|
|
| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেখে শুনে মনে হচ্ছে জামাত বাংলাদেশে একজন খোমেনিকে প্রতিষ্ঠিত করতে চলেছে। ইনি বরং খোমেনির চেয়ে কয়েকধাপ উপরে। কিছু হলেই দেশ অচল, সরকার ফেলে দেয়া, সব কিছু জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেবার মত মাস্তানী ঢং এ কথা বলছেন। এসব কি শান্তির ধর্ম ইসলামের মেজাজ? হঠাত গজীয়ে ওঠা একটি দলের এতো সাহস কোত্থেকে আসে? ৩১৩ জনের শহীদী স্কোয়াডে কে কে নাম লিখিয়েছে? কথায় কথায় শহীদ হয়ে যাওয়া--স্বধর্মের লোকেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে কেউ শহীদ হয়? অনেক প্রশ্ন। সব কিছুর মূলে অবশ্যই জামাতিরা। হেফাজতে ইসলামের এক সংবাদ সম্মেলনে জামাত শিবিরের বেশ কয়েকজন সাবেক নেতাকে চিহ্নিত করা গেছে ইতোমধ্যেই।
বাংলাদেশে একজন খোমেনি প্রতিষ্ঠিত হলে তারপর তারা ইরানী ধারায় একটি ইসলামী বিপ্লবের দিকে এগুবার চিন্তা করছে বলেই মনে হয়। তাদের জনভিত্তির দরকার আছে বলে মনে হয় না। এই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তারা ক্ষমতায় যাবে বাংলাদেশে এটা তাদের জন্য দুঃস্বপ্ন--এটাও বুঝে গেছে। বুঝে গেছে বিএনপির মত দলের সাথে থেকে দুইটা মন্ত্রীত্ব দিয়ে তাদের ইসলামী বিপ্লবও সম্ভব হবে না। তাই তারা এখন চাইবে মাদ্রাসগুলোর ছাত্র এবং আলেম সমাজকে নিয়েই জিহাদী জোসে একটি বিপ্লব সাধন করতে এবং তারই টেস্ট কেস হিসেবে ৬ তারিখে তারা সকল শক্তি নিয়োগ করে একটা ভিতীর সঞ্চার করবে। যে যত কথাই বলুক--জামাতের সাথে ফেফাজতের সম্পৃক্ততা দিবালোকের মত ষ্পষ্ট। লংমার্চ এর জন্য লোক সংগ্রহের কাজে মরিয়া এখন জামাত। মজার ব্যাপার! সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আর পেশাজীবি সহ আরো অনেকগুলো দল এই লংমার্চ প্রতিহতের ডাক দেয়ায় এখন তারা লং মার্চ থেকে সম্ভবত সরে গেছে বা যাবে কিন্তু লাগাতার হরতালের যে ঘোষণা দিয়েছে দেশ অচল করার তা সত্যিকারের কোন মুসলমানের পক্ষে সম্ভব নয়। ভন্ড, ধর্মান্ধ, ক্ষমতালিপ্সুর পক্ষেই কেবল সম্ভব।
জামাতিরা জানে অতি শীঘ্রই দলটি নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছে তাই তারা সমবেত বা বিচ্ছিন্ন ভাবে বিভিন্ন ইসলামিক দলের সাথে মিশে যাবে অঢেল অর্থের জোগান তো তাদের হাতেই আছে। তারপর এইসব দলগুলোর মোর্চা বানাবে এবং জোর করেই ক্ষমতা ছিনিয়ে নেবে। সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে দেশের এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে তারা তাদের পছন্দমত মানুষ রাখে নি। যেহেতু ভোটের রাজনীতিতে তারা আসতে পারবেনা--অতএব এটাই হবে তাদের পথ। এই পথে যদি বাংলাদেশ এগোয় তাহলেই হয়েছে!
দেশ এক কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন এখন।মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্দিপীত তরুণ সমাজই আর স্বাধীনতার পক্ষের মানুষগুলোই একমাত্র ভরসা। সরকারের উপর নির্ভর করা কঠিন--তারা ঠ্যালায় ধাক্কায় হেলে দুলে পথ মত সব বদলে লেজে গোবরে করে ফেলে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক বাহক সরকার এখন ধর্মপ্রীতি এবং ধর্মান্ধদের সাথে সমঝোতার পথেই এগুচ্ছে বলে মনে হয়। মুক্তমনা ব্লগারদের একে একে বন্দী করে রিমান্ডে নিচ্ছে যা বাইরে দেশের ভাবমূর্তীকে ইতোমধ্যেই মারাত্মক ভাবে প্রশবিদ্ধ করেছে। যত তাড়াতাড়ি স্বাধীনতার নেতৃত্ব দানকারী সরকার তাদের ভ্রান্ত নীতি থেকে সরে এসে মানুষের কাতারে দাড়াবেঁ ততোই তাদের মঙ্গল।
ব্লগারদের ক্রাইম নিরূপনের জন্য কমিটি করা হয়েছে। সেই কমিটিতে আছে কজন পুলিশ আর দুই জন আলেম----এখানে ব্লগারের প্রতিনিধিরা কই? সব ব্লগারই কি ধর্মের বিরুদ্ধে অবমাননাকর কিছু লেখে? কোন ধর্মই এতো ঠুনকো নয় যে কিছু লিখলেই ধর্ম মরমরিয়ে ভেঙ্গে যাবে। ইসলাম ধর্মের নবী (দঃ) কে বহুবার অপমান করা হয়েছে। কই? তিনি তো কারো উপরে রাগ করেন নি। শোনা যায় এক নারী বস্তা টানতে পারছিলেন না। নবী (দঃ) সেই বস্তা মাথায় করে তাকে সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছিলেন --পাশাপাশি হেঁটে আসার সময় ওই নারী তাঁকে তার উচ্চারণে মুহম্মদ, এবং মুহম্মদের (দঃ) এর নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালাগালি দিচ্ছিল। তিনি নিঃশব্দে সব শুনে যখন গন্তব্যে পৌঁছালেন তখন ওই নারীর সঙ্গী সাথে সাথেই মুহাম্মদ (দঃ) কে চিনতে পেরে বলে--'এ তুমি কাকে সাথে নিয়ে এসেছো এতো তো সেই জঘন্য মুহাম্মদ।' তখন নারীটি বলে--এই যদি হয় মুহাম্মদ--আমি তাঁকে পছন্দ করলাম। এধরণের আরো বহু ঘটনা আছে। আমরা তাঁর পথে কাঁটা ছিটানো বুড়ির গল্প জানি। তিনি বুড়ির জীভ টেনে ছিঁড়ে ফেলেন নি বরং অসুস্থতায় সেবা দিয়েছিলেন।
এই যে ধর্ম গেল! ধর্ম গেল! এই কাজটিই করা হয়েছিল ৭১ এ। ইসলাম হেফাজতের এরকম কমিটি হয়েছিল মসজিদে মসজিদে, ওদেরই রক্ষা হয় নি। এসব হচ্ছে ইসলামের নামধারী প্রতিক্রিয়াশীল, ক্ষমতালোভী, মৌ-লোভীদের কাজ। আল্লাহর ধর্ম এতো ঠুনকো নয় যে তাকে রক্ষা করতে জামাত বা হেফাজতে ইসলাম কে মাঠে নামতে হবে। আল্লাহ কি এই ঠিকাদারী একমাত্র বাংলাদেশের ফেফাজতে ইসলাম কে দিয়েছেন? পৃথিবীতে আর দেশ নেই? আর কাউকেই আল্লাহর পছন্দ হল না?
--মনে পড়ে সুরা আলফীলের কথা। আবাবীল পাখীদের কথা। স্বয়ং আল্লাহ কিভাবে তাঁর কাবাঘর রক্ষা করেছিলেন সেই বিশাল হাতী বাহিনীর বুরুদ্ধে। কই? তিনি তো তখনো কাউকে এই ঘর হেফাজতের দায়িত্ব দেন নি। একটা কম শিক্ষিত মানুষের দেশে চলছে ধর্মের নামে অপব্যাখ্যা আর ক্ষমতারোহনের খায়েশের কচকচানি। যারা ব্লগ কি জিনিশ তাই জানেনা তাদের নিয়ে ব্লগারদের নাস্তিক মুরতাদ বানিয়ে আন্দোলন করছে এরা।
মহান আল্লাহ বলেছেন ধর্মকে প্রতিষ্ঠিত করো তার মানে এই নয় যে তিনি বলেছেন ক্ষমতা নিয়ে টানাটানি করো। নিজে শুদ্ধ মুসলমান হও আগে, পড়শিকেও সাহায্য করো। সবাইকে দীনের দাওয়াত দাও --তাহলেই দ্বীন প্রতিষ্ঠা পাবে। ধর্মের প্রতীষ্ঠা মানুষের মনে, গভীর বিশ্বাসে, কোন সিংহাসনে নয়।
৪২ টি 
+৫/-০২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩১
চোরাবালি- বলেছেন: -মনে পড়ে সুরা আলফীলের কথা। আবাবীল পাখীদের কথা। স্বয়ং আল্লাহ কিভাবে তাঁর কাবাঘর রক্ষা করেছিলেন সেই বিশাল হাতী বাহিনীর বুরুদ্ধে। কই? তিনি তো তখনো কাউকে এই ঘর হেফাজতের দায়িত্ব দেন নি। একটা কম শিক্ষিত মানুষের দেশে চলছে ধর্মের নামে অপব্যাখ্যা আর ক্ষমতারোহনের খায়েশের কচকচানি। যারা ব্লগ কি জিনিশ তাই জানেনা তাদের নিয়ে ব্লগারদের নাস্তিক মুরতাদ বানিয়ে আন্দোলন করছে এরা।---- এইডার আগা মাথা কিছুই বুঝলাম না।
৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬
পথহারা সৈকত বলেছেন: মনে রাখা উচিত এই দেশে লেলিন জন্মাননি। তাই লেলিনের স্বপ্ন এদেশে দেখে লাভ নেই।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৯
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: লেলিনের স্বপ্ন আমরা কেউ দেখিনা পথহারা সৈকত --
৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪০
হুমায়ুন তোরাব বলেছেন: lenja is very difficult to hide
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩০
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: হুম! খুবই সঠিক কথা!
৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৫৭
নায়করাজ বলেছেন: ধর্মের প্রতীষ্ঠা মানুষের মনে, গভীর বিশ্বাসে, কোন সিংহাসনে নয়।
ধর্মের প্রতীষ্ঠা মানুষের মনে, গভীর বিশ্বাসে, কোন সিংহাসনে নয়।
ধর্মের প্রতীষ্ঠা মানুষের মনে, গভীর বিশ্বাসে, কোন সিংহাসনে নয়।
ধর্মের প্রতীষ্ঠা মানুষের মনে, গভীর বিশ্বাসে, কোন সিংহাসনে নয়।
ধর্মের প্রতীষ্ঠা মানুষের মনে, গভীর বিশ্বাসে, কোন সিংহাসনে নয়।
ধর্মের প্রতীষ্ঠা মানুষের মনে, গভীর বিশ্বাসে, কোন সিংহাসনে নয়।
ধর্মের প্রতীষ্ঠা মানুষের মনে, গভীর বিশ্বাসে, কোন সিংহাসনে নয়।
অসাধারণ বলেছেন ভাই।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে নায়করাজ
৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০২
লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: খুবই চমৎকার পোষ্ট ++++্
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৮
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ লিঙ্কনহুসাইন
৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:০৫
নায়করাজ বলেছেন: হেফাজতে জামায়াতে ইসলামে নেপথ্যে কারা ?
Click This Link
Click This Link
Click This Link
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৮
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: পড়লাম, ভাল লাগল আপনার পোস্ট
৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২১
আশিকুর রহমান ১ বলেছেন: ছাগুদের মতো হনুরাও দেখি এখন ল্যাদায়! তাদের জাত ভাইদের ধরা শুরু হওয়ায় তারা একেকটা এখন মস্তবড় ইসলামী চিন্তাবিদের ভং ধরছে। সাধু টাইম থাকতে পিওর হন।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:২৭
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: ল্যাঞ্জা ইজ ভেরি ডিফিকাল্ট টু হাইড
৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬
অভি৯১৭৫ বলেছেন: ইরানের মাটির তলে তেল আছে, ইকনমি নিয়ে চিন্তা কম। আমাদের এই সব তো নাই। আধুনিক শিক্ষা ছাড়া যে আমদের আর কোন শক্তি নাই, পাব্লিক বুজতেছে না।
১০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৬
অভি৯১৭৫ বলেছেন: ইরানের মাটির তলে তেল আছে, ইকনমি নিয়ে চিন্তা কম। আমাদের এই সব তো নাই। আধুনিক শিক্ষা ছাড়া যে আমদের আর কোন শক্তি নাই, পাব্লিক বুজতেছে না।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: খুব সঠিক! অভি৯১৭৫ তবে ইরানের মাটির নিচে তেল থাকুক আর নাই থাকুক ইরানীরা এখন দেশে দেশে ঘুরছে যাযাবরের মত---কাজ খুঁজছে, বাঁচার পথ খুঁজছে। শাহ এর আমলে ইরান তার প্রতিটা নাগরিকের জন্য একটা করে বাড়ী কিনে দেবার ক্ষমতা রাখত। কোথায় সেই ইরান! আহা বিপ্লব! মানুষের মৌলিক অধিকার বলে সেখানে আর কিছু নেই এখন।
১১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬
জাহাজ ব্যাপারী বলেছেন: আবেগপ্রবণ, হুজুগে – সর্বোপরি ব্যক্তি-স্বার্থান্ধদের কাছে বড় কিছু আশা করা যায় না।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: আবেগ তো কিছু থাকবেই যেখানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জড়িত--তাছাড়া মানুষতো রোবট নয় যে আবেগ বর্জিত হবে। দেশপ্রেম যদি ব্যাক্তিস্বার্থ হয়ে থাকে--আমি অবশ্যই ব্যাক্তি-স্বার্থান্ধ। খুব সঠিক বলেছেন। >>>জাহাজ ব্যাপারী
১২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১৬
বোকা মানবী বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন---- এরা হইলো এফাজাতে জামাত ইসলাম
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২১
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: সঠিক ধরেছেন এরা আসলে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতেই মাঠে নেমেছে। দেশপ্রেম যদি ঈমানের অংশ হয়--তাহলে কেউ কথায় কথায় দেশ জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেবার কথা বলতে পারে? দেশ অচলের জন্য লাগাতার হরতাল দেবার কথা বলতে পারে ?--ধন্যবাদ আপনাকে >> বোকা মানবী
১৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৮
একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: খুবই চমৎকার লেখা কোন সন্দেহ নাই। এক কথায় অসাধারন। পোস্টে প্লাসের পর প্লাস দেওয়ার উপকরন বিদ্যমান।
কিন্তু আজকে যেই সিচুয়েশন ক্রিয়েট হয়েছে এটা কি কারনে হল সেইটা ভেবে দেখেছেন? আজকে সাধারন মানুষের বিশাল একটা অংশ হেফাজতে ইসলাম কে সমর্থন দিচ্ছেন শুধুমাত্র স্বঘোষিত মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের একমাত্র শক্তি আওয়ামিলীগ-কে একটা বাশঁ দেওয়ার জন্য। এটাকে আপনি কিভাবে ব্যাখ্যা দিবেন রেজওয়ান সাহেব? এখন কি সব সাধারন মানুষ-কে ছাগু বলে দৌড়াবেন?
আপনারা মানুষের উপর অত্যাচার করতে করতে সাধারন মানুষের মেরুদন্ডের উপর সরাসরি লাঠির বাড়ি দেওয়া শুরু করেছেন। আপনারা যা খুশি তাই করবেন আর কেউ প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারবেনা। একেবারে প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে ৯৬' এর মত আবারও শেয়ার বাজার লুট করলেন কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারবেনা, বিরোধি দলের হুইপ কে রাস্তায় লাঠি পেটা করবেন তাও নাকি দোষের কিছু না। ইলিয়াস আলী গুম হবে তাও কোন উচ্চবাচ্য করা যাবে না।গত চারটা বৎসর আপনারা শুধু অত্যাচারই করেননি বরং মুখটা পর্যন্ত খুলতে দেন নাই জনগনের। শিক্ষকদের কে পর্যন্ত পিটাইতে ছাড়েন নাই। যেই দ্রব্য-মুল্য ছিল আগের সরকারের আমলে হট টপিকস সেই দ্রব্য মুল্য নিয়েতো সংবাদ করাই সবাই ভুলে গেছে।
মানুষের শেষ ভরসা সরকারের পরিবর্তনের আশাটাও ধুলায় লুটিয়ে দিছেন ত্বত্তাবধায়ক বাতিল করে অথচ ২০০৬ এ শুধু ত্বত্তাবধায়ক এর প্রধান পছন্দ হয় নাই দেখে লগি-বৈঠার আন্দোলন করলেন। সাধারন মানুষের চিন্তা-ভাবনা কখনো বুঝার চেষ্টা করেছেন? মানুষ যে কি রকম বীত শ্রাদ্ধ হয়ে সরকারের উপর ক্ষেপে গেছে তাও কি বুঝার চেষ্টা করেছেন? খালি ইচ্ছে হইছে আর মানুষরে ছাগু বইলা ট্যাগ লাগাইছেন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হইলেও তারে ছাগু গালি দিতে আপনাদের বাধেঁ নাই। গত চারটা বৎসর তো বিরোধী দল একেবারে চুপ ছিলো, কই তখন আপনাদের মুখ খুলে নাই। এখন যখন স রকাররের ধুতিতে টান পড়ছে তখন আপনাদের সুশিল ভাব জাইগা উঠে। এইসব কথা কইয়া কি লাভ? সব হইল বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: হুম! আপনার অনুভূতিও বুঝি। হেফাজতের সাথে সাধারণ মানুষ পেলেন কোথায়? আমিতো ধর্মান্ধ জামাতের অনুসারী ছাড়া আর কাউকে দেখি না। আরো ইসলামী দল আছে বাংলাদেশে--তারাও তো এদের বিপরীতে আন্দোলনে নেমেছেন।
কিছু কথা বলেছেন যার সাথে দ্বিমত নেই এই কারনে যে বাংলাদেশে এখনো সুশাসন নিশ্চিত হয়নি।
তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে যা বলেছেন ----হাসছি। কারন কি জানেন? এই ব্যাবস্থায় আজ যারা নির্বাচন চেয়েছিল তখন তাদের বিরুদ্ধেও একই ধরনের আন্দোলন হয়েছিল--তারা তখন যা বলেছিল এখন সেটা ভুলে গেছে। তারপরেও -----যে দুটো নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কের অধীনে করে বিএনপি জোট হেরেছে--সেই দুই নির্বাচন কি বিএনপি সুষ্ঠ এবং সঠিক বলে মেনে নিয়েছে? নেয় নি--যে কারণে সংসদেও যায় নি--তাহলে এই খোঁড়া তত্ত্বাবধায়ক থাকা না থাকারই আর্থটা কি?
ধন্যবাদ আপনাকে একাকী বাংলাদেশ
১৪| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯
নেক্সাস বলেছেন: সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আর পেশাজীবি সহ আরো অনেকগুলো দল এই লংমার্চ প্রতিহতের ডাক দেয়ায় এখন তারা লং মার্চ থেকে সম্ভবত সরে গেছে বা যাব.।
হাহাহা হাসির খোরাক..।
কারা এই সন্মিলিত জোট।
মাইনস্যে এদের চিনে?
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা সুন্দর। কপি করে দিলাম--
"হাহাহা হাসির খোরাক..।
কারা এই সন্মিলিত জোট।
মাইনস্যে এদের চিনে?"
-----এবার যে কোন বাঙ্গালীকে জিজ্ঞেস করে দেখেন এই সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট কারা? যদি সে বাঙ্গালী হয় ঠিক ঠিক উত্তর দিয়ে দেবে। আর যদি পাকিস্তানের দালাল হয়---হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি দিয়ে বলবে--ধ্যুর! মাইনস্যে এদের চিনে?
ধন্যবাদ পড়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন সেইজন্য।
১৫| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬
একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: নেক্সাসের রিপ্লাই এর প্রথম প্যারায় কি আমারে দিলেন নাকি? বুঝি নাই ঠিক মত
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০২
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: দুঃখিত ওই অংশে আপনার নামটা লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম। এবার ঠিক করে দিয়েছি একাকী বাংলাদেশি । ধন্যবাদ আবারো আপনাকে।
১৬| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:১৪
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: অশোভন এবং ব্যাক্তিগত আক্রমণ করা মন্তব্য আমি মুছে দিচ্ছি---তাই এই প্রয়াস না করাই ভাল।
১৭| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২০
গেদু চাচা বলেছেন: হাহাহাহা লেংটা হয়ে যাবা নাস্তিক।
ইসলামি রেঁনোসা কে এত ভয় কিসের।
কারণ ইসলামি রেঁনোসা হলে তোমাদের মত পার্ভাটদের দিন শেষ।
তোমার আর মৌ মধুবন্তীর মত পরবার বিচ্যুত নষ্টাদের নিয়ে ফস্টি নষ্টি করতে পারবেনা। এইতো।
সময় এবার লুঙ্গি খোলার
১৮| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮
কালের কলস বলেছেন: স্ববিরোধিতা: "এই নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় তারা ক্ষমতায় যাবে বাংলাদেশে এটা তাদের জন্য দুঃস্বপ্ন--এটাও বুঝে গেছে। " তবে আর জামাত নিষিদ্ধের দাবী কেন?
মুলতঃ ভোটের মাধ্যমে জামাত ক্ষমতায় যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে বিধায়, মোকাবেলার সাহস হারিয়ে নিষিদ্ধের দাবী তোলা হচ্ছে?
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: জামাত নিষিদ্ধের দাবী মূলত যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে। পৃথিবীর কোন দেশে কোন যুদ্ধাপরাধী দল রাজনীতি করে না। আমরাও চাই না আমাদের দেশে করুক। তাছাড়া জামাত এখন সন্ত্রাসী দল হিসেবেও নিজেদেরকে প্রমাণ করেছে।
১৯| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০
কালের কলস বলেছেন: যুদ্ধাপরাধ আর দালালী ভিন্ন জিনিস, জামাত করেছে ফাঁকিস্থানের দালালী।
বলে কি লাভ? আমরা সবাই নিজ নিজ দলের অন্ধ ভক্ত। তালগাছ আমার, দেশ গোল্লায় যাক
গনতন্ত্র চাই তবে আমার বিপক্ষে কেউ থাকতে পারবে না।
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৯
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: অনেক কথাই বলা যায় --কিন্তু এসব আপনিও শুনেছেন নিশ্চয়। তাই ক্ষান্ত দিলাম। জামাত কি কি করেছে তার প্রামাণ্য দলিল যেমন রয়েছে তেমনি এদেশে এখনো ভুক্তভোগী কিছু মানুষও রয়েছে। সেই বিতর্কে গেলাম না।
ইতিহাস তার গতিপথ চিনে এগুবে। সময় বলে দেবে একদিন সব কিছুই। --হ্যাঁ এটা ঠিক বলেছেন--এদেশের মানুষের মধ্যে অধিকাংশই দলকানা--নিজের দলের ভুল নিয়ে কেউ সমালোচনা করে না---এটাই আমাদের অগ্রগতির প্রধান অন্তরায়। ভাল থাকুন >>কালের কলস
২০| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০১
উন্মোচক বলেছেন: বুঝিলাম কুত্তার ল্যাঞ্জা সহজে সোজা হয় না 
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: একদম ঠিক কথা উন্মোচক। কেউ তার নিজের লেঞ্জা আড়াল করতো পারে না---না আপনি --না আমি। আর সেই লেঞ্জা যদি কুকুরের হয় টেনে সোজা করে সাধ্য কার?
২১| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১২
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: বলেছেন: "ধর্ম রক্ষার নামে হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ কর্মসূচি ইসলাম ও কোরআনের বিরোধী বলে মন্তব্য করেন এই মাওলানা।
তিনি বলেন, “তারা মাওসেতুংয়ের মতাদর্শের লংমার্চের ধারক ও বাহক। পবিত্র কোরআন ও ইসলামকে আল্লাহ নিজেই হেফাযত করার ঘোষণা দিয়ে ১৫ নং সূরা হিজরের ৯নং আয়াতে চিরস্থায়ীভাবে বিধান দিয়ে আল্লাহ তা’আলা বলেন, ইন্না নাহনু নাযযালনাজ যিকরা ওয়া ইন্না লাহু লা-হা-ফিজুন, অর্থাৎ ‘আমিই কুরআন অবতীর্ণ করিয়াছি এবং অবশ্য আমিই উহার সংরক্ষক’।”
সেখানে আল্লাহর দায়িত্ব পালনের কথা শয়তান ছাড়া কেউ বলতে পারে না, মন্তব্য করেন তিনি। "-
--- সম্মিলিত ইসলামী জোটের সভাপতি হাফেজ মাওলানা জিয়াউল হাসান।
তিনি আরো যা বলেন বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন
২২| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:১৫
দন্ডিত বলেছেন: অনেকেই ট্যাগাইতে ব্যাস্ত। সত্য কথা গায়ে লাগে অনেক বেশী 
অসাধারন পোস্ট।
২৩| ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:২৫
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে দন্ডিত 
২৪| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:০২
একাকী বাংলাদেশি বলেছেন: আপনি নিজেই বল্লেন আমাদের দেশে সুশাসনের অভাব।আর ত্বত্তাবধায়কের কথা শুনলে আপনার হাসি পায় তাহলে কি বলবেন, কিভাবে সরকার পরিবর্তন হবে?
নাকি সারা জীবন আওয়ামিলীগ এর পা চেটে দিতে বাধ্য থাকবে সাধারন জনগন?
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১৭
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: আমার হাসির কারনটাও কিন্তু ব্যাখ্যা করেছি---তাই না? লাভ কি বলেন? যা আপনি হেরে গেলেই মানবেন না তা চেয়েই বা কি লাভ? দুই দলের কথাই বলছি---বরং বলতে পারেন নির্বাচন কমিশন কে স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ করার কথা---এরচে ভাল কিছু নেই >>> একাকী বাংলাদেশি
২৫| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ২:১৪
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: ইসলামের অবমাননা তো সেই কবে থেকেই হচ্ছে,তো এই হেফাজতে ইসলাম এতো দিন কই ছিলো ?? তাদের নামই কেউ এর আগে শোনেছে কিনা সন্দেহ আছে । চট্টগ্রামের বাইরে হেফাজতে ইসলামের আর কোন জায়গায় কোন কর্মী আছে বলে জানা ছিল না । তবে আজকে তাদের এই হাজার হাজার কর্মী দিয়ে কারা সাহায্য করছে ।
আমাদের এলাকায় যারা শহীদ মিনার ভেঙ্গেছিলো ঠিক তারাই এজ ইসলাম রক্ষার জন্য লং মার্চে যোগ দিচ্ছে । কি হিপোক্রেসি চিন্তা করুন ।
আরেকটা জিনিস, হেফাজতে ইসলাম ঠিক কখন ইসলাম রক্ষার আন্দোলনে নামলো? যখনই যুদ্ধাপরাধীদের বাচানোর দাবীতে আন্দোলন করতে গিয়ে জামাত কোনঠাসা হয়ে পড়ল তখনই ।
কাজেই মাথায় ঘিলু থাকলে এটা সহজেই বুঝা যায় যে হেফাজতে ইসলামের ব্যনারে এই আন্দোলনের নেপথ্যে কারা আছে ।
০৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:১৯
সরকার মুনীব রেজওয়ান বলেছেন: যথার্থ বলেছেন আপনি। এদের ধর্মচেতনায় মওদুদীবাদ আঘাত হানে না এখনো যখন নিজেরাই বলছে এরা জামাতিরা ইসলাম বিকৃতকারী---মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:২৯
চোরাবালি- বলেছেন: মনে আগুন জ্বলে রে নেভানোর মানুষ নাই---------। গানটার কথা ভুলে যাবার কথা না। নেভানোর মানুষের জন্য আপনাকে কিছুটা সময় ধয্য ধরতে হবে।
মনে রাখা উচিত এই দেশে লেলিন জন্মাননি। তাই লেলিনের স্বপ্ন এদেশে দেখে লাভ নেই।