নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ছুট্ট দুষ্টু!

http://www.somewhereinblog.net/blog/Paranoid

লিটল হামা

হাসান মাহবুব

লিটল হামা › বিস্তারিত পোস্টঃ

মিতিন ও মিয়াওগাড়ি

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:২৭



মিতিনের অভ্যাস হল, সে বাবুদের সিনেমা বা কার্টুন দেখতে দেখতে ভাত খাবে। ওর প্রিয় অ্যানিমেশন ফিল্ম-- মাই নেইবার তোতোরো। মিতিন অবশ্য এত কঠিন নামটা বলতে পারে না। সে শুধু তোতো বলে। বাবা অথবা মায়ের কাছে এসে তোতো বললেই তারা সিনেমাটি চালিয়ে দেয়।

সিনেমাটি দেখতে দেখতে ওর প্রায় পুরোটাই মুখস্ত হয়ে গেছে। দুইবোন, সাতসুকি আর মেই কখন কী করবে সব জানে সে। তবে তার সবচেয়ে প্রিয় অংশ হল যখন মেই এর সঙ্গে তোতোরোর দেখার অংশ। তোতোরো বিশালদেহী এক জঙ্গলদানব। তবে সে কারও ক্ষতি করে না। আর বাচ্চাদের তো সে খুবই ভালোবাসে। বাচ্চারাও তাকে দেখে ভয় পায় না একটুও। তোতোরোর একটা গাড়ি আছে। বিশাল বড় বিড়ালের মতো দেখতে। ভালো বাচ্চারা কোনো বিপদে পড়লে তাদের উদ্ধার করে এই ক্যাটবাস, মিতিন যার নাম দিয়েছে মিয়াওগাড়ি!



মিতিনের খুব শখ এমন একটা মিয়াওগাড়ি কেনার। সে তার বাবাকে বলেছে অনেকবার। বাবা তার কথা হেসে উড়িয়ে দেয়। মিয়াওগাড়ি নামে কোনোকিছু নাকি নেই, সবই কার্টুনের অংশ। বড়দের এই ব্যাপারগুলো মিতিনের খুব পচা লাগে। ওরা কোনোকিছুই বিশ্বাস করে না, এইটা নাই, ঐটা নাই সবকিছুতেই তাদের বাধা। মিয়াওগাড়ি যদি নাই থাকে তাহলে সাতসুকি আর মেই কীভাবে দেখা পেল তার? মাকে বলে দেখেছে। সেও একই কথা বলে। মিতিন মনে মনে ভাবে, যখন সে বড় হবে, যখন তার অনেক টাকা হবে, তখন সে বড় একটা মিয়াও গাড়ি কিনবে। সে তো এখন প্লে-গ্রুপে পড়ে, ক্লাস টুতে উঠলে সে বড় হয়ে যাবে। তখন সে ইচ্ছামতো চকলেট খাবে, তোতোরোর সঙ্গে মিয়াওগাড়িতে করে ঘুরতে যাবে। কেউ কিচ্ছু বলবে না তাকে।



গত জন্মদিনে মিতিনের আব্বু তাকে রংপেন্সিল কিনে দিয়েছে। নতুন এই উপহার পেয়ে মিতিন খুব খুশি। এখন সে ইচ্ছেমতো যা খুশি তাই আঁকতে পারবে। সে অনেককিছু এঁকে ফেলেছে ইতোমধ্যে-- গাছ, ফুল, বাঘ, গ্রাম, নদী আরও কত কী! সবাই তার অনেক প্রশংসা করেছে। বলেছে, মিতিন বড় হয়ে অনেক বড় আর্টিস্ট হবে। দিনকে দিন মিতিনের আঁকার ইচ্ছে বেড়েই চলে। এখন সে মিয়াওগাড়ি আঁকতে পারে। মিয়াওগাড়ি এঁকে ঘুড়ির মতো করে বানিয়ে আকাশে উড়িয়ে দেয়। এসব দেখে মিতিনের আব্বু-আম্মু হাসে ঠিকই; কিন্তু তারপরও তারা স্বীকার করে না যে মিয়াওগাড়ি বলতে সত্যি কিছু আছে। এ জন্য মিতিনের মন কিছুটা খারাপ।



একদিন মিতিনের অনেক জ্বর হল। তার কিছু ভালো লাগছিল না। বাবা-মা তার জন্য সারারাত জেগে, কপালে পানিপট্টি দিয়ে, কোলে করে হেঁটে মিতিনকে আদর করতে লাগল। জ্বরের ঘোরে মিতিনের মনে হচ্ছিল সে দুলছে... দুলছে!



শরীরটাকে হালকা লাগছিল খুব! ওই অবস্থায়ও সে কার্টুন নিয়ে ভাবছিল। তোতোরো আর তার ক্যাটবাস! তোতোরোকে ছোট্ট বাবুরা ছাড়া আর কেউ দেখতে পায় না। ক্যাটবাসকেও। সাতসুকি আর মেই যেমন বিপদে পড়েছিল, তখন তাদের উদ্ধার করেছিল মিয়াওগাড়ি! এখন বাবার কোলে দুলতে দুলতে সে বুঝতে পারল, বাবা আর মা তার জন্য তোতোরো আর মিয়াওগাড়ি। এই দুজন থাকতে তার আর কোনো ভয় নেই।



স্বস্তি পেয়ে ঘুম দেওয়ার চেষ্টা করে মিতিন।

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৪৬

আমি ময়ূরাক্ষী বলেছেন: ভালো লাগলো মিতিনের মিয়াও গাড়ির গল্প।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৫০

লিটল হামা বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে।

২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:০১

মামুন রশিদ বলেছেন: খুব সুইট করে লিখেছেন । মিতিন মামনির জন্য অনেক অনেক আদর :) :)

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:০৮

লিটল হামা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মামুন ভাই। আপনার সন্তানের জন্যেও আদর রইলো।

৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪৪

অদৃশ্য বলেছেন: Shondor laglo ...

Shuvokamona Has an Vai...

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫৩

লিটল হামা বলেছেন: ধন্যবাদ কবি।

৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৫৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
শিশুসুলভ সুন্দর নির্মাণ। চর্চাটা ধরে রাখা চাই।
ভালোলাগা রইলো সবটাতে ...

৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:১৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১১:৫৮

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: গল্প অনেক সুন্দর হয়েছে, মিতিনের জন্য ভালবাসা রইল। আর লেখকের জন্য +++ এন্ড শুভকামনা।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮

লিটল হামা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ২:৩৫

আমিনুর রহমান বলেছেন:



মিতিন আর মিয়াও গাড়ির গল্প শুনে ভালো লাগলো। মিতিনের জন্য অনেক অনেক আদর।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮

লিটল হামা বলেছেন: শুভেচ্ছা।

৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:০৫

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: মিতিন আর মিয়াও গাড়ির গল্প শুনে ভালো লাগলো।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮

লিটল হামা বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভদুপুর।

৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৩:৫৩

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
মিতিনের গল্প ভাল লাগলো।
তার জন্য শুভকামনা রেখে গেলাম।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৯

লিটল হামা বলেছেন: ধন্যবাদ কবি।

১০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:০৫

এহসান সাবির বলেছেন: মিতিনকে আদর....

মিতিনের বাবা আর মা কে শুভেচ্ছা.....

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫৯

লিটল হামা বলেছেন: আপনার জন্যেও শুভেচ্ছা।

১১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:২৯

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
এই দুজন থাকতে তার আর কোনো ভয় নেই এ বিশ্বাস ও ভরসাটুকু সবার মাঝে থাকুক ৷

এ বয়সীদের দৃষ্টিতে লেখা আসলে অনেক জটিল ৷ আপনার প্রচেষ্টায় অভিনন্দন ৷ পরিজনে ভাল থাকুন ৷

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০০

লিটল হামা বলেছেন: ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।

১২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:১৯

কলমের কালি শেষ বলেছেন: সুন্দর মিষ্টি শিশুতোষ । :)

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০০

লিটল হামা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

১৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫১

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: মিতিনের জন্য অনেক শুভকামনা রইলো !

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০০

লিটল হামা বলেছেন: ধন্যবাদ অভি।

১৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৪

সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: একটা ব্লগে অন্ধকার, একটা ব্লগে আলো।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:০১

লিটল হামা বলেছেন: হাহা! দুটোরই কিন্তু দরকার আছে। কী বলেন সাদিয়া?

১৫| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১২

সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: অবশ্যই।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৩

লিটল হামা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

১৬| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৪

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: একটা ব্লগে অন্ধকার, একটা ব্লগে আলো। amio etai vabtesiLam। tab diye bangLa font e Likha jhameLa dhuss।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৩

লিটল হামা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

১৭| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৬

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: চমৎকার, অনেক সুন্দর একটা গল্প :)

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৩৩

লিটল হামা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ!

১৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬

সানজিদা হোসেন বলেছেন: আপনি এমন করেও লিখতে পারেন? অবাক হলাম। লেখা বরাবরের মতই চমৎকার। মিতিন সোনার জন্য অনেক অনেক আদর

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৫১

লিটল হামা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সানজিদা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.