নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

dilshan

dilshan › বিস্তারিত পোস্টঃ

যোনী নারী সম্ভ্রমের ইন্ডিকেটর না । যোনী মানব প্রজাতীর অস্তিত্ব রক্ষার একমাত্র পথ ।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৫২

“Baishakh Celebration - Outrage over sex assault” - এই হচ্ছে আজকের ডেইলি স্টার এর হেডিং । সব কাগজগুলোর খবর পরে মনে হচ্ছিলো ও আচ্ছা যৈান নিপিরন বোধয় পহেলা বৈশাখ উৎযাপনের অংশ। নারীর যোনীর উপর আক্রমন সবসময়ই যুদ্ধের সময় একটা মক্ষম হাতিয়ার ছিলো । দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ, 1971, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা সবসময়ই সব যায়গায়। শত বছর পার হয়েছে কিন্তু আক্রমনের কৈাশলের কোন পরিবর্তন নেই। সময় এগিয়েছে তাই সিসি ক্যামেরায় নারী সম্ভ্রব ধরা হয় । কিন্তু আমাকে সংগায়িত করা হয় ওই যোনি দিয়েই । রমনী = রমন যোগ্যা যিনি, নারী = নর +ই, মেয়ে ছেলে = মেয়ে +ছেলে, যুবতী = যৈাবন বতী, তরুনি = তরুন + ই . . . . হয় পু: লিংগের সংগে প্রত্যয় যুক্ত করে নারীর অবস্থান নয়ত যৈান সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারী কতখানি আবেদন ময়ী তার উপর ভিত্তি করে আপনার অবস্থান । আপনি কার কাছে আপনার সম্ভ্রব ভিক্ষা চাইবেন ? কেন? আপনাকে ভিক্ষা চাইতে হবে কেন? দিনের শেষে এই পুরুষ তান্ত্রিক রাস্ট্র ব্যাবস্থায় প্রত্যেকটা স্তরে স্তরে নিয়ন্ত্রক হচ্ছে পুরুষ । না পুরুষে আমার আপত্তি নাই, আপত্তি পুরুষ তান্ত্রিক মানুষিকতায় । এমনকি এই সমাজের নারীরাও পুরুষতান্ত্রিক মানুষিকতাই ধারন করে । আমি বেগম রোকয়োর মতো বলতে পারি না আর নয় বলিতাম ভিগিনীগন আপনার রাগ করিয়েন না, যতদিন পর্যন্ত হাই হিল পড়িয়া পরছি পর ধরছি ধর চরিত্রে নিজের সৈান্দর্য অবলোকন করিবেন ততদিন পর্যন্ত আপনার যোনির উপর অবলা বলিয়া রাক্ষস গন আক্রমন করিয়াই যাইবে । লৈংগিক রাজনিতিটা বুঝতে পারা সবচেয়ে জরুরি আমাদের জন্য, আর বুঝতে নাপারার সবচেয়ে ফায়দা পুরুষদের জন্য । তাই লৈংগিক রাজনিতি আপনি যেন বুঝতে না পারেন তার সমস্ত আয়োজন গ্ল্যামারের রঙিন চষমা ঠুলি সবকিছু নিয়ে সমাজ করে রেখছে । যখনই কোন নারী তাই স্বাধীন চেতা হতে চায় তার স্বাধীনতার চর্চা করতে চায় খুব যত্ন করে, আয়োজন করে তাকে দায়ীত্বহীন স্বেচ্ছাচারী হিসেবে উপাস্থাপন করা হয় । যেন সমাজের অন্য কোন নারী তাকে দেখে সামনে আসার উৎসাহ না পায় । বাংলায় শব্দচয়ন অনেক শক্ত তাই ইংরেজীতে বলি “to me women vagina is the pathway to give birth of human species" । যোনী নারী সম্ভ্রমের ইন্ডিকেটর না । যোনী মানব প্রজাতীর অস্তিত্ব রক্ষার একমাত্র পথ । এই কারনেই নরী মানব জাতির মধ্যে প্রাকৃতিক ভাবেই সুপিরিয়র, তুলনামূলক ক্ষমতা সম্পন্ন । নারী যদি শক্তি, শাহস এবং ব্যাক্তিত্ব নিয়ে দারায় তাহলে সেই শক্তিকে ওভারসিড করা এত সহজ না । টিএসসিতে বাকিযে মেয়েরা ছিলো তারা কি করল ? নারীর ত্রান কর্তা পুরুষকেই কেন হতে হবে ? কয়টা মেয়ে এগিয়ে গেছি ওই মেয়েকে রক্ষা করতে ? লৈংগীক রাজনিতী যতদিন বুঝবা না ততদিন ঘড়ে বাইরে, টয়লেটে, রান্না ঘরে, গোয়াল ঘড়ে, এয়ারপোর্টে, বইমেলায়, চৈত্র মেলায়, বৈশাখী মেলায় সব যায়গায় শুদু সম্ভ্রব না সকলই হানী হতে থাকবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:০৫

শেষ শব্দ বলেছেন: "নারীর ত্রান কর্তা পুরুষকেই কেন হতে হবে ? কয়টা মেয়ে এগিয়ে গেছি ওই মেয়েকে রক্ষা করতে ?"
আসলেই ঠিক বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.