ভাবীরা নয়, অন্য যে কোন মেয়ের সাথে আমার কথা বলা তার সহ্য হয় না। তার খালাত বা চাচাত বোনদের সাথেও নয়। একদিন বাসায় তার এক বান্ধবী আসল। আমি তার সাথে কথা বললাম। মনে করলাম, তার বান্ধবীর সাথে কথা বললে সে খুশী হবে। ওমা দেখি, আমার ধারনা ভুল! কেন আমি তার বান্ধবীর সাথে কথা বললাম? এটা কি জায়েয?
আমার এ লেখার উদ্দেশ্য হল -সমস্যা জানানো নয়- জানতে চাওয়া। আসলেই কি মেয়েরা তাদের স্বামীর ব্যাপারে এতটা রক্ষণশীল হয়? এটা কি তাদের মানব-স্বভাব, না পরিবেশের প্রভাব? বা কোন ভীতি না ব্যধি? না কিছুর আসর না অন্য কিছু? আপনাদের কারো বউ কি এরকম করে?
আমি কোন সমস্যায় আছি এটা বলার জন্য আমার এ লেখা নয়। আপনারা মতামত দিলে বিষয়টি নিয়ে আমার কৌতুহল দুর হতে পারে।
বি: দ্র:- এ লেখা পড়ে আমার বউকে কেহ কিছু বললে তার কিন্তু খবর আছে।
৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৭:০৫
ডিজিটালভূত বলেছেন: ডরানের কি দ্যাখলেন?
২| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৬:৫৬
মাহমুদ ফয়সাল বলেছেন: আপনার চিন্তার ধরণ আমার কাছে সঠিক মনে হয়েছে ভাইয়া। ইসলামী বিধিবিধান অনুযায়ী আপনি তো কথা বলতেই পারেন। আর সেটা প্রয়োজনীয় পর্দাটুকু সামলে নিয়ে। আপনার স্ত্রী হয়ত সীমারেখাটা একটু বেশি করে টেনে দিয়েছেন... হতে পারে তিনি হিংসাও করেন একটু বেশি (মেয়েদের এই বৈশিষ্ট্যের ব্যাপারে আপনি তো আমার চাইতেও ভালো জানেন)
আর কিছু বলার যোগ্যতা আমার নেই। আশা করি ভালো থাকবেন...
৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৭:১০
ডিজিটালভূত বলেছেন: আমার মনে হয়, আমরা অনেকে ধর্মের বিষয় নিয়ে এমন একটু বাড়াবাড়ি করি যা ধর্মের নামে কিন্তু ধর্মের মধ্যে পড়ে না। এটা করে থাকি নিজেদের স্বার্থ কা খামখেয়ালীর জন্য, ধর্মের জন্য নয়।
৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৬:৫৭
মু. নূরনবী বলেছেন: .....ভয় পাইছি.....
৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৭:১১
ডিজিটালভূত বলেছেন: না, ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৭:০০
বিবর্ণ বলেছেন: হাহাহাহাহা..... লেখাটা ভাল লেগেছে।
বিশেষ করে বি:দ্র; টা জোস.... যাইহোক... লিখাটা আমাদের ভাবি সাহেবানকে পড়াইয়েন সব প্রশ্নের উত্তর একসাথে পাইয়ে যাবেন ইনশাল্লাহ।
৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৭:১১
ডিজিটালভূত বলেছেন: ধন্যবাদ, তাকে পড়াইলে উত্তর পাবো, মনে হয় না।
৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৭:০৩
পুরাতন বলেছেন: মেয়েরা এমনই হয়... এর কোন সমাধান নেই
৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৭:১৩
ডিজিটালভূত বলেছেন: এটাও আমার জানার একটি বিষয়। মেয়েরা সত্যিই কি এমন হয়?
আপনার কাছে শুনলাম, হ্যা।
কিছুটা আশ্বস্ত হলাম।
৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৭:০৩
মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: ১) লেখার মান খুবই সুন্দর।
২) বউয়ের এই সব ব্যাপার বাহিরে বলা আতি বোকামি, একটু ছ্যাবলামীও মনে হচ্ছে।
৩) আপনি যদি সত্যিই ধর্মিও মাইন্ডের হন, তাহলেতো এইসব বিষয় নিয়ে ব্লগে লেখা টা আপনাকে বাকধর্মিক হিসেবে পরিচিত করতে পারে।
**********************************
আপনার বউয়ের ব্যাপারে খারাপ বলার কিছুই নেই, তবে একবার চিন্তা করেন, তিনি যদি বিষয়টা জানতে পারেন যে আপনি এটা ব্লগে হাজার হাজার মনুষের সামনে লিখেছেন, তবে কেমন দুঃখ তিনি পাবেন??
*****************************************
আমি বিবাহীত না, তবে যতটুকু জানি ও বুঝি- একটা মেয়ে তখনই জেলাস হয় যখন তাকে প্রকৃত ভালবাসে।
৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৭:২১
ডিজিটালভূত বলেছেন: ১- অনেক ধন্যবাদ।
২- আমি একমত। তবে কথা হল, এখানে ছদ্ম নাম ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যক্তিকে নির্দিষ্টভাবে চেনা না গেলে এ রকম বলাটা বোকামি নয় বলে বিশ্বাস করি। ছ্যাবলামী হয়েছে কিনা বলতে পারি না।
৩- আমরা ধর্মের কোন বিষয় নিয়ে কাউকে বিরক্ত করছি কিনা সেটা দেখা যেতে পারে ও সংশোধন করা যেতে পারে। আমরা বউ যা করল অনেক স্বামী তার স্ত্রীর সাথে এমন করতে পারে ধর্মের নামে। যা উচিত নয়।
আর আমার বউ জানলে সমস্যা নেই। কারণ তার নাম পরিচয় কোন ব্লগারগণ কিভাবে জানবেন?
বিষয়টি যদি ভালোবাসার প্রকাশ হয়, হতেও পারে।
৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৭:০৪
জুন বলেছেন: বলেন কি? আমার স্বামীর অফিসে তো মহিলা পুরূষ ৫০%৫০ ।এটা তাদের গ্লোবাল সিস্টেম।আর আমার ও তো মেয়ের সাথে সাথে অনেক ছেলে বন্ধুও আছে। তাদের বৌ দের সাথেও আমার খুবই ভাল সম্পর্ক।সেই ঢাবির প্রথম দিন থেকে এখন পর্যন্ত।
কিছু মনে করবেন না এটা বেশী হলে কিন্ত রোগ ।
৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৭:৩৯
ডিজিটালভূত বলেছেন: পক্ষে বা বিপক্ষে, যেটাই বেশী হবে সেটা রোগ।
৮| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৭:১০
কানু বলেছেন: ভাবি তোমার নাভীর নিচে দাবি
৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৭:৩৯
ডিজিটালভূত বলেছেন: বুঝলাম না কিছু।
৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৭:৩২
মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: আপনি লিখেছেন আপনার বউ। তাহলে গোপন রইল কোথায়?? আপনি আবার আপনার পরিবারের ভাই ভাবিদের সমন্দেও কিছুটা লিখেছেন, যা স্পষ্টই বুঝা যাচ্ছে। এখানে কোন কিছু গোপন নাই বলে মনে হচ্ছে।
*********
ادع الى سبيل ربك بالحكمة والموعظة الحسنة
হিকমতের একটু ভূলে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
যাইহোক আপনাদের জন্যে দোয়া রইল।
৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৭:৪২
ডিজিটালভূত বলেছেন: মনে হয় আপনি আমাকে চিনে ফেলেছন, বা চিনতে ভুল করে অন্য কাউকে আমি বলে সনাক্ত করেছেন।
ঠিক বলেছেন, হিকমতের একটু ভুল অনেক বড় ক্ষতি করতে পারে।
আপনি ভাল থাকবেন।
১০| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৭:৪৬
হায়রে দুনিয়া বলেছেন: আপনার বউয়ের ভয়াবহ রকম সন্দেহ বাতিক, দেখা যায়। ভালই হইছে যে আপনার শালি নাই। থাকলে পাগল বানায় ফেলত আপনাকে। যদিও সে বারবার ধর্মের দোহাই দিচ্ছে, আমার কাছে উনি চরম সন্দেহ রোগে ভুগছেন বলে মনে হয়।
আপনিও নিবেন না আর আপনার বউও যাবে না, কিন্তু সত্যি বলতে এটা আমার কাছে সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে চিকিৎসা নেয়ার মত অবস্থায় আছে বলে মনে হচ্ছে।
আশা করি, আপনি সেই ভুল করবেন না যেটা আপনার শ্বশুর করছে। ঘরের কোনায় থাকতে থাকতে, বাইরে দুনিয়ার সাথে কোন যোগাযোগ না থাকার ফলে আপনার বউয়ের মানসিকতা খুব সংকীর্ন হয়ে গেছে। আপনার মেয়েকে আপনি যথেষ্ট পড়াশুনা শিখাবেন যেন সে আরো অনেক উদার মনের হয়। এই কথাগুলি বললাম এই জন্য যে আপনার নারীরা জেগেছে ব্লগের ১১ নাম্বার কমেন্টের উত্তরে আপনি লিখছিলেন "এখন মেয়ের মাতা-পিতা বলে, এত পড়া-লেখা করানো ঠিক হয়নি।" আমার মনে হইছিল যে আপনিও তাই মনে করেন এবং মেয়েদের এত লেখাপড়া আপনি সাপোর্ট করেন না।
আপনার জীবনে যা হওয়ার হয়ে গেছে। এমন ব্যবস্থা নেন যাতে আপনার মেয়ের জীবন অনেক সুখের হয়।
৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:১৬
ডিজিটালভূত বলেছেন: কমেন্টির উত্তরে আমি যা বলেছি ওটা আমার নিজের ব্ক্তব্য নয়।
আর আমার মেয়ে নেই।
মেয়েদের শিক্ষিত করার প্রয়োজনীয় আজকাল পাগলেও অস্বীকার করে না।
মেয়েরা অশিক্ষিত হলে তার যন্ত্রণা যে কত, সে বিষয়ে আমার চেয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা অন্য কারো আছে কিনা জানি না।
১১| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৭:৫০
লুকার বলেছেন:
মধ্যযুগীয় কূপমুন্ডক পরিবার।
নির্জন দ্বীপে গিয়া থাকেন, কারো সাথে কথা কৈতে হৈব না।
৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৭:৫৭
ডিজিটালভূত বলেছেন: একটু গালি
একটি পরামর্শ, সাথে একটু ঘৃণা।
১২| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৭:৫৯
মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: না..........................
৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:১৯
ডিজিটালভূত বলেছেন: তা হলে বাচলাম। তো মিশরে আপনি কি বিষয়ে পড়া-শুনা করেন? দাওয়াহ, আরবী ভাষা, হাদীস, উসূলুদ্দীন . . ..?
১৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৮:৩১
kisuna বলেছেন: ভাবী আপনাকে খুবি ভালোবাসেন।
৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:২০
ডিজিটালভূত বলেছেন: শুনে ভাল লাগল। উহ! ভালোবাসাটা যদি এত কঠোর না হত!
১৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৮:৪৬
নুরুন নেসা বেগম বলেছেন: মেয়েরা তাদের স্বামীর ব্যাপারে এতটা রক্ষণশীল কেউ কেউ, বেশীর ভাগই নয়। ধৈর্য ধরবেন একটু বেশী বেশী। শুভকামনা।
৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:২১
ডিজিটালভূত বলেছেন: ঠিক আছে। কথা রাখব। আপনার জন্য শুভ কামনা।
১৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৯:১০
তায়েফ আহমাদ বলেছেন: ডরাইছি........
৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:২২
ডিজিটালভূত বলেছেন: আপনিও
১৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৯:২৩
সন্ধ্যাবাতি বলেছেন: আপনি যে আপনার বউকে যথেষ্ট ভালোবাসেন এবং তার এই 'পজেসিভ ভাবটা' যে আসলে পছন্দ করেন, সেটা কিন্তু গোপন থাকে নি, যদিও আপনি একে সন্দেহ বাতিক, কম পড়াশোনা জানা, অতিরিক্ত ধার্মিক, এসব বলে আখ্যায়িত করেছেন। সমস্যা হচ্ছে, আপনি নেগেটিভ অর্থ না করেও নেগেটিভ যেই শব্দগুলো উচ্চারণ করেছেন, এতে যদি একজন মানুষও একমত হয়, তাতে আপনারই খারাপ লাগবে! ভীষন বোকামি।
আর প্রশ্নের ব্যাপারে: আপনার স্ত্রী কি কোন পুরুষের সাথে, হোক না সে তার দুলাভাই বা খালাতো ভাই, তাদের সাথে কথা বলেন? তিনি নিজে কথা না বললে তার এরকম আশা করায় আমি অস্বাভাবিক কিছু দেখছি না। আমার মনে হয় নি উনি সন্দেহ বাতিক, আমার মনে হয়েছে, উনি সত্যিকার অর্থেই মনে করেন ইসলামের স্বীমারেখাটা এরকম।
৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:২৩
ডিজিটালভূত বলেছেন: আমার এ পোষ্টটির বিষয় ও এর মন্তব্যগুলো পড়ার পর আমাদের সামনে কয়েকটি ভাবনা আসে :
এক. আমরা যারা ধর্মীয় অনুশাসন ভালমত অনুসরণ করার চেষ্টা করি তারা তাকওয়া পরহেযগারির নামে কখনো কখনো কিছুটা বাড়াবাড়ি করি কিনা? ব্যাপারটা ধর্মে যেভাবে আছে তার চেয়ে একটু কঠোরভাবে পালন করতে পারলেই ভাল, এমন মানসিকতা পোষন করছি কিনা? আর এ কারণে যারা ধর্মীয় অনুশাসন সম্পর্কে জানে না বা সচেতন নয়, তাদের মনে শরীয়াহ সম্পর্কে ঘৃণা ও ভয় সৃষ্টি হচ্ছে কিনা?
দুই. আমার স্ত্রী জেনারেল বা ধর্মীয় কোন লাইনেই তেমন শিক্ষিতা নয়। গ্রামের একটি সাদাসিধে মেয়ে। কিন্তু তার একটা স্বভাব আছে। স্বভাব অনুকুল সম্পূর্ণ মানবীয় ভাবনা আছে। আর সেটি হল, আমার স্বামী আমি ছাড়া অন্য কোন নন-মাহরাম মেয়ের সাথে কথা বলবে না, সম্পর্ক রাখবে না। এটা তার মানব স্বভাবের দাবী। এটাকে আমরা পরিভাষায় ফিতরাত বলতে পারি। ইসলাম হল স্বভাব-ধর্ম। সুস্থ, রুচি সম্পন্ন একজন মানুষের স্বভাব ইসলামী অনুশাসনের সাথে একেবারে মিলে যায়। সে আমাকে নিষেধ করেছে ধর্মের কারণে নয়, তার স্বভাবের তাগাদায়। কিন্তু ঘটনাক্রমে তার স্বভাবটা ইসলামী শিক্ষার সাথে মিলে গেল। জায়েয, না জায়েয, হুজুর ইত্যাদির দোহাই দিয়ে আমাকে লা-জওয়াব করা ছিল তার উদ্দেশ্য, ধর্ম পালন নয়।
তিন. আমাদের মধ্যে অনেক এমন আছেন, যারা নিজেদের স্ত্রীকে অন্যের সাথে ঘুরাঘুরি করতে অনুমতি দেন। স্ত্রী নিজের স্বামীকে শালিকার সাথে পার্কে যেতে দেন। স্বামী তার স্ত্রীকে দেবরের সাথে মার্কেটে পাঠান। আর মনে করেন আমি উদার। এ যুগে এ রকম না হলে কি আর চলে?
কিন্তু স্বভাব-ধর্মে তাড়িত হয়ে মনে মনে কামনা করেন, যদি আমার স্ত্রী আমার বন্ধুর সাথে ঘুরাঘুরি না করত। আমরার স্বামী যদি আমার বোনকে নিয়ে পার্কে না যেত। আমার স্ত্রী যদি আমার ছোট ভাইয়ের সাথে মার্কেটে না যেত, তাহলে কত ভাল হত! এভাবে তারা ইসলাম-কে এড়িয়ে আধুনিক জাহেলিয়াতের শিকলে নিজেকে বন্দি করে ফেলছে আর মন-যন্ত্রনায় ভুগছে প্রতিটি মুহুর্তে। নিজের মন ও আত্নার সাথে এভাবেই তারা প্রতারণা করে শয়তানের গোলামীতে লিপ্ত হয়ে পড়ছে। সুস্থ বিবেক, অবিকৃত মানসিকতা যা চায় ইসলামতো সেটাই দিয়েছে।
চার. একজন প্রেমিক ও প্রেমিকা, স্বামী ও স্ত্রী সর্বদা চায় আমার ভালবাসার মানুষটি সর্বক্ষেত্রে শুধু আমারই হবে। অন্য কারো অংশ থাকবে না তাতে মোটেই। এটা যেমন একজন সুস্থ বিবেকসম্পন্ন মানুষ কামনা করে তেমনি একজন অসুস্থ বিবেকের মানুষও চায়। সস্প্রতি বহুল আলোচিত গুলশানে দম্পতি হত্যার আসামী রুবেল যখন দেখল তার প্রেমিকা ইন্টারনেটে অন্য এক ছেলের সাথে চ্যাটিং করছে তখন সে অন্থির হয়ে পড়েছিল। কিসের টানে? এটাকি খুব মামুলী বিষয় ছিল না? তার স্বভাব ধর্মের তাড়নায় সে এটা পছন্দ করেনি। ইসলাম এ স্বভাব ধর্মই শিক্ষা দেয়।
১৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ৯:২৭
হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বলেছেন: আপনার স্ত্রীর বক্তব্যের সাথে একমত।
৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:২৫
ডিজিটালভূত বলেছেন: ও আল্লাহ কয় কি? দেখি দল ভারী হইতেছে।
১৮| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১০:০৭
ফিরোজ-২ বলেছেন: আমার মনে হয়, আমরা অনেকে ধর্মের বিষয় নিয়ে এমন একটু বাড়াবাড়ি করি যা ধর্মের নামে কিন্তু ধর্মের মধ্যে পড়ে না।
৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:২৬
ডিজিটালভূত বলেছেন: এ রকমই মনে হয়। এটি একটি অনুসঙ্গ।
১৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১০:২৫
পেনড্রাইভ বলেছেন: আপনার লেখা পড়লাম। বিষয়টি আপনার ক্ষেত্রেই নয় বলা যায় সব পুরুষের মাঝে এমন একটা স্বভাব বিরাজমান। তাই একটা প্রশ্নঃ (১) ভাবীর সাথে কথা বলতে এতো আগ্রহ কেন? অথবা যে কোন মেয়ের সাথে কথা বলতে যে কোন পুরুষের এতো ভালো লাগে কেন? বাস্তবেই কি আমরা নারীদের মা/ মেয়ের চোখে দেখি?
উত্তর খুব চিন্তা- করে দিবেন।
তবে আমার মনে হয় আপনার এ লেখার মধ্যে রহস্য আছে
৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:২৮
ডিজিটালভূত বলেছেন: আমার আগ্রহ দেখলেন কই? কোন পুরুষ আছে যার মেয়েদের সাথে কথা বলতে আগ্রহ নেই?
আগ্রহ আছে বলেই তো আছে অনুশাসন।
২০| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১০:৩৩
টিনটিন` বলেছেন: পড়ে সাংঘাতিক মজা পেলাম। ইনটারনেটের ব্যাপরে ভাবীর কোন রাগ নাইতো।
কোন মন্তব্য করলামনা। ব্যাপারটা সম্পূর্ণ আপনার ব্যাক্তিগত। আপনার আচরনই ভাবীকে বুঝতে শিখাবে আপনি কেমন। তবে এটুকু বলা যায়, বড় ভাবী-মা সমান।
৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:২৯
ডিজিটালভূত বলেছেন: বড় ভাবী মা সমান, এটা মানতে পারলাম না।
মায়ের সমান কিছু নেই। ইসলাম এটাই বলে।
২১| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:১৩
মেহেদী_বিএনসিসি বলেছেন: ভালই লিখেছেন.......আমরা অবিবাহিত হয়ে আপনাকে কোন পরামর্শ দেওয়ার সাহস দেখাতে পারবনা। তবে আপনারা বিবাহিত জীবনের এসব জটিল সমস্যাগুলো তুলে ধরলে, আমরাও সেই দিল্লিকা লাড্ডু খাওয়ার সাহস ক্যামনে পাব..........। আশাকরি ভবিষ্যতে এর পজিটিভ ব্যাপারগুলো তুলে ধরবেন।
৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৩০
ডিজিটালভূত বলেছেন: হ্যা পজিটিভ চিন্তাই ভাল। তবে আশাহত হবেন না কখনো। বিয়েতে দাওয়াত দিয়েন।
২২| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:২১
হিম১২৩ বলেছেন: আপনার বউ পর পুরুষের সােথ কথা বললে আপনি কি রাগ করেন?
৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৩১
ডিজিটালভূত বলেছেন: না, না, কখনো না।
২৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ সকাল ১১:৫৮
গুরুজী বলেছেন: ভাবিরে বুঝান! কড়া কইরা বুঝান!
৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৩২
ডিজিটালভূত বলেছেন: আমি পারুম না।
২৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:২৩
কানু বলেছেন: সন্ধ্যাবাতিকে দেখে আমার আনন্দ আসছে
৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৩৪
ডিজিটালভূত বলেছেন: কেন আনন্দ লাগছে? ডিজিটাল লোডশেডিং, তাই?
২৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:২৫
কানু বলেছেন: আমি বুঝাইছি ভাবির সঙ্গে বউর আড়ালে কথা বলাই উত্তম হেকমত
৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৩৫
ডিজিটালভূত বলেছেন: স্থান-কাল-পাত্র ভেদে হেকমত বিভিন্ন রকম হয়। এমনকি পরস্পর বিরোধী হতে পারে।
২৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৩১
সালাহউদ্দীন আহমদ বলেছেন:
আপনার বউ আপনাকে খুবই ভালবাসেন।
৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৩৬
ডিজিটালভূত বলেছেন: ভালোবাসার কথা শুনলে কার না ভালো লাগে?
২৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৩৫
বলাক০৪ বলেছেন: এটা কি দুই হাজার দশ সালের পোস্ট?
৩১ শে মার্চ, ২০১০ দুপুর ১:৩৭
ডিজিটালভূত বলেছেন: সন্দেহের কারণ কী?
২৮| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:০২
শাওন বলেছেন: আপনার বউয়ের মত আমার বউ হলে আমি খুশিতে তখনই মরে যাবো । আমি উইশ করি আমারো যেন ঠিক এমন একটা বউ হোক ।
আমি কিন্তু শুধু এই অন্যের সাথে কথা বলা নিয়ে বলছি না । পুরা ব্যাপারটা নিয়ে বলছি । লেখা এবং কমেন্ট গুলোতে দেখে যা বুঝলাম অন্য ব্যাপারাও হয়ত আপনাকে আপনার বউ এমন ভালো ভালো অনেক কিছু বলে থাকে । হয়ত নামাজ মিস দিলে আপনার বউ এভাবে ঠেলে আপনাকে নামাজ পড়তে পাঠায় । ( আমি বলছি না আপনি নামাজ মিস দেন ) তারপর কোনো একটা ভালো কাজে খুব সম্ভবত উৎসাহ দেন তাড়াতাড়ি করার জন্য ।
এউ পুরো ব্যাপার গুলোর মধ্যে একরকম আনন্দ আছে ।
আশা করি আপনি পুরা ব্যাপারটা খুবই উপোভোগ করতেছেন ।
খুবই কিউট । খুব ভালো লাগল ।
৩১ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:০৫
ডিজিটালভূত বলেছেন: আপনার বউটা যেন আমার বউয়ের মতই হয়। আর আপনি যেন মরে না যান। আমি প্রার্থনা করি এমন বউ যেন আপনারই হয়।
শুভ কামনা আপনার জন্য।
২৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:২৩
যীশূ বলেছেন: আপনার বউয়ের পেট ভরা হিংসা। খুব খারাপ।
৩১ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:৩৪
ডিজিটালভূত বলেছেন: শুনে মনটা খারাপ হয়ে গেল।
৩০| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৩:৫৫
টানজিমা বলেছেন: আপ-টু-ডেট হুজুররে মাইনাশ.........
ভাবিকে প্লাশ........
৩১ শে মার্চ, ২০১০ বিকাল ৫:০২
ডিজিটালভূত বলেছেন: ভালোই তো। মাইনাশটা গেল কোটায়?
৩১| ৩১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১০:৩৭
আমি এবং আঁধার বলেছেন: ভাই,
যদিও আপনি অপরিচিত, তবুও ব্যাপারটিকে আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছে। এব্যাপারে আমার বিশ্লেষণ বিস্তারিত লিখে আপনার প্রোফাইলে দেওয়া ইমেইল একাউন্টে একটা মেইল করলাম।
দয়া করে বিষয়টিকে হেলা ফেলা করবেন না। আর মনে কিছু নেবেন না, যা লিখেছেন তা যদি সত্যি হয় তবে আপনার মঙ্গলার্থেই এসব বলছি।
ভালো থাকুন।
০১ লা এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৬:৪৮
ডিজিটালভূত বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। পড়ে আপনাকে অবশ্য জানাবো। ভাল থাকবেন।
০১ লা এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৬:৫৮
ডিজিটালভূত বলেছেন: আপনার মেইলটি পড়লাম। আমি এতটা গভীরভাবে বিষয়টি নিয়ে ভাবিনি কখনো। আপনার কথাগুলোর বাস্তবতা পেতে শুরু করেছি আরো বছর খানেক আগে থেকে।
এত সুন্দর একটি ব্যবস্থা দেয়ার জন্য আপনাকে কিভাবে যে ধন্যবাদ দেই তার ভাষা খুজে পাচ্ছি না।
৩২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:১৫
অলস ছেলে বলেছেন: কয়েকবার পড়েছি। কি বলবো? অবস্থা বেগতিক। আমি এবং আঁধার এমন সুন্দর ব্যবস্থা কি দিলেন তাই জানার কৌতুহল হচ্ছে
০১ লা এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:৪০
ডিজিটালভূত বলেছেন: কিভাবে যে জানাই। আচ্ছা উনি অনুমতি দিলে আমি মেইল থেকে কপি করে এখান দিতে পারি।
৩৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:৫৩
জাতি জানতে চায় বলেছেন: পোস্ট জটিল হইলেও কোন সমাধান নাই!
০১ লা এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৯:৪১
ডিজিটালভূত বলেছেন: হতাশ করলেন। আরেকটু চিন্তা করুন।
৩৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৪৬
লুকার বলেছেন:
আপনার উত্তরগুলো বেশ ভাল হচ্ছে।
আপনার বিশ্লেষণী দক্ষতাও আছে দেখা যাচ্ছে।
কিন্তু নিজের পরিবারের আভ্যন্তরীন খবর এভাবে সারা দুনিয়ার ব্লগারদের সাথে শেয়ার করলেন, সেটা কি ইসলামসম্মত হলো!
০১ লা এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:০৩
ডিজিটালভূত বলেছেন: আমার ধারনায় ইসলাম সম্মত। জানিনা ধারনাটুকু কতটুকু সঠিক।
কোন বিষয় নিজের উদাহরণ টানাটা মনে হয় অন্যায় নয়।
৩৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:১৮
মানবী বলেছেন: পোস্টটির সিরিয়াস দিকটি নিয়ে আলোচনায় যেতে চাইছিনা, আশা করছি আমি এবং আঁধার সমস্যাটি সনাক্ত ও সঠিক সমাধান জানিয়েছেন।
ভিন্ন দৃষ্টিতে, আপনার স্ত্রীকে আমার খুব পছন্দ হয়েছে :-)
আপনার কথা বলছিনা, আমাদের দেশে কিছু কাঠমোল্লা আছে- যারা প্রতি পদে পদে অন্যদের নসিহত করতে চেষ্টা করে- 'নারীরা কেনো জোড়ে নিশ্বাস নিলো", "ঘরের স্ত্রী কেনো এক মিলিমিটার ছোট বোরখা পড়েছে" এসব বিষয় নিয়ে হৈ চৈ অথচ নিজে হয়তো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ঠিক মতো পড়েনা! এধরনের ভন্ড মোল্লাদের জন্য উপযুক্ত স্ত্রী, যিনি প্রতি পদে পদে তাদের নিজেদের অসঙ্গতি চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিবেন!! লাল সালুর "জমিলা'র" মতো :-)
আবারও বলছি, উপরের মন্তব্যের সাথে আপনার সম্পর্ক নেই। আশা করছি আপনার এই সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে। আপনার স্ত্রীকে আমার সালাম।
ভালো থাকুন।
০২ রা এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৬:৩১
ডিজিটালভূত বলেছেন: আপনার সালাম পৌছে দেয়া হবে।
আপনার জন্য শুভ কামনা।
৩৬| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:১৩
দুর্ধর্ষ বেদুইন বলেছেন: আপনি বলেছেন,
এক. আমরা যারা ধর্মীয় অনুশাসন ভালমত অনুসরণ করার চেষ্টা করি তারা তাকওয়া পরহেযগারির নামে কখনো কখনো কিছুটা বাড়াবাড়ি করি কিনা? ব্যাপারটা ধর্মে যেভাবে আছে তার চেয়ে একটু কঠোরভাবে পালন করতে পারলেই ভাল, এমন মানসিকতা পোষন করছি কিনা? আর এ কারণে যারা ধর্মীয় অনুশাসন সম্পর্কে জানে না বা সচেতন নয়, তাদের মনে শরীয়াহ সম্পর্কে ঘৃণা ও ভয় সৃষ্টি হচ্ছে কিনা?
এটা যে বাড়াবাড়ি আপনি মাপলেন কি দিয়ে?
.....কিন্তু ঘটনাক্রমে তার স্বভাবটা ইসলামী শিক্ষার সাথে মিলে গেল।....
আপনার বলায় স্ব বিরোধিতা আছে।
তিন. আমাদের মধ্যে অনেক এমন আছেন, যারা নিজেদের স্ত্রীকে অন্যের সাথে ঘুরাঘুরি করতে অনুমতি দেন। স্ত্রী নিজের স্বামীকে শালিকার সাথে পার্কে যেতে দেন। স্বামী তার স্ত্রীকে দেবরের সাথে মার্কেটে পাঠান। আর মনে করেন আমি উদার। এ যুগে এ রকম না হলে কি আর চলে?
কিন্তু স্বভাব-ধর্মে তাড়িত হয়ে মনে মনে কামনা করেন, যদি আমার স্ত্রী আমার বন্ধুর সাথে ঘুরাঘুরি না করত। আমরার স্বামী যদি আমার বোনকে নিয়ে পার্কে না যেত। আমার স্ত্রী যদি আমার ছোট ভাইয়ের সাথে মার্কেটে না যেত, তাহলে কত ভাল হত! এভাবে তারা ইসলাম-কে এড়িয়ে আধুনিক জাহেলিয়াতের শিকলে নিজেকে বন্দি করে ফেলছে আর মন-যন্ত্রনায় ভুগছে প্রতিটি মুহুর্তে। নিজের মন ও আত্নার সাথে এভাবেই তারা প্রতারণা করে শয়তানের গোলামীতে লিপ্ত হয়ে পড়ছে। সুস্থ বিবেক, অবিকৃত মানসিকতা যা চায় ইসলামতো সেটাই দিয়েছে।
দেখা>কথা>ঘুরাঘুরি>শয়তানের কুমন্ত্রনা>............
অতএব দর্শনই ধর্ষনের মূল।
চার. একজন প্রেমিক ও প্রেমিকা, স্বামী ও স্ত্রী সর্বদা চায় আমার ভালবাসার মানুষটি সর্বক্ষেত্রে শুধু আমারই হবে। অন্য কারো অংশ থাকবে না তাতে মোটেই। এটা যেমন একজন সুস্থ বিবেকসম্পন্ন মানুষ কামনা করে তেমনি একজন অসুস্থ বিবেকের মানুষও চায়। সস্প্রতি বহুল আলোচিত গুলশানে দম্পতি হত্যার আসামী রুবেল যখন দেখল তার প্রেমিকা ইন্টারনেটে অন্য এক ছেলের সাথে চ্যাটিং করছে তখন সে অন্থির হয়ে পড়েছিল। কিসের টানে? এটাকি খুব মামুলী বিষয় ছিল না? তার স্বভাব ধর্মের তাড়নায় সে এটা পছন্দ করেনি। ইসলাম এ স্বভাব ধর্মই শিক্ষা দেয়।
একটা মেয়ে তখনই জেলাস হয় যখন তাকে প্রকৃত ভালবাসে।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৫৩
ডিজিটালভূত বলেছেন: পড়ার জন্য আর স্ববিরোধিতা ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৩৭| ০৮ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৪২
জেনারেশন৭৫ বলেছেন: শিক্ষিত বা অল্পশিক্ষিত দিয়ে কথা নয়, স্বভাবগত ভাবেই মেয়েদের মধ্য হিংসা প্রবনতা বোধহয় একটু বেশি হয়। হয়তবা তারই প্রতিফলন ভাবির মধ্য ও পড়েছে।
এটা তেমন কিছু না.... ঠান্ডা মাথায় বুঝালে ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
হয়তবা যে গ্যাপটা দেখতে পাচ্ছেন, তা হলো আপনাদের ২ জনের জানা আর অজানা নিয়ে। ইসলামের দৃষ্টিতে এ বিষয়গুলোর কতটা ছাড় দেয় সে বিষয়গুলো ভাবির কাছে পরিস্কার করলেই মনে হয় সমস্যটা অনেকটা কেটে যাবে।
০৯ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৫৫
ডিজিটালভূত বলেছেন: মন্তব্য ভাল লাগল।
৩৮| ১৬ ই মে, ২০১০ রাত ১:০৬
বাংলাকে ভালবাসি বলেছেন:
অনুমতি দিলে মন্তব্য করি ভাই?
আপনার পোষ্টটি খুব সচ্ছ ও সুন্দর হয়েছে।
আমার একটা প্রশ্ন আছে।
বিয়ের পর ছেলেদের কি বউ নিয়ে আলাদা থাকা উচিত নাকি মা-বাবাকে সাথে নিয়ে রাখা উচিত?
২৯ শে জুন, ২০১০ সকাল ১১:২৩
ডিজিটালভূত বলেছেন: দ্বীতিয়টি ভাল
৩৯| ২৯ শে জুন, ২০১০ সকাল ১০:২১
মাহমুদ রহমান বলেছেন: লেখাটা পড়লাম। ভাল লাগল।
আপনি ঠিক আছেন। আপনার বউও ঠিক আছে। এমন বউ পাশে থাকলে নিজে একটু স্বাধীন থাকা যায়।
উনি আপনার দ্বীনদারীর ব্যাপারে কত সিরিয়াস..... এর থেকে ভাল ব্যাপার আর কি হতে পারে?
শিক্ষার অভাবটা যদি সমস্যা হয় তবে পুরণে আপনি সচেতন হোন। শিক্ষার দিন কি ফুরিয়ে গেছে নাকি? তবে উনার এই সিরিয়াসনেসটাকে নেগেটিভ নিয়েন না।
২৯ শে জুন, ২০১০ সকাল ১১:২৫
ডিজিটালভূত বলেছেন: আপনার মন্তব্যগুলো আন্তরিক ও মুল্যবান।
আসলে আমরা অনেকে দীনদারিটাকে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করি। আমার বউ পিছে থাকবে কেন?
৪০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১১ রাত ২:২১
আকাশ_পাগলা বলেছেন: বিয়ে করিনি। কিন্তু ভালবাসার বিশাল অভিজ্ঞতা আছে।
যে বেশি ভালবাসে, সে সবসময় অবাস্তব দাবী গুলো করে।
আপনাকে ভালবাসে বলেই বেড়া দিয়ে রাখে, এমনিতেই চিন্তা করে যে, পুরুষ হিসেবে বাইরে কী করছেন !!
আপনি আপনার স্ত্রীকে আড়াল করে মাঝে মাঝে একটু আকটু ভাবীদের সাথে গল্প করছেন বুঝলাম। আপনি নিষেধ করার পরও আপনার স্ত্রী অন্য কোন ছেলের সাথে একটু কথা বললে আপনি কী হালকা ভাবে নিতে পারতেন ???
শুধু কথা বললেই যদি এই অবস্থা হয়, এটা হয়ত শিক্ষার অভাব না, মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীনতা। এটাকে খারাপ অর্থে নিবেন না। এটা একধরণের সমস্যা। এর থেকে সমাধান আপনাকেই করতে হবে।
১) তার সাথে খোলাখুলি কথা বলুন।
প্রতি সপ্তাহে ২ বার। এক ঘন্টা করে। ভাল কাছাকাছি মূহুর্তে।
২)আপনি অন্য কারও সাথে কথা বললে তাকে পাশে রাখেন। তিনজনে এক সাথে গল্প করুন।
৩)অন্য যে মেয়ের সাথে কথা বলছেন, আপনার স্ত্রীর সামনেই তাকে জানান যে আপনারা দুজন একসাথে খুব খুশি আর আল্লাহকে কৃতজ্ঞতা।
আমি নিশ্চিত ১ মাসের মধ্যে কেটে যাবে।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মার্চ, ২০১০ ভোর ৬:৫১
কারিমাট বলেছেন: ডরাইছি