নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আর পড়া নয়, এখন শুধুই ঘোরা। কয়েকদিন শুধু ঘুরব আর ঘুরব।দূর পাহাড়ে যাব, চাকমাদের ব্যাং ভাজা খাওয়া দেখব, মগ মেয়ের ঝরণা থেকে কলস ভরে পানি নেওয়া দেখব। সাগরে যাব, ডলফিনের সাথে সাঁতার কাটব, সুটকি ভরতা আর রূপচাঁদা ফ্রাই দিয়ে ভাত খেয়ে রৌদ্রে গা ড্রাই করে নেব। ভরা নদীতে মাঝিদের সাথে নৌকায় শুয়ে কাঁটাব রুপালী রাত্রি।
হাতে কি বলো দেখি? চকোলেট ভালোবাসেনা এমন শিশু খুঁজে পাওয়া যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি না। চকোলেট ঘুষ দিয়ে একমাত্র শিশুদের কাছ থেকে নিষ্পাপ বিনোদন আদায় করা যায়। তাদেরকে কিছু করতে বললে তারা ঘুষ হিসেবে চকোলেট নিঃসঙ্কোচে দাবী করে বসে।
প্রথম কে কবে চকোলেট আবিষ্কার করে তার গল্প ইতিহাস ভূলে বসে আছে। আসলে সামগ্রিক ইতিহাসের শিকিভাগও আমরা লিখে রাখতে পারিনি। ইতিহাসের বইয়ের পাতা উল্টালে দেখা যায় মায়া সভ্যতার যুগে সেই সময়ের অভিজাত শ্রেণীর মানুষেরা চকোলেট পানীয় পান করত। তারা কোকো গাছ থেকে প্রাপ্ত বীজ থেকে এই পানীয় তৈরী করত। মানুষ কিভাবে কোকো বীজ থেকে চকোলেট বানানো শিখলো তা জানা গেলো না। জানার ব্যাপক আগ্রহ হচ্ছে। প্রয়োজনই সকল আবিষ্কারের মা। আজটেক সভ্যতার মানুষজন কোকো বীজ মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করত। তারা কোকো বীজ থেকে মিষ্টি পানীয় তৈরী করত। ১৫২৯ সালে বিজেতা হারনান্দো করটেজের হাত ধরে আমেরিকা থেকে চকোলেট স্পেনে প্রবেশ করে।
১৭২৯ সালে ওয়ালটার চার্চ চকোলেট তৈরীর প্যাটেন্ট দ্বিতীয় জর্জ কে দেন। য়ামি ভেবে পাইনা এই প্যাটেন্ট কি করে বৈধ হয়। তবে এরপরে বানিজ্যিকভাবে চকোলেট পানীয় বিক্রি শুরু হয়। বিভিন্ন কোম্পানী গড়ে ওঠে।
১৮৪৭ সাল। জোসেফ ফ্রাই এন্ড সনস, চকোলেট পানীয় উৎপাদনকারী একটি প্রতিষ্ঠান। তারা কোকো বাটার দিয়ে বিশেষ ধরণের পেস্ট তৈরী করতে সমর্থ হন। এই পেস্টের তৈরী মোল্ডকে জমিয়ে তারা শক্ত চকোলেট তৈরীতে সক্ষম হন। পৃথিবীতে তৈরী হলো প্রথম ক্যান্ডি বার। এই ক্যান্ডি বার কেই আমরা বাঙালীরা চকোলেট বলে জানি। চকোলেট বার আবিষ্কারের পর তা জনসাধারনের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন ফেলে দিলো । আগে মানুষ যে পরিমান চকোলেটের পানীয় পান করত তার থেকে বেশী চকোলেট বার খাওয়া শুরু হলো।
১৮৪৭ সাল, জন ক্যাডবেরী বাজারে নিয়ে এলেন চকোলে ক্যান্ডি বার। পরে ক্যাডবেরী এবং জোসেফ ফ্রাই এন্ড সন্স একত্রে যুক্ত হন। ১৮৭৫ সালে মিল্ক চকোলেট আবিষ্কার করলেন হেনরি নেসলে এবং ডেনিয়েল পিটার। নিত্য নতুন খাদ্য সামগ্রী আবিষ্কারে নেসলের জুড়ি ছিলোনা। বিশ্ববিখ্যাত নেসলে কোম্পানীর প্রতিষ্ঠাতা এই হেনরি নেসলে।
১৯৩৩ সালে কিটকাট চকোলেট উদ্ভাবন করা হয়। চকোলেটের ইতিহাস বিস্তৃত, স্বল্প পরিসরে লেখা সম্ভব নয়। বিংশ শতাব্দীতে চকোলেট ইন্ডাস্ট্রি শিল্প সব থেকে বেশী বিকশিত হয়েছে। এই অগ্রযাত্রা সামনের দিনে আরো বিস্তৃত হবে একথা অনস্বীকার্য।
এই চকোলেটগুলো দেখে কার ভিজে জল আসে নি হাত তোলেন?
©somewhere in net ltd.