নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দরবেশ১

দরবেশ১ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গণঅভ্যুথান এর উপাদান বিএনপির কাছে নেই। তাই কিতাবি কথা বাদ দিয়ে তাদের উচিত মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করা

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০৭

বিএনপির গণঅভ্যুথান কথার কথা থেকে যাবে। ১৯৯০সাল আর ২০১৫ সাল এক কথা নয়। দীর্ঘ এই ২৫ বছরে পদ্মা মেঘনা, যমুনা দিয়ে অনেক জল গরিয়েছে। দেশের অর্থনীতির পালা বদল হয়েছে। মানুষের আয় বেড়েছে, কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বেড়েছে। কৃষক তার ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে, যে ব্যাক্তি সারা দিন হাড় ভাংগা প্ররিশ্রম করে আয় রোজগার করতো সে এখন ব্যাটরি চালিত অটো রিকশা চালায়, গ্রামের প্রান্তিক কৃষক পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করে। সার বীজ এর কোন সংকট নেই। গ্রামের শ্রমিক কৃষাণি তার ছেলে মেয়ে স্কুলে পাঠাচ্ছে। সর্বোপরি জনজীবনে কোন সংকট নেই। দেশের মানুষ কোন কষ্টে নেই। কষ্টে আছে শুধু বিএনপির প্রধান বেগম খালেদা জিয়া, মীর্জা ফখরুল ,রুহুল কবির রিজভী। কারণ তারা ক্ষমতা চায়, দেশের টাকা বিদেশে পাঠাতে চায়। ক্ষমতার লোভে তারা রাজনীতির সংজ্ঞা ভুলে গিয়ে অরাজনৈতিক কথা বার্তা বলছে, হুমকি ধামকি করছে। ১৯৯০ এর গণঅভ্যুথান ছিল তিন জোটের সম্মিলিত আন্দলনের ফল। সেখানে বিএনপির একক কোন কৃতিত্ব ছিল না। ঐ সময়ের ছাত্র নেতারা এখনো জীবিত আছে। তারা সব বিষয়ে জানে। এই বিষয়ে মিথ্যা বলার কোন এখতিয়ার বিএনপির নেই। জাতীয় পার্টির সাথে কোন রাজনৈতিক দল ছিল না বলে গণঅভ্যুথান সফল হয়েছিল। বর্তমান সরকারের সাথে ১৫টি রাজনৈতিক দল আছে, সংসদে তাদের আসন রয়েছে। বিএনপি রাজপথ দখল করলে মহাজোটের শরিক দলগুলো বসে বসে কলা খাবেনা, এই কথা মীর্জা ফখরুলদের জানা উচিত। গণঅভ্যুথান এর উপাদান বিএনপির কাছে নেই। তাই কিতাবি কথা বাদ দিয়ে তাদের উচিত মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করা। স্বাধীনতা বিরোধীদের বাঁচাতে তাদের কোন আন্দোলনে এ দেশের মানুষ যোগ দিবে না। বেগম জিয়ার জনসভায় দেখা যায় মানবতা বিরোধীদের মুক্তি দাবী করে পোস্টার ব্যানার টানানো হয়। বেগম জিয়ার জনসভা মুলত রাজাকার মুক্তির গণসভায় পরিণত হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.