নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ বাঁচে আশায়, শূন্যে বাঁধি আশা।

আমার ব্লগ http://dokhinabatas.blogspot.com/

দক্ষিনা বাতাস

আর পড়া নয়, এখন শুধুই ঘোরা। কয়েকদিন শুধু ঘুরব আর ঘুরব।দূর পাহাড়ে যাব, চাকমাদের ব্যাং ভাজা খাওয়া দেখব, মগ মেয়ের ঝরণা থেকে কলস ভরে পানি নেওয়া দেখব। সাগরে যাব, ডলফিনের সাথে সাঁতার কাটব, সুটকি ভরতা আর রূপচাঁদা ফ্রাই দিয়ে ভাত খেয়ে রৌদ্রে গা ড্রাই করে নেব। ভরা নদীতে মাঝিদের সাথে নৌকায় শুয়ে কাঁটাব রুপালী রাত্রি।

দক্ষিনা বাতাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিজ্ঞানের খাতা- পর্ব ১৩: বিকল্প শিশু খাদ্য ও নেসলে

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৩০

যখন নতুন শিশু পরিবারে আসে তখন সবার মনে খুশীর বান ডাকে। সন্তান জন্মের পর তার মুখে তুলে দেয়া হয় মায়ের বুকের শাল দুধ। বিকল্প খাবারের ব্যবস্থা করা বোকামি। তবে সকল শিশুই কি মায়ের বুকের দুধ খেতে পারে? কিছু তো ব্যতিক্রম থাকে। যারা মায়ের বুকের দুধ টেনে খতে পারে না অথবা পারলেও তা হজম করতে পারে না। তাদের কি উপায় হবে? এখন শিশুকে খাওয়ানোর জন্য বিবিধ বিকল্প খাবার পাওয়া যায়। যদিও মায়ের দুধ শিশুর জন্য উৎকৃষ্ট খাবার্। আমি যে সময়ের কথা বলছি সেই সময়ে নবজাতক শিশুকে খাওয়ানোর মত বিকল্প খাবার ছিল না। ১৮৬৭ সালে হেনরি নেসলে বিশেষ ফরমূলায় নবজাতকের জন্য একটি মাতৃদুগ্ধের বিকল্প খাবার প্রস্তুত করতে সক্ষম হলেন যা মাতৃদুগ্ধ পানে অক্ষম নবজাতক শিশুদের খাওয়ানো যাবে। নেসলের খবর পেলেন একটি শিশু জন্মেছে। শিশুটি কিছুতেই তার মায়ের দুধ সহ্য করতে পারছে না। তখন নেসলে তার তৈরী খাবার শিশুটিকে খাওয়ালেন। নেসলের নতুন ফর্মূলা শিশুটির জীবন রক্ষা করলো।







সহস্র শিশুর জীবন রক্ষাকারী হেনরি নেসলে ১৮১৪ সালের ১০ আগস্ট জার্মানীর ফ্রাংকফ্রুটে জন্মগ্রহন করেন। বর্নাঢ্য জীবনের শেষে তিনি সুইজারল্যান্ডের ব্লোনি শহরে ১৮৯০ সালের ৭ জুলাই মারা যান।







নবজাতকের জীবন রক্ষার সেই ঘটনার পরে নেসলের তৈরী খাবার ফ্যারিন ল্যাকটি হেনরি নেসলে সমগ্র ইউরোপে প্রচুর পরিমানে বিক্রি হতে লাগলো। সমসাময়িক সময়ের জন্য সে ছিলো এক বিশাল আবিষ্কার। নেসলের অগ্রযাত্রা থেমে থাকেনি। দেশের সীমান পেরিয়ে বহুজাতিক কোম্পানী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আজকের দিনে নেসলে এত বিস্তৃত হয়েছে যে পৃথিবীর সবদেশেই নেসলের তৈরী খাদ্যসামগ্রী বিক্রি হয়। দেড়শো বছর পেরিয়ে এসে নেসলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ৪৮৯ টি কারখানা প্রতিষ্ঠা করেছে। ১০০ টির বেশী দেশে নেসলের জনপ্রিয় পন্য নেসক্যাফে, কারনেশান, ম্যাগী বিক্রি হয়। ম্যাগী নুডুলস বাংলাদেশের শিশুদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। নেসলেই ইউরোপে প্রথম কনডেনসড মিল্ক তৈরী করে।



মানুষ কোকো বীজ থেকে চকোলেটের পানীয় তৈরী করা শিখেছে প্রাচীন আমলে। সেটাকে শক্ত করে প্রথম ক্যান্ডিবার তৈরী করেন জোসেফ ফ্রাই এন্ড সনস। আর চকোলেটে দুধ মিশিয়ে মিল্ক ক্যান্ডি আবিষ্কার করেন হেনরি নেসলে ১৮৭৫ সালে। বিভিন্ন ধরণের কফি যেমন সলিউবল কফি, ফ্রিজ ড্রাইড কফি, গ্রানুলেটেড বা দানাদার কফি নেসলেই প্রথম প্রস্তুত করে।



মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫০

এরিস বলেছেন: বরাবরের মতই তথ্যবহুল। জেনে গেলাম অনেক কিছু। চালিয়ে যান প্রিয় দক্ষিণা বাতাস। আরও শিখতে চাই। পোস্টে প্লাস।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৩

দক্ষিনা বাতাস বলেছেন: আমিও লিখে প্রচুর আনন্দ পাচ্ছি তাই লিখছি। আপনাকেও ধন্যাব্দ।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১০:৫১

এরিস বলেছেন: প্লাস হচ্ছেনা কেন?? সামুর কি হল রে ভাই?

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

দক্ষিনা বাতাস বলেছেন: কেউ যদি না পড়ে তাহলে লিখে মজা পাই না। হাজার হাজার মানুষের ভিতর যদি শ খানেক মানুষ লেখাটি না পড়ে তাহলে শুধু শুধু মাথাকে কষ্ট দিতে ইচ্ছে করে না ভাইজান।

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

আহলান বলেছেন: হুম ... ঠিকই বলেছেন। নেসলে অনেক বড় একটি ভুমিকা রাখছে শিশু খাদ্যে ...

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:৩৫

দক্ষিনা বাতাস বলেছেন: সহমতের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.